E-mail: deshhitaishee@gmail.com  | 

Contact: +91 33 2264 8383

৫৮ বর্ষ ২৬ সংখ্যা / ১২ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ / ২৯ মাঘ, ১৪২৭

ত্রিপুরার চিঠি

ভালো নেই ত্রিপুরা

হারাধন দেবনাথ


ত্রিপুরায় ভালো সরকার চলছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী পশ্চিমবঙ্গে প্রচারে এসে এরকম দাবি করেছেন। প্রধানমন্ত্রীর দাবি কতটা সঠিক তা মানুষের অভিজ্ঞতায় রয়েছে। ২০১৮ সালে ত্রিপুরা বিধানসভা নির্বাচনের আগে প্রধানমন্ত্রী, কেন্দ্রীয় মন্ত্রীসভার গুরুত্বপূর্ণ সদস্য, বিজেপি’র সর্বভারতীয় নেতৃত্ব প্রচারে এসেছিলেন। প্রচারের বন্যা এমনভাবে ছুটিয়েছিলেন যে, চাঁদ চাইলে চাঁদও দেওয়া হবে। ‘ভিশন ডকুমেন্ট’-এ ২৯৯টি প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল। এরমধ্যে কোন্‌ প্রতিশ্রুতি কার্যকর হয়েছে? একটিও নয়। বুর্জোয়া দলগুলি নির্বাচন এলে আকাশকুসুম স্নপ্ন দেখায়। যা কখনো সম্ভব নয়, তাও বলে। কারণ ওদের প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের কোনো দায় নেই। ভোট পাওয়ার জন্য প্রতিশ্রুতি। ভোট আদায় হয়ে গেলে সেই প্রতিশ্রুতির আর কোনো মূল্য থাকে না।

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কি মনে আছে কালো টাকা উদ্ধার করে প্রত্যেকের অ্যাকাউন্টে ১৫ লক্ষ টাকা দেওয়ার কথা। একজন দেখান তো যার অ্যাকাউন্টে এই টাকা যুক্ত হয়েছে। কেন্দ্র ও রাজ্যে একই সরকার হলে নাকি উন্নয়ন হবে। কিন্তু কেন্দ্রই যেখানে মানুষের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করে সেখানে একই দলের রাজ্য সরকার কি করবে? কেন্দ্রীয় সংস্থায়, মন্ত্রকে লক্ষ লক্ষ শূন্যপদ। পূরণ হচ্ছে না। উলটে বাতিল হয়ে যাচ্ছে। আত্মনির্ভরতার স্লোগানের আড়ালে দেশের সম্পদই বিক্রি করে দেওয়া হচ্ছে। রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা ধ্বংস করে দেওয়া হচ্ছে। এই যখন অবস্থা তখন একজন বেকার কোথায় কাজ পাবেন? অথচ পশ্চিমবঙ্গে চাকরির নামে ফর্ম বিলি হচ্ছে। ত্রিপুরায়ও চাকরির প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল। মিস কল দিলেই নাকি চাকরি মিলবে। আর আজকের অভিজ্ঞতা কি। ইন্টারভিউ দেওয়ার জন্য প্রস্তুতি নেওয়া যুবক-যুবতীদের ইন্টারভিউ’র ৪৮ ঘণ্টা আগে বলা হচ্ছে - পুরো প্রক্রিয়া বাতিল করা হয়েছে। তাই যদি হয় তাহলে কেন ইন্টারভিউ’র ফর্ম নেওয়া হলো? শূন্যপদ তুলে দেওয়া হচ্ছে। ২০০-৩০০ টাকায় ইন্টারভিউ’র ফর্ম কিনতে হচ্ছে একজন কর্মহীনকে। প্রধানমন্ত্রীর মতো ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রীও সাফল্যের ঢাক পেটান। মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব দাবি করেন ৯০ হাজার চাকরি দেওয়া হয়ে গেছে। ৪০ লক্ষ জনসংখ্যার রাজ্যে ৯০ হাজার চাকরি কম নয়। কিন্তু ঘটনা কি তাই? কোথায়, কার চাকরি হলো? বামফ্রন্ট বিধায়কদের প্রশ্নের জবাবে পরবর্তী সময়ে তিনি জানান, ২৩ হাজার চাকরি দিয়েছেন। কার হয়েছে, কোন্‌ সময় ইন্টারভিউ নেওয়া হলো? জবাব নেই। ত্রিপুরায় বেকারির হার ৩১ শতাংশের বেশি। প্রধানমন্ত্রী কি জানেন পূর্বতন বামফ্রন্ট সরকারের সময় ‘জাইকা’ প্রকল্পে ৩-৪ হাজার মানুষের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হয়। বিজেপি সরকারের আসার পর তাদের ছাঁটাই করে দেয়। রেগা প্রকল্পে গ্রাম রোজগার সেবকদের ছাঁটাইয়ের চেষ্টা হয়। ৩১ টিপিএসকিউ’র অস্থায়ী কর্মীকে এই সময়ে ছাঁটাই করা হয়েছে। এভাবে অনেক অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী সহায়িকার রুটি-রুজি কেড়ে নেওয়া হয়েছে। আশা কর্মী ছাঁটাইয়ের জন্য বিজেপি’র মণ্ডল অফিসে ডে‍‌কে নিয়ে কর্তৃপক্ষকে চাপ দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। নানাভাবে ৩-৪ হাজার অস্থায়ী কর্মী ছাঁটাই করার মধ্য দিয়ে ত্রিপুরায় কী ভালো দেখলেন প্রধানমন্ত্রী?

পূর্বতন বামফ্রন্ট সরকারের সময় ৩৫টি সামাজিক ভাতা চালু হয়। এরমধ্যে অধিকাংশ রাজ্যের নিজস্ব। ভাতা প্রাপকদের প্রলুব্ধ করতে বিজেপি’র প্রতিশ্রুতিতে বলা হয় দু’হাজার টাকা ভাতা দেওয়া হবে। কিন্তু বেড়েছে মাত্র ৩০০। ৫০ হাজার ভাতা প্রাপকের নাম তালিকা থেকেই বাদ দেওয়া হয়েছে। সপ্তম পে-কমিশনের ললিপপ হাজির করা হয়েছিল ভিশন ডকুমেন্টে। কি হয়েছে? সপ্তম কমিশনের আশা শিক্ষক-কর্মচারীরা ছেড়েই দিয়েছেন। ডিএ দেওয়াই বন্ধ। কেন্দ্রীয় সরকারের ফরমানে ‍‌জিপিএফ-এ সুদ কমেছে প্রায় এক শতাংশ। রাজ্য অর্থ দপ্তরের বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, জিপিএফ’র সুদের হার হবে ৭.১০ শতাংশ। আগের বছর ছিল ৭.৯০ শতাংশ। একদিকে ডিএ বন্ধ, অন্যদিকে সঞ্চিত অর্থের সুদ হ্রাস করা হলো। তাও আবার তিন মাস অন্তর অন্তর কমতে পারে এমন ইঙ্গিতও রয়েছে।

চাকরিচ্যুত ১০,৩২৩ শিক্ষকদের কি মিলেছে? পুলিশের লাঠি, জলকামান, টিয়ার গ্যাস। ব্যাপকভাবে দমনপীড়ন করা হয়েছে তাঁদের কাজ ফিরে পাবার আন্দোলন দাবিয়ে দিতে। অবস্থানস্থল গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে ফ্যাসিস্টসুলভ কায়দায়। অথচ সমস্যার স্থায়ী সমাধান করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে সরকারে এসেছে বিজেপি।

রেগায় কাজের সাফল্যের জন্য ত্রিপুরা পুরস্কৃত হয়েছিল পূর্বতন বামফ্রন্ট সরকারের সময়। ৩০০ টাকা মজুরি ও ২০০ দিন কাজ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি কি মনে পড়ে প্রধানমন্ত্রী বা বিজেপি’র শীর্ষ নেতৃত্বের? কিন্তু কোনোটাই হয়নি। বাড়েনি কাজ, মজুরি। সরকারি নির্মাণ কাজ কার্যত বন্ধ। পূর্বতন বামফ্রন্ট সরকারের সময় শুরু হওয়া কিছু কাজের উদ্বোধন করে জোট মন্ত্রীরা বলছেন - ২৫ বছর বামফ্রন্ট সরকার কিছুই করেনি। নতুন কাজ কোথায়? নতুন প্রকল্প কোথায় বাস্তবায়ন হয়েছে? এইসব প্রশ্নের উত্তর নেই। সাধারণ কৃষক গভীরভাবে সংকটে। কৃষি শ্রমিকদের কাজ মিলছে না। অন্য অংশের শ্রমিকদের কাজের জায়গায় হাহাকার। রেগার কাজ অনেক কমে গেছে। যা কাজ হচ্ছে তাতে ভাগ বসাচ্ছে বিজেপি’র স্থানীয় নেতৃত্ব। শ্রমিকের পরিবর্তে ড্রেজার দিয়ে কাজ করানো হচ্ছে। তাহলে শ্রমিক কোথায় যাবেন? এরপরও প্রধানমন্ত্রী বলছেন ত্রিপুরায় ভালো কাজ হচ্ছে?

নেশা করবার, চুরি, ছিনতাইয়ের নতুন হাবের নাম ত্রিপুরা। নেশা মুক্ত রাজ্যের ঘোষণা করেছিল বিজেপি জোট সরকার। এখন গোটা রাজ্য নেশার সমুদ্রে ভাসছে। নেশা কারবারিদের পুরো মদত মিলছে পুলিশ প্রশাসন ও সরকারিভাবে। এমনই অভিযোগ রাজ্যবাসীর। যুবক-যুবতীরা নেশাগ্রস্ত হয়ে পড়ছে। নেশা সামগ্রী সংগ্রহ করতে শুরু হয়েছে ছিনতাই। বাইকে এসে, গাড়ি করে এসে মহিলাদের অলঙ্কার, মানুষের মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নিচ্ছে দুষ্কৃতীরা। প্রতিদিন এমন ঘটনা ঘটলেও পুলিশ কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না বলে অভিযোগ। এক অরাজক অবস্থা কায়েম হয়েছে।

কাজ-খাদ্যের এতটা সংকট - ত্রিপুরা কবে দেখেছে? বামফ্রন্ট সরকারের সময় কাজ মানুষকে খুঁজেছে। অনাহার-অর্ধাহার শব্দ শোনা যায়নি। দূরবর্তী জনপদের মানুষকেও খাদ্যের সংকটে পড়তে হয়নি। কিন্তু আজ? জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কচু প্রজাতির গন্ধকী খুঁজতে যেতে হয় গভীর জঙ্গলে, সীমান্তের ওপারে। শুরু হয়েছে ভাতের কান্না। পূর্বতন বামফ্রন্ট সরকারের সময় বহু উপজাতি পরিবার রাবার বাগানের মালিক হয়েছিলেন রাজ্য সরকার বা বামফ্রন্ট পরিচালিত এডিসি প্রশাসনের সহযোগিতায়। জোট সরকার কি হিসেব দিতে পারবে ক’টা জুমিয়া পরিবার রাবার বাগানের মালিক হয়েছে?

গ্রামীণ যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নয়নে সরকারের সদর্থক ভূমিকা কোথায়? ক’টা গ্রামীণ রাস্তা সংস্কার হয়েছে বা নতুন রাস্তা হয়েছে? উত্তর মিলবে নেতিবাচক। পানীয় জল ব্যবস্থা উন্নয়নে জোট সরকারের কি কোনো পরিকল্পনা আছে? পুরনো ব্যবস্থাই ভেঙে পড়ছে। স্বাস্থ্য পরিষেবার যেটুকু সুযোগ পূর্বতন বামফ্রন্ট সরকার সৃষ্টি করেছিল তা ভেঙে পড়েছে। চিকিৎসক বা স্বাস্থ্যকর্মী শূন্য বহু ডিসপেনসারি রয়েছে। শিক্ষার যে সুযোগ সম্প্রসারিত হয়েছিল তা ক্রমে ক্রমে হারিয়ে যেতে বসেছে। নোটিশ, সার্কুলার দিয়ে শিক্ষার দায় ঝেড়ে ফেলছে সরকার।

প্রতিবাদ করার অধিকার পর্যন্ত কেড়ে নেওয়া হচ্ছে। রাজ্যে চালু হয়েছে এসমা। সরকারের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে মিছিল করার অধিকার পর্যন্ত কেড়ে নেওয়া হচ্ছে। বিরোধী দলের বহু অফিস গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। সরকারের বিরোধী স্বরই আক্রান্ত। ত্রাসের পরিবেশ জিইয়ে রেখেছে জোট সরকার। যাতে মানুষ মুখ খুলতে সাহস না পান। ত্রিপুরার পূর্বতন মুখ্যমন্ত্রী, বর্তমান বিরোধী দলনেতা মানিক সরকার লোকসভা নির্বাচন উপলক্ষে প্রকাশ্য সভায় অংশ নিতে গিয়ে বাধাপ্রাপ্ত হয়েছেন। কাজ-খাদ্যের সংকটে জর্জরিত মানুষের সাথে দেখা করতেও বাধা দেওয়া হচ্ছে বামফ্রন্টের পরিষদীয় দলকে। অন্তত ১৫ বার বিরোধী দলনেতার নেতৃত্বে বিরোধী দলের বিধায়কদের প্রতিনিধিদল মানুষের সাথে সাক্ষাৎ করতে গিয়ে বাধার সম্মুখীন হয়েছে। বি‍‌রোধীদলের উপনেতা বাদল চৌধুরী কর্মসূচিতে অংশ নিতে গিয়ে ১০ বারের বেশি অবরোধ বা আক্রমণের মুখে পড়েছেন। বামফ্রন্ট বিধায়ক ভানুলাল সাহা, রতন ভৌমিক, ইসলামউদ্দিন সহ অন্যরা আক্রমণের মুখে পড়েছেন। জনগণের সঙ্গে কথা বলতে দেওয়া হচ্ছে না। গণতন্ত্রকে এতো ভয় বিজেপি’র! জনপ্রিতিনিধিরা এভাবে আক্রমণের শিকার হলে সাধারণ মানুষের অবস্থা কি তা সহজেই অনুমেয়। প্রধানমন্ত্রীর চোখে কি এই সবই গণতন্ত্রের মডেল? সরকারি তথ্যে বলা হয়েছে ২০২০ সালের ২৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত ডাকাতি-১২, চুরি-৩৬০, ছিনতাই-১৩৮, খুন-১১৬, অস্বাভাবিক মৃত্যু-৩৬৩, যান দুর্ঘটনায় মৃত্যু-১২৬, ধর্ষণ (মামলা) - ২৫৩ এবং অপহরণ (মামলা)- ১২০টি, দাঙ্গা (মামলা)-৮৩। এটা সরকারি তথ্য হলেও সব ঘটনা প্রকাশ্যে আসে না। শাসকদলের কর্মীদের হুমকির মুখে সাধারণ মানুষ থানায় লিখিত অভিযোগ জানাতে সাহস দেখাচ্ছেন না। নারী নির্যাতনের নৃশংসতা বেড়েছে। বেড়েছে অপরাধ। চুরি-ডাকাতি-রাহাজানি বেড়েছে। পুলিশকে স্বাধীনভাবে কাজ করতে দেওয়া হচ্ছে না। ‘দলদাস’ বাহিনীতে পরিণত করার চেষ্টা চলছে। দমবন্ধকর অবস্থায় রুটি-রুজির সংকটে দিশেহারা মানুষ প্রতিদিন টের পাচ্ছেন কি সরকার চলছে। দ্রব্যমূল্য বাড়ছে লাগামহীনভাবে। সরকার শীতঘুমে। বেড়েছে আত্মহত্যার প্রবণতা। এত মৃতদেহ উদ্ধারের ঘটনা কোনোদিন ঘটেনি। অথচ প্রধানমন্ত্রী প্রচার করছেন বিজেপি’র নেতৃত্বে ত্রিপুরায় ভালো সরকার চলছে। কোন্‌টা ভালো, কোন্‌টা মন্দ তা বিচার করার ক্ষমতা নিশ্চয়ই ত্রিপুরার মানুষের আছে। অভিজ্ঞতাই বড়ো শিক্ষক।

অভিজ্ঞতার আলোকে ত্রিপুরার মানুষ ঘুরে দাঁড়াচ্ছেন। ভয়কে জয় করে শাখান পাহাড় থেকে বাংলাদেশ সীমান্ত সাব্রুমের মানুষ লড়াইয়ে নেমেছেন। বিজেপি-আইপিএফটি জোট সরকারের কাছে মানুষ জানতে চাইছেন ‘ভিশন ডকুমেন্ট’-এর প্রতিশ্রুতিগুলির কী হলো? প্রতিশ্রুতি মতো চাকরি দেওয়ার পরিবর্তে শূন্যপদ অবলুপ্ত করা হচ্ছে কেন? বেকারের কাজ নেই কেন? গ্রাম-পাহাড়ে কাজ ও খাদ্য সংকট কেন? কোনো প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার মুরোদ নেই শাসকের। মিথ্যাচারই ওদের পুঁজি। পশ্চিমবঙ্গের নির্বাচনের মুখে প্রতিশ্রুতির বন্যা ছুটছে। বিভ্রান্ত হলে সর্বনাশ। তৃণমূল কংগ্রেসের বিকল্প বিজেপি নয়। বামপন্থীরাই বিকল্প দেখাতে পারে। অতীতে সরকারে থেকে দেখিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ, ত্রিপুরা। বর্তমানে কেরালায় দেখাচ্ছে সিপিআই(এম) নেতৃত্বাধীন এলডিএফ সরকার।