৫৯ বর্ষ ৩৯ সংখ্যা / ১৩ মে, ২০২২ / ২৯ বৈশাখ, ১৪২৯
বিজেপি সরকারের নতুন একটি ‘ঘুন্টিকা পদক’ লাভ উপলক্ষ্যে কিছু কথা...
পল্লব সেনগুপ্ত
‘ঘুন্টিকা-পদক’ - যার সরল বঙ্গানুবাদ হলো, ‘ঘুঁটের মেডেল’। কী অর্থে, কখন কথাটা ব্যবহৃত হয়, তা তো সবাই জানেন। সেই ব্যাখ্যানে যাচ্ছি না তাই। ব্যর্থতা বা কিছু লজ্জাকর কাজকর্মের জন্য দায়ী ব্যক্তির বাবদে, তার প্রাপ্য হিসেবে উল্লেখিত হয় এই বাংলা ইডিয়মটি। বহুবারই হয়ত পদ্মবনের জলগোখরোদের জন্য এই ‘পুরস্কার’টি প্রাপ্য বলে আপনাদের অনেকেরই মনে হয়েছে; মুখে বলেননি - এই যা! কিন্তু সাম্প্রতিক একটি উপলক্ষ্যে এই দুর্মুখ কলমচির পক্ষে কিন্তু ওই ইডিয়মটা আর না ব্যবহার করে থাকা সম্ভব হলো না।
ব্যাপারটা বলি একটু বিশদভাবে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একটি সর্বজনমান্য নিরপেক্ষ সমীক্ষণ-সংস্থা - ‘কমিশন অন ইন্টারন্যাশনাল রিলিজিয়াস ফ্রিডম’ তাদের ২০২২ সালে প্রকাশিত বার্ষিক প্রতিবেদনে দেখিয়েছেন যে, পৃথিবীতে যে সব দেশে ধর্মীয় সংখ্যালঘুরা সবচেয়ে বেশি বিপন্নতা ও পীড়নের মধ্যে বিপর্যস্ত হয়ে থাকেন সম্প্রতিকালে ভারতের স্থান সেই তালিকায় খুব ওপরেই! ধর্মাচরণের স্বাধীনতা থাকা, এমনকী বিশেষ-বিশেষ ধর্মে প্রত্যয়ী হওয়াও যেখানে ধর্মীয় সংখ্যাগুরু গোষ্ঠীর কাছে অপরাধ বলে গণ্য হয়। শুধু তাই নয়, এই ক্ষেত্রে তারা দেশের সরকারের কাছ থেকে পরোক্ষ (কখনও-কখনও প্রত্যক্ষও) অনুমোদন এবং যথেষ্ট সহায়তাও পায়। মোদিবাবুদের শাসিত ভারতে যে এর সব কিছুই খুল্লামখুল্লাভাবে চলছে, তা তো আর চোখে আঙুল দিয়ে দেখাতে হবে না।
ওই সমীক্ষায় ভারত ছাড়া যে দেশগুলি এই ধিক্কারপ্রদায়ী তালিকার প্রথম দশের মধ্যে আছে - তারা হলোঃ পাকিস্তান, সৌদি আরব, ইরান, উত্তর কোরিয়া, রাশিয়া, আফগানিস্তান, নাইজেরিয়া, সিরিয়া এবং ভিয়েতনাম। এই দেশগুলি সম্পর্কে খুব উদ্বিগ্ন হবারই কারণ আছে বলেই ওই সমীক্ষায় জানানো হয়েছে। এখানে একটা কথা অবশ্য ভাবার আছেঃ রাশিয়া, উত্তর কোরিয়া এবং ভিয়েতনামে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের খুব বিপন্ন অবস্থায় দিন কাটাতে হয় - এমন তথ্য অবশ্য বিশেষ জানা যাচ্ছে না। অন্তত এদেশে। তবে থাকতেই পারে এমন সব পরিপ্রেক্ষিত ওই তিন দেশে - যদিও, মূলত আমেরিকাস্থিত সংগঠনের পক্ষে রাশিয়া, উত্তর কোরিয়া এবং ভিয়েতনামের সম্পর্কে একটা শিকর-গাড়া বিদ্বেষ পোষণ করাই কিছু আশ্চর্যের বিষয় নয়। তবে অন্য দেশগুলিতে ধর্মীয় সংখ্যালঘুরা খুবই অসহায়ভাবে বিপন্ন, সে তথ্য তো সবারই জানা আছে। আর ভারতের ব্যাপারে তো আমরাই নিত্য সাক্ষী।
।। দুই ।।
সমাজ-মনোবিজ্ঞানীদের অনেকের বিচারেই ধর্মীয় অসহিষ্ণুতা আসলে এক ধরনের হিংস্র আধিপত্য প্রতিষ্ঠা করতে চাওরা ধর্ষকামী মানসিক বিকার। মানুষের মনের মধ্যে কোথাও যে আদিমকাল থেকে বহমান একটা হিংস্রতা আছে, এবং তারই পাশাপাশি চলে আসা ‘অন্য’-দের সম্পর্কে ভয়, ঘৃণা আর সন্ধিগ্ধতার বিমিশ্র একটি রসায়নও রয়েছে - এটাও তাঁরা বলেন। ঠিক এই জন্যেই অন্য ধর্মাবলম্বীদের (‘বিধর্মী’-‘কাফের’ ‘হিদেন’ ইত্যাদি, ইত্যাদি) বিশ্বাস আচার-সংস্কার-প্রথা-নিয়ম-অভ্যাস প্রভৃতিকে তাচ্ছিল্য এবং প্রতিরোধ করার প্রবণতাও হয়ে ওঠে আতীব্র। যে সমাজিক পরিপ্রেক্ষা পরিশীলিত বোধ, মুক্ত চিন্তা ও সহনশীলতা শেখায় মানুষকে, সেখানে এই ধরনের হিংস্র, আধিপত্যকামী উদগ্রতাও হ্রাস পায়। সেটা অবশ্য সম্ভব হয় উপযুক্ত সামাজিক পরিবেশ থাকলে - যা কী না আবার হতে পারে রাষ্ট্র ও সমাজের পরিচালকরা শুভবুদ্ধিসম্পন্ন হলেই।
অবশ্য এর সব কিছুই নির্ভর করে দেশের আর্থ-সামাজিক পরিকাঠামোটা সর্বজনের হিতার্থে গড়ে তোলা হয়েছে কিনা, তার ওপর। তবে ধনতন্ত্রী বা আধা ধনতন্ত্রী অর্থনীতিই যে রাষ্ট্রব্যবস্থায় সর্বতোমান্য বলে স্বীকৃত - সেখানে এমনটা সম্ভবপর হয় না। ধনতান্ত্রিক ব্যবস্থার অনিবার্য ফল যে আর্থ-সামাজিক শ্রেণিশোষণ, সেটাই আবার আরেক অবতারে ধর্মীয় পীড়ন এবং ধর্মগত বা অন্যবিধ সংখ্যালঘুদের দমন-পীড়নে সক্রিয় হয়ে ওঠে। ব্যাখ্যাটা বিস্তৃত এবং জটিল। সীমাবদ্ধ সামর্থ্যে যতটা পারি, বলবার চেষ্টা করলাম সংক্ষেপে।
।। তিন ।।
ধর্মীয় অসহিষ্ণুতা এবং সংখ্যালঘু-পীড়নের যে সব মনস্তাত্ত্বিক ও আর্থ-সামাজিক প্রেক্ষাপটকে এখনই চিহ্নিত করলাম, তা যে আজকের ভারতে হুহুঙ্কারে নিজেকে জানান দিচ্ছে রাষ্ট্রশক্তির মদতে, সে তো বলাই বাহুল্য, সেখানে ভ্রান্তি এবং মিথ্যারও একটা বড়ো ভূমিকা থাকে। যে কোনো আধুনিক বৈজ্ঞানিক উদ্ভাবনকেই ‘বেদে আছে’, ‘পুরাণে আছে’, ‘শাস্ত্রে আছে’ - ইত্যাদি বলে প্রাচীন ভারতের তথাকথিত - আর্য/হিন্দু গরিমার মিথ্যা প্রচারে নিনাদিত করা হয় এখন। যথাঃ গণেশের হস্তীমুণ্ড আসলে প্রাচীন ভারতে প্লাস্টিক সার্জারি প্রচলিত থাকার প্রমাণস্বরূপ; কিংবা, রামায়ণের পুষ্পকরথ তো আসলে মহাকাশযানেরই আদিতম রূপ; অথবা, গান্ধারীর শতপুত্র লাভ প্রকৃতপক্ষে ‘টেস্ট টিউব বেবি’-র সাক্ষী ইত্যাদি- ইত্যাদি সহস্র পাগলামির (না-কি, মূর্খতা? না, শয়তানি?) খবর তো জানেনই সবাই। কিন্তু এতেই তো শেষ নয়। অন্য ধর্মাবলম্বীদের উপর দমন, পীড়ন, শাসন, লাঞ্ছনা, হত্যা, বলাৎকার - সেগুলোও ব্যাপকভাবে চলছে বর্তমানের ভারতে। প্রতিনিয়ত মুসলিম ও ক্রিশ্চানদের হুমকি দেওয়া, তাদের ধর্মীয় প্রথা ও বিশ্বাসে বাধা দেওয়া এবং এসব ব্যাপারে রাজ্যে-রাজ্যে বিজেপি’র সরকারগুলির পক্ষ থেকে প্রত্যক্ষভাবে সহায়তা করা তো এখন বিজেপি-শাসিত রাজ্যের নিত্য কর্মপদ্ধতি! আজ ফতোয়া দেওয়া হচ্ছে মুসলিম মেয়েরা ‘হিজাব’ পরবেন না (বলে রাখি, এই কলমচি হিজাব-ঘোমটা-ভেইল - এই ধরনের কোনও রক্ষণশীলতারই সমর্থক নয়; তবে কেউ যদি এগুলো ব্যবহার করেন, সেটা তাঁর স্বেচ্ছার্জিত অধিকার; কেউ যদি না করেন, সেটাও তাই। গভর্নমেন্ট এখানে হুকুম দেবার কে?) ক্রিশ্চান মিশনারি স্কুলে বাইবেল পড়ানো বন্ধ করতে হবে, তাতে না কি ধর্মান্তরে প্রশ্রয় দেওয়া হবে! কিন্তু স্কুলে-কলেজে রামায়ণ ও গীতা পাঠ বাধ্যতামূলক করতে হবে এবং বেদ পুরাণও পড়াতে হবে - কারণ সবই না কী ‘ব্যাদে আস্-য়ে’ (ডঃ মেঘনাদ সাহার এই অসামান্য ঐতিহাসিক বিদ্রূপটি স্মরণ না করে পারা গেল না!) মসজিদে গিয়ে নামাজ পড়া যাবে না, কিংবা রবিবারে চার্চে গিয়ে প্রেয়ার করা যাবে না! কিন্তু যত্রতত্র মন্দির গজিয়ে তুলে সনাতন ধর্মের নামে ‘ভূতের নেত্য’ করা যাবে স্বচ্ছন্দে।
এই কলমচি, মানবধর্ম ছাড়া আর কোনো ধর্মে বিশ্বাসী নয়। তবে সে কারুর ধর্মবিশ্বাস বা ধর্মাচরণে গা-জোয়ারি বাধা দিতেও অরাজি, সেটা অগণতান্ত্রিক, ফ্যাসিবাদী মনস্কতা যেহেতু। ধর্ম যেমন মানুষের ওপর আফিঙের নেশার মতো প্রভাব বিস্তার করে, তেমনই আবার বঞ্চিত, নিপীড়িত লক্ষ লক্ষ মানুষের মনে এক ধরনের আশ্রয়ও দেয়। দুটোই মাকর্সের কথা! কিন্তু সেই বিশ্বাসটা থাকা সম্পূর্ণত ব্যক্তিগত পর্যায়ে। গোষ্ঠীবদ্ধভাবে তার আত্মপ্রকাশ ঘটে যখন, তখনই বাধে সংঘাত - অন্য ধর্মের গোষ্ঠীবদ্ধ লোকেদের সঙ্গে। আর রাষ্ট্রশক্তি যখন তাতে ইন্ধন জোগায়, তখন তো হয় যেন মনসা পুজোয় ধুনোচি নিয়ে তাণ্ডব নৃত্য - যা এখন বিভিন্ন রাজ্যে পদ্মবনের জলকেউটেরা ঘটাচ্ছে!
।। চার ।।
অবশ্য একটা কথা ঠিক যে, ভিন ধর্মের প্রতি ঘৃণা, অসূয়া, হিংসা - এ সব মানসিক ব্যাধিতে অল্পবিস্তর সমস্ত ধর্মের মোহান্ত পান্ডারাই গ্রস্ত এবং তাঁদের থেকে সেটা তাঁদের চেলাচামুন্ডার ওপরও সেগুলো বর্তায়। বৌদ্ধ ভিক্ষুদের তর্কযুদ্ধে পরাস্ত করে তাঁদেরকে তপ্ত ‘তৈলকটাহে নিক্ষেপ করার কিংবদন্তি আদি শঙ্করাচার্যের সম্পর্কে আছে। আবার হিংস্রতায়, প্রয়োজন পড়লে, বুদ্ধভক্তরাও কম যায় নাঃ চীন-জাপান যুদ্ধের সময়ে জাপ বোমারু বিমানের পাইলটরা চীনের নগরে-বন্দরে বোমা ফেলার জন্য উড়ে যাবার প্রাক্কালে টোকিও, ইওকোহামা, ওসাকার প্রাচীন সব বৌদ্ধ মঠে গিয়ে প্রার্থনা করতে ব্যস্ত থাকত - যাতে সেদিনের হামলায় যেন ধ্বংস, মৃত্যু, হাহাকার অঢেল হতে পারে। রবীন্দ্রনাথের ‘নবজাতক’ কাব্যগ্রন্থের ‘বুদ্ধভক্তি’ কবিতাটা স্মরণ করুন! ধর্মচ্যুত কিংবা বিধর্মী বলে যাদেরকে ঘোষণা করত ক্রিশ্চান চার্চ, তাদের ‘ইনকুইজিশ্যন’ নামক উৎপীড়নে কীভাবে হত্যা করা হতো, তার প্রমাণ তো আছে ভুরি-ভুরি! ইতিহাস বিশ্রুত জোয়ান অব আর্কের কথা মনে পড়ছে নিশ্চয়ই? স্প্যানিশ সৈন্যরা যখন দক্ষিণ আমেরিকাতে পেরু দেশ দখল করে একইসঙ্গে ধাপ্পা ও অস্ত্রের সাহায্যে, তখন ইনকা সম্রাট আতাহুয়ালপাকে ক্রুশ কাঠে বেঁধে পোড়ানোর সময়ে, সেই ‘হিদেন’কে ব্যাপটাইজও করেন সৈন্যদের সহচর ধর্মপ্রাণ ক্রিশ্চান যাজকরা। ‘জেহাদি’ মুসলিমরা যখনই কোনো দেশ আক্রমণ করেছে, তাদের অন্যতম জিগির ছিল ‘‘কাফের জাহান্নম রফৎ’’ (বিধর্মীদের নরকে পাঠাতে হবে - অস্যার্থ, হত্যা করতে হবে)। সেটা পারলে - ‘গাজি-তার অক্ষয় বেহশৎ; না পারলে শহিদ - তারও নিশ্চিত স্বর্গলাভ।
আসল কথাটা হলো এই যে, ধর্মবিশ্বাস যখন উৎকট মনোবিকারে পরিণত হয়, তখনই আবির্ভাব ঘটে তপ্ত তৈল কটাহের মতো হিংস্রতার প্রতীকেরঃ জারি হয় ইনকুইজিশন (প্রায় ক্ষেত্রেই ছিল যা আগুনে পুড়িয়ে মারা); জিগির ওঠে নরকে পাঠানোর। বহু বহু শতাব্দী ধরে ইহুদিরা এই ধর্মীয় কারণে উৎপীড়িত হয়েছেন। ৪১০০+ বছর ধরে ইহুদিরা কীভাবে উৎপীড়িত ও বিতাড়িত হয়েছেন, তার আদিকথা তো বাইবেলের মোজেস-ফারাও কাহিনিতে মেলে। সেখান থেকে শুরু করে দ্বিতীয় মহাযুদ্ধে নাৎসিদের ‘হলোকাস্ট’ অবধি তো সেই অত্যাচার, হত্যা, বিতাড়ন চলেছে ক্রিশ্চানদের হাতে। শেক্সপিয়রের ‘মার্চেন্ট অব ভেনিস’ নাটকে ইহুদি শাইলকের তীব্র ব্যঙ্গোক্তি মনে করুন না এই স্থলে। যে কোনো ‘ধর্মযুদ্ধের’ কারণেই নিহত হয়েছে অগুনতি মানুষ। অপহৃত ও ধর্ষিতা হয়েছে অগণ্য নারী, লুণ্ঠন, অগ্নিদাহন, ভয়ঙ্কর উৎপীড়নের মাধ্যমে সব ধর্মের ধ্বজাধারীরাই একটা বীভৎস স্যাডিস্ট (বা মর্ষকামী) উল্লাসে মেতেছে এই ঘৃণ্যাতিঘৃণ্য জঘন্য জুগুপ্সায়। পৃথিবীর কোথাও এই ভয়াল অপহ্নরের অভাব ঘটেনি মানুষের তথাকথিত সভ্যতার বিবর্তনের ইতিহাসে।
ঠিক এই জন্যেই আজ যখন সর্বোচ্চ আদালতের নির্দেশও অগ্রাহ্য করে ‘হিন্দুরাষ্ট্রের’ জিগির তুলছে তথাপ্রথিত সাধু-ভেকধারী গুন্ডারা এবং বিজেপি সরকারগুলো কেন্দ্রে এবং রাজ্যে-রাজ্যে ধৃতরাষ্ট্র সেজে পরোক্ষে তাতে মদত দিচ্ছে, তখন আর ব্যাপারটা সিঁদুরে মেঘ দেখার পর্যায়ে নেই। বিশ্বের দরবারে আজ যখন ভারতকে ধর্মীয় কারণে পীড়নকারী দেশগুলির মধ্যে প্রথম সারিতে ঘোষণা করা হচ্ছে, তখন তো আর চোখকান বুঁজে ‘হিন্দু-হিন্দি-হিন্দোস্তান’ (বিজেপি-আরএসএস-ওয়ালাদের জবানে যা, ‘হিন্দুস্থান’) স্লোগানকে উপেক্ষা করে বসে-বসে হাই তোলা সম্ভব নয়। কল্পনাতীত মূল্যবৃদ্ধি এবং সরকারি মদতে কিছু অতি ধনীকে আরও ধনী, সব গরিবকে আরও গরিব বানানো হচ্ছে হাজারো ধাপ্পা দিয়ে, সংবাদপত্রের কণ্ঠরোধ করা হচ্ছে দেশদ্রোহের ভূয়ো অভিযোগে - তখন এই ‘ঘুঁটের মেডেলের যোগ্য’ সরকারকে আর কতদিন সহ্য করা যায় বলুন তো?