৬১ বর্ষ ১ সংখ্যা / ১১ আগস্ট, ২০২৩ / ২৫ শ্রাবণ, ১৪৩০
ভারতীয় দর্শন প্রসঙ্গে (তেইশ)
শ্রীদীপ ভট্টাচার্য
ভারত দর্শনে বস্তু ও চেতনা
● সাধারণভাবে দর্শনের ক্ষেত্রে মূল বিভাজন বস্তুবাদ ও ভাববাদ। বস্তুই আদি, মুখ্য ও সত্য - বস্তুবাদের বক্তব্য। চেতনাই আদি ও মুখ্য, চেতনার ইচ্ছা অনুসারে বস্তু গড়ে উঠেছে - ভাববাদের বক্তব্য। ভারতীয় দর্শনে বস্তুবাদী ও ভাববাদী, দুই ধারাই প্রত্যক্ষ করা যায়। ভারতীয় দর্শন মানে আধ্যাত্মিকতাবাদ অর্থাৎ ভাববাদ, এটা যারা বলেন, তারা পরিকল্পিতভাবে ভারতীয় দর্শনকে বিকৃতভাবে উপস্থিত করতে চান।
● ভারতীয় দর্শনের আলোচনায় এমন ৩টি দর্শনের আলোচনা আমরা করেছি যেগুলি ভাববাদী দর্শনের বিরুদ্ধে। দর্শনগুলি হলো যথাক্রমে লোকায়ত, সাংখ্য এবং বৈশেষিক। ৩টি দর্শনেই ধর্মনিরপেক্ষতা, যুক্তিবাদ এবং বিজ্ঞানমুখীনতা লক্ষ করা যায়। আবার সাথে সাথে এই দর্শনগুলি শুধুমাত্র বস্তুজগৎ অথবা প্রকৃতির বাস্তবতাকেই শুধুমাত্র রক্ষা করে না, বিভিন্ন তত্ত্ব (বস্তুর প্রকৃতি সম্পর্কে বিশেষকরে দৈহিক উপাদান, আদিম বস্তু এবং পরমাণু সম্পর্কে)-র মাধ্যমে বস্তু জগতের গঠনের বস্তুবাদী ধারণা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে কাজ করে। এই তিনটি দর্শনেই চেতনার তত্ত্বগত অবস্থান বস্তুর তুলনায় গৌণ। লোকায়ত দর্শনের ক্ষেত্রে এটা বড়ো স্পষ্ট। সাংখ্য দর্শনে বেশ কিছু ব্যাখ্যার পর বস্তুবাদকেই প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। ন্যায় বৈশেষিকা দর্শনে পরমাণু রূপে বস্তুকে অনাদিকালের এবং অপরিবর্তনীয় বলে ব্যাখ্যা করা হয়েছে এবং চেতনাকে ক্ষণস্থায়ী ঘটনা বলে উপস্থিত করা হয়েছে। এই ক্ষণস্থায়ী ঘটনা সাময়িককালের জন্য অন্তর্নিহিতভাবে অচেতন সত্তার অদ্ভুত সংমিশ্রণের দ্বারা সৃষ্টি হয়েছে। এই অচেতন সত্তার অদ্ভুত সংমিশ্রণ সম্পূর্ণই বস্তুগত বিষয়।
● যদিও ন্যায় বৈশেষিক দর্শনের এই সমগ্র বিষয়টির কোনো ব্যাখ্যা নেই। অচেতন সত্তা কী করে চেতনার উদ্ভব ঘটায়, এটা সম্পর্কে তাদের ধারণা নেই। যদিও তাদের দার্শনিক অবস্থান এটার পক্ষে। সাংখ্য দর্শনে বস্তু থেকে চেতনার উদ্ভব সম্পর্কে তাত্ত্বিক উপলব্ধির আবছা দৃষ্টিভঙ্গি প্রত্যক্ষ করা যায়। তবে লোকায়ত দর্শনে এই সমগ্র বিষয়টির স্পষ্টতম ব্যাখ্যা পাওয়া যায়। লোকায়ত দর্শন সর্বাপেক্ষা উপেক্ষিত হলেও, ভারতীয় চিন্তনপ্রক্রিয়া সম্পর্কে বিশেষ অনুসন্ধান চালিয়েছে।
বৈশেষিক, সাংখ্য ও লোকায়ত দর্শনের পার্থক্য
● অদ্বৈত বেদান্ত দর্শনের সাথে বৈশেষিক দর্শনের গুরুতর পার্থক্য রয়েছে। অদ্বৈত বেদান্ত সম্পূর্ণ ভাববাদী দর্শন। অদ্বৈত বেদান্ত দর্শনে চেতনা হলো আত্মার মর্মবস্তু। চেতনাই হলো আত্মা। আত্মা, যাকে চেতনা হিসাবে চিহ্নিত করা হচ্ছে তাই হলো একমাত্র বাস্তবতা। আত্মার বহুত্ব নেই এবং বস্তুগত জগৎ একেবারেই অবাস্তব - অদ্বৈত বেদান্ত দর্শনের বক্তব্য। বৈশেষিক দর্শনে আত্মার বহুত্বের কথা বলা হয়েছে, যাকে দ্রব্য (Substance)–এর পর্যায়ভুক্ত করা হয়েছে। একই পর্যায়ভুক্ত অন্য দ্রব্যগুলি হলো যথাক্রমে, মৃত্তিকা, জল, অগ্নি, বায়ু, আকাশ, সময়, স্থান এবং মানস। ‘মানস’-এর অর্থ মানুষের অাভ্যন্তরীণ অনুভূতির অঙ্গগুলি। বৈশেষিক দর্শনে সমস্ত বস্তুকে একইভাবে বিবেচনা করা হয়।
● বৈশেষিক দর্শনে আত্মা ও চেতনার সম্পর্ক বিষয়ে বলা হয়েছে, প্রথমত, চেতনা হলো প্রধানত অভিজ্ঞতা বিষয়ক জ্ঞান। চেতনা সম্পর্কে ভাববাদীদের রহস্যময় অবতারণার বিরোধিতা করা হয়েছে। দ্বিতীয়ত, চেতনাকে আত্মার মর্মবস্তু নয়, চেতনা হলো আত্মার বহু গুণাবলী বা বৈশিষ্ট্যের একটি। তৃতীয়ত, গুণাবলী হিসাবেও চেতনার স্থান মুখ্য নয়, গৌণ। চেতনা হলো সাময়িক গুণ, চিরন্তন গুণ নয়। এর অর্থ হলো একমাত্র নির্দিষ্ট পরিস্থিতিতে আত্মার চেতনার উদ্ভব ঘটে। সমস্ত পূর্বশর্ত রক্ষিত না হলে, কোনো চেতনার উদ্ভব নাও ঘটতে পারে। অভ্যন্তরীণ প্রকৃতি অনুসারে, আত্মার কোনো চেতনা নেই। বৈশেষিক দর্শনের মতে বস্তুর তুলনায় আত্মার ভূমিকা গৌণ। বস্তুই আদি, মুখ্য - বৈশেষিক দর্শনের এই অবস্থান এই দর্শনের অনেকটাই বস্তুবাদী দর্শনের পর্যায়ভুক্ত করেছে। তবে, আধুনিক বস্তুবাদ অনুসারে সম্পূর্ণ বস্তুবাদী দর্শন বলা যাবে না বৈশেষিক দর্শনকে। প্রসঙ্গত, ন্যায় বৈশেষিক দর্শন অনুসারে, চেতনার অর্থ হলো জ্ঞান। এই জ্ঞান হলো মুখ্যত উপস্থাপনযোগ্য সচেতনতা, প্রতিনিধিত্বমূলক, স্মৃতির থেকে যা সম্পূর্ণই পৃথক। প্রতিনিধিত্বমূলক সচেতনতার দুইটি প্রধান রূপ - আন্ত ও মধ্যবর্তী অর্থাৎ উপলব্ধিমূলক ও অনুমানমূলক। ন্যায় বৈশেষিক দর্শনে উপলব্ধিমূলক জ্ঞানই জ্ঞানের সর্বাপেক্ষা মৌলিক রূপ। সুতরাং চেতনার উৎস সম্পর্কে বৈশেষিক দর্শনের তত্ত্বকে উপলব্ধিমূলক জ্ঞানের দৃষ্টিতে দেখা সেরা উপায় - অর্থাৎ তাৎক্ষণিক উপস্থাপনামূলক সচেতনতা। আত্মা সচেতনতা অর্জন করে কীভাবে? প্রথমত, আত্মা ও শরীরের সংযোগ, কারণ শরীরের মধ্যে রয়েছে অনুভূতির অঙ্গ (sense organs)। যে কোনো বস্তুর সঙ্গে সংযোগ না ঘটলে অনুভূতির অঙ্গ দ্বারা কোনো আত্মাই জ্ঞান অর্জন করতে সক্ষম হয় না। বস্তু হীন চেতনা বৈশেষিক দর্শনের পক্ষে অকল্পনীয়।
● আত্মা + শরীর + অভ্যন্তরীণ ইন্দ্রিয় + বহিঃস্থ ইন্দ্রিয়+ বহিঃস্থ বস্তু → চেতনা।
শরীর, মানস, বহিঃস্থ ইন্দ্রিয় ও বহিঃস্থ বস্তু ব্যতিরেকে আত্মা অচেতন। বহিঃস্থ বিষয় হলো বস্তুময়। পাঁচটি বহিঃস্থ ইন্দ্রিয় অঙ্গ ও বস্তুগত উপাদান থেকে উদ্ভাবিত হয়। ‘মানস’-এর অর্থ হলো অভ্যন্তরীণ ইন্দ্রিয় অঙ্গ। সুতরাং অচেতন বস্তুকে ভিত্তি করে চেতনার উদ্ভব সম্পর্কে ন্যায় বৈশেষিক দর্শনের দৃষ্টিভঙ্গির সাথে বস্তুবাদী দৃষ্টিভঙ্গির কোনো পার্থক্য নেই। এক্ষেত্রে ন্যায় বৈশেষিক দর্শন-এর সাথে চার্বাক দর্শনের পার্থক্য নেই। চার্বাক দর্শনের সাথে এত মিল সত্ত্বেও, ন্যায় বৈশেষিক দর্শন, চার্বাক দর্শনের প্রতি সমর্থন জানানোর পরিবর্তে চার্বাক দর্শনকে খর্ব করে। চার্বাক দর্শনের প্রতি সমর্থন কায়েমি স্বার্থের প্রতিনিধিদের আক্রমণের সামনে ঠেলে দেবে এই আশঙ্কা ন্যায় বৈশেষিকদের অবশ্যই ছিল। ন্যায় বৈশেষিক দর্শনের অন্যতম সীমাবদ্ধতা ছিল - বস্তুর সাথে গতিকে যুক্ত করতে এই দর্শন ব্যর্থ। অপরিবর্তনীয় পরমাণুর যান্ত্রিক যোগ ও বিয়োগই হলো বস্তুর পরিবর্তনের কারণ। আত্মা ও শরীরের সংযোগ, অর্থাৎ ইন্দ্রিয় অঙ্গ ও বস্তুর সংযোগকে বৈশেষিক দর্শন ‘অদৃষ্ট’ বলে ব্যাখ্যা করেছে। যা ন্যায় বৈশেষিক দর্শনের বিজ্ঞানমুখীনতার পরিপন্থী।
● ন্যায় বৈশেষিক দর্শনে বস্তুর সাথে গতিকে সম্পর্কিত করে দেখার ব্যর্থতাকে আংশিকভাবে অতিক্রম করল সাংখ্য দর্শন। যদিও সাংখ্য দর্শনের অনেকটাই ধ্বংস হয়ে গেছে। সাংখ্য দর্শনকে বিকৃত করে ভাববাদী দর্শনের পর্যায়ভুক্ত করার এক লাগাতার প্রয়াস চলেছে। সাংখ্য দর্শনে চিন্তন (Thought) বা চেতনার ইতিহাসের প্রতি অনন্য আগ্রহই মহাজাগতিক বিবর্তনের প্রাচীনতম স্বচ্ছ ও ব্যাপক ব্যাখ্যা উপস্থিত করা হয়েছিল। মৌলিক পদার্থ যা থেকে এই বিবর্তন ঘটেছিল তা ছিল প্রকৃতি - অর্থাৎ আদিম বস্তু। বিবর্তন প্রক্রিয়ার অর্থ বস্তু কখনো স্থির নয়, প্রতিমূহুর্তে পরিবর্তন ঘটছে। বস্তুর অর্থ শুধুমাত্র মানব শরীর নয়, আমাদের মানসিক অবস্থাও এর অন্তর্গত। চেতনারও বস্তুবাদী মর্মবস্তু ও উৎসকে চিহ্নিত করা হলো। সাংখ্য দর্শনের অত্যন্ত শক্তিশালী দিক হলো, চিরন্তন বস্তুর ধারণা, যা কখনো স্থির নয়, এক রূপ থেকে অন্য রূপে বিবর্তিত হচ্ছে - এই ধারণাকে উপস্থিত করা। সাংখ্য দর্শনের অত্যন্ত শক্তিশালী দিক হলো এই বক্তব্য। স্মরণে রাখতে হবে মানব চেতনার ইতিহাসের প্রথম দিকে এত পরিষ্কারভাবে কখনো স্থির হয় না এমন বস্তুর ধারণা উপস্থিত করেছিল।
● সাংখ্য দর্শনে যে বিবর্তনের কথা বলা হলো, আদিম বস্তুর মধ্যেই মহাবিশ্বের সমস্ত সম্ভাবনা নিহিত রয়েছে। মহাবিশ্বের সমস্ত কিছুকে ৩টি রূপে দেখা হয়, অনুভূতি, শক্তি ও জড়তা। সমস্ত আদিম বস্তুর মধ্যেই এগুলি সম্ভাবনা আকারে ছিল। সাংখ্য দর্শনের ভাষায় এদের বলা হয়েছে - সত্তা, রজস্ ও তামস্। এদের মধ্যে সমতা বিরাজ করলে কোনো বিবর্তন সম্ভব নয়। বিবর্তন-পূর্ব পর্যায়কে ‘অব্যক্ত’ বলা হয়। সমতা বিনষ্ট হলে বিবর্তন শুরু হয়। অব্যক্ত থেকে শুরু করে বিবর্তনের বিভিন্ন পর্যায় সাংখ্য দর্শনে ব্যাখ্যা করা হয়েছে। প্রথম বিবর্তন, ‘অব্যক্ত’ থেকে ‘বুদ্ধি’। ‘বুদ্ধি’ থেকে ‘অহংকার’, ‘অহংকার’ থেকে ‘মানস’; ৫টি অনুভব ইন্দ্রিয় বা জ্ঞান ইন্দ্রিয়, ৫টি কর্মেন্দ্রিয়; ৫টি সূক্ষ্ম উপাদান; ৫টি স্থূল উপাদান যথাক্রমে মৃত্তিকা, জল, অগ্নি, বায়ু এবং আকাশ। ভারতীয় দর্শনের অন্যতম প্রাচীন ধারা হওয়ার কারণে এর অনেকগুলি উপলব্ধি করার ক্ষেত্রে অত্যন্ত প্রাচীন। সাংখ্য দর্শনের মধ্যে এমন কিছু উপাদান রয়েছে যা বস্তুবাদের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয়। বস্তু (প্রধানা) ছাড়াও সাংখ্য দর্শনে বহু ধরনের পুরুষের কথা বলেছে, যা সাধারণভাবে চিরন্তন ‘ভাব’ বা ‘চেতনা’, যা অভ্যন্তরীণভাবে ‘সচেতন’।
● সুতরাং সাংখ্য দর্শন অনড় দ্বৈতবাদী দর্শনের একটা রূপ। বস্তু ও চেতনা দুইয়ের কথাই উপস্থিত করেছে। খাঁটি ও শুদ্ধ বস্তুবাদের স্থানে দ্বৈতবাদের প্রচার করেছে সাংখ্য দর্শন। একদিকে সতত পরিবর্তনশীল বস্তু এবং একদম গতিহীন আত্মা, এই দুইয়ের মধ্যে সম্পর্ক সাংখ্য দর্শনের দুর্বল স্থান। বৌদ্ধদর্শনের পক্ষ থেকে সাংখ্য দর্শনের এই দ্বৈততাকে ব্যঙ্গ করা হয়েছে। অর্থহীন ‘পুরুষ’কে স্বীকৃতি দিয়ে সাংখ্য দর্শনের সঙ্গতিপূর্ণ দর্শনের স্বীকৃতি অনেকটাই ম্লান হয়েছে।
● ব্রহ্ম সূত্রের আলোচনা করতে গিয়ে শংকরাচার্য তিনবার লোকায়ত দর্শনের উল্লেখ করেছেন। আত্মা ও চেতনা সম্পর্কে লোকায়ত দর্শনের ব্যাখ্যার উল্লেখ করেছেন ও তারপর তাকে খণ্ডনও করেছেন। শংকরের বক্তব্য থেকে লোকায়ত দর্শনের বক্তব্যর মর্মবস্তু উপলব্ধি করা সম্ভব হয়েছে। লোকায়ত দর্শনে শরীর, যার বৈশিষ্ট্য হলো চেতনা তা ব্যতিরেকে আত্মার অস্তিত্ব নেই- একথা বলা হয়েছে। মৃত্তিকা, জল প্রভৃতি বস্তুর মধ্যে চেতনা লক্ষিত হয় না, তবে এদের সংমিশ্রণেই শরীর গড়ে ওঠে, সেই শরীরেই চেতনার উদ্ভব ঘটে। লোকায়িতকাররা বলে, মদের রয়েছে উত্তেজক ক্ষমতা, কিন্তু যে উপাদান নিয়ে মদ তৈরি হয়, তার কোনটির মধ্যে উত্তেজক পদার্থ নেই। কিন্তু তাদের সংমিশ্রণের মধ্য দিয়ে মদ তৈরি হয়। সেভাবেই চেতনা মানব শরীরকে অবলম্বন করে গড়ে ওঠে। মানব শরীরের বিভিন্ন উপাদান রয়েছে। কোনো একটি উপাদানের চেতনা হয় না। কিন্তু এই উপাদানগুলির সমন্বয়ে চেতনার উদ্ভব ঘটে। শরীরকে ভিত্তি করেই চেতনার উদ্ভব ঘটে। সুতরাং শরীর ও চেতনা কার্য-কারণ সম্পর্কে আবদ্ধ। লোকায়ত দর্শন দৃঢ়ভাবে বলে, বস্তুকে আশ্রয় করেই চেতনা। শরীর ব্যতিরেকে আত্মার অস্তিত্বে লোকায়ত বা চার্বাক দর্শন বিশ্বাস করে না। লোকায়ত দর্শনের মতে মাটি, জল, বায়ু, অগ্নি - এই চারটি পদার্থই হলো বাস্তব। লোকায়ত দর্শন নিয়ে আলোচনা করতে গেলে এই দর্শনের বিরোধীদের আলোচনাকে ভিত্তি করতে হয়। একথা পূর্বেই বলা হয়েছে। অচেতন বস্তু থেকে চেতনা - লোকায়ত দর্শনের মতে এর মধ্যে অস্বাভাবিকতা বলে কিছু নেই।
(ক্রমশ)