৫৯ বর্ষ ৪৩ সংখ্যা / ১০ জুন, ২০২২ / ২৬ জ্যৈষ্ঠ, ১৪২৯
সিআইটিইউ রাজ্য ৬১তম কাউন্সিল সভা
সিআইটিইউ ৬১তম রাজ্য কাউন্সিল সভায় প্রতিবেদন পেশ করেছেন অনাদি সাহু। মঞ্চে নেতৃবৃন্দ।
নিজস্ব সংবাদদাতাঃ বৃহৎ কর্পোরেট এবং সাম্প্রদায়িক শক্তির যৌথ আক্রমণের মোকাবিলা করতে গেলে নিজস্ব শক্তি বৃদ্ধি করতে হবে শ্রমিকদের। সংহত করতে হবে শক্তি। মজবুত করতে হবে শ্রমিক-কৃষক ঐক্যকে। লড়াইয়ের ক্ষেত্র প্রস্তুতির প্রশ্নে রাষ্ট্রায়ত্ত ক্ষেত্রের শ্রমিক, অসংগঠিত ক্ষেত্রের শ্রমিকদের আরও বেশি করে লড়াইয়ের ময়দানে সংগঠিত করার কাজকে অগ্রাধিকার দিতে হবে। মজুরি বৃদ্ধি থেকে স্থায়ীকরণ সহ সামাজিক এবং স্থানীয় দাবিগুলিকে রূপায়ণের প্রশ্নে, যৌথ আন্দোলনের প্রশ্নে সব অংশের শ্রমিকদের আন্দোলন-সংগ্রামে নিয়মিত অংশগ্রহণ এবং শামিল করা জরুরি। তাই রাজ্যের গ্রামোন্নয়ন ব্যবস্থায় পঞ্চায়েত স্তরের প্রেক্ষিতকে গুরুত্ব দিয়ে নির্বাচনী কর্মসূচিতে অংশ নিতে হবে। ২ জুন কলকাতার শ্রমিক ভবনে এই আহ্বান জানিয়ে অনুষ্ঠিত হলো সিআইটিইউ ৬১তম রাজ্য কাউন্সিল সভা। সভায় খসড়া প্রতিবেদন পেশ করেন অনাদি সাহু।
রিপোর্টে আগামী ৮ জুলাই জ্যোতি বসু’র জন্ম দিনটিকে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি দিবস হিসাবে এবং স্বাধীনতার ৭৫ বছর উপলক্ষে শ্রমিকশ্রেণির দৃষ্টিভঙ্গিতে স্বাধীনতা সংগ্রাম সংক্রান্ত সপ্তাহব্যাপী কর্মসূচি নেবার কথা উল্লেখ করা হয়েছে।
কাউন্সিল সভায় খসড়া প্রতিবেদন পেশ করে অনাদি সাহু বলেন, সিআইটিইউ লড়াইয়ে আছে। একদিকে বিজেপি আরএসএস-এর মতো সাম্প্রদায়িক শক্তি ও বৃহৎ কর্পোরেটের মোকাবিলা করে এগোতে হচ্ছে, অন্যদিকে এই রাজ্যের তৃণমূলের স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে লড়াই করতে হচ্ছে শ্রমজীবী মানুষকে। এই লড়াইকে শক্তিশালী করতে সিআইটিইউ-র নিজস্ব শক্তি বাড়াতে হবে।
কাউন্সিল সভায় সিআইটিইউ নেতৃবৃন্দ রাজ্যের বিভিন্ন কলকারখানায় সমস্যা এবং তার পরিপ্রেক্ষিতে আন্দোলন সংগঠিত করার বিষয়গুলি তুলে ধরেন। এদিন শ্রমিক-কৃষক ঐক্যবদ্ধ লড়াইয়ের প্রসঙ্গ তুলে তাঁরা বলেন, রাজ্যে শ্রমজীবীরা আরও জোটবদ্ধ হচ্ছেন। কৃষক ও খেতমজুরদের সংঘবদ্ধ করে, অসংগঠিত শ্রমিকদের আরও বেশি করে সিআইটিইউ’র পতাকার নিচে সমবেত করে ঐক্যবদ্ধ লড়াইয়ের ক্ষেত্র প্রস্তুত করার কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে।
এর আগে ৬০তম রাজ্য কাউন্সিল সভা ১২ মার্চ অনুষ্ঠিত হয়েছিল। ১২ মার্চ পরবর্তী সময়ে যে সমস্ত কর্মসূচি সিআইটিইউ’র উদ্যোগে গ্রহণ করা হয় সে সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে রিপোর্টে। ২৮ এবং ২৯ মার্চ দেশব্যাপী সাধারণ ধর্মঘট প্রসঙ্গে উল্লেখ করা হয়েছে, ধর্মঘট সফল প্রশ্নে ঐকবদ্ধ আন্দোলনের জন্য কৃষক সভা এবং খেতমজুর ইউনিয়নের সঙ্গে রাজ্যস্তরে যৌথ সভা সংগঠিত হয়েছে এবং জেলাস্তরেও আলোচনা হয়েছে। রাজ্যে ও জেলাস্তরে ছাত্র যুব মহিলা সংগঠনের কর্মীদের ধর্মঘট প্রচারে যুক্ত করতে উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়। বলা হয়েছে বিভিন্ন শিল্পে সিআইটিইউ’র নিজস্ব উদ্যোগ ও শক্তি বৃদ্ধি করা কত অপরিহার্য তা এই ধর্মঘটে আরও বেশি অনুভূত হয়েছে।
ব্যাংক-বীমা-বিএসএনএল-চা বাগান, ইত্যাদি ক্ষেত্রগুলি সহ সিমেন্ট, ক্ষুদ্র লৌহ ও ইস্পাত শিল্প ব্রেথওয়েট, বার্ন, জেসপ, পাওয়ার গ্রিড, কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারী, মেডিকেল রিপ্রেজেন্টেটিভ ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পে হাওড়া কলকাতা এবং হুগলি ইত্যাদি জেলায় ধর্মঘটের উল্লেখযোগ্য প্রভাব পড়েছে।
এ প্রসঙ্গে উল্লেখ রয়েছে অসংগঠিত ক্ষেত্রে কয়েকটি শিল্প ছাড়া সাধারণ শ্রমিকদের মধ্যে ব্যাপকভাবে প্রচার সংগঠিত করতে না পারার খামতির কথা এবং কোভিড বিধি চলাকালীন রাজ্যজুড়ে পৌরসভার নির্বাচন এবং রাজনৈতিক স্তরের সম্মেলনের কাজে যুক্ত থাকার জন্য ট্রেড ইউনিয়ন ফ্রন্টের ধর্মঘটের প্রচারে থাকার ক্ষেত্রে অসুবিধার সম্মুখীন হবার বিষয়টি। এর পাশাপাশি আগামীদিনে শ্রমিক শ্রেণির ওপর ক্রমবর্ধমান আক্রমণের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে দুর্বলতাকে সংশোধন করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করার কথা বলা হয়েছে। প্রচার আন্দোলনকে অব্যাহত রাখার বিষয়ে জোর দেওয়া হয়েছে।
সর্বভারতীয় শ্রমজীবী মহিলা কনভেনশন যা গত কুড়ি থেকে ২২ মে কলকাতায় বিনানি ভবনে অনুষ্ঠিত হয় সে সম্পর্কে রিপোর্টে বলা হয়েছে আগামী আন্দোলন কর্মসূচিকে সামনে রেখে শ্রমজীবী মহিলাদের বিশেষ দাবি, কাজের সুযোগ বৃদ্ধির পাশাপাশি কাজে নিরাপত্তা, লিঙ্গ বৈষম্য হ্রাস করা, হিংসা ও যৌন হয়রানি বন্ধ করতে অন্যান্য ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনগুলি এবং ট্রেড ইউনিয়ন সমূহের সঙ্গে সমন্বয়ে গড়ে তোলার কাজকে গুরুত্ব দিতে হবে। সিআইটিইউ-কে শক্তিশালী করতে বিশেষ বিশেষ সংগঠন যেমন প্রকল্পভিত্তিক কাজে যুক্ত মহিলা শ্রমজীবী, গৃহ সহায়িকা, এমএনরেগা ও গ্রামীণ শ্রমিক, পোশাক শিল্পের শ্রমিকদের, স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে আশা ছাড়া অন্যান্য কর্মী, প্রকল্পভিত্তিক শিক্ষক ইত্যাদিদের এবং শপিং মলের কর্মচারী এবং গিগ কর্মীদের অগ্রাধিকার ক্ষেত্র হিসেবে চিহ্নিত করে তাদের সংগঠনগুলোকে শক্তিশালী করার প্রচেষ্টা নিতে হবে। শ্রমজীবী মহিলাদের কোঅর্ডিনেশন কমিটিকে সাম্প্রদায়িক শক্তি সম্পর্কে সচেতন করতে শ্রমজীবী মহিলাদের মধ্যে মতাদর্শগত অনুশীলন বাড়াতে হবে।
এই বিষয়গুলির সঙ্গে সঙ্গে বেশ কিছু কর্মসূচি পালনের কথা রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে। সেখানে রয়েছে রাজনৈতিক শিক্ষা সংক্রান্ত কর্মসূচি থেকে আগামী দিনের কর্মসূচির কথা।
আগামীদিনের কর্মসূচি
● সদস্য সংগ্রহের ক্ষেত্রে সর্বাধিক গুরুত্ব দিতে হবে।
● রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীতে আলোচনা করে নির্দিষ্ট সিলেবাসের ভিত্তিতে রাজ্যস্তরে ও জেলাস্তরে রাজনৈতিক শিক্ষার কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। জুলাই মাস জুড়ে রাজ্যে এই কর্মসূচি পালন করতে হবে। রাজ্যস্তরে জুন মাসে এই কর্মসূচি পালিত হবে।
● ৮ জুলাই জ্যোতি বসুর জন্ম দিন রাজ্যজুড়ে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি দিবস হিসেবে পালন করতে হবে। রক্তদান, স্বাস্থ্য পরীক্ষা শিবির, রাখি বন্ধন, রাজনৈতিক আলোচনা সেমিনার ইত্যাদি কর্মসূচি গ্রহণ করতে হবে ওই দিনে এবং শ্রমিকদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে।
● শ্রমিক কৃষক জনগণের ইস্যুগুলিকে নিয়ে আগামীদিনে সারাদেশে আরও বড়ো আন্দোলন গড়ে তুলতে আগামী ৫ সেপ্টেম্বর সিআইটিইউ, কৃষক সভা, সারা ভারত খেতমজুর ইউনিয়নের যৌথভাবে দিল্লিতে কনভেনশনে যোগ দেবার আহ্বান জানানো হয়েছে।
● আগামী বাজেট অধিবেশন ফেব্রুয়ারি মার্চ ২০২৩ দিল্লিতে শ্রমিক-কৃষক খেতমজুরদের পার্লামেন্ট অভিযানের কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। ৫ সেপ্টেম্বর ২০২২ দিল্লির কনভেনশনে রাজ্যের সমস্ত জেলার বড়ো বড়ো ইউনিয়নগুলো যাতে অংশগ্রহণ করে তার প্রস্তুতি নেওয়ার ওপর জোর দেওয়া হয়েছে।
সিআইটিইউ সর্বভারতীয় ১৭তম সম্মেলন
রিপোর্টে বলা হয়েছে, ১৮ থেকে ২২ জানুয়ারি বেঙ্গালুরুতে ১৭তম সর্বভারতীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। এই সম্মেলনের পূর্বে বাকি আছে এমন সমস্ত রাজ্য জেলা ফেডারেশন ইউনিয়নগুলির সম্মেলন শেষ করতে হবে।
রিপোর্টে বিভিন্ন কর্মসূচি উল্লেখ করা হয়েছে শ্রমিক শ্রেণির প্রস্তুতি প্রসঙ্গে। ওয়ার্কিং কমিটি শ্রমিক শ্রেণিকে তাদের অধিকার ও কাজের অবস্থার ওপর নয়া উদারবাদী আক্রমণের পাশাপাশি তাদের ঐক্যের ওপর হিন্দুত্ববাদী সাম্প্রদায়িক শক্তির আক্রমণের বিরুদ্ধে উচ্চতর সংগ্রামের জন্য প্রস্তুত হওয়ার আহ্বান জানিয়েছে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, রাজ্যে উদার অর্থনীতির বিরুদ্ধে লড়াইয়ের শ্রমিক শ্রেণি ও জনগণের ঐক্য রক্ষার স্বার্থে সাম্প্রদায়িক মৌলবাদী বিভাজনের এই শক্তির বিরুদ্ধে শ্রমিক শ্রেণি ও জনগণকে সচেতন করতে হবে। বিজেপি আরএসএস এবং তার সাম্প্রদায়িক নীতির বিরুদ্ধে লড়াই একসাথে চালাতে হবে। জনগণ ও শ্রমিকশ্রেণিকে সচেতন করতে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে দায়িত্ব পালন করতে হবে।
কর্মীদের প্রসঙ্গে বলা হয়েছে, সক্রিয় ক্যাডার চিহ্নিতকরণ ও ক্যাডারদের রাজনৈতিক মতাদর্শ উন্নয়নকে অগ্রাধিকারমূলক কাজ হিসেবে গ্রহণ করতে হবে। রাজ্য কমিটি ও জেলা কমিটিকে ধারাবাহিকভাবে নির্দিষ্ট পরিকল্পনার ভিত্তিতে এগোতে হবে। নির্দিষ্ট কর্মসূচি গ্রহণ করে জুলাই মাসে কেন্দ্রীয়ভাবে ক্লাসের আয়োজন করা হবে।
ভূমি স্তরে সিআইটিইউ সমন্বয় কমিটি ব্লক, গ্রাম, মহল্লা আহ্বায়কদের প্রস্তুত করে তাদের দিয়ে সাধারণ স্তরে সাধারণ শ্রমিকদের সভা করে সভাগুলিতে বর্তমান পরিস্থিতিতে আমাদের করণীয় আন্দোলন-সংগ্রামের বিষয়গুলি তুলে ধরতে হবে। এছাড়া সিআইটিইউ সর্বভারতীয় সিদ্ধান্তসমূহ কার্যকরী করার প্রশ্নে রাজ্যের ক্ষেত্রে সিআইটিইউ রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর সিদ্ধান্ত তুলে ধরা হয়েছে রিপোর্টে।
বলা হয়েছে, আগামী দুই মাস গ্রামস্তরে শ্রমিকদের কনভেনশন করে সিআইটিইউ সমন্বয় কমিটি গঠন করতে হবে। যেখানে পুরনো সমন্বয় কমিটি আছে সেই কমিটিগুলোকে সক্রিয় করতে হবে। শ্রমিকদের দাবি দাওয়া নিয়ে আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। এইভাবে অসংগঠিত ক্ষেত্রের শ্রমিকদের গ্রামীণ এবং কৃষি শ্রমিকদের কাছে পৌঁছতে হবে। এই সমন্বয় কমিটি গ্রামাঞ্চলে সিআইটিইউ, কৃষক সভা ও খেতমজুর ইউনিয়নের সমন্বয়ে তৈরি করে গ্রামের শ্রমিক-কৃষকের যৌথ আন্দোলনের কর্মসূচি গ্রহণ করতে ভূমিকা নেবে, এই নতুন শক্তি গ্রামের শোষক শ্রেণির বিরুদ্ধে জনগণের ইস্যুগুলি নিয়ে আন্দোলন গড়ে তুলবে। সামনে পঞ্চায়েত নির্বাচনের রাজনৈতিক গুরুত্ব উপলব্ধি করে এই কাজের এখন সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে নামতে হবে।
এর পাশাপাশি প্রকল্প শ্রমিকদের সম্পর্কে বলা হয়েছে, আশা কর্মীদের সর্বভারতীয় ফেডারেশন গঠন হবে, তার পূর্বে প্রতিটি জেলায় রাজ্যস্তরে সম্মেলন শেষ করতে হবে। মিড ডে মিলের রাজ্য কমিটির সম্মেলন করতে হবে, তার আগে প্রতিটি জেলায় ও রাজ্য স্তরের সম্মেলন শেষ করতে হবে। আমাদের রাজ্যে রাজ্য ও জেলা স্তরে সম্মেলনের কাজ দ্রুত শেষ করতে হবে।
রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, রাজ্যে পরিযায়ী শ্রমিকদের নির্দিষ্ট দাবির ভিত্তিতে আন্দোলন গড়ে তুলতে রাজ্য কমিটি, জেলা কমিটি স্তরে উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। গ্রামীণ ও কৃষি শ্রমিকদের মধ্যে সংগঠন প্রসঙ্গে ইতিমধ্যেই ব্লক অঞ্চল ও গ্রামে অসংগঠিত ক্ষেত্রে ওকৃষি শ্রমিক, প্রকল্প শ্রমিক, পরিবহণ শ্রমিক, স্বাস্থ্য কর্মী সহ অন্যান্যদের নিয়ে কনভেনশন করে সমন্বয় কমিটি গঠনের পরিকল্পনার কথা গুরুত্বের সঙ্গে উল্লেখ করা হয়েছে রিপোর্টে।
স্বাধীনতার ৭৫ বছর উপলক্ষে কয়েকটি বিষয়কে কেন্দ্রবিন্দু করে সপ্তাহব্যাপী কর্মসূচি পালন করতে হবে। ৮ আগস্ট থেকে সাত দিনব্যাপী কর্মসূচি গ্রহণ ও ১৪ আগস্ট সারা রাত্রিব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণের মাধ্যমে শেষ করতে হবে। এ বিষয়ে পরবর্তী সময়ে বিস্তারিত কর্মসূচি তৈরি করা হবে। তার মধ্যে রয়েছে শ্রমিকশ্রেণির দৃষ্টিভঙ্গিতে স্বাধীনতা সংগ্রাম এই কর্মসূচির ১৪ আগস্ট-এর সামুহিক জাগরণের কর্মসূচির মাধ্যমে শেষ হবে।
এসএফআই-ডিওয়াইএফআই’র সঙ্গে যৌথভাবে বেকারত্ব, কর্মসূচি এবং কর্মসংস্থানের মানের অবনতির যৌথ প্রচার কর্মসূচি গ্রহণ করতে হবে। দিল্লিতে সর্বভারতীয় স্তরে কনভেনশনের পর রাজ্যস্তরে কলকাতায় যুক্ত কর্মসূচি গ্রহণ করা হবে।
অধিবেশনে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের বিভিন্ন জেলা থেকে আসা নেতৃবৃন্দ। অধিবেশন পরিচালনা করেন দীপক দাশগুপ্ত, এসএম শাদী, প্রশান্ত নন্দী চৌধুরী ও দেবাঞ্জন চক্রবর্তীকে নিয়ে গঠিত সভাপতিমণ্ডলী।