৫৯ বর্ষ ৩৯ সংখ্যা / ১৩ মে, ২০২২ / ২৯ বৈশাখ, ১৪২৯
রাতের তারা দেয় পাহারা, ছন্নছাড়া স্বপ্ন তোর
অলকেশ দাস
সাতের দশকের মাঝামাঝি। আনন্দ্ বকসি এই গান লিখে জয় করে নিয়েছিলেন মন। ‘ইয়ে জো পাবলিক হ্যায় সব জানতি হ্যায়, পাবলিক হ্যায়’। জনগণ সব জানে। ‘অজি অন্দর ক্যা হ্যায়, বাহার ক্যা হ্যায়,/ ইয়ে সব কুছ পহচানতি হ্যায়’। কার বাইরে কি আর ভেতরে কি, মানুষ সব চিনে ফেলে। মানুষ মানে পাবলিক। সেই পাবলিক এই রাজ্যটাকে দেখছে। বিস্ময়ের দৃষ্টিতে। এত অস্থিরতা, শাসকের এত অসহিষ্ণুতা রাজ্যে পাবলিক কখনো প্রত্যক্ষ করেনি। শাসকের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব মুখোমুখি, ঝলসে উঠছে বোমার বারুদ, গর্জে উঠছে পিস্তল। সিন্ডিকেট, তোলাবাজি, টেন্ডারে বখরা তৃণমূলের সর্ব অঙ্গের ভূষণ। পাবলিকের কাছে তৃণমূল মানে লুটে খাওয়া দল। বাড়ি, জমির হাতবদল, নতুন বাড়ি তৈরির সামগ্রী, কাস্ট সার্টিফিকেট, মৃত্যু শংসাপত্রের অরিজিনাল - সব জায়গায় ছোটো-বড়ো হাঙরেরা ওৎ পেতে বসে আছে। গ্রামে খুব চালু হয়েছে কথাটা - জিব থেকে থুতু দিয়ে টাকা গোনার দল। রাস্তার মোড়ের সিভিককে বাঁ হাতে টাকা নিতে দেখে মানুষ এখন আর অবাক হয় না। সদ্য খুন হয়ে যাওয়া রামপুরহাটের তৃণমূলী গ্রাম পঞ্চায়েত উপপ্রধান ভাদু শেখের মৃত্যুর পর জানা গেল তিনি নাকি চারটি থানার ডাক নিয়ন্ত্রণ করতেন। অনেকেরই থানার ডাক কি তা জানার কথা নয়। এক কথায় অবৈধ, বেআইনি কাজে থানার মিডলম্যান, অন্য অর্থে দালাল। এই দালালেরা চেটেপুটে খায় সাধারণ মানুষের রক্ত, ঘাম, শ্রমার্জিত কিঞ্চিৎ উপার্জন। থানা আর তৃণমূলের নিদারুণ পরস্পর নির্ভরশীলতার রসায়ন এখানেই। মানুষের মুখের গ্রাস যারা কেড়ে খায়-রক্ত-লেখায় তাদের সর্বনাশ লেখার কাজ করতে গেলে পাবলিকের পাহারা দরকার।
অনার্স পাশ করেছেন বা পোস্টগ্রাজুয়েট পাশ করে বসে আছেন এমন চোখের নিচে কালি পড়া অসংখ্য যুবক চেয়ে আছে হাইকোর্টের দিকে। স্কুলে নিয়োগ বাতিল করে নিয়োগকর্তাদের বিরুদ্ধে সিবিআই তদন্তের আদেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। এই যে মেধা তালিকার বাইরে নিয়োগের দুর্নীতি সেটা কি আকাশ থেকে টুপ করে পড়েছে? আড়কাঠি কি ছিল না? কানু বিনা গীত নাই - তৃণমূলী ঘুষ ছাড়া চাকরি নাই। অস্তিত্বযুক্ত বা অস্তিত্ববিহীন চাকুরির জন্য ঝোপেঝাঁপে তৃণমূলের আড়কাঠিরা বসে আছে। টাকা দাও, চাকরি নাও। চাকরির মরুভূমির বাজারের সুযোগ নাও। চাকরি না হলে আড়কাঠি উধাও। যে আড়কাঠিরা বাহুবলী,তৃণমূলী প্রতিষ্ঠিত নেতা - তারা হুমকি দিয়ে,জোর করে অন্যের মুখ চাপা দিয়ে হাত ধুয়ে ফেলে। যাদের পেটের যন্ত্রণা, যাদের চোখে মুখে অন্ধকার, জীবন যাদের অসহনীয়, এক টুকরো কাজের জন্য সকাল থেকে সন্ধ্যা যারা মাথার ঘামে পাগল - তাদের কাছে এই আড়কাঠিদের সন্ধান আছে। পাবলিকের পাহারাদারদের কাছে এই সুযোগসন্ধানীদের খবরই তুলে দিতে হবে গা ঘিনঘিন করা, কুৎসিত এই প্রক্রিয়ার অবসানের জন্য।
পাওয়া স্বর্গ, পাওয়া ধর্ম, পাওয়াই পরমং তপঃ - তৃণমূলীরা এই মন্ত্রকেই সার করেছে। গাছের চারা চুরি, বন্যার অনুদান চুরি, দুর্যোগের অনুদান চুরি - প্রতিদিন নতুন চুরির সৃজনাত্মক প্রকাশ ঘটছে। এসবে যখন সাধারণ মানুষের নাভিশ্বাস উঠছে তখন মুখ্যমন্ত্রী গোবরে ধনের আজগুবি গল্প শোনাচ্ছেন। ঘুঁটে দিন, মুড়ি ভাজুন, চপ ভাজুন ব্যাস। সোঁ সোঁ করে পাঁচতলা বাড়ি উঠবে। আপনি চপ ভাজবেন, সেই তিমিরেই পড়ে থাকবেন। আনারুল, অনুব্রত, ভাইপোদের কাটমানি আর তোলাবাজির ব্যবসায় আঙুল ফুলে কলাগাছ হবে। একজন রাজমিস্ত্রি বা তার সহকারি ইত্যাদি থেকে চার বছরে প্রাসাদোপম বাড়ি কীভাবে করা যায় তার ফরমুলা শিখিয়ে যাচ্ছে তৃণমূল - হাঁসখালি থেকে বগটুই সর্বত্র। ওদিকে ওরা এসব করবে আর অন্যদিকে রাজ্যেরই কোনো এক সমুদ্রতীরে মা তার ৭-৮ বছরের মেয়েকে স্কুল ছাড়িয়ে নিজের সঙ্গে কাঁকড়া ধরতে নিয়ে যাবে। কারখানায় কাজ হারানো শ্রমিক কতগুলো সবজি নিয়ে বিক্রির জন্য রাস্তার ধারে বসে পড়বে। আর বেলা যত বাড়বে তত শুকনো সবজি নিয়ে হতাশ হয়ে বাড়ি ফিরবে। পেট বড়ো বালাই। পাবলিক বড়ো সাংঘাতিক। এই পাবলিকই মাথায় তোলে আবার যখন মনে করে নিচে নামিয়ে দেয়। যারা প্রতারণার চৈত্র সেলে মাথায় উঠে বসেছে, পাহারাদার পাবলিক তাদের নিচে নামাবেই।
চিটফান্ডের আত্মসাৎ করা এক কোটি ছিয়াশি লক্ষ টাকা দিয়ে যিনি মাননীয়ার ছবি কিনেছিলেন তারই প্রতারণায় জেল খাটা বন্ধু গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রীর হয়ে আনিস খানের বাবার মুখ চাপা দিতে। কালনা, কাটোয়া, কামদুনি থেকে আজকের সর্বানন্দপুর যেখানে মেয়েদের খুবলে খাওয়ার ঘটনা ঘটছে - সব জায়গাতেই মুখ চাপা দেওয়ার অনেক কৌশল ক্রিয়াশীল। চাকরি, ক্ষতিপূরণ তাতে যদি কাজ হয় ভালো। না হলে মামলা, হামলা এবং আমলা। টেবিলের উপরে বুট পরা পা তুলে, সামনে পিস্তল রেখে জেলার এসপি যখন অভিযোগ তুলে নেওয়ার কথা বলে কিংবা সরাসরি তৃণমূলে যোগ দেওয়ার কথা (পড়ুন হুমকি) বলে তখন সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে এমন ঘাড়ে ক’টা মাথা থাকে? পুলিশ-তৃণমূল এই মধুমাস যাপনের মাঝেই বাদুড়িয়ায় ২৬ বছরের তৃণমূলী গ্রাম পঞ্চায়েতি নেতা অক্লেশে পেয়ে যায় বার্ধক্য ভাতা। এ তো শুধু শোরুম। সারা রাজ্যের গোডাউন এইরকম উদাহরণে ভরা।
মিথ্যার বেসাতিটা উপর থেকে। বাম আমলে জঙ্গলমহলের কাছেই স্পষ্ট ছিল - যে দিনে তৃণমূল, সেই রাতে মাওবাদী। তৃণমূল ক্ষমতায় আসীন হওয়ার পর সেটা আরও স্পষ্ট হলো। একের পর এক আত্মসমর্পণ-মাওবাদীদের। এরকমই এক আত্মসমর্পণের ঘটনা। খবরের কাগজের বর্ণনায়। মাওবাদী শশধর মাহাতোর স্ত্রী সুচিত্রা মাহাতো। মাওবাদী স্কোয়াডের সদস্য। সরকারের কাছে একেবারে জঙ্গলের গোপন ডেরা থেকে অস্ত্রশস্ত্রসহ আত্মসমর্পণ করলেন। যখন আত্মসমর্পণ করলেন গায়ে এয়ার হোস্টেস ব্লাউজ। কুলকুল করে ঘামছেন গরমে। বোঝাই যাচ্ছে এসি ঘর থেকে এসেছেন। আত্মসমর্পণের পরে বিয়ে করলেন তৃণমূল কংগ্রেস নেতা প্রবীর গড়াইকে। চিত্রনাট্য পূর্ণতা পেল। ঠকানোর কাজ, চোখে ধুলো দেওয়ার কাজ চলছে সর্বত্র। সেই কাজ ধরিয়ে দেওয়ার আত্মবিশ্বাস নিজের যদি না থাকে তাহলে পাবলিকের পাহারাদারদের কাছে পৌঁছে দিতে ক্ষতি কি? এইযে স্বাস্থ্যসাথী নিয়ে এত মাতোয়ারা, সত্যি করে ক’জন সুযোগ পাচ্ছে ? স্বাস্থ্যসাথী কার্ড জামার পকেটে উঁকি দিলেই নার্সিংহোম ‘নো বেড’ জানিয়ে দিচ্ছে। পরক্ষণেই ক্যাশ পেমেন্টের অফার করলে সঙ্গে সঙ্গে নার্সিংহোম বেড অফার করে দিচ্ছে, ভরতি নিয়ে নিচ্ছে। দক্ষিণ ভারতের প্রচলিত চিকিৎসালয়গুলিতে পশ্চিমবাংলার রোগী গিজগিজ করছে। কেন? তার কারণ এদের কাছে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড ভোটের আগে অভিসারী কিন্তু ভোটের পরে বিরহের গান শোনাচ্ছে। তবু সরকার বলছে রাজ্যে স্বাস্থ্যসাথী কার্ডে রোগীর চিকিৎসা করানোর মোট খরচ নাকি বেড়েই চলেছে। তাতো হবেই। কাটোয়ায় ধরা পড়েছে। মহিলাকে রোগী সাজিয়ে তার হাতে দশ হাজার টাকা গুঁজে দেওয়া হয়েছে। তাকে গলব্লাডার স্টোনের রোগী সাজিয়ে সাজানো নার্সিংহোমে ভরতি করা হয়েছে। নার্সিংহোমের তৈরি করা বিলের টাকা তিন ভাগ হয়েছে। সাজানো রোগী, সাজানো নার্সিংহোম এবং দি কমন ম্যান তৃণমূলের আড়কাঠি। সারারাজ্যে এ’রকম ঘটনাও অজস্র। ‘দিদিকে বলো’ তে কাজ না হওয়াতে সত্যানুসন্ধানীরা হতোদ্যম। ‘দিদিকে বলো ২’ তাদের কাছে হাসির খোরাক। পাহারায় পাবলিক তাদের নতুন উৎসাহ দিতে পারে।
সরকার বলছে ‘আনন্দধারা বহিছে ভুবনে’ - থুড়ি রাজ্যে। আনন্দে আপ্লুত মুখ্যমন্ত্রী এবারের রবীন্দ্রজয়ন্তীতে ঠিক করেছিলেন গাইবেন - ‘বহে নিরন্তর অনন্ত আনন্দধারা’। তাঁর কবিতার বইয়ের স্বপুরস্কারপ্রাপ্তি বাদ সাধলো। সেই আনন্দ কীরকম, জানিয়েছে ২০১৯-২০ ন্যাশনাল ফ্যামিলি হেল্থ সার্ভের রিপোর্ট। প্রতি ১০০ জন মহিলার ৭০ জন রক্তাল্পতার শিকার এ'রাজ্যে। গ্রামের মেয়েদের ৪৮ শতাংশর নাবালিকা বিবাহ হচ্ছে। গ্রাম -শহর মিলিয়ে ৪১ শতাংশ। ১৫-১৯ বছর বয়সি মেয়েদের ১০০ জনের মধ্যে ৯০ জন শারীরিক-মানসিক পুষ্টির অভাবের কারণে সন্তান ধারণে ব্যর্থ হচ্ছে। গ্রাম -শহর মিলিয়ে তা ৮১ শতাংশ। অথচ কন্যাশ্রী-রূপশ্রী চলছে। বাড়ি বাড়ি ঘুরে এই ঘটনাগুলো জানলে সেই বাড়ির লোকেদের মোহ ভাঙাতে সুবিধা হয় যে কন্যাশ্রী-রূপশ্রী শেষ কথা নয়। আসল হচ্ছে পেট এবং পকেট। সেই দুটো ভরানোর কাজই সরকারের। সে কাজ না করে এগুলো শাসকের অস্তিত্বহীন গণতন্ত্রের ভোটবাক্সের উপঢৌকন। এসব কথা সত্যি হয়ে যায় যখন ভোট দেয়নি বলে সবুজ সাথী সাইকেল শাসকদলের কেউকেটা বাড়ি থেকে জোর করে তুলে নিয়ে যায়। সবুজসাথী হয়েছিল ছেলেমেয়েদের স্কুলে ভিড় বাড়ানোর জন্য। অন্তত সরকার, মুখ্যমন্ত্রী এইরকমই বলেছিলেন। ন্যাশনাল স্যাম্পলিং সার্ভে তথ্য বলছে হায়ার সেকেন্ডারি ভরতিতে গ্রস এনরোলমেন্ট রেশিও রাজ্যে কম। ৫৪.৪। গোটা দেশে ৭০.৩। তাহলে কী জাদু সবুজ সাথীর সাইকেলে! হিসাব হবে কী, তা দিয়ে তুমি শুধু কত ভোট পেলে? অপেক্ষা করুন পাহারায় পাবলিক যদি সক্রিয় হয়, লুটে খাওয়া কুজনেরা কেঁপে কেঁপে হসপিটালে ঢুকলো বলে। ইতিমধ্যে বীরভূমের প্রভাবশালী পিজি’র উডবার্নে শুয়ে রোগ খুঁজে এসেছেন। লোকসভা নির্বাচনের পর মানুষই আওয়াজ তুলেছিল - ‘কাটমানি ফেরত দাও’। তখনই থরহরি কম্প শুরু হয়েছিল। একজনের কথা মনে আছে? মন্ত্রী ছিলেন,এখন এমএলএ। সবসময় খবর হয়ে থাকেন। তখন সারদা চিটফান্ডের টাকা আত্মসাতের অভিযোগে সিবিআই গ্রেপ্তার করেছিল। জেলে যাবার ভয়ে তারই নিয়ন্ত্রিত পিজি হাসপাতালে আশ্রয় নিয়েছিলেন। গাইনি ও শিশু ছাড়া সব বিশেষজ্ঞ ডাক্তার তাঁকে দেখেছিলেন। তার প্রেসক্রিপশনে লেখা ছিল ১. প্যান ডি ২. ন্যাজাল স্প্রে। একে বলে ভয়ে সাদা। তৃণমূলের সিম্বল। নীল সাদা। লজ্জায় নীল, ভয়ে সাদা। উপরে দাদা, ভিতরে সাদা যারা তারা এবার পাহারায় পড়বে পাবলিকের।
খাগড়াগড় মনে আছে? এরাজ্যে মৌলবাদের প্যাসেজ, কোন কোন জায়গায় রাজনৈতিক সংকীর্ণ স্বার্থে মৌলবাদের আঁতুড়ঘর তৈরি করা দখলি রাজনীতির তৃণমূলী ব্রেন চাইল্ড। ভোটের লোভে খোদাহাফেজ আর ইনশাল্লাহ করে আর বিজেপি’র ভয় দেখিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মুসলমানের যে কত বড়ো সর্বনাশ করেছেন তা এখন বোঝা যাচ্ছে। বিজেপি’র দেওয়া তার নাম ‘মমতাজ বেগম’ এ সবচেয়ে খুশি হয়েছেন মমতা নিজে। মুসলমান ভোট তো পাওয়া যাবে! মমতার কথা অনুযায়ী বিধানসভা ভোটের পর সব মুসলমানের নিরাপত্তা অক্ষুণ্ণ থাকার কথা ছিল। আনিস থেকে রামপুরহাট তাই কী প্রমাণ করছে? গোয়ায় গিয়ে ব্রাহ্মণ পরিচয় দিয়ে মন্ত্র উচ্চারণ করে হরিচাঁদ ঠাকুরের জন্ম তিথিতে ছুটি ঘোষণা করেছেন। দুধ আর তামাক একসঙ্গে খাওয়ার কিম্বা সার্কাসে ট্রাফিজের দুঃসাহসী খেলার মতো অদ্ভুত ব্যালেন্স শিখে ফেলেছেন তিনি। যারা ঘরে আগুন লাগিয়ে গৃহস্থকে সজাগ হওয়ার কথা বলছে তাদের পাহারা দেবে পাবলিক।
মুখ্যমন্ত্রীর কাছে সুচিত্রা সেন ফুচকা খেতে চেয়েছিলেন। সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায় তাঁর গলায় গান শুনতে ভালোবাসতেন। বাপি লাহিড়ী তার কাছে সুর দেওয়ার জন্য গানের কথা চেয়েছিলেন। সবই কাগজের ভার্সন। নতুন প্রজন্ম কী শিখবে? দলের নিচুতলাই বা কী শিখবে ? তিনিই বলেছিলেন টাকা করবেন না - টেনশন বাড়ে। কাদের বলেছিলেন? জনগণকে? জনগণ টাকা করবেন না আর তাঁর দলের লোকেরা ব্যাঁকা অর্থনীতির দুর্বৃত্তায়নের আখড়া তৈরি করবে? আর সেই ব্যাঁকা পথের টাকায় ভোট লুঠ হবে, জ্যাম হবে, বাইক বাহিনী হবে, ভয় তৈরি করা হবে। সবাই কি একাজ করতে চায়। কাউকে কাউকে তো জোর করে করানোও হয়। কারো তো অভাবের সুযোগও নেওয়া হয়। পাবলিকের পাহারাদারেরা বুঝে নেবে এই নরকের পাপ ঘাঁটে কারা? রথ দেখা, কলা বেচা - একসঙ্গে বন্ধ করবেন? ভণ্ডামি শেষ করতে চাইছেন? যা কিছু মন্দ তাতে ভালোর গন্ধ পাওয়া সরকারের হাত থেকে মুক্তি চাইছেন? কৌটিল্য বলেছিল - ‘‘জলের ভেতর থাকা মানুষ কতটা জল খায় তা বোঝা যায় না।’’ তাদের বোঝা আর ধরার চেষ্টা করুন। আপনি - আপনারাই পারবেন।
‘‘হ্যায় জন্নত আপনে পাঁও তলে/ অউর সায়া এ রহমত সর পর হ্যায়/ ফির কেয়া ডর হ্যায়/ হম জিতেঙ্গে’’...
স্বর্গ রয়েছে পায়ের তলায়,/ আশীর্বাদ মাথার উপর,/ তাহলে ভয় কীসের?/ জিতব একদিন, নিশ্চয়ই জিতব।