E-mail: deshhitaishee@gmail.com  | 

Contact: +91 33 2264 8383

৬০ বর্ষ ৩০ সংখ্যা / ১০ মার্চ, ২০২৩ / ২৫ ফাল্গুন, ১৪২৯

দিল্লিতে অনুব্রতকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু চাপ বাড়ছে তৃণমূলের


নিজস্ব সংবাদদাতাঃ অনুব্রত মণ্ডল দিল্লি পৌঁছাতেই অক্সিজেন কমছে তৃণমূলের। বহু কোটি টাকা খরচ করে বাঘা বাঘা আইনজীবী নিয়োগ করেও শেষ পর্যন্ত নিজের দিল্লি যাত্রা ঠেকাতে পারলেন না তৃণমূল কংগ্রেসের বীরভূমের এই বাহুবলি নেতা। প্রাথমিক খবর অনুযায়ী, ৬ মার্চ দিল্লি পৌঁছে আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়। বিচারক রাকেশ কুমার তাঁকে তিন দিনের জন্য ইডি হেফাজতে রেখে ১০ মার্চ ফের আদালতে হাজির করানোর নির্দেশ দিয়েছেন। ৭ মার্চ স্বাস্থ্যপরীক্ষা রাম মনোহর লোহিয়া হাসপাতালে সারার পর ইডি’র জেরার মুখোমুখি হয়েছেন তিনি। প্রশ্নবাণে এখন জেরবার দশা মুখ্যমন্ত্রীর স্নেহধন্য ‘বীর’ অনুব্রত মণ্ডলের। আর কেষ্টর এই জেরার জেরেই তৃণমূলের শীর্ষ মহলে রক্তচাপ ক্রমশ বাড়ছে। কারণ গোরু পাচারের টাকার বখরা দলের মাথাদের কাছে পৌঁছানোর কথা কতক্ষণ চেপে রাখতে পারবেন দিল্লিতে কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থার দপ্তরে বসে, সেটা নিয়ে তাঁরা ঘনিষ্ঠ মহলে উদ্বেগ চেপে রাখতে পারছেন না বলে খবর।

অন্যদিকে অনুব্রত আর তৃণমূলের চাপ আরও বাড়ছে আইনজীবীদের পেছনে খরচের বহর নিয়ে কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থাগুলির ঔৎসুক্যে। কী করে জেলবন্দি অনুব্রত মণ্ডল কোটি কোটি টাকা খরচ করে আইনজীবীদের নিয়োগ করছেন জোরালো হচ্ছে সেই প্রশ্ন। তিহার জেল যাত্রা ঠেকাতে মরিয়া কেষ্ট দিল্লি এবং কলকাতা হাইকোর্টে একই সঙ্গে মামলা করায় আরও প্যাঁচে পড়েছেন। জরিমানা হয়েছে তাঁর।

৬ মার্চ দোলযাত্রার রাতে অনুব্রত মণ্ডলকে ইডি দিল্লিতে নিয়ে যায় এবং গভীর রাতে দিল্লির বিশেষ সিবিআই আদালতের বিচারক রাকেশ কুমারের বাড়িতে অনুব্রতকে হাজির করানো হয়। রাত দু’টোরও পরে অনুব্রতকে নিয়ে অফিসারেরা সদর দফতরে ঢোকেন। গোরু পাচারে আয়ের টাকা কোথায় গেল, কোন কোন প্রভাবশালীর কাছে গোরু পাচারের টাকা পৌঁছেছে এবং কীভাবে গোরু পাচারের কালো টাকা লগ্নি করে সাদা করার চেষ্টা হয়েছে - এই প্রশ্ন সামনে রেখেই অনুব্রত মণ্ডলকে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। তৃণমূল নেতার শারীরিক অবস্থার প্রসঙ্গে বিতর্ক এড়াতে জিজ্ঞাসাবাদের পর্বই ভিডিও রেকর্ডিং করে রাখার ব্যবস্থা রয়েছে। ১০ মার্চ দুপুরে তাঁকে রাউস অ্যাভিনিউ কোর্টে তোলা হবে।

সূত্রের খবর, তদন্তে অনুব্রতের শ’খানেক সম্পত্তি-জমিজমা-চালকল-ব্যাংক অ্যাকাউন্টের হদিশ মিলেছে। এর মধ্যে ২৬টি সম্পত্তির মালিক তাঁর মেয়ে সুকন্যা। যার পরিমাণ প্রায় ৫৭ কোটি টাকা। সুকন্যার ব্যাংকে ৬ কোটি টাকার ফিক্সড ডিপোজিট, সাত বছরে ১২ কোটি টাকার জমি কেনার সন্ধান মিলেছিল আগেই। সুকন্যাকে দিল্লিতে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল। ইডি সূত্রের দাবি, তিনি সবটাই বাবা জানেন বলে এড়িয়ে গিয়েছিলেন। এ বার অনুব্রতকেই সেই প্রশ্ন করা হবে। সূত্রের দাবি, অনুব্রত গোরু পাচারকারীদের পুলিশি হেনস্তা থেকে বাঁচানোর বিনিময়ে টাকা তুলতেন, যা উপরমহলেও পৌঁছে যেত। সেই টাকার গতিপথেরই খোঁজ করা হবে।