E-mail: deshhitaishee@gmail.com  | 

Contact: +91 33 2264 8383

৬১ বর্ষ ১ সংখ্যা / ১১ আগস্ট, ২০২৩ / ২৫ শ্রাবণ, ১৪৩০

বর্তমান পরিস্থিতি ও শ্রমিক আন্দোলন

সুভাষ মুখোপাধ্যায়


বিশ্বের দীর্ঘতম আর্থিক মন্দার কারণে চরম সংকটাপন্ন বিশ্বপুঁজি। সাম্রাজ্যবাদী উদার বাজার অর্থনীতিও এই সংকট থেকে পরিত্রাণ দিতে পারছে না। সংকট থেকে মুক্তি পেতে পুঁজিবাদ বেপরোয়া হয়ে উঠেছে সর্বোচ্চ মুনাফা লাভের জন্য।

পুঁজিবাদের পুরনো পথে শুধুমাত্র শ্রম ও পুঁজির দ্বন্দ্ব থেকে উদ্ভূত উদ্বৃত্ত মূল্যের ওপর নির্ভর করতে পারছে না। পুঁজিবাদের রকমফের নির্ভর করে তার শোষণ কৌশলের উপর। বর্তমানে পুঁজিবাদ যে শোষণ কৌশল গ্রহণ করেছে তা অতীতে কখনও দেখা যায়নি। সর্বগ্রাসী এই ব্যবস্থা নির্মম নির্দয় শোষণের চরমতম পর্যায়ে এসে পৌঁছেছে। সর্বোচ্চ মুনাফা করতে মরিয়া এই অর্থনীতির বর্তমান অবস্থাকে ধান্দার ধনতন্ত্র তথা ক্রোনি ক্যাপিটালিজম হিসাবে চিহ্নিত করতে হবে।

শোষণের চরম অবস্থায় না পৌঁছালে সর্বোচ্চ মুনাফা লাভ সম্ভব নয়। কারণ সাধারণ মানুষের স্বার্থবাহী নীতি নিয়ে চলা কোনো সরকার যে দেশে বা অঙ্গরাজ্যে পরিচালিত হয় সেখানে সহজে ব্যবসা করার সুযোগ পাওয়া কিছুটা হলেও কঠিন। একটা উদাহরণ অপ্রাসঙ্গিক হবে না। এযাবৎকাল শ্রমিক, কর্মচারী এবং সাধারণ মানুষের অর্জিত সব অধিকারই লড়াই -সংগ্রামের মধ্যে দিয়ে বলা চলে আইনসভার ভেতরে এবং বাইরের লড়াইয়ের কারণে আইন সিদ্ধ হয়েছে। পুঁজিবাদী ব্যবস্থাতেই গণতন্ত্রের চৌহদ্দির মধ্যে দিয়েই তা আদায় করা গেছে। কেন্দ্র বা রাজ্যের সরকার বাধ্য হয়েছে দাবি মেনে নিতে এবং আইনে পরিণত করতে। সেই আইন শোষণের থেকে মুক্তি না ঘটালেও শোষণকে চরম পর্যায়ে পৌঁছাতে দেয়নি। কিন্তু আজ কেন্দ্রের সরকার যখন সেই সব আইনকে বাতিল করে অধিকার সংকুচিত করে শ্রমকোডের প্রবর্তন করল তখন শোষণ লাগামহীন হয়ে পড়ল। সে জন্যেই দেশে দেশে সরকার গঠনে ক্রোনিক্যাপিটালিজম তাদের স্বার্থ রক্ষা করবে এমন চরম দক্ষিণপন্থী সরকার গঠনে প্রত্যক্ষ মদতকারী ভূমিকা গ্রহণ করছে। দেশ এবং দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের স্বার্থকে নির্মমভাবে জলাঞ্জলি দিয়ে ধান্দার ধনতন্ত্রের কব্জায় চলে গেল দেশের সমগ্র অর্থনীতি। আমার দেশ ভারত ২০১৪ সালে আরএসএস’র নীতি আদর্শ লক্ষ্যে পরিপুষ্ট বিজেপি ক্ষমতায় আসীন হবার পর থেকে এমনটাই ঘটে চলেছে।

শ্রমিকদের দর কষাকষির অধিকার থাকল না। মালিকদের ইচ্ছাই শেষ কথা। স্থায়ী শ্রমিক থাকছে না। তার জায়গায় অস্থায়ী শ্রমিক, ঠিকাশ্রমিক, চুক্তিভিত্তিক শ্রমিক জায়গা করে নিচ্ছে। কর্মসংস্থান নেই। নেই নতুন শিল্প। ছাঁটাই হচ্ছে একদিকে, অন্যদিকে উল্কার গতিতে বাড়ছে বেকারত্ব।

ক্রোনিক্যাপিটালিজম আসলে সাঙাত (লুটেরা) পুঁজি। সরকার চলছে ১০ শতাংশ ধনকুবেরদের অঙ্গুলি হেলনে। ৯০ শতাংশ সাধারণ সব অংশের মানুষ আক্রান্ত। আর ১০ শতাংশ ধনকুবের বাকি সব সম্পদের মালিক। কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদির সরকার দেশের অর্থনীতির বুনিয়াদ রাষ্ট্রীয় সম্পদ বিনামূল্যে, লিজে, স্বল্পমূল্যে তুলে দিচ্ছে বেসরকারি মুষ্টিমেয় ধনিককুলের হাতে। রেল, বিমা, ইস্পাত, ব্যাঙ্ক, খনিজ সম্পদ, বিমান পরিষেবা সব কিছু তুলে দেওয়া হচ্ছে নরেন্দ্র মোদির সাঙাত আদানি, আম্বানি, টাটা, বিড়লাদের হাতে। দেশ লুট হচ্ছে। অন্যদিকে কাজের ঘণ্টা বৃদ্ধি, সামাজিক সুরক্ষা বাতিল করে সব কিছু থেকেই সরকার তার হাত তুলে নিয়েছে। আজকের শ্রমিক প্রায় দাস শ্রমিকে পর্যবসিত। কেন্দ্রে দ্বিতীয়বার নরেন্দ্র মোদি প্রধানমন্ত্রী হবার পর রাষ্ট্রায়ত্ত ক্ষেত্রে বেসরকারিকরণ শুধু নয়, কৃষি ক্ষেত্রে পুঁজির অবাধ প্রবেশের ছাড়পত্র, আদিবাসীদের জমি, জল, জঙ্গলের অধিকার সবই এখন সাঙাতদের দখলে।

খাদ্য, বাসস্থান, চিকিৎসা, শিক্ষার মতো দেশের সংবিধান প্রদত্ত মৌলিক অধিকার সবই এখন সরকারি নিয়ন্ত্রণের বাইরে। শিক্ষানীতি আম আদমির জন্য আর থাকছে না। এলিট সোস্যাইটির ছেলেমেয়েরাই বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে দামি শিক্ষার সুযোগ পাবে। গ্রামের কৃষক ফসলের ন্যায্য দাম থেকে বঞ্চিত। ফরোয়ার্ড টেডিং, মধ্যবর্তী ফড়ে সবই ‘সাঙাতদের’ খপ্পরে। সরকারের কোনো ক্ষেত্রে নিয়োগ নেই। শ্রমের মূল্য কমছে। সস্তায় শ্রম, তীব্র শোষণ সর্বোচ্চ মুনাফার মৃগয়া ক্ষেত্র হয়ে উঠেছে আমাদের দেশ, অবশ্যই আমাদের রাজ্যও।

স্বেচ্ছাচার থেকেই স্বৈরতন্ত্রের জন্ম হয়। এখন আমাদের দেশ এবং আমাদের রাজ্য চলছে সেই স্বেচ্ছাচারিতার পথে। এর বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ সংগ্রাম গড়ে তুলতেই হবে। শ্রমিকশ্রেণিকেই সেই ঐতিহাসিক দায়িত্ব পালন করতে হবে। আক্রান্ত সংখ্যাগরিষ্ঠ সব মানুষের ঐক্য গড়ে তুলে স্বৈরতন্ত্রের ক্ষেত্র প্রস্তুতের কাজে বাধার প্রাচীর তুলতে হবে। কিন্তু এ কাজ সহজ নয়। শ্রমিক, কৃষক , খেতমজুর, কর্মচারীদের লড়াই জারি আছে। বড়ো বড়ো সংগ্রাম, দেশব্যাপী ধর্মঘট হছে। বেসরকারিকরণ কোথাও কোথাও সাময়িকভাবে রুখে দেওয়াও সম্ভব হয়েছে। কিন্তু আক্রমণের তীব্রতা, দেশ ও দেশের মানুষের সর্বনাশা নীতির মধ্য দিয়ে যে ভয়ঙ্কর ধর্মীয় ফ্যাসিবাদী লক্ষ্যে চলা সরকার তার ক্ষেত্র তৈরি করছে তাকে রুখে দিতে শ্রমিকশ্রেণিকে অনেক বেশি দায়িত্বশীল দায়বদ্ধতা, আত্মত্যাগের মধ্য দিয়ে লড়াই পরিচালিত করতে হবে। মনে রাখতে হবে এযাবত শ্রমিক আন্দোলন, গণআন্দোলনের যে পথে আমরা চলেছি সেটা ছিল চেনা পথ, পরিস্থিতি আজকের মতো ভয়ঙ্কর ছিল না। তাই আজকের লড়াই শ্রমিক আন্দোলনের কাছে অচেনা। নতুন লড়াইয়ের পথকে চিনে নিয়ে অত্যন্ত দ্রুত প্রস্তুত হতে হবে। দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের স্বার্থবিরোধী দেশবিরোধী বিজেপি সরকারকে আর পাঁচটা অত্যাচারী সরকারের সঙ্গে এক ভাবা ভুল করা হবে। এই সরকারের সব পদক্ষেপ আসলে একনায়কতন্ত্রের পদধ্বনি। সে কারণে এখনকার সংগ্রাম ৫০ বা ১০০ বছর আগের সংগ্রামের মতো এমনকী ১০ বছর আগের সংগ্রামের মতো হবে না। এবারের সংগ্রাম হবে সময়ের বৈশিষ্টগুলিকে আত্মস্থ করে। সংগ্রামের সর্বোত্তম সর্বাধুনিক রূপে আমাদের সংগঠিত হতে হবে। সর্বাধুনিক প্রয়োগ কৌশল আমাদের আয়ত্ত করতে হবে। বৃদ্ধিদীপ্ত ভাবনার ঐক্য ও পথ এবং তার যথাযথ প্রয়োগ আমাদেরই করে নিতে হবে। কাজটা কঠিন কিন্তু মানুষের প্রতি, দেশের প্রতি দায়বদ্ধ সব কঠিন কাজকে আয়ত্ত করে সহজ করে নেবার কারণেই তো শ্রমিকের রক্তে রাঙা লাল ঝান্ডা। ফ্যাসিবাদী মানসিকতা যাতে দেশের জনসাধারণের মান্যতা পায় তারও একটা লাগাতার চেষ্টা জারি আছে। ইতিহাস থেকে শিক্ষা নিলে দেখা যাবে, জার্মানি এবং ইতালিতে ফ্যাসিবাদ একটা গণভিত্তি তৈরি করতে পেরেছিল। হিটলার বা মুসোলিনি বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা তথা জনসমর্থন নিয়েই ক্ষমতায় এসেছিল। মানুষের সমর্থন পেতে ফ্যাসিবাদী মতবাদকে মানুষের কাছে কেমনভাবে গ্রহণযোগ্য করে তোলা হচ্ছে আজকের দিনে শ্রমিক নেতৃত্বকে সেটাই উপলব্ধি করতে হবে। সেই উপলব্ধি থেকেই সাধারণ শ্রমজীবী ও সাধারণ মানুষের চেতনায় তা নিয়ে আসতে হবে। সচেতন করার কাজের পাশাপাশি লড়াইয়ের পথ ও পদ্ধতি উদ্ভাবন করে সংগ্রামের সর্বোত্তম পথের দিশা নির্ণয় করতে হবে। এটাই সময়ের চাহিদা। একইসঙ্গে লক্ষ্যের মধ্যে রাখতে হবে যে, সাধারণ মানুষ যে বিষয়গুলিতে অভ্যন্ত হয়ে আছেন, যেটাকে স্বাভাবিক বলে মনে করেন সেটাকেই ফ্যাসিবাদী শক্তি চ্যালেঞ্জ করে ঠিক তার বিপরীত পথে চলে এবং মানুষের চেতনায় তার গ্রহণযোগ্যতা সৃষ্টি করে। মানুষের পুরাতন সব ভাবনাগুলোকে কার্যত গুলিয়ে দিয়ে এমনভাবে বিভ্রান্ত করা হয় যার কারণে মানুষ ভুল এবং তার পক্ষে ভবিষ্যতে ভয়ঙ্কর ক্ষতিকারক বিষয়টাকেই আপাতত ভাল বলে ভেবে নিতে শুরু করেন। এইটা করার জন্য সরকারি ক্ষমতাকে ব্যবহার করে আইনি বা বেআইনি পথেও সাময়িক কিছু সুযোগ সুবিধা, বিভিন্ন ধরনের প্রকল্পের নামে ফাঁদ তৈরি করে এবং ব্যাপকভাবে তার প্রচার করে মিথ্যাকে সত্যে পরিণত করার মধ্য দিয়ে মানুষের যন্ত্রণাক্লিষ্টতায় আপাতত মলম লাগিয়ে তার মন জয় করে শাসকশ্রেণি। আমরা খবরও রাখি না এর প্রভাব মানুষের মধ্যে কতটা গভীরভাবে প্রবেশ করে শত্রুকেই মিত্র ভেবে নিচ্ছে।

এই মূহূর্তে শ্রমিক আন্দোলনের কাজ দায়বদ্ধতা, ত্যাগ স্বীকারের মানসিকতা এবং মতাদর্শের প্রতি দৃঢ় বিশ্বস্ততা রক্ষা করে অত্যাচারিত এবং সব অংশের আক্রান্ত মানুষের আস্থা অর্জন করা। পরিস্থিতি সম্পর্কে আমাদের বিশ্লেষণ মানুষের বোধগম্য করে তাদের কাছে পৌঁছে দিতেই হবে। শত্রু মিত্র চেনানোর ক্ষেত্রে একাজ অত্যন্ত জরুরি।

ভারতে স্বৈরশাসন বা ফ্যাসিবাদের ক্ষেত্র তৈরির পেছনে আছে আরও একটা বড়ো বিপদ হিন্দুত্ব। হিন্দু ধর্মীয় ফ্যাসিবাদের প্রস্তুতির আর একটা দিক পরিচিতি সত্তা। আমরা যখন সব আক্রান্ত মানুষের ঐক্য গড়ে তুলতে সচেষ্ট তখন শোষিত বঞ্চিত সর্বহারা মানুষের মধ্যে অনৈক্যের বীজ বপন করে চলেছে আরএসএস। ধর্মীয় এবং জাত-পাত-বর্ণের মধ্যেকার বিরোধকে দাঙ্গায় পরিণত করে খেটে খাওয়া মানুষের মধ্যে প্রচণ্ড বিভেদ তৈরি করা হচ্ছে। যাতে করে মাথা উঁচু করে শাসকের বিরুদ্ধে অপ্রতিরোধ্য লড়াই গড়ে উঠতে না পারে।

এই পরিস্থিতিতে আমাদের সতর্কতার সঙ্গেও কাজ করতে হবে। পরিচিতিসত্তার বৈশিষ্ট্য হলো তাদের আত্মভিমান, জাত্যভিমান। সেটা বুঝতে হবে এবং মর্যাদা দিতে হবে। প্রতি মূহূর্তের রাজনৈতিক অর্থনৈতিক এবং সামাজিক পরিস্থিতির যে পরিবর্তন হচ্ছে তার সঙ্গে সঙ্গতি রেখেই আমাদের কাজ করতে হবে। আক্রমণ শোষণ বঞ্চনা চরম পর্যায়ে বিশ্বজুড়েই, কিন্তু তার মধ্যেই প্রতিরোধের, জয়লাভের ইতিহাসও রচিত হচ্ছে পৃথিবীর নানা প্রান্তে। শোষণের বিরুদ্ধে জয়লাভের নতুন ইতিহাস গড়ার ঐতিহাসিক সন্ধিক্ষণ হিসাবেই এই কঠিন সময়টাকে সঠিক সময় বলেই আমাদের লক্ষ্যে এগিয়ে যেতে হবে।

প্রসঙ্গত স্মরণে রাখা দরকার, ভারতের বর্তমান পরিস্থিতি শোষণ মুক্তির জন্য বিপ্লবী পরিস্থিতি নয়। আর সংসদীয় গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে কাজে লাগিয়েই স্বৈরাচারী ভয়ঙ্কর শক্তি আমাদের দেশ ও রাজ্যে ধনিককুলের সেবাদাসে পরিণত হয়ে শোষণকে নির্মম পর্যায়ে নিয়ে গিয়ে ধর্মীয় ফ্যাসিবাদের জমি তৈরি করছে। এখানে শ্রমিকশ্রেণিকেই নেতৃত্ব দিয়ে সমাজের সব অংশের আক্রান্ত মানুষের ক্ষেত্রভিত্তিক আন্দোলন এবং ঐক্যবদ্ধ জোরদার অবাধ্য আন্দোলন যেমন গড়ে তুলতে হবে, তার পাশাপাশি মনে রাখতে হবে ট্রেড ইউনিয়ন সংসদীয় নির্বাচনী লড়াই করে না। কিন্তু সংখ্যাগরিষ্ঠ আক্রান্ত শোষিত মানুষের কাছে এই বার্তা পৌঁছে দিতে হবে যে, যে রাজনৈতিক দল মতাদর্শগতভাবে গরিব ও সাধারণ মানুষের পক্ষে এবং অসাম্প্রদায়িক ও গণতান্ত্রিক পদ্ধতিকে মান্যতা দেয়, তাদেরকেই আসন্ন সংসদীয় নির্বাচনগুলিতে বেশি বেশি করে জয়যুক্ত করতে হবে। কেন্দ্র এবং এরাজ্যের সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করতে পারলে স্বৈরতন্ত্রের গতিকে বহুলাংশে রুদ্ধ করা যাবে। শ্রমিকশ্রেণির আন্দোলনকে সেই রাজনৈতিক স্তরে উন্নীত করাই এই মুহুর্তের কর্তব্য।