৫৯ বর্ষ ৫ সংখ্যা / ১০ সেপ্টেম্বর, ২০২১ / ২৪ ভাদ্র, ১৪২৮
তোমায় শেষে আসতে হবে তোমার গড়া ডাস্টবিনে
বরুণ বন্দ্যোপাধ্যায়
‘হাঁউ মাউ খাঁউ, মানুষের গন্ধ পাঁউ’
ঘটনা পরম্পরাকে রিলেট করতে না পারলে ক্রোনোলজি বুঝে উঠতে লেট হয়ে যায়। ক্রোনোলজি শব্দটাতে ইদানীং কেমন যেন গেরুয়া গেরুয়া গন্ধ। অবশ্য শুধু ক্রোনোলজিকে দোষ দিয়ে লাভ কী? উন্নয়ন, অনুপ্রেরণা শব্দগুলো থেকেও ইদানীং আঁশটে গন্ধ ছাড়ে। শব্দসন্ত্রাস। লেখার মধ্যে পারতপক্ষে যাতে এইসব শব্দবন্ধ এসে না পড়ে সেদিকে খেয়াল রেখে বাক্যগঠনের চেষ্টা। কিন্তু বিধি তো নাকি সবসময়েই ‘বাম’। তাই ইচ্ছে না থাকলেও মাঝে মাঝে এড়িয়ে চলা দায়। ফাঁদে পা দিতেই হয়। উন্নয়ন, অনুপ্রেরণা, সোশ্যাল সিকিউরিটি স্কিম, ডোল পলিটিক্স, অনুদান, দান, বিশ্ব ব্যাঙ্কের ঋণ - সব তখন ঘেঁটেঘুঁটে খিচুড়ি। এক আনার উন্নয়নের লোভ দেখিয়ে পাঁচ টাকার শিকারে পরিণত করার খেলা দেখতে দেখতে বড়ো বেশি রূপকথার গল্প মনে পড়ে। সবেতেই কেমন যেন - হাঁউ মাউ খাঁউ, মানুষের গন্ধ পাঁউ। গব্বর সিং-এর মাথা আর পাড়ার ক্লাবের মাথার দাম যে এভাবে এক সুতোয় ‘পুরে পচাশ হাজার’-এ বেঁধে দেওয়া যায়, তা ক’বছর আগে কেই বা জানতো! ‘পুঁজির প্রভু! মহাপ্রভু! তোমার কৃপা অনন্ত...’। আমি না। দিনেশ দাস লিখে গেছেন।
কলকাতা সহ সারা রাজ্যে নাকি দুর্গাপুজো হয় সাড়ে আটত্রিশ হাজার। সরকারি তথ্য। আর গত ৭ সেপ্টেম্বর রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে ঘোষণা করা হয়েছে, গতবারের মতো এবারেও পুজোতে ক্লাবগুলোকে অনুদান দেবে রাজ্য সরকার। প্রত্যেক পুজো কমিটিকে ৫০ হাজার করে টাকা দেওয়া হবে জানিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যসচিব। পাশাপাশি বিদ্যুৎ ব্যয়েও ৫০ শতাংশ ছাড়ের কথা ঘোষণা করেছেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রীর দাবি পুজোকে কেন্দ্র করে বত্রিশ হাজার কোটি টাকার ব্যবসা হয়। সরকারও এখান থেকে জিএসটি বাবদ আয় করে। অতএব সাড়ে আটত্রিশ হাজার পুজোর জন্য সরল অঙ্কে ১,৯২,৫০,০০,০০০ টাকা অনুদান। ১৯২ কোটি পঞ্চাশ লাখ খুব একটা বড়ো অঙ্ক নয়। বিদ্যুৎ ছাড়ের টাকাটা যোগ করলে অঙ্কটা আরও বাড়বে। একে সরকারি টাকায় দীর্ঘমেয়াদি রাজনৈতিক বিনিয়োগও বলা যেতে পারে। ২০২২, ২০২৪, ২০২৬ - পুরসভা, লোকসভা, বিধানসভা ব্যবসার জন্য এর থেকে ভালো বিনিয়োগ আর কী হতে পারে! মাথা শিকার করতে মাছের তেলে মাছ ভাজার এই সহজ পন্থা স্বীকার করতে অনেকেরই বুকে বড়ো বাজে। ‘পিঁপড়ে পেল মানুষ-গলা শর্করা,/তোমার কৃপা বুঝবে কি আর মূর্খরা?’ - এটাও দিনেশ দাসেরই লেখা।
শূন্য ভাঁড়ারে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার
এই প্রতিবেদকের বালকবেলায় - ১৯৭৭ সালে বামফ্রন্ট সরকার ক্ষমতায় আসে। সেই বছরই ইউনাইটেড ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার বিজ্ঞাপন হয়েছিল এক মজাদার ছড়া দিয়ে। ‘‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার স্থাপি সব ঘরে ঘরে।/রাখিবে তণ্ডুল তাহে এক মুষ্টি করে।।/সঞ্চয়ের পন্থা ইহা জানিবে সকলে।/অসময়ে উপকার পাবে এর ফলে।।’’ তা যদিও ছিল সঞ্চয়ে উৎসাহদান। এখনকার ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’-এর সঙ্গে তার কোনো সম্পর্ক নেই। তবে ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’ নতুন কোনো আবিষ্কার নয়। ২০১১ সালের ‘অনেক হয়েছে আর না’ নির্বাচনী সঙ্গীত যেমন ‘ওয়াশিং পাউডার নিরমা’র বিজ্ঞাপনের সুর হুবহু টুকে বসানো, বর্তমান রাজ্য সরকারের একাধিক প্রকল্প যেমন আগেকার বাম সরকারের একাধিক প্রকল্পকে নতুন নামে নিয়ে আসা, এও সেরকমই এক সূক্ষ্ম জালিয়াতি। মানুষের চোখে ধুলো দেওয়া। সেসব কথা থাক।
আসলে মুশকিলটা অন্য জায়গায়। যা জানতে আমাদের এই বছরের সেপ্টেম্বর থেকে জুন মাসে ফিরে যেতে হবে। সবেতেই যখন পেছনে হাঁটা আমরা বেশ রপ্ত করে ফেলেছি তখন এটাকেও একটু ক্ষমা ঘেন্না করে নেওয়া যেতেই পারে। গত ২১ জুন বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে একটা খবর প্রকাশিত হয়েছিলো। বর্তমানে রাজ্যে ‘সাড়া জাগানো’ ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’ প্রকল্প নিয়ে। যেখানে রাজ্যের সরকারি আধিকারিকদের সূত্র উল্লেখ করে দাবি করা হয় - রাজ্যের বর্তমান আর্থিক অবস্থায় প্রায় আড়াই কোটি পরিবারকে এই প্রকল্পের অন্তর্ভুক্ত করা কার্যত অসম্ভব। সেই কারণে সরকারের পক্ষ থেকে এই প্রকল্পে অন্তর্ভুক্তির বিষয়ে কিছু মাপকাঠি তৈরি করা হচ্ছে। যে মাপকাঠিতে বিচার করা হবে পরিবারের আয়। মুখ্যমন্ত্রী যদিও এই বিষয়ে এখনও কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেননি, কিন্তু অর্থ দপ্তরের আধিকারিকরা নিশ্চিত যে, সমস্ত পরিবারকে এই প্রকল্পের অন্তর্ভুক্ত করা সম্ভব হবে না। অর্থের অভাবে। যদি আড়াই কোটি পরিবারকে এই প্রকল্পের সুবিধা দিতে হয় সেক্ষেত্রে ২০ হাজার কোটি টাকার প্রয়োজন। যা রাজ্যের আর্থিক পরিস্থিতির ওপর খুবই চাপ সৃষ্টি করবে। তাই প্রাথমিক ভাবে ১.৬ কোটি পরিবারকে এই প্রকল্পের আওতায় আনা হবে এবং এর জন্য সরকারের বছরে খরচ হবে ১১ হাজার কোটি টাকা। বাকি পরিবারের কথা পরে ভাবা হবে।
ওই প্রতিবেদন অনুসারেই, রাজ্যের মুখ্যসচিব এইচ কে দ্বিবেদী সম্প্রতি হওয়া এক বৈঠকে এই ধরনের ইঙ্গিত দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন অর্থ দপ্তরের এক আধিকারিক। তিনি জানান, রাজ্যের আর্থিক অবস্থা অনুসারে সবুজ সাথি অথবা বার্ধক্য ভাতার মতো প্রকল্প যেরকম সকলের জন্য চলে, এই প্রকল্প সকলের জন্য চালানো সম্ভব নয়। আড়াই কোটি পরিবারকে এই সাহায্য দিতে গেলে বছরে ২০ হাজার কোটি টাকা লাগবে, যা এই মুহূর্তে কোনোভাবেই সম্ভব নয়। এই প্রকল্পে আর্থিক জোগানের জন্য রাজ্য সরকারের কিছু দপ্তরে খরচে নিয়ন্ত্রণ আনা হতে পারে বলেও জানা গেছে। যদিও সমস্ত দপ্তরে খরচ নিয়ন্ত্রণ করা যেহেতু সম্ভব নয় তাই অন্য কোনোভাবেও এই প্রকল্পের জন্য অর্থ জোগাড়ের চেষ্টা চলছে।
ঋণং কৃত্বা
৯২১,৫৮,৭৫,০০০ টাকা। ৯ সেপ্টেম্বর সকালে ইউ এস ডলারের আর্থিক মূল্য অনুসারে ১২৫ মিলিয়ন ইউ এস ডলারের ভারতীয় টাকায় দাম। এত বড়ো একটা অঙ্ক সাতসকালে লিখে ফেলার কারণ অবশ্য অন্য। বিশ্ব ব্যাঙ্ক এই পরিমাণ টাকা ধার দিতে চলেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে। বিভিন্ন সামাজিক সুরক্ষা প্রকল্পের জন্য। গত ৫ সেপ্টেম্বর বিভিন্ন সংবাদপত্রে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুসারে, রাজ্যের বিভিন্ন সামাজিক সুরক্ষা প্রকল্পের জন্য বিশ্ব ব্যাঙ্ক এই পরিমাণ টাকা রাজ্য সরকারকে ধার হিসেবে দেবার কথা ভাবনা চিন্তা করছে। প্রকল্পগুলোর মধ্যে আছে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, কন্যাশ্রী, রূপশ্রী, স্বাস্থ্য সাথি, বিধবা ভাতা, বার্ধক্য ভাতা প্রভৃতি। দুর্গাপুজোয় অনুদানটা অবশ্য এতে লেখা নেই। সব ঠিকঠাক থাকলে এবং বিশ্ব ব্যাঙ্কের শর্ত মানলে দ্রুত এই টাকাটা রাজ্যের কাছে চলে আসবে।
কোন্টা সামাজিক সুরক্ষা প্রকল্প আর কোন্টা অনুদান সেই বিতর্কে ঢুকে পড়া ঠিক হবেনা। ভিন্নমত থাকাটাই স্বাভাবিক। অনেকেই রে রে করে তেড়ে আসবেন। তাই, লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্প নিয়ে ঠেলাঠেলি, হুড়োহুড়ি, পদপিষ্ট হওয়া নিয়ে কিছু বলছি না। রাজ্য বিজেপি’র সভাপতির মতো, ‘৫০০ টাকার জন্য ভোর ৪টে থেকে বিকেল ৪টে পর্যন্ত মানুষ রোদে দাঁড়িয়ে আছেন। এটা জনসেবা হতে পারে না। মানুষকে ভিখারি বানিয়ে রাস্তায় দাঁড় করানো হচ্ছে’ - তাও বলছি না। লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের ফর্ম দেওয়া, ফর্ম পূরণ করে দেওয়া নিয়ে একাধিক জায়গায় রাজ্যের শাসকদলের ঘনিষ্ঠদের বিরুদ্ধে যেসব কাটমানি-টাটমানি নেবার অভিযোগ উঠেছে তা নিয়েও কোনো বক্তব্য নেই। এমনকী এইসব প্রকল্পের ফর্ম ফিলাপের নাম করে ‘পার্সোনাল ডাটা’ হাতবদলের যে সম্ভাবনা থেকেই যাচ্ছে তা নিয়েও কিছু বলছি না। প্রশ্ন একটাই। বছরে এই প্রকল্পে সরকারের যদি ২০ হাজার কোটি টাকা খরচ হয় তাহলে আগামী পাঁচ বছরে ১ লক্ষ কোটি টাকা। রাজ্য সরকারের কাছে সেই টাকার সংস্থান আছে তো? রাজ্যের স্বল্প সঞ্চয়ে বামফ্রন্টের ৩৪ বছরের সাফল্যের কথা বেমালুম চেপে গেছিল নতুন তৃণমূল সরকার। উলটে ‘বামফ্রন্ট ২ লক্ষ কোটি টাকা দেনা করে গেছে বলে সরকার চালানো যাচ্ছে না’ প্রচার করে মানুষকে মিথ্যে বলা হয়েছিল। এবারও কি মান বাঁচাতে সেরকমই কোনো কল্পিত তত্ত্ব তুলে আনা হবে? কাস্তে কবি বলে গেছেন - ‘এই যে খুনে সভ্যতা/অনেকজনের অন্ন মেরে কয়েকজনের ভব্যতা,’।
অথ ভোটকাহন
বিতর্কিত প্যাঁচ কষা আলোচনা মাথায় থাক। এসব জটিল বিষয় মাথায় ঢোকানোর থেকে ‘ঘণ্টা খানেক’ টিভির সামনে বসে পড়লে বেশ রসালো আলোচনার খোরাক পাওয়া যায়। ভালো করে সারাদিন চ্যানেলে চ্যানেলে বাজার করে ‘মিডিয়া বামেদের খবর করছে না’ বলে হাহুতাশও। সিদ্ধি একদিন মিলবে নিশ্চই। কাজেই ওসব ছেড়ে দিয়ে এখন একটু ভোটমুখী হওয়া যাক।
গরজ যেহেতু বড়ো বালাই, তাই রাজ্যে স্কুল কলেজ সব বন্ধ থাকলেও দেবালয়ের দরজা নাকি খুলে গেছে। শপিং মল, সিনেমা হলও। আর সমীক্ষায় উঠে এসেছে দীর্ঘদিন পড়াশোনার সঙ্গে যোগাযোগ না থাকার জন্য বহু শিশুই নাকি অক্ষর ভুলে গেছে। সমীক্ষা রিপোর্ট জানাচ্ছে, লকডাউনের জেরে পড়ুয়াদের একটা বড়ো অংশ, বিশেষ করে প্রান্তিক অঞ্চলে ছাত্র-ছাত্রীরা একটা-দু'টোর বেশি অক্ষর চিনতে পারছে না। মহামারীর আগে তারা যা শিখেছিল, চর্চার অভাবে ভুলে যেতে বসেছে। জ্যঁ দ্রেজে, ঋত্বিকা খেরা, বিপুল পাইকারা, নিরালি বাখলার মতো বিশিষ্টরা লকড আউট: ইমারজেন্সি রিপোর্ট অফ স্কুল এডুকেশন নামে এই রিপোর্ট তৈরি করেছেন। দেশের ১৫টি রাজ্যে সমীক্ষা চালিয়ে ৩২ পাতার এই রিপোর্ট তৈরি করা হয়েছে। এই রাজ্যগুলোর মধ্যে পশ্চিমবঙ্গও আছে।
রিপোর্ট জানাচ্ছে, গ্রামাঞ্চলের ২৮ শতাংশ এবং শহরাঞ্চলের ৪৭ শতাংশ ছাত্র ছাত্রী লকডাউনের সময় পড়াশোনা করতে পেরেছে। অর্থাৎ গ্রামাঞ্চলে ৭২ শতাংশ এবং শহরাঞ্চলের ৫৩ শতাংশ ছাত্রছাত্রী গত দেড় বছর ধরে পড়াশোনার বাইরে। ওই রিপোর্টই জানাচ্ছে, মোট ৪৮ শতাংশের বেশি ছাত্রছাত্রী অক্ষর ভুলে গেছে। শহরাঞ্চলের ৭৬ শতাংশ এবং গ্রামাঞ্চলের ৭৫ শতাংশ অভিভাবক মনে করছেন এই সময় সন্তানদের পড়ার অভ্যাস পুরোপুরি চলে গেছে। শহর এবং গ্রামের ৯০ এবং ৯৭ শতাংশ অভিভাবক মনে করেন অবিলম্বে স্কুল খুলে দেওয়া উচিত। বহু ছাত্রছাত্রীই অনলাইন শিক্ষার জন্য উপযুক্ত সরঞ্জামের ব্যবস্থা করতে পারেনি। অনলাইনে ক্লাস করতে গিয়ে ছাত্রছাত্রীদের নানা সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়েছে। আর্থিক অনটন, স্মার্টফোন না থাকা, ইন্টারনেট সংযোগ ব্যবস্থা ভালো না থাকার দরুণ পড়াশোনা ব্যাহত হয়েছে। গ্রামীণ এলাকায় অধিকাংশেরই ভালো স্মার্টফোন নেই। আদিবাসী ও দলিত পড়ুয়াদের অবস্থা আরও শোচনীয়। পড়ুয়াদের পড়াশোনার পরিবেশ নষ্ট হয়েছে লকডাউনে। অনলাইনে পড়াশোনার বিরুদ্ধেও মত পোষণ করেছেন তারা।
তবে, শিক্ষার অবস্থা যাই হোক না কেন উপনির্বাচন হচ্ছেই। কারণ মাননীয় মুখ্যসচিব নির্বাচন কমিশনকে জানিয়েছেন, ভবানীপুরে উপনির্বাচন কেন গুরুত্বপূর্ণ। নির্বাচন কমিশন মুখ্যসচিব এইচ কে দ্বিবেদীকে উদ্ধৃত করে ৪ সেপ্টেম্বরের ঘোষণায় জানিয়েছে, তিনি (মুখ্যসচিব) ভারতের সংবিধানে-এর ১৬৪(৪) ধারা উদ্ধৃত করে জানিয়েছেন, একজন মন্ত্রী, যিনি রাজ্য বিধানসভার সদস্য নন, তিনি যদি পরবর্তী ছ’মাসের মধ্যে নির্বাচিত না হন তাহলে তাঁর মন্ত্রিত্ব চলে যায়। যদি দ্রুত নির্বাচন না করা হয় তাহলে রাজ্যের শীর্ষপদ খালি হলে সাংবিধানিক সঙ্কট ও শূন্যতা তৈরি হবে। তিনি আরও জানিয়েছেন, জনস্বার্থে এবং রাজ্যে শীর্ষস্তরে শূন্যতা এড়াতে কলকাতার ১৫৯ ভবানীপুর কেন্দ্রে উপনির্বাচন জরুরি। উপনির্বাচন হলে যে কেন্দ্র থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চান। নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, মুখ্যসচিবের কাছ থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুসারে এবং পশ্চিমবঙ্গের পক্ষ থেকে বিশেষ অনুরোধের ভিত্তিতে কমিশন ১৫৯ ভবানীপুর কেন্দ্রে উপনির্বাচনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। মুখ্যসচিব এভাবে কোনো সুপারিশ করতে পারেন কিনা সেই বিষয়ে এই প্রতিবেদকের ধারণা নেই। তবে নির্বাচনের সুপারিশ করলেও উপনির্বাচনে ওই বিশেষ কেন্দ্র থেকে শাসকদলের কোন্ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন তা বোধহয় মুখ্যসচিব আগেভাগে এভাবে বলতে পারেন না বলেই মনে হয়।
অতএব...
দিনটা দুর্দিন অথবা সুদিন, কার পৌষমাস আর কার সর্বনাশ - খোলা চোখেই বেশ বোঝা গেলেও অধিকাংশ মানুষেরই এখন ‘খাচ্ছে কিন্তু গিলছে না’ অবস্থা। আজ শেষে থাকুন কবি দিনেশ দাস। যিনি ডাস্টবিন কবিতাতে লিখেছেন - ‘মানুষ এবং কুত্তাতে/আজ সকালে অন্ন চাটি একসাথে/আজকে মহাদুর্দিনে/আমরা বৃথা খাদ্য খুঁজি ডাস্টবিনে।’ ওই কবিতারই শেষ পঙ্ক্তিতে তিনি জানিয়েছেন - ‘দেখছি বসে দূরবীনে/তোমায় শেষে আসতে হবে তোমার গড়া ডাস্টবিনে।’ এবং তারপর...