E-mail: deshhitaishee@gmail.com  | 

Contact: +91 33 2264 8383

৬০ বর্ষ ৩০ সংখ্যা / ১০ মার্চ, ২০২৩ / ২৫ ফাল্গুন, ১৪২৯

পশ্চিমবঙ্গ পঞ্চায়েত গণতান্ত্রিক কাঠামো তত্ত্ব ও তথ্য (দুই)

ঈশিতা মুখার্জি


পশ্চিমবঙ্গে পঞ্চায়েত পরিচালনায় নানা পদ্ধতিগত পরিবর্তন এসেছে। নয়া উদারীকরণের প্রাথমিক ধাক্কা এসে পড়েছিল ২০০৭-০৮ সালের পর থেকেই। দেশে গ্রাম শহরের মধ্যে ফারাক বাড়ছিল; বাড়ছিল বেকারি, দারিদ্র্য। তাই গ্রামীণ এলাকায় অর্থনৈতিক এবং সামাজিক সুযোগ থেকে মানুষের বঞ্চনা বেড়ে যাচ্ছিল। তাই বঞ্চিত মানুষকে রিলিফ দেওয়ার কর্মসূচি পঞ্চায়েতের মাধ্যমে রূপায়িত হয়েছিল। প্রথম ইউপিএ সরকারের সময়ে বামপন্থীদের দাবিতে এইরকম অনেক প্রকল্প রূপায়িত হয়, যার মধ্যে অন্যতম ছিল জাতীয় গ্রামীণ কর্মসংস্থান নিশ্চয়তা প্রকল্প। এটিই সেই ১০০ দিনের কাজ প্রকল্প। এ ছাড়াও ছিল স্বর্ণজয়ন্তী গ্রাম স্বরোজগার যোজনা, ইন্দিরা আবাস যোজনা, প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনা। কিন্তু এই রিলিফ ছাড়াও মানুষের অংশগ্রহণে বিকেন্দ্রীভূত পরিকল্পনার অন্তর্গত হয়ে পঞ্চায়েত গ্রামীণ পরিকাঠামো, প্রাকৃতিক সম্পদ ব্যবস্থাপনা, উত্তরবঙ্গ উন্নয়নের বিশেষ কর্মসুচি, সর্বপ্রকার স্বাস্থ্যব্যবস্থা প্রচার অভিযান, কমিউনিটি স্বাস্থ্যব্যবস্থা পরিচালনা, গ্রামীণ জল সরবরাহ, সামাজিক নিরাপত্তা, চিহ্নিত অনুন্নত গ্রামের জন্য কর্মসূচি, সম্পদ সংগ্রহ - এই সব কর্মসূচি ২০০৯-১০ পর্যন্ত বামফ্রন্ট সরকারের গ্রামোন্নয়ন ও পঞ্চায়েত দপ্তর পালন করে এসেছে। ২০১১ সালের পর তৃণমূল কংগ্রেস শাসনে এই ব্যবস্থার আগাগোড়া পরিবর্তন হয়।

২০০৯-১০ সালে পশ্চিমবঙ্গের বামফ্রন্ট সরকারের পেশ করা আর্থিক সমীক্ষায় খতিয়ান আছে সেই সময়ে পঞ্চায়েত দপ্তর কী করতে পেরেছিল। তার সাথে ২০২৩ সালে বিধানসভায় পেশ করা আর্থিক সমীক্ষায় তৃণমূল কংগ্রেস সরকার পঞ্চায়েতের মাধ্যমে কী কী কাজ করেছে তাকে পাশাপাশি রাখা যায়। এর সাথে রয়েছে বিভিন্ন গবেষকের গবেষণার বিশ্লেষণ।

বামফ্রন্ট সরকারের শেষ বছর যে আর্থিক সমীক্ষা পেশ করা হয়েছিল তাতে জানা যায় যে, অতীতে পঞ্চায়েতের নির্দিষ্ট কাজ এবং দায়িত্ব কীভাবে নয়া উদারীকরণের সময়েও পালন করে এসেছে বামফ্রন্ট সরকার। প্রাকৃতিক সম্পদ ব্যবস্থাপনার জন্য, জীবিকা নির্বাহের সুযোগ বৃদ্ধির জন্য কেন্দ্রীয় প্রকল্পগুলি পঞ্চায়েতের মাধ্যমে রূপায়িত হতো। বর্জ্য জমি নিয়ে প্রকল্প এইভাবে রূপায়িত হয়েছে পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, বীরভূম, পশ্চিম মেদিনীপুর, এবং বর্ধমান জেলায়। ব্লক উন্নয়ন পর্ষদের মাধ্যমে এই জেলাগুলিতে ওয়াটার শেড উন্নয়ন প্রকল্পের মতো একটি দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনাও গ্রামের মানুষের সাথে আলোচনা করে পঞ্চায়েতের মাধ্যমে রূপায়িত হয়েছিল। এই প্রকল্পগুলি এমনই নিবিড় প্রকল্প যে, এর রূপায়ণ, বাস্তবায়ন, এর দ্বারা সৃষ্ট সম্পদের রক্ষণাবেক্ষণ এক দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা। এই ধরনের কাজ করা সম্ভব হয়েছিল মানুষের সহযোগিতা এবং অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে। পুরুলিয়া, বীরভূম, বাঁকুড়া, বর্ধমান এবং পশ্চিম মেদিনীপুরে নাবার্ডের আর্থিক সহায়তায় ওয়াটার শেডের সঙ্গে যুক্ত জনগণের মাধ্যমে বিভিন্ন কাজ সম্পাদিত হয়। এই কাজ মানুষের সক্রিয় অংশগ্রহণ ছাড়া সফলভাবে রূপায়ণ করা সম্ভব নয়। সর্বপ্রকার স্বাস্থ্যব্যবস্থা সম্পর্কিত প্রচার অভিযান রূপায়িত হয়েছিল পঞ্চায়েতের মাধ্যমে। এই প্রকল্পে শৌচাগার নির্মাণ করতে ইচ্ছুক দারিদ্র্যসীমার নিচে থাকা পরিবারগুলিকে ভরতুকি দেওয়া হয়। সকলের বিশেষকরে মহিলাদের স্বাস্থ্যবিধি পালন সহ গ্রামের পরিবারভিত্তিক প্রকল্পগুলির সাফল্য পঞ্চায়েতের নেতৃত্বের সহযোগিতা, যোগ্যতা ও সদিচ্ছার উপর নির্ভর করে। ২০০৯ সালে সমগ্র ভারতে এই প্রকল্পের সাফল্য ছিল ৫৯.৫ শতাংশ; কিন্তু পশ্চিমবঙ্গে এই হার ছিল ৭৯.৬৪শতাংশ। ২০০৯-১০ সালে গ্রামে সব বিদ্যালয়ে, মাদ্রাসায়,শিশু শিক্ষা কেন্দ্রে শৌচাগার নির্মাণের কাজ পঞ্চায়েতের মাধ্যমে অনেকটাই সফলভাবে করা গিয়েছিল। ২০০৭-০৮ সালেই ৪৬৮টি গ্রাম পঞ্চায়েত এবং ৭টি পঞ্চায়েত সমিতি নির্মল গ্রাম পুরস্কার পেয়েছিল।

স্বাস্থ্যে রাজ্য সরকার সমাজ ও পঞ্চায়েতকে সরাসরি জড়িয়ে নিয়ে সামাজিক স্তরে স্বাস্থ্য পরিষেবা দেওয়ার জন্য কমিউনিটি স্বাস্থ্য পরিচালনা ব্যবস্থা চালু করে। পঞ্চায়েতের অর্থ ছিল কমিউনিটির সুরক্ষার ধারণা চালু করা। বিকেন্দ্রীভূত পরিচালন ব্যবস্থা একমাত্র এই কমিউনিটির সুরক্ষার ধারণা প্রবর্তন করতে পারে। এই প্রকল্প রূপায়ণের মূল দায়িত্ববাহক সংস্থা কিন্তু গ্রাম পঞ্চায়েত। এর ফলে স্থানীয়স্তরে পরিষেবা প্রদান সংস্থাগুলির উপর মানুষের নজরদারির কাজও সংগঠিত করা সম্ভব হয়েছিল। গ্রাম পঞ্চায়েতস্তরে ঔষধালয় বা ডিসপেনসারি মানুষের সহায়তা করেছিল। ঠিক এইরকম বিকেন্দ্রীভূত ব্যবস্থা কেরালায় বাম সরকারের পরিকল্পনায় চালু থাকার জন্যই আমরা দেখেছি কীভাবে কোভিড মোকাবিলা সে রাজ্যে সফলভাবে করা গেছে। এইভাবেই মানুষের সহযোগিতায় এবং অংশগ্রহণে পঞ্চায়েত ব্যবস্থা জন-নিবিড় এক পরিকল্পনা রূপায়ণ করতে সক্ষম হয় এবং এইভাবেই জন্ম হয়েছিল কমিউনিটি স্বাস্থ্য পরিচালনা ব্যবস্থার। নয়া উদারীকরণের ব্যক্তি নির্ভর পরিকল্পনাবিহীন বাজার অর্থনীতির বিকল্পে দাঁড়িয়ে পঞ্চায়েত কমিউনিটি নির্ভর ব্যবস্থা চালু করার প্রচেষ্টা করেছিল। গ্রামীণ জল সরবরাহেও এইভাবেই সাফল্য এসেছিল। বীরভূম জেলার বোলপুরে, পুরুলিয়া জেলার রঘুনাথপুরে জার্মান সংস্থার সাহায্যে জল সরবরাহ প্রকল্প নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে শেষ করে ৩.০৮ লক্ষ মানুষকে উপকৃত করা সম্ভব হয়েছে। এ ছাড়াও গ্রামীণ জল সরবরাহ প্রকল্প রূপায়ণের জন্য পঞ্চায়েত সমিতিগুলিকে আলাদা ব্যাংক অ্যাকাউন্ট করার অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল। বার্ধক্য পেনশন প্রকল্পের আওতায় বছর বছর সুবিধা প্রাপকের সংখ্যা বেড়েছে। ২০০২-০৩ সালে তা ছিল ৩.৩ লক্ষ; ২০০৯-১০ সালে তা হয়েছিল ১০.৩৩ লক্ষ।

১৯৯৮ সাল থেকে রাজ্যে চালু ছিল ভূমিহীন কৃষি শ্রমিকদের জন্য ভবিষ্যনিধি প্রকল্প। এই প্রকল্পও গ্রাম পঞ্চায়েতের মাধ্যমে রূপায়িত হয়েছিল। ২০০৮-০৯ সাল থেকেই ত্রিস্তর পঞ্চায়েত ব্যবস্থা ৪৬১২টি অনুন্নত গ্রামকে চিহ্নিত করেছিল। এই গ্রামগুলির উন্নয়নের জন্য রাজ্য বাজেট থেকে ১১.৯৮ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছিল। অর্থ কমিশন থেকে পঞ্চায়েতের তিনটি স্তরে অর্থ অনুদানও বরাদ্দ ছিল।

২০০৩-০৪ সাল থেকে পঞ্চায়েতগুলিকে সম্পদ সংগ্রহে উৎসাহ দেওয়া হয়েছিল।নিচের সারণি দেখিয়ে দিচ্ছে কীভাবে প্রতি বছর গ্রামে কমিউনিটি উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখার জন্য পঞ্চায়েতগুলি নিজস্ব উৎস থেকে রাজস্ব সংগ্রহ করেছে। এই সংগ্রহ ২০০৮-০৯ সালে ছিল মাথাপিছু ২১.৬৪ টাকা।

পঞ্চায়েতের রাজস্ব সংগ্রহ (কোটি টাকায়)

বছর গ্রাম পঞ্চায়েত কর কর বহির্ভুত আয় মোট পঞ্চায়েত সমিতি জেলা পরিষদ সমস্ত স্তর বাবদ
২০০২-০৩ ১৩.৬৫ ১১.২৫ ২৪.৯ ০৬.৬৬ ৯.৬১ ৪১.১৭
২০০৩-০৪ ১৫.৬১ ১৭.৯৮ ৩৩.৫৯ ৮.২৫ ১০.০৭ ৫১.৯১
২০০৪-০৫ ১৬.৯০ ২১.০৭ ৩৭.৯৭ ১২.৬৮ ১৩.৭৮ ৬৪.৪৩
২০০৫-০৬ ২০.২০ ২৫.৪২ ৪৫.৬২ ১৫.৪৪ ১৩.০৩ ৭৪.০৯
২০০৬-০৭ ২২.৭৯ ৩১.৮৫ ৫৪.৬৪ ১৭.৬১ ২৮.০১ ১০০.২৭
২০০৭-০৮ ২২.৬০ ৩৯.০১ ৬১.৬১ ১৫.৫০ ৩৫.৭৩ ১১২.৮৪
২০০৮-০৯ ২৭.৩৪ ৪৩.৪০ ৭০.৭৪ ২০.৭২ ৩৯.৫১ ১৩০.৯৭

সূত্রঃ আর্থিক সমীক্ষা, পশ্চিমবঙ্গ সরকার ২০০৯-১০।

পঞ্চায়েতের নিজের কাজের ক্ষেত্র ছিল প্রসারিত। পঞ্চায়েতের মাধ্যমেই রূপায়িত হতো উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন পর্ষদ এবং পশ্চিমাঞ্চল উন্নয়ন পর্ষদের গ্রামীণ পরিকল্পনার কাজ। ইন্দিরা আবাস যোজনা যা বর্তমান সরকারের আমলে দুর্নীতি এবং অর্থ কেলেঙ্কারিতে যুক্ত তার প্রকল্প প্রাপকদের চিহ্নিত করার জন্য গ্রামীণ পরিবার সমীক্ষা করা হয়েছিল যা সরকারি সংস্থাগুলি করেছিল। এর জন্য আশা বা অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীদের কোনভাবেই নিযুক্ত করা হয় নি। এই যোজনার কাজে স্বচ্ছতা আনার জন্য গ্রাম পঞ্চায়েত অফিসে বিশেষ আয়োজিত শিবির অনুষ্ঠিত হয়। তবুও তৎকালীন বামফ্রন্ট সরকার মনে করেছিল যে, এই প্রকল্পের আওতায় গৃহনির্মাণ এবং জরাজীর্ণ গৃহের উন্নতিসাধন আশাব্যঞ্জক ছিল না। এর একটি চিহ্নিত কারণ ছিল, বাস্তুজমির অভাব।

স্বর্ণজয়ন্তী গ্রাম স্বরোজগার যোজনায় স্বনির্ভর গোষ্ঠীর কর্মকাণ্ডের অগ্রগতি হয়েছিল। গ্রামের মহিলাদের কাছে এই প্রকল্প খুবই গ্রহণযোগ্য হয়েছিল। তবু ২০০৯-১০ সালে সরকার চিহ্নিত করেছিল যে, ৩৩৫৪টি গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্যে ৯৩৮টির ভৌগোলিক এলাকায় কোনো ব্যাংক নেই। চিহ্নিত করেছিল যে বড়ো প্রকল্প চালাতে পারে এইরকমস্বনির্ভর গোষ্ঠীর সংখ্যা কম। অর্থাৎ প্রকল্প রূপায়ণের মধ্য দিয়ে পঞ্চায়েত শুধুমাত্র সাফল্য এনে দেয় নি; কোথায় প্রকল্প রূপায়ণে অসুবিধা তাও চিহ্নিত করে দিয়েছিল। মানুষের অংশগ্রহণে কমিউনিটি উন্নয়নের ধারণা থাকার ফলে এটি সম্ভব হয়েছিল।

দেখা যাক, তৃণমূল কংগ্রেস সরকারের পেশ করা ২০২২-২৩ সালের আর্থিক সমীক্ষায় পঞ্চায়েত এবং গ্রামোন্নয়ন সম্পর্কে কী বলা হয়েছে। জাতীয় প্রকল্পগুলি যেমন, গ্রামীণ কর্মসংস্থান প্রকল্প অর্থাৎ রেগা ছাড়া ওই সমীক্ষা রিপোর্টের মধ্যে আর কিছু পাওয়া যায় না, অর্থাৎ বলার মতো সরকারের কাছে কোনো তথ্য নেই। যা আছে তা হলো কিছু বিজ্ঞাপন। বর্তমানে পঞ্চায়েতের মাধ্যমে প্রকল্প রূপায়ণ প্রায় স্তিমিত। প্রকল্প রূপায়ণ হয় ব্লকের প্রশাসনিক ভবন থেকে, যার সাথে ত্রিস্তরের প্রশাসনিক যোগাযোগ ছিন্ন করে দেওয়া হয়েছে। কেন? বিকেন্দ্রীভূত পরিকল্পনা রূপায়ণের পরিবর্তে তৃণমূল কংগ্রেস সরকার স্থাপন করেছে চূড়ান্ত কেন্দ্রীভূত পরিকল্পনা রূপায়ণ; আসলে রাজ্য পরিকল্পনা পর্ষদ বলে কিছুর অস্থিত্ব নেই এই সরকারের শাসনে। কেন্দ্রে বিজেপি সরকার নয়া উদারীকরণের শেষ ধাপ হিসেবে পরিকল্পনা-ধারণাকে বিসর্জন দিয়েছিল। কেরালার সরকার কিন্তু রাজ্য পরিকল্পনা পর্ষদ বজায় রেখেছে পঞ্চায়েত ব্যবস্থার সুষ্ঠু রূপায়ণের জন্য। সেই তাগিদ তো ছিল না তৃণমূল কংগ্রেস সরকারের। মুখে যাই বলুক না কেন, রাজ্যের এই সরকার বিজেপি’র আর্থিক নীতির সাথে তো সহমত পোষণ করে। তাই তো তুলে দিয়েছিল রাজ্য, জেলা, ব্লক পরিকল্পনা পর্ষদগুলি এবং পঞ্চায়েতের কাজের ক্ষেত্র প্রায় নেই বললেই চলে। সরাসরি রাজ্য প্রশাসন গ্রামের মানুষের কাছে কীভাবে পৌঁছবে? এ প্রশ্নের একটিই উত্তর আছে - পৌঁছবে না। তাই তো পঞ্চায়েতের মাধ্যমে যে উন্নয়নের চালচিত্র আমরা ২০০৯-১০ সালের আর্থিক সমীক্ষায় পাই, ২০২২-২৩ সালে তার ছিটেফোঁটাও পাওয়া যায় না।

এই কেন্দ্রীভূত ব্যবস্থা গ্রামের মানুষ মেনে নিলেন কেন? স্বাভাবিকভাবেই গণতান্ত্রিক কাঠামো রাজনৈতিক অস্থিরতা সৃষ্টি করে পুরোপুরি ধ্বংস না করলে এই ব্যবস্থা চালু করা সম্ভব ছিল না তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষে।

(ক্রমশ)