E-mail: deshhitaishee@gmail.com  | 

Contact: +91 33 2264 8383

৫৯ বর্ষ ৩৯ সংখ্যা / ১৩ মে, ২০২২ / ২৯ বৈশাখ, ১৪২৯

ডিওয়াইএফআই’র সর্বভারতীয় সম্মেলনের প্রকাশ্য সমাবেশ উপলক্ষে যৌবনজনতরঙ্গে উত্তাল কলকাতা



ডিওয়াইএফআই’র প্রকাশ্য সমাবেশকে কেন্দ্র করে কলকাতার রাজপথে যুবদের বর্ণাঢ্য মিছিল।

নিজস্ব প্রতিনিধিঃ ডিওয়াইএফআই'র সর্বভারতীয় ১১ তম সম্মেলনের প্রকাশ্য সমাবেশকে কেন্দ্র করে ১২ মে কলকাতা মহানগরীর রাজপথ স্পন্দিত হলো যুবদের দৃপ্ত মিছিলে। এদিন হাজার হাজার যুবক-যুবতীর উপস্থিতিতে সমাবেশস্থল কলকাতার প্রাণকেন্দ্র ধর্মতলা সংলগ্ন রানি রাসমণি রোড প্লাবিত হয়ে ছড়িয়ে পড়ে চারপাশে। এই সমাবেশের প্রধান বক্তা এসএফআই'র প্রাক্তন সর্বভারতীয় সভাপতি, সিপিআই(এম)'র সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি বলেন, মোদি সরকার মানুষের সাথে প্রতারণা করছে,অবিচার চালাচ্ছে। রাজদ্রোহ আইনের ব্যবহার করে গণতন্ত্রের কণ্ঠরোধ করছে।তিনি বলেন, এই আইন বাতিল হওয়া উচিত।

সীতারাম ইয়েচুরি বলেন, বুলডোজারের রাজনীতিকে প্রতিহত করে ইতিহাস রচনা করবে মানুষ। শ্রীলঙ্কার ঘটনা থেকে এদেশের শাসকদের শেখা উচিত, মানুষের ধৈর্যের বাঁধ ভেঙে গেলে কী হয় সেটা শ্রীলঙ্কাতে দেখা যাচ্ছে।

তিনি আহ্বান জানান,ভারতকে রক্ষা করতে হলে মোদি সরকারকে হঠাতে হবে,ফ্যাসিবাদকে খতম করতে হবে। এই কাজে যুব সমাজকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হবে। ডিওয়াইএফআই'র নেতৃত্বে যুব সমাজকে নতুন ভারত গড়তে এগিয়ে আসতে হবে।

ডিওয়াইএফআই'র প্রাক্তন সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক, সিপিআই(এম)পলিট ব্যুরো সদস্য মহম্মদ সেলিম সমাবেশে বলেন,আজ থেকে বাংলায় নতুন ইতিহাস রচনা করার শপথ নেওয়া শুরু। আপনাদের আন্দোলন সংগ্রামের জন্য পরিবেশ তৈরি আছে, শুধু সেটা কাজে লাগাতে হবে। ছাত্র-যুবদের নবান্ন অভিযানে পুলিশি অত্যাচারে মইদুল মিদ্যার মৃত্যুর কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ওরা ভেবেছিল মিছিলের প্রথম সারিতে থাকা মইদুল মিদ্যা, আনিস খান, বিদ্যুৎ মণ্ডলদের মারলে যুব ফেডারেশনকে শেষ করা যাবে। কালীঘাট, নবান্ন, ভবানী ভবন দেখে যাক ওদের খুন করলে ডিওয়াইএফআইয়ের মিছিল ছোট হয় না। ইতিহাস সাক্ষী আছে কোনো পে লোডার বা বুলডোজার ইতিহাস গড়ে না। ইতিহাস গড়ে মানুষ।এদিনের এই সুবিশাল সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সর্বভারতীয় সভাপতি এএরহিম। অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক অভয় মুখার্জি, সংগঠনের রাজ্য সম্পাদক মীনাক্ষী মুখার্জি।

প্রকাশ্য সমাবেশে বক্তব্য রাখছেন সীতারাম ইয়েচুরি।

এদিনের সমাবেশ মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন নিহত ছাত্রনেতা আনিস খানের বাবা সালেম খান এবং শহিদ যুবনেতা বিদ্যুৎ মণ্ডলের মা অমলা মণ্ডল।

এদিনের এই সমাবেশকে কেন্দ্র করে ১১ মে শহিদ কমরেড মইদুল ইসলাম মিদ্যার গ্রাম বাঁকুড়ার চোরকলা থেকে 'শহিদ মইদুল ব্রিগেড' নামে একটি সুবিশাল জাঠার সূচনা হয়। এই উপলক্ষে সমাবেশ হয় এখানে।এই জাঠা আরামবাগ,হাওড়া হয়ে পরদিন রানি রাসমণি রোডে সমাবেশস্থলে আসে।

এছাড়াও এদিন শিয়ালদহ, এন্টালি সহ বিভিন্ন অঞ্চল থেকে অসংখ্য বর্ণাঢ্য মিছিল এসে মেলে সমাবেশে।

শহিদ মইদুল মিদ্যা, সুদিপ্ত গুপ্ত আনিস খানদের লড়াইকে কুর্নিশ জানিয়ে প্রকাশ্য সমাবেশে বলেন, বামপন্থীরা সর্বত্র মানুষের পাশে থেকে লড়াই করছে। কাশ্মীরের উপত্যকা থেকে দিল্লিতে বুলডোজারের সামনে বুক চিতিয়ে বামপন্থীরাই লড়াইয়ে রয়েছে। আর বামপন্থীদের গরিবের পাশে দাঁড়িয়ে এই লড়াইয়ের খবর পৌঁছে যাচ্ছে বুলডোজারের মালিকদের কাছেও।