৫৮ বর্ষ ৪৩ সংখ্যা / ১১ জুন, ২০২১ / ২৭ জ্যৈষ্ঠ, ১৪২৮
কৃষকদের দাবি মানো অথবা গদি ছাড়ো
সুপ্রতীপ রায়
করোনাকে ঢাল করে মোদি সরকার দেশের সর্বনাশ করে চলেছে। কৃষি, শিল্প, স্বনির্ভরতাকে বিপন্ন করে একটার পর একটা আইন এই সময়কালে নিয়ে এসেছে কেন্দ্রীয় সরকার। এগুলির মধ্যে অন্যতম কৃষির তিনটি আইন। এই আইন বাতিলের দাবিতে ঐতিহাসিক কৃষক আন্দোলন চলছে। এটা ভাববার কোনো কারণ নেই তিনটি কৃষি-আইন বাতিলের দাবি থেকে দেশের মানুষ পিছিয়ে এসেছেন। সংযুক্ত কিষান মোর্চার ডাকে ২৬ মে দেশব্যাপী কালা দিবস পালিত হয়েছে। ৫ ও ৬ জুন ‘সম্পূর্ণ ক্রান্তি দিবস’ এবং ‘সংকল্প দিবস’-এর কর্মসূচি থেকে সর্বনাশা কৃষির তিনটি আইন বাতিল না হওয়া পর্যন্ত কৃষক আন্দোলন চলবে বলে জানানো হয়েছে। আন্দোলনের তীব্রতার ইঙ্গিত মিলছে।
আন্দোলনের তীব্রতা বৃদ্ধি ছাড়া বিকল্প রাস্তা নেই। দেশের অন্নদাতাদের সর্বনাশ করার খেলায় মেতেছে মোদি সরকার। ২০১৪ সালের ২৬ মে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণ করেছিলেন নরেন্দ্র মোদী। অনেক স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন কৃষকদের। কিন্তু কী অবস্থা কৃষি ও কৃষকের? এমনটা নয় যে, কোভিডজনিত পরিস্থিতিতেই কৃষকের অবস্থা খারাপ হয়েছে। কোভিডের আগে থেকেই কৃষক ও খেতমজুরদের অবস্থা খারাপ ছিল। মোদি দায়িত্ব নেওয়ার পর কৃষকের আত্মহত্যা ও ঋণগ্রস্ততার পরিমাণ বাড়তে থাকে। কথা দিলেও কৃষকের ফসলের উৎপাদন ব্যয়ের ৫০ শতাংশ লাভ রেখে সহায়ক মূল্যের স্বামীনাথন কমিশনের সুপারিশ কার্যকর করেনি বর্তমান কেন্দ্রীয় সরকার। প্রধানমন্ত্রীর ফসল বিমা যোজনায় কৃষক লাভবান হননি, লাভবান হয়েছে বীমা কোম্পানিগুলি।
মনরেগা’তে অর্থসংস্থান ধারাবাহিকভাবে কমছে। গত দু’বছরে জমিতে কাজ কমেছে। মনরেগা’র কাজ কমছে। লকডাউনে চরম বিপদে কৃষকরা। কৃষির সঙ্গে যুক্ত মানুষরা অসহনীয় যন্ত্রণার মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন। করোনা উদ্ভূত পরিস্থিতিতে কৃষকের উপর অতিরিক্ত অর্থনৈতিক বোঝা চেপেছে। বিভিন্ন সময়ে লকডাউনের কারণে কৃষকরা তাদের পণ্য কম মূল্যে স্থানীয় ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রয় করতে বাধ্য হয়েছেন।
গত কয়েক বছরে মোদী সরকার বিভিন্ন সময় কৃষকদের জন্য যে ঘোষণা করেছে তা আসলে চরম মিথ্যাচার আর নাটকীয়তাতে পরিপূর্ণ। কৃষিক্ষেত্রে সংকট ও দুর্দশা মোকাবিলায় বর্তমান কেন্দ্রীয় সরকার এখনও পর্যন্ত দেশের কৃষকদের জন্য অতিরিক্ত সহায়তা করেনি। দুর্দশাগ্রস্ত কৃষকদের জন্য বিজেপি সরকার কোনো ব্যয় বা বিনিয়োগ করতে চায় না। কৃষকদের আর্থিক সহায়তায় কোনো আগ্রহ নেই। আসলে মোদী সরকার বৃহৎ কর্পোরেট সংস্থা ও বড়ো কোম্পানিগুলিকে সংকট থেকে রক্ষা করার তাগিদে কৃষকদের উপর সংকটের বোঝা চাপিয়ে দিচ্ছে। গ্রামীণ জনগণকে লুঠ করতে ও তাদের জীবনকে আরও বিপন্ন করতে বদ্ধপরিকর বিজেপি।
বিজ্ঞাপন-প্রিয় প্রধানমন্ত্রী আলোচ্য সময়ে অনেক ঢাক ঢোল পিটিয়ে অনেক প্রকল্পের ঘোষণা করেছেন। কিন্তু প্রকল্পগুলি বিদ্যমান প্রকল্পের পুনঃস্থাপন মাত্র। যেমন ‘প্রধানমন্ত্রী মৎস্য সম্পদ যোজনা’, ‘জাতীয় প্রাণী রোগ নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচি, ‘জাতীয় মৌমাছি পালন ও মধু মিশন’ প্রভৃতি। আসলে মিথ্যাচার করতে দক্ষ আমাদের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী। কোভিড-১৯ এর হাত ধরে অতিরিক্ত সংকট নেমে এসেছে কৃষকদের উপর। এই সংকটের সময়ে কৃষকদের কোনো ত্রাণ দেওয়া হয়নি। উলটে কৃষকদের দাবিগুলিকে অবজ্ঞা করে চলেছে বিজেপি সরকার। কোভিড সংকট দেখিয়ে দিল মোদী সরকার কতটা হৃদয়হীন হতে পারে।
অন্নদাতারা যতই সংকটে থাকুন না কেন নির্দিষ্ট সময়ে সেন্ট্রাল ভিস্টা রূপায়িত করতেই হবে মোদীকে। নতুন সংসদ ভবন তৈরির কাজ ২০২২’র জুলাইতে শেষ করতে হবে। আর সেন্ট্রাল ভিস্টা প্রকল্পের কাজ শেষ করতে হবে ২০২৪’র মার্চের মধ্যে। সামনে লোকসভা নির্বাচন। সমস্ত ব্যর্থতা ঢাকা দিতে চান এই প্রকল্পের মাধ্যমে। যদিও অর্থনীতিতে মন্দা বাড়ছে, স্বাধীনতার পর সর্বোচ্চ বেকারি,বর্তমানে ১৩ শতাংশ। আমাদের রাজ্যে বেকারত্বের হার পৌঁছেছে ১৯.৩ শতাংশে।
মোদী বিগত বছরগুলিতে যে ‘ঐতিহাসিক’ সিদ্ধান্তসমূহ নিয়েছেন তাতে দেশে বিপর্যয় নেমে এসেছে। যেমন ‘ঐতিহাসিক নোটবন্দি’র পর অর্থনৈতিক সংকট আরও বেড়েছে। ‘ঐতিহাসিক কৃষক আইন’-এরন মধ্যে দিয়ে কৃষকদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। বিজেপি বলছে - তিনটি কৃষি আইন নাকি কৃষকের কাছে উপহার। যদি এই তিনটি আইন কৃষকের কাছে উপহার হয় তাহলে দেশের কোনো কৃষক সংগঠনই এই আইনগুলিকে সমর্থন করছে না কেন? কেন এক সময়ে সরকারের শরিক আকালি দল (বর্তমানে শাসক জোটের বাইরে) এই তিনটি আইনের বিরোধিতা করলো?
বলা হচ্ছে এই আইনের মাধ্যমে কৃষক স্বাধীন হয়ে যাবে? কৃষক নাকি নিজের ইচ্ছামতো ফসল বিক্রি করতে পারবেন? এখন কি স্বাধীনতা নেই? কৃষক গ্রামে বিক্রি করতে পারেন, মান্ডিতে বিক্রি করতে পারেন, যেখানে খুশি তিনি বিক্রি করতে পারেন। আবার বিক্রি নাও করতে পারেন। গত লকডাউনে যখন সবজির দাম পড়ে গিয়েছিল তখন কৃষক তো সবজি, ফসল ফেলে দিতে বাধ্য হয়েছিলেন। তখন সরকার কোথায় ছিল?
বিজেপি’র প্রচার - সরকারি মান্ডি ব্যবস্থা বন্ধ হয়ে যাচ্ছে না। ডাহা মিথ্য কথা। আসলে মোদি সরকার সংস্কারের নামে পুরো মান্ডি ব্যবস্থাকেই বন্ধ করতে চাইছে। সরকারি মান্ডিতে কিছু রক্ষাকবচ চাষির আছে। বেসরকারি মান্ডিতে চাষির কথা কে শুনবে? জিও কোম্পানির মোবাইল যেমন অন্য কোম্পানির অবস্থা খারাপ করে দিয়েছে, সরকারি মান্ডিগুলির অবস্থাও একইরকম হবে। যখন জিও মোবাইল ব্যবসা শুরু করেছিল তখন গ্রাহকদের প্রচুর সুবিধা দিয়েছিল। সুবিধার দিকে তাকিয়ে দলে দলে মানুষ জিও’র মোবাইল নিলেন। অন্য কোম্পানিগুলি ঝাঁপ নামিয়ে দিল। তারপর জিও তার সুবিধাগুলি প্রত্যাহার করে নিল। একই দশা হবে সরকারি মান্ডিগুলিতে।
বিজেপি বলছে - ‘কৃষি উৎপাদন ব্যবসা এবং বাণিজ্য (সহায়তা এবং সম্প্রসারণ) আইন ২০২০’এর মাধ্যমে চাষি উৎপাদিত ফসল কেনা বেচার ক্ষেত্রে তার পছন্দ মতো লেনদেনের সুযোগ পাবে। রাজ্য সরকারের এপিএমসি আইনের মাধ্যমে তৈরি নিয়ন্ত্রিত কৃষি বাজারের বাইরেও অনলাইনে কৃষি পণ্যের ক্রয়-বিক্রয়ের সুযোগ তৈরি হবে। চাষি বাধাহীনভাবে ব্যবসা করতে পারবে। অনলাইনে কৃষি সামগ্রীর ব্যবসা করা যাবে। আসলে নতুন আইনে চাষিদের বৃহৎ ফড়েদের হাতে তুলে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। মুক্ত বাণিজ্যের নামে সম্পূর্ণ ব্যবস্থা কর্পোরেটদের হাতে তুলে দেওয়ার ব্যবস্থা পাকা করা হয়েছে। চাষিদের সর্বনাশ, কর্পোরেটদের পৌষ মাস।
বলা হচ্ছে চাষিদের মুক্ত বাণিজ্যের ফলে আয় বাড়বে। এটা বাস্তবে সম্ভব নয়। দৈত্যাকৃতি কর্পোরেট সংস্থাগুলির সঙ্গে চাষি কখনই দর কষাকষি করতে পারবে না। ‘কৃষিজাত পণ্য বাজার এবং বাণিজ্য (সংবর্ধন ও সরলীকরণ) আইন ২০২০’ - আসলে সরকারি মান্ডি তুলে দেওয়ার আইন। এর লক্ষ্য - সরকারি মান্ডি ব্যবস্থাকে ধীরে ধীরে মেরে ফেলা। লাভ হবে বেসরকারি মান্ডি মালিকদের এবং তাদের দালাল ও কমিশন এজেন্টদের। লোকসান হবে, সরকারি মান্ডির উপর নির্ভরশীল কৃষক এবং আড়তদারদের। কৃষক মান্ডি ব্যবস্থা থেকে স্বাধীনতা চায় না। সে চায় অনেক বেশি মান্ডি, যেখানে ভালো ব্যবস্থা থাকবে, সরকারি নজরদারি থাকবে।
বলা হচ্ছে নয়া ব্যবস্থাতে নাকি ফড়েদের হাত থেকে চাষি বেঁচে যাবে। এটা অসম্ভব। কর্পোরেট মান্ডি খুললে ফসল কেনার জন্য তারাও মাঝে এজেন্ট রাখবে। অর্থাৎ একের বদলে দুটি ফড়ে হয়ে যাবে। একজন ছোটো ফড়ে আর তার ওপর কর্পোরেট। দুজনেই রোজগার করবে। দুজন ফড়ে মিলে দু’বার কমিশন কেটে নেবে। বলা হচ্ছে নতুন আইনে কৃষক এবং ব্যবসাদার ছাড়াও তৃতীয় পক্ষের জায়গা বানানো হয়েছে। এই তৃতীয় পক্ষ আসলে ফড়ে। বর্তমান আইনে কৃষক, মজুর ও গরিব মানুষ মার খাবে - বড়ো ব্যবসাদার বেপরোয়াভাবে টাকা লুট করবে।
মোদী ঘোষণার পর ঘোষণা করেন। ঘোষণার পরিমাণ এত বেশি যে তাঁর ঘোষণা করা প্রকল্প বা প্রতিশ্রুতি কতটা বাস্তবায়িত হচ্ছে তা মনে রাখা অসম্ভব হয়ে পড়ে। যেমন ক্ষমতাতে এসেই বলেছিলেন, কৃষকের আয় ছয় বছরের মধ্যে দ্বিগুণ করে দেবেন। কিন্তু কৃষকের আয় কতটা বেড়েছে? কৃষকের আয় দ্বিগুণ কেন এক পয়সাও বাড়েনি।
ভারতের কৃষকরা কখনই ক্রীতদাস বানাবার আইন মানবেন না। ‘কৃষি (শক্তিকরণ এবং সংরক্ষণ) মূল্য আশ্বাসন এবং কৃষি সেবা চুক্তি আইন ২০২০’ - আসলেই কৃষককে ক্রীতদাস বানাবার আইন। এই আইনের মূল্য উদ্দেশ্য - কৃষি জমি মালিকানার ঊর্ধ্বসীমার আইনি বিধান থেকে মুক্তি দিয়ে কর্পোরেটদের বিশাল জমি নিয়ে চাষে নামার রাস্তা খুলে দেওয়া। লাভবান হবে বড়ো কোম্পানিগুলি ও তাদের দালালেরা। লোকসানে পড়বে বেচারা কৃষক। কারণ চুক্তিতে ন্যূনতম সমর্থন মূল্যে দেওয়ায় বাধ্যবাধকতা নেই।
এটা ঠিক উদারনীতির হাত ধরেই আমাদের দেশে কর্পোরেটদের চুক্তি চাষ করার প্রবণতা অনেকদিন ধরেই চলছে। ২০০৭ সালে স্বাক্ষরিত ইন্দো-আমেরিকান কৃষি জ্ঞান চুক্তির অনেকগুলি বিষয়ের মধ্যে ছিল চুক্তি চাষ ও কৃষির কোম্পানিকরণ। এ প্রশ্ন তো স্বাভাবিক চাষি তো চাষ করবে নিজের জমিতে। ফলে সেক্ষেত্রে চাষি কোনো সংস্থার সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হলে সে নিজের ইচ্ছেমতো ফসল চাষ করতে পারবে না। বিনিয়োগকারী সংস্থাতো চাইবে লাভ। লাভের জন্যই তো সে চুক্তি করছে। ফলে চাষ হবে বিনিয়োগকারী সংস্থার ইচ্ছানুসারে। চাষির যে জমি ব্যবহার করা হবে তার বীজ, সার, কীটনাশক, বিদ্যুৎ, ভাড়া, শ্রম ইত্যাদির খরচ ধরে ফসলের দাম স্থির হবে কিনা তা আইনে পরিষ্কার বলা নেই।
চাষিকে ধোঁকা দেওয়ার জন্য সরকার বলছে ভাগচাষির অধিকার হরণ করে কোনো চুক্তি হবে না। কিন্তু বর্গাদার, ভাগচাষি বা নথিভুক্ত নয় এরকম ভাগচাষিদের সঙ্গে মালিকের আয় বণ্টনের শর্ত কি হবে? আইনে বলা নেই। বর্গাদারদের চাষ থেকে যে উৎখাত করা হবে না তার কোনো গ্যারান্টি নেই। চুক্তি চাষের জমিতে যারা মজুর হিসাবে খাটবেন তাদের কী হারে মজুরি দেওয়া হবে? এর কোনো উত্তর নেই। চুক্তিতে কৃষককে ন্যূনতম সমর্থন মূল্য দেওয়ার বাধ্যবাধকতা নেই। চুক্তির নাম করে কোম্পানি কৃষকের জমি আস্তে আস্তে দখল নেবে।
ফসলের দাম কীভাবে স্থির হবে তাও আইনে বলা নেই। এমএসপি তুলে দেওয়ার পাকা ব্যবস্থা করা হয়েছে। স্বামীনাথন কমিশনের রিপোর্ট অনুসারে ফসলের উৎপাদন খরচের মোট দামের ৫০ শতাংশ বেশি ধরে ন্যূনতম সহায়ক মূল্য স্থির করার কথা বলা হয়েছিল। তা নিয়ে সরকার নিশ্চুপ। আসলে দাম স্থির করার দায় বিনিয়োগকারী সংস্থার উপরই ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
দেশের কৃষকরা মোদি সাহেবের গালভরা বক্তৃতা শুনতে চান না। কৃষকরা ন্যূনতম সমর্থন মূল্যের গ্যারান্টি চান। কৃষকরা কি ধরনের ন্যূনতম সমর্থন মূল্যের গ্যারান্টি চান তা উল্লেখ করা হলো।
দেশের কৃষক সংগঠনগুলি কৃষি উৎপাদিত পণ্যের ন্যূনতম সমর্থন মূল্য নিশ্চয়তা আইন আনার দাবি জানাচ্ছে। কৃষককে আইনি নিশ্চয়তা দেওয়া, যাতে সে সব ফসলের জন্য কমপক্ষে এমএসপি’র সমান দাম পায় তার ব্যবস্থা করতে হবে। কী উত্তর মোদী সরকারের? দেশের কৃষকরা জানতে চান।
‘নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য (সংশোধন) আইন ২০২০’ বহুল চর্চিত। দেশপ্রেমিক প্রধানমন্ত্রী এই আইনের মধ্যে দিয়ে মজুতদারি ও কালোবাজারির ওপর আইনি বাধা তুলে দেওয়ার ব্যবস্থা করেছেন। মধ্যবিত্ত, নিম্নমধ্যবিত্ত ক্রেতা আর চাষিদের লোকসান হবে। সরকার কৃষককে অপরাধী বানাবার ব্যবস্থা করেছেন ‘রাষ্ট্রীয় রাজধানী ক্ষেত্র ও সংলগ্ন অঞ্চলের বায়ু গুণমান পরিচালন আয়োগ অধ্যাদেশ, ২০২০’র মাধ্যমে। বায়ু দূষণের সব দোষ চাষিদের ওপর চাপিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা। ‘বিদ্যুৎ আইন (সংশোধন) বিধি, ২০২০’র মধ্য দিয়ে বেসরকারি কোম্পানিদের লাভের ব্যবস্থা করা হয়েছে। বিপদে ফেলার ব্যবস্থা করা হয়েছে সস্তায় বিদ্যুৎ পাওয়া কৃষক ও মধ্যবিত্ত-নিম্নবিত্তদের।
আগামীদিনে আন্দোলন আরও তীব্র হবে। কোভিড-১৯ কে হাতিয়ার করে আন্দোলন থামিয়ে রাখা যাবে না। শেষ দেখার লড়াই চলছে। দেশব্যাপী আওয়াজ উঠছে - অবিলম্বে দেশবিরোধী কৃষি আইনসমূহ, বিদ্যুৎ আইন সংশোধনী বিধি (২০২০) বাতিল করো অথবা গদি ছাড়ো।