E-mail: deshhitaishee@gmail.com  | 

Contact: +91 33 2264 8383

৫৮ বর্ষ ৫ম সংখ্যা / ১১ সেপ্টেম্বর ২০২০ / ২৫ ভাদ্র ১৪২৭

জিএসটি ক্ষতিপূরণঃ কেন্দ্রের উদ্ভট অবস্থান

প্রভাত পট্টনায়েক


যখন জিএসটি (পণ্য-পরিষেবা কর) কেন্দ্র চালু করে, সব রাজ্য কেন্দ্রকে সমর্থন করে এবং রাজ্যগুলি কেন্দ্রের প্রস্তাব মতো পণ্য পরিষেবায় যে অপ্রত্যক্ষ কর চাপানোর ক্ষমতা ভোগ করত তারা তা ছেড়ে দেয়। দেশের সংবিধান তাদের এই অপ্রত্যক্ষ কর চাপানোর ক্ষমতা প্রদান করেছিল। তারা কেন্দ্রকে সমর্থন করে, কারণ কেন্দ্র প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল যে, রাজ্যগুলোর রাজস্ব জিএসটি পরিষেবা করব্যবস্থার কারণে যেটুকু কম হবে তা আগামী পাঁচ বছর কেন্দ্র রাজ্যগুলোকে ক্ষতিপূরণ দিয়ে পূরণ করবে। এই ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ পরিমাপ করার জন্য কেন্দ্র রাজ্যগুলির উৎপাদন ১৪ শতাংশ বৃদ্ধির হার ধরে হিসাব করবে এবং এর ফলে যে পরিমাণ রাজস্ব রাজ্যগুলো সংগ্রহ করতে পারত সেই পরিমাণ অর্থ ক্ষতিপূরণ বাবদ কেন্দ্র রাজ্যগুলোকে দেবে। শুধু প্রতিশ্রুতির উপর ভিত্তি করে নয়, এই মতো সংসদে পণ্য পরিষেবা কর ক্ষতিপূরণ সংক্রান্ত আইন, ২০১৭ পাশ হয়। এই আইনের মাধ্যমে রাজ্যগুলোকে দেওয়া কেন্দ্রের প্রতিশ্রুতি আইনসম্মত ও বাধ্যতামূলক হয়।

কেন্দ্রের চালু করা পণ্য-পরিষেবা কর দেখা যাচ্ছে একান্তভাবেই ব্যর্থ। ব্যর্থ হওয়ার পেছনে যে কারণগুলি ছিল তার মধ্যে মূলত এই আইনের দুর্বলতা দায়ী। তাছাড়া, দেশের জিডিপি বৃদ্ধির হার কমে গেছে সাংঘাতিকভাবে। জিএসটি ছাড়া সেস বাবদ যে আয় কেন্দ্রের হবে, তার থেকেও রাজ্যগুলিকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা ছিল। এই পরিকল্পনাও ব্যর্থ হয়েছে কারণ, সেস বাবদ পর্যাপ্ত রাজস্ব কেন্দ্র সংগ্রহ করতে ব্যর্থ হয়েছে। এই দু’টি ক্ষেত্রে আয় কমে যাওয়ার ফলে রাজ্যগুলোর আয় ব্যাপকহারে কমে গেছে এবং এই কারণেই রাজ্যগুলোকে ক্ষতিপূরণ দেওয়া অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। আবার, কেন্দ্রীয় সরকার অন্য উৎসগুলোতে কর বৃদ্ধি করে অর্থ সংগ্রহ করতে পারেনি। এই অতিরিক্ত অর্থ সংগ্রহ না করার ফলে তারা রাজ্যগুলোকে ক্ষতিপূরণ বাবদ অর্থ দিতে পারেনি। কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকার ক্ষতিপূরণ দিতে শুধু প্রতিশ্রুতিবদ্ধ নয়, আইনসম্মতভাবে দায়বদ্ধ।

কেন্দ্র সরাসরি তার নিজের দেওয়া প্রতিশ্রুতি পালন করতে অস্বীকার করছে; দ্বিতীয়ত, এই প্রতিশ্রুতি সংসদে আইন মোতাবেক কেন্দ্র গ্রহণ করেছে। এটা অস্বীকার করার অর্থ রাজ্যগুলোকে সাংবিধানিক অধিকার থেকে সরাসরি বঞ্চিত করা। রাজ্যগুলো সংবিধান সংশোধনের মাধ্যমে জিএসটি সংক্রান্ত আইন চালু করার ক্ষেত্রে সম্মত হয়েছিল এই কারণেই যে, রাজ্যের আর্থিক ক্ষতি কেন্দ্র পূরণ করবে। সুতরাং, কেন্দ্র তার নিজের দায়িত্ব এবং সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা সরাসরি অস্বীকার করছে। তৃতীয়ত, কেন্দ্র যে পদক্ষেপ নিয়েছে অর্থনৈতিক যুক্তিতেও তার কোনো ভিত্তি নেই।

কেন্দ্র তার প্রতিশ্রুতি রক্ষার পরিবর্তে ক্ষতিপূরণ দেওয়া থেকে সরাসরি পিছিয়ে এসেছে। ২০১৯ সালে এই সমস্যাটা শুরু হয়, কিন্তু বর্তমান আর্থিক বছরে এই ইস্যুটি ভয়ঙ্কর সমস্যা হয়ে উঠেছে। মূলত বিশ্বব্যাপী প্যানডেমিকের প্রাদুর্ভাব স্বাভাবিক অর্থনৈতিক কার্যকলাপকে স্তব্ধ করেছে এবং ফলে জিএসটি বাবদ আয় ব্যাপকহারে কমে গেছে। স্বাভাবিকভাবে রাজ্যগুলোর আয়বাবদ প্রাপ্য অংশ সমান হারে কমেছে কিন্তু এই সময়কালে রাজ্যগুলোর ব্যয়ের প্রয়োজনীয়তা ভয়ানকভাবে বেড়ে গেছে। ২০২০-২১ সালে ক্ষতিপূরণ বাবদ ৩ লক্ষ কোটি টাকা অনুমিত হয়েছিল। এর মধ্যে ৬৫ হাজার কোটি টাকা কেন্দ্র সেস বসিয়ে আদায় করবে, বাকি ২.৩৫ লক্ষ কোটি টাকা জিএসটি বাবদ রাজ্যগুলোকে কেন্দ্র দেবে, কিন্তু তা সরাসরি কেন্দ্র রাজ্যগুলোকে দিতে অস্বীকার করছে। বিগত ২৭ আগস্ট, ২০২০ জিএসটি কাউন্সিলের সভায় কেন্দ্র রাজ্যগুলোকে অদ্ভুত প্রস্তাব দেয়। কেন্দ্র ওই অর্থ রাজ্যগুলোকে ধার করতে বলে। এক্ষেত্রে কেন্দ্র যে দু’টি প্রস্তাব রাজ্যগুলোর সামনে রেখেছে, সেই দু’টো প্রস্তাবে অর্থ সংগ্রহের কাজটা রাজ্যগুলোর উপর কেন্দ্র চাপিয়ে দিয়েছে । এ ধরনের প্রস্তাব এক উদ্ভট দৃষ্টিভঙ্গির পরিচয় বহন করে। মূলত দু’টি কারণে এই মনোভাব যুক্তিহীন ও আজব। প্রথমত, কেন্দ্র সরাসরি তার নিজের দেওয়া প্রতিশ্রুতি পালন করতে অস্বীকার করছে; দ্বিতীয়ত, এই প্রতিশ্রুতি সংসদে আইন মোতাবেক কেন্দ্র গ্রহণ করেছে। এটা অস্বীকার করার অর্থ রাজ্যগুলোকে সাংবিধানিক অধিকার থেকে সরাসরি বঞ্চিত করা। রাজ্যগুলো সংবিধান সংশোধনের মাধ্যমে জিএসটি সংক্রান্ত আইন চালু করার ক্ষেত্রে সম্মত হয়েছিল এই কারণেই যে, রাজ্যের আর্থিক ক্ষতি কেন্দ্র পূরণ করবে। সুতরাং, কেন্দ্র তার নিজের দায়িত্ব এবং সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা সরাসরি অস্বীকার করছে। তৃতীয়ত, কেন্দ্র যে পদক্ষেপ নিয়েছে অর্থনৈতিক যুক্তিতেও তার কোনো ভিত্তি নেই।

যা কিছু ক্ষতি হয়েছে কেন্দ্র নিজে সেই অর্থ ঋণবাজার থেকে সংগ্রহ করে রাজ্যগুলোর মধ্যে সমভাবে বণ্টন করে দিতে পারত। রাজ্যগুলো ঋণবাবদ ২.৩৫ লক্ষ কোটি টাকা অর্থ সংগ্রহ করবে আর কেন্দ্র নিজের হাত গুটিয়ে নেবে - এ ব্যবস্থা যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোর পরিপন্থী। কিন্তু কেন কেন্দ্র নিজে ঋণ সংগ্রহ করছে না এবং তা রাজ্যগুলোর মধ্যে বণ্টন করে দিচ্ছে না?

অথচ কেন্দ্র নিজে ঋণ সংগ্রহ করলে দু’টি সুবিধার দৃষ্টান্ত স্থাপিত হতো। প্রথম এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সুবিধা হলো সাংবিধানিক আইনকে মান্যতা দেওয়ার গণতান্ত্রিক বাধ্যবাধকতাকে তুলে ধরা হতো ও এই ধরনের প্রতিশ্রুতিভঙ্গের ঘটনা ঘটত না। দ্বিতীয়ত, কেন্দ্রের হাতে বিপুল সাংবিধানিক ক্ষমতা থাকায় কেন্দ্র ঋণ নিশ্চিন্তে পরিশোধ করার উপায় খুঁজে নিতে পারত এবং ঋণভঙ্গের কোনো আশঙ্কা থাকত না। বাস্তবিকই, কেন্দ্র রাজ্যগুলিকে কোনো ক্ষতির পথে না ঠেলেই ঋণ সংগ্রহ করতে পারত।

কেন্দ্র নিজেদের পদক্ষেপের সমর্থনে দু’টি যুক্তি দিয়েছে এবং এই দু’টি যুক্তিই একদম অর্থহীন। প্রথম যুক্তি হলো প্যানডেমিকের জন্য জিএসটি বাবদ আয় সংগ্রহে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এখানে কেন্দ্রের কোনো হাত নেই - ঈশ্বরের হাত রয়েছে। কাজেই কেন্দ্রকে এ ব্যাপারে দোষ দেওয়া যাবে না। এখন দায়িত্বজ্ঞানের অভাবের জন্যই ঈশ্বরের হাতের আবির্ভাব হচ্ছে! পুঁজিবাদের স্বকীয় রীতি ও ভঙ্গিমা অনুযায়ীই তারা তাদের মুনাফা সর্বোচ্চ করার প্রচেষ্টা গ্রহণ করেছে, সেখানে ঈশ্বরের হাত নেই। এটা পুঁজিবাদের বৈশিষ্ট্য হতে পারে কিন্তু গণতান্ত্রিক সমাজব্যবস্থার মধ্যে নির্বাচিত একটি সরকারের বৈশিষ্ট্য হতে পারেনা। অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন ‘ঈশ্বরের হাত’ কথাটি উল্লেখ করে ভারতের যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোর যে বিভিন্ন স্তর রয়েছে এবং নির্বাচিত রাজ্য সরকারগুলোর সঙ্গে কেন্দ্রীয় সরকারের যে চুক্তি বা সম্পর্ক রয়েছে তাকে সরাসরি অস্বীকার করেছেন। কেন্দ্র এবং রাজ্যের মধ্যে চুক্তিকে কখনোই দু’টি পুঁজির মালিকানাধীন ব্যক্তির চুক্তি, এমন ভাবনা যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোয় মেনে নেওয়া যায় না। এটা চূড়ান্ত মর্মন্তুদ হাসির বিষয়, কারণ এই সরকার বারবার বলে এসেছে কো-অপারেটিভ ফেডারেলিজমের কথা।

কেন্দ্রের যুক্তি হলো যে, কেন্দ্র যদি ঋণসংগ্রহ করে জিএসটি বাবদ রাজ্যগুলোকে ক্ষতিপূরণ দেয় তাহলে কেন্দ্রের ঋণসংগ্রহ বাবদ ব্যয় অনেক বেড়ে যাবে এবং অর্থনীতিকে সামগ্রিকভাবে তা ক্ষতি করবে, কিন্তু অপরপক্ষে রাজ্যগুলো যদি নিজেরা ঋণসংগ্রহ করে, তাহলে ঋণসংগ্রহের পরিমাণ একা কেন্দ্রের ঘাড়ে এমন প্রভূত পরিমাণে চাপবে না। এই যুক্তির কোনো সারবত্তা নেই।

তাছাড়া কেন্দ্রীয় সরকার বাজার থেকে ঋণসংগ্রহ করবে না কেন এ ব্যাপারে কোনো নিরঙ্কুশ যুক্তি নেই। কারণ যেহেতু ঘটনাটা ঘটেছে ঈশ্বরের হাতজনিত কারণে, সেজন্যই সমগ্র ঋণ কেন্দ্রের সংগ্রহ করা উচিত। কেন্দ্রই পারে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়াকে রেপো রেট-এ ঋণ দেওয়ার নির্দেশ দিতে।

যদি ২.৩৫ লক্ষ কোটি টাকার সমস্তটাই কেন্দ্র রিজার্ভ ব্যাঙ্ক থেকে রেপো রেট-এ সংগ্রহ করত, তাহলে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের রিজার্ভ কারেন্সিতে বেশি চাপ পড়ত না এবং ২.৩৫ লক্ষ কোটি টাকাই রিজার্ভ ব্যাঙ্কের আর্থিক দায়বদ্ধতা হতো।

একটি সহজ উদাহরণ দিয়ে বিষয়টা পরিষ্কার করা যায়। মনে করা যাক, মানুষের হাতে এখন কোনো কারেন্সি নেই। কেবলমাত্র ব্যাঙ্ক ডিপোজিট রয়েছে। কেন্দ্র রাজ্যগুলোকে ১০০ টাকা জিএসটি’র ক্ষতিপূরণ বাবদ দিল। এর সবটাই ডিপোজিট হিসাবে ব্যাঙ্কে ফেরত আসবে। ব্যাঙ্কগুলো এই অতিরিক্ত সম্পদ ঋণ হিসাবে দিতে পারবে। এখন মনে করা যাক ব্যাঙ্কের ক্যাশ-রিজার্ভ রেশিও ১০ শতাংশ এবং ক্রেডিটের জন্য চাহিদা ব্যাঙ্কের দিক থেকে ৩০০ টাকা তাহলে ব্যাঙ্ক ৩০০ টাকা ধার দেবে এবং এর জন্য তাকে ক্যাশ রিজার্ভ রাখতে হবে ৪০ টাকার মতো যা ৪০০ টাকার ১০ শতাংশ। বাকি ৬০ টাকা যা ব্যাঙ্কের কাছে রয়েছে তা দিয়ে ব্যাঙ্ক রিজার্ভ ব্যাঙ্ক থেকে সরকারের সিকিউরিটি কিনতে পারবে। সুতরাং, লায়াবেলিটি বাড়বে কেবল মাত্র ৪০ টাকার মতো, এমনকি যদি কেন্দ্রীয় সরকার রিজার্ভ ব্যাঙ্ক থেকে ১০০ টাকা ধার করে।

রেপো রেট-এ কেন্দ্র ঋণ সংগ্রহ করলে আরও দু’টি সুবিধা হবে। প্রথমত, অতিরিক্ত সম্পদ রাজ্য সরকারগুলোকে ঋণবাবদ ব্যাঙ্কগুলোর মাধ্যমে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক থেকে ধার করতে হবে না। দ্বিতীয়ত, অতিরিক্ত অর্থ জোগান হওয়াতে অর্থনীতিতে সুদের হারও কমে যাবে। এই অতিরিক্ত অর্থ জোগান হওয়াতে এখন যেহেতু ভারতীয় অর্থনীতি এক ভয়ঙ্কর মন্দার মধ্যে দিয়ে চলেছে এই দু’টি পদক্ষেপই আজকে অর্থনৈতিক অগ্রগতিতে কাম্য পদক্ষেপ বলে বিবেচনা করা যায়।

অন্যভাবে বলা যায় জিএসটি বাবদ ক্ষতিপূরণের বাধ্যবাধকতা মান্য করার জন্য রিজার্ভ ব্যাঙ্ক থেকে রেপো রেট-এ ঋণসংগ্রহ এক ঢিলে অনেকগুলি পাখিকে মেরে ফেলবে। প্রথমত, ২০১৭ সালে সংসদে পাস হওয়া জিএসটি সংক্রান্ত আইন কেন্দ্রকে অমান্য করতে হবে না, দ্বিতীয়ত, এতে রাজ্য সরকারগুলোর উপর কোনো চাপ পড়বে না এবং এর ফলে যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো শক্তিশালী হবে এবং তৃতীয়ত, এই পদক্ষেপ মন্দা থেকে ভারতীয় অর্থনীতিকে উত্তরণে সাহায্য করবে, কিন্তু অর্থনীতির সীমাবদ্ধ বোঝাপড়া নিয়ে মোদী সরকার যেভাবে চলছে এবং রাজ্যগুলোর প্রতি তাদের সংকীর্ণ সহানুভূতি আমরা দেখছি তাতে বোঝা যাচ্ছে যে, ভালো দিকগুলো তাদের আর চোখে পড়ছে না।

জিএসটি কাউন্সিলের সভায় বড়ো বড়ো রাজ্যগুলোর সবাই (শুধুমাত্র কয়েকটি বিজেপি শাসিত রাজ্য ছাড়া) কেন্দ্রের এই প্রস্তাবকে নাকচ করেছে। রাজ্যগুলো কিছুতেই জিএসটি’র ক্ষতিপূরণ করার জন্য ঋণসংগ্রহ করতে রাজি নয়। কেরালা সরকার সরাসরি কেন্দ্রের এই প্রস্তাবের বিরোধিতা করেছে। সহযোগিতামূলক যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো বজায় রাখার স্বার্থে রাজ্যগুলোর পাওনা কেন্দ্রের মিটিয়ে দেওয়া উচিত এবং অত্যন্ত জরুরি।

ভাষান্তরঃ অমর বন্দ্যোপাধ্যায়