৫৯ বর্ষ ১ সংখ্যা / ১৩ আগস্ট, ২০২১ / ২৭ শ্রাবণ, ১৪২৮
জেলায় জেলায় প্রতিবাদ-বিক্ষোভ মিছিলের মধ্য দিয়ে ‘ভারত বাঁচাও দিবস’ পালিত
তমলুকে জেলাশাসকের দপ্তরের সামনে বামপন্থী গণসংগঠনের কর্মীরা জেল ভরো কর্মসূচিতে শামিল।
নিজস্ব সংবাদদাতাঃ ৯ আগস্ট সারা দেশের সঙ্গে এরাজ্যও ‘ভারত বাঁচাও দিবস’ উপলক্ষে শ্রমিক-কৃষকদের বিক্ষোভ-সমাবেশে-মিছিলে উত্তাল হয়েছে। এদিন পুলিশের গ্রেপ্তারির ভ্রূকুটি উপেক্ষা করে ব্যারিকেড ভেঙে প্রতিটি জেলা, মহকুমা, ব্লকে শ্রমিক-কৃষক-খেতমজুররা বিক্ষোভ-মিছিল সংগঠিত করেছেন। এই কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে এদিন রাজ্যের সর্বত্র মোদী সরকারের দেশবিরোধী, শ্রমিক-কৃষক বিরোধী নীতির বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ ধ্বনিত হয়েছে। সর্বত্র স্লোগান উঠেছে কেন্দ্রের সর্বনাশা তিন কৃষি আইন ও শ্রমকোড বাতিল করো, কর্পোরেট লুঠ বন্ধ করো, মোদী সরকার হঠাও দেশ বাঁচাও ইত্যাদি।
এদিনের এই কর্মসূচি উপলক্ষে কলকাতার ধর্মতলায় লেনিন মূর্তির সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ সংগঠিত হয়েছে। উপস্থিত ছিলেন সিআইটিইউ’র পশ্চিমবঙ্গ কমিটির সাধারণ সম্পাদক অনাদি সাহু, সারা ভারত কৃষক সভার রাজ্য সভাপতি সঞ্জয় পূততুণ্ড, আইএনটিইউসি’র রাজ্য সভাপতি কামারুজ্জামান কামার সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ। অনাদি সাহু তাঁর বক্তব্যে উল্লেখ করেন, মোদী সরকার দেশের রাষ্ট্রায়ত্ত ক্ষেত্রকে বেসরকারি হাতে তুলে দিচ্ছে। পেগাসাস স্পাইওয়্যার ব্যবহার করে বিরোধী রাজনৈতিক নেতা ও ট্রেড ইউনিয়ন সংগঠক এমনকি সাংবাদিকদেরও নজরদারিতে রাখা হচ্ছে, দেশদ্রোহী তকমা সেঁটে দেওয়া হচ্ছে সমাজকর্মীদের, তার বিরুদ্ধে এবং শ্রমকোড বাতিলের দাবিতে দেশের মানুষ গর্জে উঠছেন।
সমাবেশে সঞ্জয় পূততুণ্ড বলেন, টানা আটমাস ধরে দিল্লি সীমান্তে শীত, গ্রীষ্ম, বর্ষা পেরিয়ে কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে কৃষকেরা অবস্থান বিক্ষোভ করছেন। হাজার চেষ্টা করেও আন্দোলনকে ভেঙে দেওয়া যায়নি।
আইএনটিইউসি নেতা কামারুজ্জামান কামার বলেন, আজ দেশজুড়ে আওয়াজ উঠেছে আরএসএস-বিজেপি সরকার ছাড়ো। কেন্দ্রের সরকার একতরফাভাবে জোর করে একের পর এক জনবিরোধী বিল সংসদে পাশ করিয়ে নিচ্ছে। কেন্দ্রের কৃষি আইন, শ্রমকোড কিছুই মেনে নেবেনা দেশের শ্রমিক-কৃষকরা। এদিন এছাড়াও বক্তব্য রাখেন এআইসিসিটিইউ নেতা বাসুদেব বসু, টিইউসিসি নেতা গণেশ রাম, এইচএমএস নেতা বি সি পাল,ইউটিইউসি নেতা দীপক সাহা, এআইইউটিইউসি নেতা অশোক দাস, বিএসএনএল কর্মচারী সংগঠনের পক্ষে অনিমেষ মিত্র, বিইএফআই’র পক্ষে জয়দেব দাশগুপ্ত, এআইডিডব্লিউএ’র রাজ্য সম্পাদিকা কনীনিকা ঘোষ।
এদিনের এই কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে বামপন্থী শ্রমিক-কৃষক সংগঠনগুলির প্রতিবাদ বিক্ষোভ মিছিলে উত্তাল হয় পূর্ব মেদিনীপুর জেলা। শ্রমিকবিরোধী শ্রমকোড, কৃষকবিরোধী কৃষি আইন, বিদ্যুৎ বিল বাতিল, কৃষি পণ্যের উৎপাদনের খরচের দেড়গুণ সহায়ক মূল্যে ফসল সংগ্রহ, একশো দিনের কাজের প্রকল্পে ৬০০ টাকা মজুরি এবং ২০০ দিনের কাজ নিশ্চিত করা, আয়করের আওতার বাইরে প্রতিটি পরিবারকে ৭৫০০ টাকা প্রদান ও প্রত্যেককে ১০ কেজি করে খাদ্যশস্য প্রদান, বিনামূল্যে সর্বজনীন টিকাকরণ, রাষ্ট্রায়ত্ত ক্ষেত্রগুলির বেসরকারিকরণ ও বিলগ্নিকরণ বন্ধ করা,পেট্রোপণ্য, ভোজ্যতেল সহ নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি রোধ সহ বিভিন্ন দাবিতে এদিন পূর্ব মেদিনীপুর জেলাশাসকের দপ্তরের সামনে আইন অমান্য কর্মসূচি হয়। এই কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে কয়েক হাজার মানুষ নিমতৌড়ি মোড় থেকে জেলাশাসকের দপ্তর পর্যন্ত দীর্ঘ মিছিল করে। সেখানে পুলিশবাহিনী ও রাফ মিছিল আটকে দেয়। ব্যারিকেড ভেঙে মিছিল এগোতে গেলে পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি শুরু হয়। পুলিশের ধাক্কাধাক্কিতে পড়ে গিয়ে বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। সেখানে বেশ কয়েকজন নেতাসহ বামপন্থী কর্মীদের পুলিশ গ্রেপ্তার করে। এই গ্রেপ্তারির প্রতিবাদে বিক্ষোভে ফেটে পড়েন মিছিলে অংশগ্রহণকারীরা। পরে অবশ্য সবাইকে ছেড়ে দিতে বাধ্য হয় পুলিশ প্রশাসন।
এদিন মিছিল শুরুর আগে নিমতৌড়ি মোড়ে এক সংক্ষিপ্ত সভায় বক্তব্য রাখেন জেলা বামফ্রন্টের আহ্বায়ক নিরঞ্জন সিহি, কৃষক সভার জেলা সম্পাদক সত্যরঞ্জন দাস, ইউটিইউসি নেতা অমৃত মাইতি সহ অশ্বিনী সিনহা, চিত্তদাস ঠাকুর, আইএনটিইউসি নেতা মদনমোহন জানা প্রমুখ। সভাপতিত্ব করেন সিআইটিইউ জেলা সম্পাদক সুব্রত পন্ডা। উপস্থিত ছিলেন ছাত্র, যুব, মহিলা, কৃষক, শ্রমিক সহ বিভিন্ন বামপন্থী গণসংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
এদিন পশ্চিম বর্ধমান জেলায় ‘ভারত বাঁচাও দিবস’কে কেন্দ্র করে ৩০টি জায়গায় মানুষ পথে নামেন। রানিগঞ্জ, আসানসোল, বার্নপুর, দুর্গাপুর প্রভৃতি স্থানে বিক্ষোভ-অবস্থান কর্মসূচিতে শামিল হন অগণিত মানুষ। এদিনের কর্মসূচিতে খেতমজুর সহ ছাত্র, যুব, মহিলারাও শামিল হয়েছিলেন। এদিন বার্নপুরে সিআইটিইউ’র উদ্যোগে বিশাল বিক্ষোভ-মিছিল হয়েছে। মিছিল শেষে বার্নপুর বাসস্ট্যান্ডে বিক্ষোভ অবস্থান চলে। সিআইটিইউ জেলা সাধারণ সম্পাদক বংশগোপাল চৌধুরী সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।
পূর্ব বর্ধমান জেলার ৪টি মহকুমাতেই ‘ভারত বাঁচাও দিবস’ কর্মসূচিতে কৃষক, খেতমজুর, শ্রমিকরা ঐক্যবদ্ধভাবেই প্রতিবাদ কর্মসূচিতে অংশ নেন। বর্ধমান শহর ছাড়াও কালনা, কাটোয়াতে শ্রমজীবী মানুষ প্রতিবাদ কর্মসূচির পর মানব বন্ধনে অংশ নেন। এদিন বর্ধমানের কার্জন গেটের সামনে প্রতিবাদ কর্মসূচিতে জমায়েত ছিল চোখে পড়ার মতো। এখানে বক্তব্য রাখেন কৃষকনেতা অমল হালদারসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
এদিন পুরুলিয়া জেলায় কেন্দ্রীয় সরকারের কৃষিনীতি ও কর্পোরেটদের হাত থেকে দেশকে রক্ষা করার আহ্বান জানিয়ে পুরুলিয়া, ঝালদা, মানবাজার এবং রঘুনাথপুরে ‘ভারত বাঁচাও’ কর্মসূচি পালিত হয়েছে। ঝালদা বাঁধাঘাটে অবস্থান বিক্ষোভ কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন সিআইটিইউ জেলা সম্পাদক হারাধন ব্যানার্জি, ইউটিইউসি নেতা বীরেন মাহাতো, সিআইটিইউ’র ভীমকুমার প্রমুখ। পুরুলিয়া শহরে মিছিল শেষে ট্যাক্সি স্ট্যান্ডে বিক্ষোভসভায় বক্তব্য রাখেন সিআইটিইউ’র প্রদীপ রায়, ইউটিইউসি’র দীপক দাস, এসএফআই’র জেলা সম্পাদক সুব্রত মাহাতো।
এদিন শিলিগুড়ি শহরে এই কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে শিলিগুড়ি কর্পোরেশনের উলটো দিকে বিক্ষোভ সমাবেশ হয়েছে। এই জমায়েতে মিড ডে মিল, পরিবহণ, মেডিক্যাল অ্যান্ড সেলস রিপ্রেজেন্টেটিভস সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রের কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। এখান থেকে একটি মিছিল বেরিয়ে বড়ো ডাকঘরের সামনে আসে। বক্তব্য রাখেন সিআইটিইউ’র জেলা সম্পাদক সমন পাঠক। এদিন কার্শিয়াঙেও মহকুমাশাসকের দপ্তরের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ হয়। কৃষক বিরোধী কৃষি আইন বাতিলসহ রোহিনী, গাড়িধুরা ও দুধিয়াতে অবিলম্বে জমির পাট্টা প্রদান, পাহাড়ে সবার জন্য ভ্যাকসিনের ব্যবস্থা করা, স্কুল কলেজ খোলা, নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম কমানোর দাবিও তোলা হয়। বক্তব্য রাখেন প্রবীণ নেতা ভরত প্যাটেল সহ ডিওয়াইএফআই জেলা সভাপতি শচীন গাতি প্রমুখ।
এদিন সিআইটিইউ, কৃষক সভা ও সারা ভারত খেতমজুর ইউনিয়নের ডাকে জলপাইগুড়ি জেলায় বিভিন্ন ব্লকে বিক্ষোভ মিছিল হয়েছে। জলপাইগুড়ি সদর ব্লক অফিসে ডেপুটেশন দেওয়া হয়। এর সঙ্গে ৩৫০ জন খেতমজুরের ১০০ দিনের কাজের আবেদনপত্রও জমা করা হয়। মানুষের জীবনজীবিকার স্বার্থে আন্দোলনকে তীব্র করার আবেদন জানিয়ে বক্তব্য রাখেন গণআন্দোলনের নেতা সলিল আচার্য।
আলিপুরদুয়ার জেলায় কুমারগ্রাম দুয়ারবাজারে একটি মিছিল এলাকা পরিক্রমা করে। পোস্ট অফিসের সামানে বিক্ষোভ সভা হয়। দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বালুরঘাটে জেলাশাসকের দপ্তরের সামনে বিক্ষোভ দেখায় বামপন্থী কৃষক, শ্রমিক সহ অন্যান্য গণসংগঠনের কর্মীরা। জেলার বিভিন্ন ব্লক থেকে কৃষক, শ্রমিকরা জেলা প্রশাসনিক দপ্তরের সামনে বিক্ষোভ অবস্থানে অংশ নেন। বক্তব্য রাখেন সিপিআই(এম) জেলা সম্পাদক নারায়ণ বিশ্বাস,সিআইটিইউ জেলা সম্পাদক গৌতম গোস্বামী প্রমুখ।
এদিন ‘ভারত বাঁচাও দিবস’ উপলক্ষে উত্তর ২৪ পরগনা জেলায় বিক্ষোভ ও আইন অমান্য হয়েছে। জেলাশাসকের দপ্তরের সামনে আইন অমান্য আন্দোলন করতে গিয়ে প্রায় ৪০০ জনকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে এবং পরে ছেড়ে দেয়। তার আগে বারাসত চাঁপাডালি মোড়ে কিছুক্ষণ বিক্ষোভসভা হওয়ার পর মিছিল শুরু হয়। মিছিল জেলাশাসকের দপ্তরের সামনে এলে পুলিশ ব্যারিকেড করে মিছিলকে আটকে দেয়। মিছিলের পুরোভাগে ছিলেন গার্গী চ্যাটার্জি, আহমেদ আলি খান ও সোমা দাস সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ। তাঁদের নেতৃত্বে আইন অমান্য করে গ্রেপ্তার বরণ করেন প্রতিবাদকারীরা। উপস্থিত ছিলেন পার্টি নেতা নেপাল দেব ভট্টাচার্য, এসএফআই’র সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক ময়ূখ বিশ্বাস। চাঁপাডালিতে বিক্ষোভ কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন সিআইটিইউ’র জেলা সভাপতি সুভাষ মুখার্জি।
পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার বিভিন্ন স্থানেও ভারত বাঁচাও দিবস বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে পালিত হয়েছে। মেদিনপুর শহরে গান্ধী মূর্তির পাদদেশে সকাল দশটা থেকে বেলা দেড়টা পর্যন্ত চলা বিক্ষোভ অবস্থান কর্মসূচিতে কৃষক ও শ্রমিক নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন। বিক্ষোভ সভায় বক্তব্য রাখেন কৃষক নেতা তরুণ রায়, মেঘনাদ ভুঁইয়া প্রমুখ।
এদিন নদীয়া জেলার কৃষ্ণনগরে কালেক্টরেট মোড়ে জেলা প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান ও বিক্ষোভ সভা হয়েছে। এই কর্মসূচিতে জেলার প্রতিটি প্রান্ত থেকে কৃষক, খেতমজুর, শ্রমিক সহ সর্ব অংশের শ্রমজীবী মানুষ ও গণতন্ত্রপ্রিয় মানু ষঅংশ নেন। বক্তব্য রাখেন রমা বিশ্বাস, অলকেশ দাস, এসএম সাদী প্রমুখ।
কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের জনবিরোধী নীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে হুগলি জেলার চুঁচুড়া, চন্দননগর, শ্রীরামপুর ও আরামবাগ - এই চার মহকুমা এলাকায় অবস্থান ও বিক্ষোভসভা হয়। চুঁচুড়া বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন মজিদ মণ্ডল, রামকৃষ্ণ রায়চৌধুরী, মনোদীপ ঘোষ, আমজাদ হোসেন, বন্যা টুডু, অরিন্দম ভট্টাচার্য প্রমুখ। চন্দননগর মহকুমা শাসকের দপ্তরের সামনে অবস্থান বিক্ষোভ কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন আবদুল হাই, দেবদাস চ্যাটার্জি, সুফল মাণ্ডি, স্নেহাশিস রায় প্রমুখ। আরামবাগ নেতাজি স্কোয়ারে বিক্ষোভ সভায় বিভিন্ন দাবির ব্যাখ্যা করেন অসিত মুখার্জি। শ্রীরামপুর মহকুমা কার্যালয়ের সামনে অবস্থান বিক্ষোভে বক্তব্য রাখেন শান্তশ্রী চ্যাটার্জি, ভক্তরাম পান সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
হাওড়ায় পুলিশের ব্যারিকেড ভাঙার চেষ্টায় জেলাশাসকের দপ্তরের সামনে বামপন্থী গণসংগঠনের কর্মীরা।
এদিন হাওড়া ময়দানে বিবেকানন্দ মূর্তির কাছে সমবেত হয়ে মিছিল করে হাওড়া ফ্লাইওভারের নিচে জেলাশাসকের বাংলোর সামনে বিক্ষোভ সভা হয়। এখানে বক্তব্য রাখেন দীপক দাশগুপ্ত, পরেশ পাল, সমীর সাহা, মীনা ঘোষ মুখার্জি সহ বিভিন্ন গণ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। সভা শেষে সহস্রাধিক বামপন্থী কর্মী আইন অমান্য কর্মসূচিতে অংশ নেন। পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে এগিয়ে গেলে পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করে, পরে ছেড়ে দেবার কথা ঘোষণা করে।
দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার বারুইপুর, গড়িয়া, বিষ্ণপুরের বাখরাহাট, মন্দির বাজারের বিজয়গঞ্জ বাজার ও কাকদ্বীপ হাসপাতাল মোড় সহ পাঁচটি জায়গায় ভারত বাঁচাও দিবস উপলক্ষে বিক্ষোভ কর্মসূচি হয়েছে। বারুইপুর রেল ময়দান থেকে মিছিল শহর পরিক্রমা করে মহকুমা শাসকের দপ্তরের সামনে অবস্থান বিক্ষোভ কর্মসূচিতে অংশ নেয়। বারুইপুরের অবস্থান সভায় বক্তব্য রাখেন শমীক লাহিড়ী, তুষার ঘোষ, রতন বাগচী, অলোক ভট্টাচার্য প্রমুখ। সভা পরিচালনা করেন বিমল মিস্ত্রী। এদিন গড়িয়া মোড়ের কাছে অপর একটি অবস্থান কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন শমীক লাহিড়ী।