৫৮ বর্ষ ৫ম সংখ্যা / ১১ সেপ্টেম্বর ২০২০ / ২৫ ভাদ্র ১৪২৭
কেন্দ্রের নীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ কর্মসূচিতে যৌথ প্রতিরোধের বার্তা শ্রমিক কৃষক খেতমজুরদের
কেন্দ্রীয় সরকারের জনবিরোধী নীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ বিক্ষোভে শামিল মহারাষ্ট্রের কৃষক-খেতমজুররা।
নিজস্ব সংবাদদাতাঃ কেন্দ্রীয় সরকারের শ্রমিক-কৃষক বিরোধী নীতির বিরুদ্ধে দেশব্যাপী প্রতিবাদ কর্মসূচির অঙ্গ হিসাবে পশ্চিমবঙ্গেও শ্রমিক-কৃষক-খেতমজুররা ৫ সেপ্টেম্বর পথে নেমে প্রতিবাদ বিক্ষোভ সংগঠিত করলেন। সারা দেশের সঙ্গে এরাজ্যের প্রতিটি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায়, ব্লক স্তরে, মহকুমা শহরে এবং গুরুত্বপূর্ণ শহরাঞ্চলে মোদী সরকারের শ্রমিক-কৃষক বিরোধী নীতিগুলির বিরুদ্ধে যৌথভাবে অবস্থান, ধরনা, বিক্ষোভ, মিছিল ইত্যাদি কর্মসূচিতে শামিল হলেন উত্তরবঙ্গের সীমান্তবর্তী ও চা বাগান অধ্যুষিত এলাকা থেকে দক্ষিণবঙ্গের বিস্তীর্ণ প্রান্তর, জঙ্গলমহল থেকে সাগর, এমনকি সন্ত্রাস-কবলিত নন্দীগ্রাম-খেজুরির মতো এলাকা। সর্বত্রই এদিন শ্রমিক-কৃষক-খেতমজুররা বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে তাঁদের প্রতিবাদ ও প্রতিরোধের লড়াইয়ের বার্তা তুলে ধরেন।
সিআইটিইউ, সারা ভারত কৃষক সভা এবং সারা ভারত খেতমজুর ইউনিয়নের ডাকে এদিনের এই যৌথ প্রতিবাদ কর্মসূচি সংগঠিত হয়েছে। ২০১৮ সালের ৫ সেপ্টেম্বর দিল্লিতে শ্রমিক-কৃষক-খেতমজুরদের সুবিশাল সমাবেশের দু’বছর পর ওই দিনটিতেই তিনটি সংগঠনের আহ্বানে আবার পথে নামেন শ্রমজীবী ও কৃষিজীবী মানুষ। এর আগে এই তিন সংগঠনের ডাকে ২৬ জুলাই সর্বভারতীয় প্রতিবাদ দিবস এবং ৯ আগস্ট জেলভরো আন্দোলনে অভূতপূর্ব সাড়া মেলার পর আবারও ৫ সেপ্টেম্বর দেশজোড়া প্রতিবাদ দিবসে কেন্দ্রের বিজেপি শাসনের বিরুদ্ধে শ্রমজীবী মানুষের তীব্র ক্ষোভের প্রতিফলন দেখা গেল।
দেশে করোনা সংক্রমণের ভয়াবহতার সুযোগকে কাজে লাগিয়ে মোদী সরকার যেভাবে জনবিরোধী, দেশবিরোধী ও সাম্প্রদায়িক বিভাজনের নীতি রূপায়ণ করে চলেছে, বিশেষ করে শ্রমিক-কৃষক বিরোধী নানা পদক্ষেপ, জমি অধিগ্রহণ অর্ডিন্যান্স থেকে বেসরকারিকরণের অভিযান চালাচ্ছে তা রুখতে বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তোলার বার্তা দিয়েছে এদিনের এই যৌথ কর্মসূচি। এদিন সর্বভারতীয় স্তরে মুখ্য দাবিগুলির পাশাপাশি স্থানীয় দাবিগুলিকেও যুক্ত করে প্রতিবাদ কর্মসূচিতে শামিল হন শ্রমিক-কৃষক ও খেতমজুররা।
এদিনের প্রতিবাদ কর্মসূচির অন্যতম দাবিগুলির মধ্যে ছিল - সর্বজনীন স্বাস্থ্য পরিষেবা, বিশেষ করে বিনামূল্যে কোভিডের পরীক্ষা এবং চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে; বিনামূল্যে রেশনের ব্যবস্থা করতে হবে; আগামী ৬ মাস পর্যন্ত আয়কর দেয় না, এমন পরিবারকে মাসে সাড়ে ৭ হাজার টাকা নগদ সাহায্য দিতে হবে; রেগা প্রকল্পে অন্তত ২০০ দিনের কাজ নিশ্চিত করতে হবে, ৬০০ টাকা মজুরি দিতে হবে, শহরাঞ্চলেও এই কর্মসূচি সম্প্রসারিত করতে হবে এবং সমস্ত বেকারকে বেকারভাতা দিতে হবে; জরুরি পণ্য সামগ্রী, কৃষি বাণিজ্য, বিদ্যুৎ আইন, ইআইএ, এনইপি ২০০০-এর মতো অর্ডিন্যান্স অথবা প্রশাসনিক নির্দেশ বাতিল করতে হবে; শ্রম আইন বাতিল, সংশোধন ও স্থগিত করার প্রস্তাব প্রত্যাহার করতে হবে এবং রাষ্ট্রায়ত্ত ক্ষেত্রের বেসরকারিকরণ বন্ধ করতে হবে ইত্যাদি। এগুলির সাথেই যুক্ত হয়েছে স্থানীয় দাবিগুলি।
প্রসঙ্গত, কোভিড পরিস্থিতি ও লকডাউনের সুযোগকে কাজে লাগিয়েই একের পর এক বিজেপি শাসিত রাজ্য কাজের সময় ৮ঘণ্টা থেকে বাড়িয়ে ১২ঘণ্টা করেছে, একইসঙ্গে এই রাজ্যগুলি তিন বছরের জন্য শ্রমআইন স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। একইভাবে কৃষককে কর্পোরেটদের মুখে ঠেলে দিচ্ছে। কৃষিবাজার আইনে একচেটিয়া কারবারের বদলে প্রতিযোগিতার যে সুযোগ ছিল, এখন কেন্দ্রের পদক্ষেপের ফলে তাতে কৃষক আর লাভজনক মূল্য পাবেন না। তাছাড়া অত্যাবশ্যকীয় পণ্য আইন বাতিল করলে খাদ্য নিরাপত্তা বিপর্যস্ত হবে। মডেল চুক্তি চাষের আইন কৃষককে চিরকালের জন্য দাসে পরিণত করবে। বিজেপি সরকার কৃষিতে প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগ এবং বেসরকারি ক্ষেত্রকে ডেকে এনে সরকারের যাবতীয় দায়দায়িত্ব ঝেড়ে ফেলতে চাইছে এবং কর্পোরেটদের হাতে জমি তুলে দেবার ষড়যন্ত্র করছে। এসবের প্রতিবাদ ও প্রতিরোধেই ৫ সেপ্টেম্বর যৌথ প্রতিবাদ কর্মসূচিতে পথে নামেন শ্রমিক-কৃষক ও খেতমজুররা।
এদিনের এই প্রতিবাদ কর্মসূচি উপলক্ষে স্বাস্থ্যবিধি মেনেই এরাজ্যের গ্রাম-শহরের বিভিন্ন এলাকায় শ্রমিক-কৃষক-খেতমজুররা প্রতিবাদ ও প্রতিরোধের লড়াইয়ের বার্তা দিয়েছেন। পুরুলিয়ার গ্রাম থেকে শহর - সর্বত্র এদিন শ্রমজীবী মানুষ পথে নামেন। সিপিআই (এম)-র জেলা দপ্তরের সামনে দাবি দিবসের অবস্থান কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন সারা ভারত খেতমজুর ইউনিয়নের রাজ্য সম্পাদক অমিয় পাত্র, সিআইটিইউ নেতা প্রদীপ রায়, খেতমজুর ইউনিয়নের জেলা সম্পাদক দীননাথ লোধা, কৃষকসভার জেলা সম্পাদক কাশীনাথ ব্যানার্জি সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ। এদিন আদ্রা, মানবাজার প্রভৃতি জায়গাতেও মিছিল, পথসভা ইত্যাদির মাধ্যমে দাবি দিবস পালন করা হয়েছে।
বাঁকুড়া শহরে স্টেশন মোড়, মেজিয়া ও কোতুলপুরে প্রতিবাদ দিবস পালিত হয়েছে। বাঁকুড়ার কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন সিআইটিইউ’র জেলা সভাপতি কিঙ্কর পোষাক সহ প্রতীপ মুখার্জি, শেখ নুর, সত্য মুখার্জি প্রমুখ।
দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার ভাঙড়ের ঘটকপুকুর, শ্যামনগর, ভোজেরহাট, পাকাপোল বাজারে মিছিল ও প্রতিবাদসভা হয়েছে। ঘটকপুকুর এবং শ্যামনগরের সভায় বক্তব্য রাখেন খেতমজুর ইউনিয়নের রাজ্য সভাপতি তুষার ঘোষ সহ অন্যান্যরা। সোনারপুরে মিছিল, বারুইপুরের পদ্মপুকুর এবং রামনগর বাজারে প্রতিবাদসভা, বিষ্ণুপুরের আমতলা এবং বাখরাহাটে সভা হয়েছে। এছাড়াও জেলার উস্থির ঘটকপুকুর দেউলার মোড়ে সভা, ডায়মন্ডহারবারে মিছিল ও প্রতিবাদসভা, বাসন্তীর নফরগঞ্জ, মন্দিরবাজারের বিজয়গঞ্জ বাজার, কুলপি, সাগরের রুদ্রনগর, পাথরপ্রতিমা ব্লকের গঞ্জের বাজারে মিছিল, বিক্ষোভ, প্রতিবাদসভা ইত্যাদি হয়।
দুর্গাপুরের ডিপিএল লেবারহাট এলাকায় এক বিশাল সমাবেশে বক্তব্য রাখেন শ্রমিকনেতা গৌরাঙ্গ চ্যাটার্জি, পঙ্কজ রায় সরকার প্রমুখ। দুর্গাপুরে নেতাজি কলোনি সংলগ্ন ক্ষুদিরাম ক্লাব প্রাঙ্গণে সভায় বক্তব্য রাখেন বিশ্বরূপ ব্যানার্জি, বীরেশ মণ্ডল, বিধায়ক সন্তোষ দেবরায় প্রমুখ।
পশ্চিম বর্ধমান জেলার মোট ২৬টি স্থানে এদিন প্রতিবাদ কর্মসূচি হয়েছে। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ৫১টি স্থানে প্রতিবাদ কর্মসূচিতে শামিল হন কৃষক, শ্রমিক, খেতমজুর, ছাত্র-যুব, মহিলা প্রভৃতি বিভিন্ন গণসংগঠন। জেলার কলোড়া, দাসপুর বাজার, রাজনগর সহ বিভিন্ন জায়গায় পথ অবরোধ হয়েছে। দাঁতন, ঘাটাল, ডেবরা, বালিচক, পীড়াকাটা, ক্ষীরপাই এলাকায় বড়ো বিক্ষোভ মিছিল হয়েছে। দাঁতন ২ নম্বর ব্লকের সারডা এবং তুরকা, কেশিয়াড়ি ব্লকের সাতটি স্থানে, খড়্গপুর গ্রামীণের দু’টি ব্লকের পাঁচটি স্থানে, নারায়ণগড় কুশবসান, ডেবরা বালিচক, গোলগ্রাম, কেশপুর বাজার, গোয়ালতোড়, শালবনী, গৌরা, সরবেড়িয়া, মেদিনীপুর শহরের চাঁদরা, ধর্মা, চন্দ্রকোণা ২ নম্বর ব্লকের বসনছোড়া, কুয়াপুর, ক্ষীরপাইয়ের গঞ্জ এলাকায় মিছিল ও পথসভা হয়েছে।
ঝাড়গ্রাম জেলার বেলপাহাড়ির শিলদা, গোপীবল্লভপুর, বিনপুর, মানিকপাড়া প্রভৃতি এলাকায় প্রতিবাদ কর্মসূচিতে শামিল হন শ্রমজীবী মানুষ।
পূর্ব মেদিনীপুর জেলার পাঁশকুড়া, কোলাঘাট, কাকটিয়া, ডিমারি, তমলুক, নাইকুরি, ময়না, জলপাই, নন্দকুমার, মহিষাদল, সুতাহাটা, হলদিয়া উত্তর-দক্ষিণ, খেজুরি, হেঁড়িয়া, চণ্ডীপুর, নন্দীগ্রাম, ভগবানপুর, মুখবেড়িয়া, পটাশপুর, এগরা, বালিঘাই, বালিসাই, প্রতাপদিঘি, ভবানীচক, রামনগর, কাঁথি, দেশপ্রাণ, মারিশদা প্রভৃতি বিভিন্ন এলাকায় এদিনের কর্মসূচি পালিত হয়েছে।
হুগলি জেলার গোঘাটের বালি পঞ্চায়েতের দেওয়ানগঞ্জ বাজার, কামারপুকুর চটি, তারকেশ্বরের কেশবচক, তালপুর, বালিগোড়ি ১, ভঞ্জিপুর অঞ্চলে বিক্ষোভসভা হয়েছে। পুরশুড়ার শ্রীরামপুর অঞ্চলের বলরামপুর, পীরতলা, চণ্ডীতলার হরিপুর, কুমীরমোড়া, জনাই পঞ্চবটীতলা, জাঙ্গিপাড়ার রাজবলহাটে প্রতিবাদসভা হয়েছে। জেলার বিভিন্ন স্থানে প্রতিবাদ কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন জেলা সিআইটিইউ’র সম্পাদক অসিত মুখার্জি, কৃষকসভার জেলা সম্পাদক ভক্তরাম পান, খেতমজুর ইউনিয়নের নেতা স্বপন বটব্যাল, অগ্রগামী কিসানসভার নেতা শিবপ্রসাদ মালিক প্রমুখ।
শিলিগুড়ি শহরে সিআইটিইউ’র আহ্বানে বিশাল মিছিল সংগঠিত হয়েছে। মিছিলে ডব্লিউবিএমএসআরইউ, এফসিআই, হোটেল কর্মচারী ইউনিয়ন, কেরিয়ার ট্রান্সপোর্ট, দোকান কর্মচারী ইউনিয়ন সহ বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠনের সদস্যরা যোগ দেন। মিছিলে অংশ নেন সিআইটিইউ’র দার্জিলিঙ জেলা সম্পাদক সমন পাঠক।
কোচবিহার জেলার ১২টি ব্লকের মধ্যে ১০টি ব্লকেই বিভিন্ন এলাকায় মিছিল করেন শ্রমিক, কৃষক এবং খেতমজুররা। এদিন তুফানগঞ্জ শহরের মিছিলে নেতৃত্ব দেন কৃষকসভার জেলা সম্পাদক তমশের আলি, শ্রমিকনেতা দিলীপ বিশ্বাস, খেতমজুর ইউনিয়নের নেতা বুদ্ধেশ্বর দাস প্রমুখ। কোচবিহার ২ নম্বর ব্লকের আমবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় মিছিলে নেতৃত্ব দেন সিআইটিইউ’র জেলা সভাপতি তারিণী রায়, সিপিআই (এম)-র জেলা সম্পাদক অনন্ত রায়, কৃষকনেতা বিনয় দে প্রমুখ। কোচবিহার ১ নম্বর ব্লকের ধলুয়াবাড়ি, মাথাভাঙা, খাগড়াবাড়িতেও এদিন মিছিল হয়েছে।
জলপাইগুড়ি জেলার ময়নাগুড়ি চৌপথী, জেলা সদর ব্লকের দশদুর্গাহাটে বিক্ষোভসভা হয়েছে। আলিপুরদুয়ার জেলার ফালাকাটা, ভাটিবাড়ি, আলিপুরদুয়ার জংশন, হ্যামিলটনগঞ্জে প্রতিবাদ-কর্মসূচি হয়েছে।
মুর্শিদাবাদের সাগরদিঘিতে বিড়ি শ্রমিকদের ন্যায্য মজুরি, কৃষকের ফসলের লাভজনক দামের দাবিতে স্লোগান তুলে মিছিল হয়েছে। মিছিলের চলার পথে ব্লক মোড়ে, রেল স্টেশনে পথসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। উপস্থিত ছিলেন সিআইটিইউ’র জেলা সভাপতি জ্যোতিরূপ ব্যানার্জি। ফরাক্কায় বিক্ষোভসভায় অংশ নেন এনটিপিসি এবং স্থানীয় সিমেন্ট কারখানার শ্রমিক-কর্মচারীরা। এদিন বহরমপুরে মিছিল হয়েছে। জলঙ্গীতে বিক্ষোভ কর্মসূচিতে তৃণমূল কংগ্রেসের দুর্নীতির বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছেন মানুষ। এছাড়া রানিনগর, হাতিনগর, কুলি, সালার, হরিহরপাড়া সহ জেলার বিভিন্ন প্রান্তে বিক্ষোভসভা, পথসভায় অংশ নেন তিনটি সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। এদিন বীরভূম জেলাজুড়ে মিছিল ও পথসভা হয়েছে। সিআইটিইউ’র জেলা কমিটির উদ্যোগে সিউড়ি শহরের বাসস্ট্যান্ডে ১৬ দফা দাবিতে অবস্থান-বিক্ষোভে সোচ্চার হন শ্রমিকরা। বক্তব্য রাখেন সিআইটিইউ’র সাধারণ সম্পাদক দীপঙ্কর চক্রবর্তী, শ্রমিকনেতা শেখ ইসলাম এবং দেবাশিস গাঙ্গুলি প্রমুখ। এছাড়াও প্রতিবাদ কর্মসূচি হয়েছে বোলপুর, নানুর, ইলমবাজার, লাভপুর, রাজনগর, সিউড়ি-১, মহম্মদবাজার, সাঁইথিয়া, ময়ূরেশ্বর ১, মুরারই ১ প্রভৃতি ব্লকের বিভিন্ন স্থানে।