৫৯ বর্ষ ৩৯ সংখ্যা / ১৩ মে, ২০২২ / ২৯ বৈশাখ, ১৪২৯
ডিওয়াইএফআই’র সর্বভারতীয় সম্মেলনকে ঘিরে প্রচার কর্মসূচি ও প্রস্তুতিতে ব্যাপক সাড়া
প্রাক্তন ও বর্তমান যুব নেতৃত্ব পা মিলিয়েছেন সম্মেলন উপলক্ষে ডাকা মিছিলে।
নিজস্ব সংবাদদাতাঃ ভারতের গণতান্ত্রিক যুব ফেডারেশন ডিওয়াইএফআই’র একাদশতম সর্বভারতীয় সম্মেলনকে সফল করার লক্ষ্যে ধর্মনিরপেক্ষতা এবং কাজের অধিকারের সপক্ষে জনমত গড়ে তোলার বার্তা দিতে রাজ্যজুড়ে যুবদের মিছিল-পদযাত্রা-রক্তদান শিবির-সংহতি দৌড়-ফুটবল প্রতিযোগিতা-ম্যানগ্রোভ চারা রোপণ-সেমিনারসহ আরও একগুচ্ছ কর্মসুচি অনুষ্ঠিত হয়ে চলেছে গত একমাস ধরে। সর্বভারতীয় সম্মেলনকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন অঞ্চলে দেওয়াল লেখা, পোস্টারিং-এর মতো প্রচারেও ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনা লক্ষ্য করা গেছে। রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় এবং কলকাতা ও উত্তর ২৪ পরগনার বেশিরভাগ এলাকা পতাকা, ব্যানারে সজ্জিত করা হয়।
সারাদেশে যেমন এই সময়কালে ডিওয়াইএফআই’র সদস্যপদ চার লক্ষ বৃদ্ধি পেয়েছে তেমনই শাসকদলের সন্ত্রাসকে মোকাবিলা করে পশ্চিমবঙ্গেও সংগঠনের সদস্য সংখ্যা বেড়েছে। তরুণ প্রজন্মের মধ্যে এই প্রভাব বৃদ্ধি নিঃসন্দেহে আশাব্যঞ্জক।
সর্বভারতীয় সম্মেলন উপলক্ষে ডিওয়াইএফআই রাজ্য দপ্তরে ৯ মে এক সাংবাদিক বৈঠক আয়োজিত হয়। বৈঠকে সর্বভারতীয় সম্মেলনের অভ্যর্থনা কমিটির সভাপতি হিসেবে সব্যসাচী চক্রবর্তী সম্মেলনকে সফল করার আহ্বান জানিয়ে বলেন, ধর্মনিরপেক্ষ দেশ গঠন ও কর্মসংস্থানের সাংবিধানিক অধিকারের দাবিতে লড়াই-সংগ্রাম আক্রান্ত হলেও থামবেন না যুবরা। গত ১১ বছরে যা যা অনৈতিকতা ঘটেছে তার যোগ্য জবাব দেবেন তারা। আগামী দিনে কিভাবে পথ চলবেন যুবরা, কিভাবে আরও বেশি করে সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়াবেন সেসব ঠিক হবে এই সম্মেলনে। সে দিক থেকে সম্মেলনের গুরুত্ব অপরিসীম। সব্যসাচী চক্রবর্তী ছাড়াও বৈঠকে বক্তব্য রাখেন অভ্যর্থনা কমিটির সম্পাদক পলাশ দাস, সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মীনাক্ষী মুখার্জি প্রমুখ। সংগঠনের সভাপতি ধ্রুবজ্যোতি সাহা এদিন সাংবাদিক বৈঠক পরিচালনা করেন। উপস্থিত ছিলেন যুবশক্তির সম্পাদক কলতান দাশগুপ্ত, সুদীপ সেনগুপ্ত, শতরূপ ঘোষ প্রমুখ।
এদিন রেড ভলান্টিয়ারদের ভূমিকা নিয়ে একটি মিউজিক ভিডিও প্রকাশ করেন সব্যসাচী চক্রবর্তী। রেড ভলেন্টিয়ারদের অবদান প্রসঙ্গে সব্যসাচী চক্রবর্তী বলেন, ছাত্র-যুবরা অক্লান্ত পরিশ্রম করে প্রতিবারই আমফান, ইয়াসের সময় যেভাবে সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন সে কাজ সরকার করতে পারত। কিন্তু সরকার এক্ষেত্রে ব্যর্থ হয়েছে। আসলে গত ১১ বছরে যা যা অনৈতিকতা হয়েছে, তা কাম্য নয়। মানুষকে ভুল বোঝানো হচ্ছে। তারা অনিশ্চয়তার মধ্যে আছেন। বামপন্থীরা হয়তো শূন্য আসন পেয়েছেন, কিন্তু ভোট তো একমাত্র মাপকাঠি নয়। আর শূন্য থেকেই সব আবার শুরু হয়। প্রতিবাদী মানুষকে মারধর করে চুপ করিয়ে রাখা কোনো সমাধান নয়। যে পরিস্থিতি এখন চলছে তা অতিক্রম করতে হবে। বামপন্থায় আস্থা আছে এমন অসংখ্য মানুষকে আরও বেশি করে টেনে আনতে হবে। কারণ বহু মানুষ মনে করেন বামপন্থাই একমাত্র বিকল্প পথ।
ডিওয়াইএফআই রাজ্য সম্পাদক মীনাক্ষী মুখার্জি বলেন, সম্মেলনের দিন ঘোষণার পর থেকে ৮ জন শহিদ হয়েছেন। সমস্ত জবাব নেব আমরা। সংবিধানে সাধারণ মানুষের অধিকারের কথা বলা আছে। সেই দাবিতে আমাদের সংগ্রাম। যুবরা রাস্তায় আছে, রাস্তায় থাকবে।
৮ মে ডিওয়াইএফআই’র প্রাক্তন এবং বর্তমান নেতৃত্ব জোড়াসাঁকোর ঠাকুরবাড়ি থেকে রবীন্দ্রসদন পর্যন্ত এক বর্ণাঢ্য মিছিলে অংশ নেন।
৯ মে সিপিআই(এম) নেতা সুজন চক্রবর্তী সর্বভারতীয় সম্মেলন উপলক্ষে বারাসতে ছাত্র-যুবদের এক সুবিশাল জমায়েতে বক্তব্য রাখেন।
শহিদ আনিস খানের বাবা সালেম খান সূচনা করলেন ছাত্র-যুবদের সাইকেল-বাইক মিছিলের।
১০ মে সকালে প্রতিবাদী ছাত্র নেতা আনিস খানের খুনিদের অবিলম্বে গ্রেপ্তারের দাবিতে তাঁর বাড়ির সামনে থেকে ছাত্র-যুবদের সাইকেল-বাইক মিছিল সূচনা করেন আনিসের বাবা সালেম খান। সকালে সালেম খান ডিওয়াইএফআই’র পতাকা তুলে দেন সংগঠনের রাজ্য সম্পাদক মীনাক্ষী মুখার্জির হাতে। সেই পতাকা বহন করে মিছিল শুরু করেন ছাত্রযুবরা।
মিছিলের সামনের সারিতে ছিলেন মীনাক্ষী মুখার্জি, ডিওয়াইএফআই’র রাজ্য সভাপতি ধ্রুবজ্যোতি সাহা প্রমুখ। মিছিলে ছাত্র সংগঠনের নেতৃবৃন্দের পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন আনিসের দাদা সাদিক খানসহ গ্রামবাসীরা। হাওড়া জেলার আমতা, কলাতলা, রাজনগর, আলমপুর, আন্দুল, মৌরি, দানেশ শেখ লেন, গাজীপুরের বিভিন্ন পথ পরিক্রমা করে এই মিছিল হাওড়া ময়দানে ৩৫ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করে পৌঁছায়। এরকম আরও দুটি ছাত্র-যুব মিছিল একটি ডোমজুর থেকে অপরটি বালিখাল থেকে শুরু হয়ে সন্ধ্যায় হাওড়া ময়দানে মিলিত হয়।
ডিওয়াইএফআই ধর্ম ভাষা সহ লিঙ্গ বৈষম্যের বিরুদ্ধে সম্মেলনকে সামনে রেখে লিঙ্গবৈষম্যের ভাবনা ভেঙে সমানাধিকারের বার্তা দিতে এসএফআই-ডিওয়াইএফআই কর্মীরা মধ্য কলকাতার রামলীলা ময়দানে ফুটবল ম্যাচ আয়োজন করেছেন যুবক-যুবতী এবং ট্রান্সজেন্ডারদের সঙ্গে নিয়ে।
৭ মে উল্টোডাঙার মোড়ে বড়ো জনসভা হয়। সেখানে সংগঠনের রাজ্য ও কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন। মধ্যে রাসবিহারী বেহালা সহ একাধিক জায়গায় সভা-সমাবেশ সংগঠিত হয়েছে।
৭ মে হাওড়া কদমতলা বাস স্ট্যান্ড থেকে দীনেশ মজুমদার ভবন ডিওয়াইএফআই রাজ্য অফিস পর্যন্ত এক ম্যারাথন দৌড় আয়োজিত হয়। এর পাশাপাশি নিউটাউনের এনকেবিএ ফুটবল স্টেডিয়ামে ফুটবল টুর্নামেন্ট আয়োজিত হয় যুব ফেডারেশনের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য কমিটির পক্ষ থেকে।
সর্বভারতীয় সম্মেলন উপলক্ষে বিভিন্ন সমাবেশ-জমায়েত থেকে উচ্চারিত হচ্ছে ধর্মনিরপেক্ষ ভারত গড়ার এবং কাজের অধিকার সুনিশ্চিত করার দাবিতে যুবদের সংগ্রাম তীব্রতর করার আহ্বান। নেতৃবৃন্দ সভা সমাবেশে বলছেন, সংবিধানের ধর্মনিরপেক্ষতা আলোকময় দর্শন। একটা যুক্তিবাদী বৈজ্ঞানিক চিন্তা। ভারতের সংবিধানের এই দর্শনকে ভেঙে ফেলার চেষ্টা হচ্ছে। সেই চেষ্টায় মোদি মমতা সকলেই এক। তাই সমাজতন্ত্রে আস্থার কথা সোচ্চার প্রত্যয়ের সঙ্গে তুলে ধরা হচ্ছে বিকল্পের ভাবনা হিসেবে।
শহিদ মইদুল মিদ্যার গ্রাম থেকে কলকাতামুখী পদযাত্রা।
১১ মে শহিদ মইদুল মিদ্যার বাড়ি বাঁকুড়ার কোতুলপুরের চারকোলা গ্রাম থেকে যুবদের শহিদ মইদুল ব্রিগেড জাঠা বের হয়। এই মিছিল হুগলির গ্রামাঞ্চল ঘুরে পৌঁছায় আরামবাগে। সেখানে সুবিশাল সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
সর্বভারতীয় সম্মেলনকে কেন্দ্র করে উৎসাহ উদ্দীপনা লক্ষ্য করা গেছে রক্তদান শিবির, সেমিনার, সাংস্কৃতিক কর্মসূচি ও ক্রীড়া প্রতিযোগিতায়। সুন্দরবন অঞ্চলে ম্যানগ্রোভ চারা রোপণ ইত্যাদি নানাবিধ কর্মসূচির মাধ্যমেও সম্মেলনের বার্তা ছড়িয়ে দেওয়া চেষ্টা হয়েছে।
৭ ও ৮ মে ডিওয়াইএফআই কর্মীদের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হয় বিজয়গড় কার্নিভাল। রক্তদানের মধ্যদিয়ে এর সূচনা হয় ৭ মে। এর পাশাপাশি প্রগতিশীল জীবনমুখী শিক্ষণীয় বিষয়ের ওপর সিনেমা প্রদর্শনী, ফুড ফেস্টিভ্যাল আয়োজিত হয়েছে। সিনেমা প্রদর্শন কর্মসূচিতে প্রদর্শিত হয়েছে জয় ভীম সিনেমাটি।
এই কার্নিভালের উদ্বোধন করেন অভিনেতা সব্যসাচী চক্রবর্তী। উপস্থিত ছিলেন চলচ্চিত্র পরিচালক তরুণ মজুমদার। মিউজিক ফেস্টিভ্যালে অংশগ্রহণ করেন আকাশ, প্রলয়, দা সাইফার প্রজেক্ট ব্যান্ড, দেবদীপ মুখার্জি, দুর্নিবার সাহা সহ অন্যান্যরা। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন বিশিষ্ট নাট্যকার সৌরভ পালোধি।
উত্তর ২৪ পরগনা জেলাজুড়ে ও সম্মেলন উপলক্ষে নানা কর্মসূচি পালিত হয়েছে ছাত্র-যুবদের সঙ্গে নিয়ে। সম্মেলন উপলক্ষে উত্তর ২৪ পরগনা জেলা কমিটির উদ্যোগে দমদম স্টেশন থেকে পাতিপুকুর রেল ব্রিজ পর্যন্ত মিছিল হয়েছে। সল্টলেকে সংগঠনের প্রাক্তনীদের সঙ্গে নিয়ে মিছিল করেছেন ডিওয়াইএফআই কর্মীরা। এর আগে দক্ষিণদাড়ি অরবিন্দ কলোনি শ্রমিক মহল্লায় সম্মেলনকে কেন্দ্র করে সত্যজিৎ রায়ের গণশত্রু সিনেমাটি প্রদর্শন করা হয়েছে।
৬ মে দক্ষিণ ২৪ পরগনার বারুইপুর হরিনাভি ও গড়িয়া মোড়ে আয়োজিত হয় তিনটি সভা। এই তিনটি সভায় বক্তব্য রাখেন ডিওয়াইএফআই রাজ্য সম্পাদক মীনাক্ষী মুখার্জি। ১১তম সর্বভারতীয় সম্মেলনকে কেন্দ্র করে ১২ মে-এর সমাবেশে ছাত্র-যুবদের যোগ দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, এরাজ্যে একের পর এক কারখানা বন্ধ। যুবকদের কাজ নেই। নিয়োগে দুর্নীতি। মেধাবী ছেলে মেয়েদের রাস্তায় বসতে বাধ্য করছে সরকার, এই পুলিশ আপনাকে সুরক্ষিত করতে পারবে না। অন্যায়ের প্রতিবাদে গর্জে উঠতে হবে। রাজ্যজুড়ে ধর্ষণের ঘটনা ঘটছে, অপরাধীদের শাস্তি হচ্ছে না । পুলিশ অভিযোগ নেয় না থানায়। কোথায় গেল মানবাধিকার কমিশন?
এর আগে ৩০ এপ্রিল মধ্য কলকাতার ভারত সভা হলে এক সাংবাদিক সম্মেলনে পিআরসি’র সংগঠকদের সঙ্গে যৌথভাবে যুব নেতৃবৃন্দ জানান কাজের অধিকার সংবিধান স্বীকৃত মৌলিক অধিকারে পরিণত করার দাবি আমাদের মুখ্য দাবিগুলির অন্যতম। তাই সংগঠনের ১১তম সর্বভারতীয় সম্মেলনের প্রাক্কালে বিকল্প কর্মসংস্থানের উদ্যোগ গ্রহণ করা হলো।
১১তম সর্বভারতীয় সম্মেলনকে সামনে রেখে পিআরসি কমিটির সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে ডিওয়াইএফআই এলাকাভিত্তিক রেড ভলান্টিয়ারদের নিয়ে স্বাস্থ্যপরিসেবা দেওয়ার কাজ হাতে নিয়েছে। এই কাজের জন্য যুবদের বেছে নিয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া শুরু হয়েছে। প্রশিক্ষণ শেষে তারা কাজে যোগ দেবেন। আগামী দিনে আরও যুবদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হবে। চিকিৎসক এবং প্রশিক্ষিত স্বাস্থ্যকর্মীদের তত্ত্বাবধানে জনস্বাস্থ্য ভবনেই পিআরসি স্বাস্থ্য পরিকাঠামো এবং প্যাথলজিক্যাল ল্যাবরেটরি ব্যবহার করে চলছে এই প্রশিক্ষণ। প্রশিক্ষণ শেষে তারা ল্যাবরেটরিতে পরীক্ষার জন্য বাড়ি থেকে রক্ত সংগ্রহ করবেন। আগামীদিনে প্রতিটি অঞ্চলে এই ধরনের বিকল্প কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করার চেষ্টা করবেন ডিওয়াইএফআই-এর নেতাকর্মীরা। পিআরসি ছাড়াও অন্যান্য সংস্থা সংগঠনের সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধে বেকার যুবকদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে এবং তাদের কাজ পেতে যথাসম্ভব সহযোগিতা করা হবে।
আবার ৩০ এপ্রিল ডুমুরজলা স্টেডিয়ামের সামনে থেকে হাওড়া ময়দান পর্যন্ত ১২ কিলোমিটার ম্যারাথন দৌড় ‘রান ফর ইমেজ’প্রতিযোগিতা আয়োজিত হয়। ডিওয়াইএফআই’র একাদশ সর্বভারতীয় সম্মেলনের বার্তা সমাজের সকল স্তরের মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে সংগঠনের হাওড়া জেলা কমিটি এই উদ্যোগ নেয় । ৪৫ জন প্রতিযোগী এই ম্যারাথন দৌড় প্রতিযোগিতায় অংশ নেন। প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করেন সংগঠনের সভাপতি ধ্রুবজ্যোতি সাহা। দীর্ঘ ১২ কিলোমিটার রাস্তা সংগঠনের পতাকা দিয়ে সাজিয়ে তোলা হয়। এরপর দুই দিন ধরে জেলার আটটি দলকে নিয়ে ফুটবল প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। ফুটবলারদের সংবর্ধনা জানানো হয়। সর্বভারতীয় সম্মেলনের বার্তাসমাজের সকল স্তরের মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে অনলাইন প্রতিযোগিতাও আয়োজন করা হয়েছে। সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। পূর্ব মেদিনীপুর, হুগলি, ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম মেদিনীপুর, পূর্ব এবং পশ্চিম বর্ধমান সহ রাজ্যের সব জেলাতেই সম্মেলন উপলক্ষে মিছিল ও অন্যান্য কর্মসূচিতে ব্যাপক সাড়া পাওয়া যাচ্ছে মানুষের। চলছে অর্থ সংগ্রহের কাজ।