৫৯ বর্ষ ৪৩ সংখ্যা / ১০ জুন, ২০২২ / ২৬ জ্যৈষ্ঠ, ১৪২৯
লুটের পঞ্চায়েতকে বরখাস্ত করে জেলায় জেলায় বামফ্রন্টের নেতৃত্বে
মানুষের পঞ্চায়েত গড়ে তুলতে সংগঠিত হচ্ছেন মানুষ
খড়্গপুর গ্রামীণ ব্লকের অর্জুনী গ্রাম পঞ্চায়েতের সামনে বিক্ষোভ বামফ্রন্টের।
নিজস্ব সংবাদদাতাঃ লুটের পঞ্চায়েত নয়, গ্রামে গ্রামে মানুষের পঞ্চায়েত গড়ে তুলতে হবে। বামফ্রন্টের এই আহ্বানকে সামনে রেখে রাজ্যজুড়ে গ্রামীণ পঞ্চায়েত এলাকায় প্রচার সভায় মানুষ ক্রমশ সংগঠিত হচ্ছেন। তৃণমূলের বেলাগাম দুর্নীতি, পঞ্চায়েতকে দুষ্কৃতীদের আখড়ায় পরিণত করা, লুটের বখরা নিয়ে লাগাতার খুন, প্রতিবাদীদের কণ্ঠরোধ সম্পর্কে মানুষ ক্রমশ সোচ্চার হচ্ছেন সেখানে। রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকারের রেগার কাজের বরাদ্দ বন্ধ করার প্রশ্নে উদাসীনতা, চলতি আর্থিক বছরে ১০০ দিনের কাজ দ্রুত শুরু করা এবং ফেলে রাখা বকেয়া অবিলম্বে মেটানো, মানুষের বিভিন্ন গ্রামীণ প্রকল্পে প্রাপ্য আদায়, বিভিন্ন প্রকল্পের অসমাপ্ত কাজ অবিলম্বে দ্রুত শেষ করার দাবি সহ অন্যান্য স্থানীয় দাবিতে পঞ্চায়েত নির্বাচনের সামনে রেখে রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় বামফ্রন্টের ডাকা বিক্ষোভ সভা ও ডেপুটেশনের কর্মসূচিতে মানুষের ভিড় বাড়ছে।
শিক্ষক-অশিক্ষক নিয়োগ থেকে পঞ্চায়েতে পুকুর চুরি - তৃণমূলীদের সার্বিক দুর্নীতির দৈনিক খতিয়ান রোজ সংবাদমাধ্যমের প্রথম পাতায় জায়গা করে নিচ্ছে। জায়গা করে নিচ্ছে বগটুইয়ের লুঠের বখরা জনিত গণহত্যা, আনিস খানের মতো প্রতিবাদী ছাত্রনেতাকে পুলিশ পাঠিয়ে খুনের অভিযোগ - এইসব ঘটনায় গোটা রাজ্য জুড়ে তৃণমূলীদের প্রতি মানুষের ক্ষোভ ঘৃণা আর অনাস্থা বাড়ছে। বাংলায় এখন মুখ্যমন্ত্রীর একটি স্লোগানকে ব্যাঙ্গ করে চালু হওয়া জনপ্রিয় লব্জ হলো ‘চোর ধরো, জেল ভরো’। এহেন পরিস্থিতি থেকে নজর ঘোরাতে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি বর্ষার পরে পঞ্চায়েত নির্বাচন করানোর আভাস দিয়েছেন দিন কয়েক আগে একটি প্রশাসনিক সভায়।
বামফ্রন্টের পঞ্চায়েত বাঁচানোর আহ্বানকে চুরি আর স্বজনপোষণে জেরবার গ্রাম-শহর দু’জায়গার মানুষ গণতান্ত্রিক অধিকার রক্ষার লড়াই গুরুত্ব দিয়েই গ্রহণ করেছেন। তাই রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় পঞ্চায়েত স্তরে অধিকার রক্ষা ও ন্যায্য প্রাপ্য আদায়ের কর্মসূচিতে মানুষ বিকল্পের প্রশ্নে একমত থাকছেন শেষ পর্যন্ত। উত্তরের আলিপুরদুয়ার থেকে পুর্ব মেদিনীপুর - নানা ইস্যুতে সংগঠিত জমায়েত চিন্তার ভাঁজ ফেলছে তৃণমূলের নেতা-নেত্রীদের কপালে।
পঞ্চায়েতের নির্বাচনের মুখে লুঠ দুর্নীতি এবং স্বজনপোষণের ইস্যুতে পঞ্চায়েতকে তৃণমূলের চুরিমুক্ত করতে উত্তর ২৪ পরগনায় আমডাঙা বিডিও অফিসের সামনে ৭ জুন বামফ্রন্টের ডাকে এক বিক্ষোভ সভা আয়োজিত হয়। এই অবস্থান বিক্ষোভ সভায় অংশ নেন এলাকার ব্যাপক অংশের মানুষ। ১৪ দফা দাবিতে সংগঠিত এই সমাবেশে মহিলাদের জমায়েত ছিল চোখে পড়ার মতো। আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনে দুর্নীতিগ্রস্ত তৃণমূলকে পরাস্ত করার আহ্বান জানিয়ে তৃণমূলের আমলে সমস্ত দুর্নীতির তদন্ত করার দাবি জানানো হয় এই সভা থেকে। বামফ্রন্ট সরকার মানুষের স্বার্থে যে পঞ্চায়েত ব্যবস্থা ১৯৭৮ সালে তৈরি করেছিল তা এখন লুটেরাদের দখলে। নিয়োগ থেকে আরম্ভ করে সব ক্ষেত্রে দুর্নীতি এবং স্বজনপোষণ করছে এই তৃণমূল। লুটেরাদের হাত থেকে পঞ্চায়েতকে ফিরিয়ে আনতে হবে বামফ্রন্টের বিভিন্ন বক্তাদের বক্তব্যে উঠে আসে এই আহ্বান। বামফ্রন্ট নেতৃবৃন্দ এদিন বলেন, দেশে সাম্প্রদায়িকতা প্রশ্নে মোদি এবং মমতার ভূমিকা একই। এই দুটি দলকেই চালায় হিন্দুত্ববাদী আরএসএস। সভা চলাকালীন বিডিও’র কাছে ডেপুটেশন দেওয়া হয়। দাবি আদায়ের প্রশ্নে অবস্থান জমায়েতে নেতৃবৃন্দ বলেন, দাবি মানা না হলে আগামীদিনে আরও বৃহত্তর আন্দোলনের পথে যাবেন আমডাঙ্গা ব্লকের মানুষ।
এদিকে ইতিমধ্যেই মমতা ব্যানার্জির সরকার পঞ্চায়েতের প্রতিটি পর্যায়ে চুরি অস্বচ্ছতা আটকানোর দায় বেসরকারি পেশাদার সংস্থার ঘাড়ে তুলে দেওয়ার কথা ঘোষণা করে আরও বেকায়দায় ঠেলে দিয়েছেন তাঁর দলকে। বেসরকারি পেশাদারী সংস্থা রাজ্যের পঞ্চায়েতের তিনটি স্তরে বিভিন্ন প্রকল্প পরীক্ষা করবে আগামী দিনে। অর্থাৎ কোথায় কত জল মেশানো হয়েছে কত টাকা চুরির উদ্যোগ রয়েছে এসব পরীক্ষা করবে সেই সংস্থা। টাকা দেবে রাজ্য সরকার। এই ঘোষণার মধ্য দিয়ে পঞ্চায়েত স্তরে দুর্নীতি যে লাগামছাড়া এবং সরকার বা তৃণমূল দলের পক্ষ থেকে তা নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছেনা সেই কথাটাই পরোক্ষে স্বীকার করে ফেলা হলো বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
পিংলায় ব্লক দপ্তর অভিমুখে বিক্ষোভ মিছিল।
পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রস্তুতি প্রসঙ্গে সিপিআইএম-এর রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম বলেছেন, রাজ্য সরকার ভয়ে রয়েছে। কারণ তৃণমূলের একের পর এক দুর্নীতি যেভাবে ফাঁস হচ্ছে এবং মানুষ যেভাবে তার প্রতিবাদে সোচ্চার হচ্ছেন তাতে ওরা তড়িঘড়ি করে ভোট করাতে চান। তাই আমরাও প্রস্তুত থাকতে বলেছি। বাম গণতান্ত্রিক ধর্মনিরপেক্ষ শক্তির যারা তৃণমূল বিজেপি’র বিরুদ্ধে, তাদের জড়ো করার চেষ্টা করছি।
তিনি পঞ্চায়েত স্তরের দুর্নীতি প্রসঙ্গে বলেন, গ্রাম উন্নয়ন প্রকল্পের চুরি পুকুর কাটার নামে, জব কার্ডের নামে, এমন কি গাছ লাগানোর নামেও টাকা লুটের অভিযোগ রয়েছে। দুর্নীতিতে তৃণমূল এবং বিজেপি’র তফাৎ কিছু নেই। আমরা যে জনসংযোগ কর্মসূচি গ্রহণ করেছি তাঁর অন্যতম লক্ষ্য মানুষের অভাব অভিযোগের কথা শোনা এবং সেই অভিযোগের সুরাহার জন্য আন্দোলন সংগ্রাম করা, আন্দোলনের রসদ জোগাড় করা। এবারের পঞ্চায়েত ভোটে কোনো লুটেরা পার পাবে না। মানুষ হকের লড়াই লড়বে ভোট লুট হতে দেওয়া চলবে না। লুটেরাদের হাত থেকে পঞ্চায়েত কেড়ে নিয়ে মানুষের হাতে ফিরিয়ে দেবো আমরা।
পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রাথমিক প্রচার পর্ব শুরু হয়ে গেছে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলাতেও। এখানে দাসপুর থানার নিশ্চিন্তপুর, দুধকোমরা, গৌরা, সবংয়ের সার্তা, চাউলকুড়ি, কেশিয়াড়ির সাঁতরাপুর এই ছ’টি তৃণমূল পরিচালিত পঞ্চায়েত দপ্তর এবং খড়গপুর গ্রামীণ ব্লকের বিজেপি পরিচালিত অর্জুনি গ্রাম পঞ্চায়েতে চলে বিক্ষোভ অবস্থান। গ্রাম পঞ্চায়েত অফিসে এই বিক্ষোভ অবস্থান এবং ডেপুটেশনে শামিল হয়েছেন কৃষক খেতমজুর সহ জব কার্ড হোল্ডার বহু পরিবার। ১০০ দিনের কাজের সাত মাসের বকেয়া মজুরি মেটানো, এই আর্থিক বছরে ১০০ দিনের কাজ অবিলম্বে চালু করা সহ জনজীবনের বিভিন্ন জ্বলন্ত সমস্যার প্রতিকার চেয়ে এই কর্মসূচি হয়। গ্রামীণ রাস্তাঘাট মেরামত, নদীবাঁধ মেরামত সহ তৃণমূল এবং বিজেপি পরিচালিত গ্রাম পঞ্চায়েতে বোঝাপড়া করে দুই শাসকদলের আবাস যোজনা সহ ১০০ দিনের কাজের লুটের প্রতিবাদে প্রতিটি বুথের সরকারি বরাদ্দের হিসাব প্রকাশের দাবিও জানানো হয় এদিনের বিক্ষোভ সভা থেকে।
আমডাঙায় বিডিও অফিসের সামনে জমায়েত।
এর পাশাপাশি গতবছরের বন্যায় অনেকগুলি মৌজায় রূপনারায়ণ, দুর্বাচটি, পলাশপাই, শিলাবতী, কেলেঘাই নদীর একাধিক স্থানে নদী বাঁধে ফাটল সহ ভেঙে পড়া অংশের নদী বাঁধ মেরামত না হওয়ায় বিক্ষোভ দেখানো হয়। বর্ষা শুরুর আগে এই মেরামতির জন্য অর্থ বরাদ্দ করার দাবিতে সোচ্চার হোন জমায়েতের মানুষ।
২ জুন পঞ্চায়েতের উন্নয়নের বরাদ্দতে সীমাহীন দুর্নীতি, জঙ্গলের অধিকার ফিরিয়ে দেওয়া, বেলপাহাড়ি, শিলদা, শিমুলডাঙ্গা, কুসুমডাঙ্গা সহ ৭৬টি মৌজার মানুষের তীব্র জলকষ্ট এবং জিনিসপত্রের দাম কমানোর দাবিতে শিলদাতে এক সুবিশাল মিছিল আয়োজিত হয়। শিলদা এবং বেলপাহাড়ি এলাকায় রয়েছে তীব্র জলসংকট। আট দিন দশ দিন অন্তর সরকারিভাবে জলের গাড়ি অনিয়মিত জল দিয়ে যায়। মানুষকে সেজন্য তারাফেনী নদী, ডুলুং নদীর বালুচরে গর্ত করে জল সংগ্রহ করতে হয়। জলের পাইপ বসেছে বহু মৌজায়, কিন্তু কলের জল পড়ে না। সরকারি মহলে দাবি জানিয়েও পানীয় জলের সমস্যা মিটছে না। প্রশাসন নির্বিকার। রয়েছে রুটি-রুজির সংকট। রেশনের অন্তোদ্যয় যোজনার বরাদ্দ এক-তৃতীয়াংশ কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। আবাস যোজনায় তৃণমূলীদের ব্যাপক দুর্নীতি, ১০০ দিনের কাজ পাচ্ছেন না মানুষ। এই ইস্যুগুলোকে সামনে রেখে পঞ্চায়েত উদ্ধারের লক্ষ্যে বহু মানুষ শামিল হন মিছিলে।
পঞ্চায়েত নির্বাচনের বিভিন্ন ইস্যুকে সামনে রেখে মিছিলের পর সভা অনুষ্ঠিত হয়। এবং সভায় উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন সিপিআই(এম) ঝাড়গ্রাম জেলা কমিটির সম্পাদক প্রদীপ কুমার সরকার, রাজ্য কমিটির সদস্য পুলিনবিহারী বাস্কে সহ পার্টি নেতা দিবাকর হাঁসদা প্রমুখ।
তৃণমূলের পঞ্চায়েত থেকে সরকার কেউ মৎস্যজীবীদের চরম অর্থকষ্টের কথা শুনছে না। নেই কোনো বিকল্প জীবিকা বা সরকারি সহায়তা। দক্ষিণ ২৪ পরগনার পঞ্চায়েত এলাকার বিস্তীর্ণ অংশে বসবাসকারী মৎস্যজীবীদের এখন সংকটের সময়। তার জেরে পঞ্চায়েত এলাকার মৎস্যজীবী মানুষ চরম আর্থিক সমস্যার মুখোমুখি হয়েছেন। প্রতিবছর দুমাস মাছ প্রজনন এবং বংশ বৃদ্ধির জন্য চাষ বন্ধ থাকে।রাজ্য সরকারের নির্দেশে গত ১৫ এপ্রিল থেকে ৬১ দিন পর্যন্ত মাছের প্রজনন এবং বংশ বৃদ্ধির কারণে রাজ্যের সব নদী এবং সমুদ্রের মাছ চাষ বন্ধ রয়েছে। এই পরিস্থিতির সঙ্গে যুঝতে মৎস্যজীবীদের জন্য প্রাপ্য সঞ্চয় ও ত্রাণ প্রকল্প বামফ্রন্ট সরকারের সময়কালে চালু হয়। কিন্তু এই প্রকল্প ২০১৫ সাল থেকে বর্তমানের সাত বছর ধরে বন্ধ। এই প্রকল্পের টাকা মাসে সাড়ে চার হাজার টাকা হিসেবে মৎস্যজীবীরা পেয়ে থাকেন। এই সাড়ে চার হাজার টাকার মধ্যে পনেরশো টাকা থাকে যেটা মৎস্যজীবীদের জমানো টাকার একটা অংশ, আর বাকি ৩০০০ টাকার অর্ধেক দেয় রাজ্য এবং কেন্দ্রীয় সরকার বাকি অর্ধেক। এক্ষেত্রে সুযোগ নিচ্ছে কিছু অসাধু মৎস্য ব্যবসায়ী। দক্ষিণবঙ্গ মৎস্যজীবী ফোরামের পক্ষ থেকে এই প্রকল্পের টাকা অবিলম্বে দেওয়ার দাবি সহ অন্যান্য দাবিতে দক্ষিণ ২৪ পরগনার মৎস্য আধিকারিকের কাছে স্মারকলিপি জমা করেছেন তাঁরা।
লোধাশুলি এলাকায় ১১ বছরে পঞ্চায়েত সহ অন্যত্র উন্নয়নের নামে বঞ্চনার প্রসঙ্গে তিতিবিরক্ত হয়ে মানুষ সোচ্চার হয়ে বলছেন দুর্নীতি কাটমানি তোলাবাজিতে ভাগবাটোয়ারা করে পঞ্চায়েত চালাচ্ছে তৃণমূল এবং বিজেপি। এসব আর চলতে দেওয়া যায় না। ১৪ বছর পরে সিপিআই(এম)’র ডাকে লাল ঝান্ডার বিক্ষোভ মিছিলে শামিল হয়ে মানুষ বলেছেন এই ঝান্ডা আমাদের বাঁচাবে। রুটি রুজির সংকট, আকাশছোঁয়া মূল্যবৃদ্ধির জেরে নাজেহাল মানুষ। কেড়ে নেওয়া হয়েছে বনাঞ্চলের মানুষের বনভূমি, জলাভূমির অধিকার। জঙ্গলের রসদ সংগ্রহে বাধা দেওয়া হচ্ছে। সব তুলে দেওয়া হয়েছে ফড়েদের হাতে ।তাই ভয় অগ্রাহ্য করে মানুষ পরিত্রাণ চাইছেন তৃণমূলকে সরিয়ে। চাইছেন পঞ্চায়েতের অধিকার। মিছিল থেকে উঠে এল এমনই প্রত্যয়। এই কর্মসূচিতে ছিলেন ঝাড়গ্রাম জেলা সম্পাদক প্রদীপ সরকার সহ পার্টি নেতা দিবাকর হাসদা, প্রশান্ত দাস ও অর্জুন মাহাতো প্রমুখ।
পঞ্চায়েত নির্বাচনের মুখে দাঁড়িয়ে জোট বাঁধছেন মানুষ - ছবিটা ক্রমশই স্পষ্ট হচ্ছে।