E-mail: deshhitaishee@gmail.com  | 

Contact: +91 33 2264 8383

৬০ বর্ষ ২২ সংখ্যা / ১৩ জানুয়ারি, ২০২৩ / ২৮ পৌষ, ১৪২৯

সরাসরি হিংসার ডাক দিলেন সঙ্ঘ প্রধান মোহন ভাগবত

তীব্র নিন্দা সিপিআই(এম) পলিট ব্যুরোর


নিজস্ব সংবাদদাতাঃ রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের প্রধান মোহন ভাগবত সরাসরি হিংসার প্ররোচনা দিয়ে ঘোষণা করেছেন, ‘হিন্দু সমাজ যুদ্ধে রয়েছে, যুদ্ধের সময়ে আগ্রাসী মনোভাবই থাকে’। নাম করেই মুসলিম জনসমষ্টিকে হুমকিও দিয়েছেন তিনি। সঙ্ঘের পত্রিকাগুলির সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে ভাগবত ‘দেশের মধ্যের শত্রুদের’ বিরুদ্ধে ‘যুদ্ধের’ ডাক দিয়েছেন।

সিপিআই(এম) পলিট ব্যুরো বুধবার, ১১ জানুয়ারি ভাগবতের এই জঘন্য মন্তব্যের তীব্র নিন্দা করে বলেছে, তাঁর এই বক্তব্য ভারতের সংবিধান, সকল নাগরিকের সমানাধিকার, আইনের শাসনের প্রতি খোলাখুলি চ্যালেঞ্জ। তিনি মুসলিম জনসমাজকে হুমকি দিয়ে বলেছেন, নিরাপদে থাকতে হলে তাদের ‘প্রাধান্যের’ ধারণা পরিত্যাগ করতে হবে। তথাকথিত ‘হিন্দু সমাজের’ আগ্রাসী মনোভাবকে বৈধতা দিতে তিনি তাঁর ধারণাসঞ্জাত ঐতিহাসিক অন্যায়ের কথা বলেছেন, হিন্দু সমাজ ‘যুদ্ধে রয়েছে’ বলে ঘোষণা করেছেন। ভাগবত কার্যত ভারতীয় নাগরিকদের একাংশের বিরুদ্ধে ধর্মীয় পরিচিতির বিরুদ্ধে হিংসার ডাক দিয়েছেন।

পলিট ব্যুরো বলেছে, বাস্তবে ‘হিন্দু সমাজ’ নয়, আরএসএস’র মতাদর্শে অনুপ্রাণিত ও ভাগবতের মতো নেতাদের মদতপ্রাপ্ত হিন্দুত্ব বাহিনী সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সাংবিধানিক ও আইনি অধিকারের ওপরে বিভিন্ন স্তরে অবিরত আঘাত নামিয়ে আনছে। সংখ্যালঘু অংশের মধ্যে আতঙ্কের মনোভাব তৈরি করছে। আরএসএস’র প্রাক্তন নেতা হেগড়েওয়ার ও গোলওয়ালকরের সাম্প্রদায়িকতার বিষাক্ত লেখনীতে যে ঘৃণার কথা বলা হতো ভাগবতের বিবৃতি তাকেই নতুন করে বলেছে। তাঁরাও বলতেন, মুসলিমরা ভারতে বাস করতে পারবে একমাত্র যদি অধীনতা স্বীকার করে নেয়।

পলিট ব্যুরো বলেছে, ধর্মনিরপেক্ষতা ও গণতন্ত্রের মৌলিক সাংবিধানিক মূল্যবোধের ওপরে এই জাতীয় আক্রমণের বিরুদ্ধে সমস্ত দেশপ্রেমিক মানুষের ঐক্যবদ্ধভাবে সোচ্চার হওয়া প্রয়োজন।

১১ জানুয়ারি আগরতলায় সাংবাদিক সম্মেলনে সিপিআই(এম)’র সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি বলেছেন, ভাগবতের বক্তব্য বড়ো হিংসার বার্তা দিচ্ছে। অত্যন্ত বিপজ্জনক বার্তা। ২০২৪-এর সাধারণ নির্বাচনের আগে দাঙ্গাহাঙ্গামা, সাম্প্রদায়িক বিষ ছড়ানো, সাম্প্রদায়িক মেরুকরণ ছাড়া বিজেপি’র কোনো উপায় নেই। সঙ্ঘ-বিজেপি ‘নফরত মেশিন’। মুসলিম, খ্রিস্টান, কমিউনিস্টদের বিরুদ্ধে, তেমন হলে দলিত ও আদিবাসীদের বিরুদ্ধে দাঙ্গা করাই এদের লক্ষ্য। ইয়েচুরি বলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি জি-২০’র বিষয়ে অনেক ভালো ভালো কথা বলছেন। বসুধৈব কুটুম্বকম আওড়াচ্ছেন। দেশের বাইরে গিয়ে তিনি গান্ধী, দেশের ভেতরে গডসে।