৫৮ বর্ষ ১৩শ সংখ্যা / ১৩ নভেম্বর ২০২০ / ২৭ কার্ত্তিক ১৪২৭
২৬ নভেম্বর দেশব্যাপী ২০তম বিশ্বায়নবিরোধী ধর্মঘট সফল করতে এগিয়ে চলো
প্রণব চট্টোপাধ্যায়
আগামী ২৬ নভেম্বর সারা ভারত সাধারণ ধর্মঘট সংগঠিত হতে চলেছে। বিশ্বায়নের অর্থনীতি চালু হওয়ার পরবর্তী কালপর্বের ভারতে ২০তম ধর্মঘট। বর্তমান পরিস্থিতিতে এই ধর্মঘট অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। গত ২ অক্টোবর দেশের ১০টি কেন্দ্রীয় ট্রেড ইউনিয়ন অনলাইন সভা করে এই সিদ্ধান্ত নেয়। একমাত্র বিএমএস এবং আইএনটিটিইউসি এই সিদ্ধান্তে শামিল হয়নি। স্বাভাবিকভাবেই এই রাজ্যে তৃণমূল কংগ্রেস এবং তাদের পরিচালিত সরকারের বিরোধিতা করে এবং বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলির প্রশাসনের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে আগামী ধর্মঘট সফল করতে হবে। ইতিমধ্যে ধর্মঘট সফল করতে বিভিন্ন রাজ্যে, জেলায় এবং মহকুমায় কনভেনশন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এছাড়া ধর্মঘটের প্রচারে কারখানা-অফিসগেটে সভা, পোস্টারিং প্রভৃতি প্রচারের বিভিন্ন কর্মসূচি প্রতিপালিত হচ্ছে। কেন্দ্রীয় ট্রেডইউনিয়নগুলির ডাকা এই ধর্মঘটের সমর্থনে সারা ভারত কৃষক সংঘর্ষ সমিতি গ্রামীণ বনধ ডেকেছে। এই রাজ্যে কৃষক ও খেতমজুরদের ২১ টি সংগঠন এই ধর্মঘটে শামিল হচ্ছে। অন্যান্যবারের মতো এইবারেও মধ্যবিত্ত কর্মচারী-শিক্ষকদের অর্ধশতাধিক ফেডারেশন ধর্মঘটে সমর্থন করে অংশগ্রহণ করতে চলেছে। এছাড়াও পরবর্তীকালে রাজ্যস্তরের কয়েকশ’ ট্রেড ইউনিয়ন এই ধর্মঘটে অংশগ্রহণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ফলে এই ধর্মঘটের রূপ হবে ব্যাপক।
।। এক ।।
আমাদের দেশে ১৯৯১ সাল থেকে বিশ্বায়ন উদারীকরণ বেসরকারিকরণের নীতি চালু হয়েছে।কেন্দ্রে তখন নরসিমা রাওয়ের নেতৃত্বাধীন কংগ্রেস সরকার। অর্থমন্ত্রী ডঃ মনমোহন সিং। পরবর্তীকালে কেন্দ্রে যে’কটি সরকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে প্রত্যেকটি সরকার একই নীতি অনুসরণ করেছে। তবে ২০০৪-০৮ পর্যন্ত ইউপিএ-১ সরকার যেহেতু বামপন্থীদের ওপর নির্ভরশীল ছিল তাই তাদের চাপে বেশ কিছু সিদ্ধান্ত স্থগিত বা প্রত্যাহার করতে কেন্দ্রীয় সরকার বাধ্য হয়েছিল। তবে সব থেকে ক্ষোভ এবং উদ্বেগের বিষয় হলো, ২০১৪ সালে নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে বিজেপি সরকার প্রতিষ্ঠিত হবার পর উদারনীতির আক্রমণ তীব্র হয়ে ওঠে। ২০১৯ সালে আরও বেশি সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে তারা ফিরে আসার পর এই আক্রমণ অতীতের সব নজির ছাড়িয়ে গেছে। ১৯৯১ সালে উদারনীতি গৃহীত হবার পর থেকে ২০২০ সালের জানুয়ারি মাস পর্যন্ত ১৯টি সাধারণ ধর্মঘট সংগঠিত হয়েছে। এরমধ্যে মোদী সরকারের দু’দফা শাসনকালে হয়েছে ৪টি ধর্মঘট।
এর আগে অনুষ্ঠিত ১৯টি ধর্মঘট সেগুলির সমকালীন পরিস্থিতিতে ছিল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও বৈশিষ্ট্যময়। কিন্তু পরিস্থিতিগুলির সঙ্গে আসন্ন ধর্মঘটের পরিস্থিতিকে এক করে দেখা যাবে না। কারণ এবারের ধর্মঘট হচ্ছে ‘নিও নর্মাল’ পরিস্থিতিতে, যখন শ্রমজীবীদের জীবন ও জীবিকা উভয়ই আক্রান্ত। এই কারণেই আগের ধর্মঘটের দাবিসনদের সঙ্গে এবারে দাবিসনদের অন্তর্বস্তুগত সাদৃশ্য থাকলেও আঙ্গিকের দিক থেকে পার্থক্য রয়ে গেছে।
দ্বিতীয় দফায় নরেন্দ্র মোদী ক্ষমতায় আসার আগে থেকেই বেসরকারিকরণের বিরুদ্ধে শ্রমিক-কর্মচারীদের আন্দোলন ও ধর্মঘটগুলির মাত্রা বৃদ্ধি পাচ্ছিল বহুল পরিমাণে। ২০২০ সালেও সেই ধারাবাহিকতা বজায় ছিল। এই আন্দোলনগুলির তরঙ্গশীর্ষে এবছরের ৮ জানুয়ারি ১৯তম ধর্মঘটটি সংগঠিত হয়েছিল।এর অল্প কিছুদিন পরেই কোভিড-১৯ সংক্রমণ শুরু হয়। ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহান থেকে করোনা সংক্রমণে মৃত্যুর প্রথম খবর আসে। জানুয়ারি মাস থেকেই এই সংক্রমণ সারা বিশ্বে অতি দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে শুরু করে। একে প্রতিহত করার প্রশ্নে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা থেকে নির্দেশ জারি করা হয়।সংক্রমণ অতিমারীর চেহারা নেয় পুঁজিবাদী দেশগুলিতে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ার মধ্যে দিয়ে। এদের শীর্ষে রয়েছে মার্কিন যুক্তিরাষ্ট্র। সারা বিশ্বে কোভিডে আক্রান্ত ৫ কোটি মানুষ, যাদের মধ্যে মৃত্যু হয়েছে প্রায় ১২ লক্ষ। পরিস্থিতি অনুযায়ী নিজস্ব সিদ্ধান্তে এক একটি দেশ লক ডাউন ঘোষণা করতে থাকে। অতিমারী ও লক ডাউনের পরিণতিতে সারা বিশ্বে মানুষের স্বাভাবিক সামাজিক-সাংস্কৃতিক-অর্থনৈতিক-রাজনৈতিক জীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে। প্রাপ্ত পরিসংখ্যান অনুযায়ী উন্নত দেশগুলিতে অতিমারীতে সংক্রামিত ও মৃত উভয়ের সংখ্যাই বেশি। এর কারণ হলো নয়া-আর্থিকনীতিকে অনুসরণ করার ফলে বিভিন্ন জন পরিষেবা, বিশেষ করে জনস্বাস্থ্য পরিষেবার বেসরকারিকরণ হয়েছে। যে কোনো অতিমারীকে ঠেকানোর জন্য প্রয়োজন স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে উন্নত গবেষণার ব্যবস্থা। অথচ সরকারি বিনিয়োগ কমিয়ে দেওয়ায় প্রতিষেধক উদ্ভাবন কঠিন হয়ে উঠেছে। পুঁজিবাদে যেহেতু সব নীতিই মুনাফা নির্ভর, তাই রোগ প্রতিরোধের বদলে রোগ প্রতিকারের ওপর জোর দেওয়া হয়। কারণ বেসরকারি চিকিৎসাব্যবস্থা, ওষুধ প্রস্তুতকারক সংস্থা এবং বিমা ব্যবসায়ীরা এতে লাভবান হয়। বিপরীতে, সমাজতান্ত্রিক দেশগুলি দীর্ঘ প্রচেষ্টায় সর্বজনীন স্বাস্থ্যব্যবস্থা গড়ে তুলেছে এবং তার জন্যেই অতিমারীকে তারা যথাযথভাবেই মোকাবিলা করতে পেরেছে। চীন থেকে কোভিড-১৯ ভাইরাসের উৎপত্তি হলেও, সেখানে সরকারি তৎপরতায় একে দ্রুততার সঙ্গে প্রতিরোধ করা অনেকটাই সম্ভব হয়েছে, মৃতের সংখ্যা ৪/৫ হাজারের বেশি ছাড়ায় নি। চীনের সঙ্গে দীর্ঘ সীমানা থাকা সত্ত্বেও ভিয়েতনামে এই অতিমারীতে একজন ব্যক্তিরও মৃত্যু হয়নি। কিউবাতে মৃতের সংখ্যা ১০০-র বেশি নয়। তারা নিজেদের দেশে সংক্রমণ প্রতিরোধ করে অন্তত ৫০ টি দেশকে অতিমারী চিকিৎসার ওষুধ ও অন্যান্য উপকরণ দিয়ে সাহায্য করেছে। লাওস ও উত্তর কোরিয়ারও একই চিত্র ।
ভারতের ক্ষেত্রে চিত্রটি বেশ বেদনার। এপর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ১ কোটি। মৃতের সংখ্যাও প্রায় ১ লক্ষ। করোনা সংক্রমণ এদেশের স্বাস্থ্যব্যবস্থার কঙ্কালসার চেহারাটাকে উন্মোচিত করে দিয়েছে। কিছুটা ব্যতিক্রম কেরালা। সেখানে চতুর্মুখী কৌশল-নিবিড় পরীক্ষা, আক্রান্তদের আলাদা করা, সংক্রমিতদের সংস্পর্শে আসা ব্যক্তিদের চিহ্নিত করা এবং তাদের কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো - এর মধ্যে দিয়ে অতিমারীকে অনেকটাই নিয়ন্ত্রণ করতে পারা গেছে।
নরেন্দ্র মোদী সরকার অতিমারী প্রতিরোধে চূড়ান্ত ব্যর্থ হলেও জনবিরোধী এবং দেশবিরোধী একের পর এক পদক্ষেপ গ্রহণ করে চলেছে। প্রথমত, এই অতিমারী পরিস্থিতির সুযোগে মোদী সরকার নব্য-উদারনীতির নির্মমতার প্রয়োগের উদাহরণ সৃষ্টি করছে। ‘আত্মনির্ভরতা’র প্যাকেজ আসলে দেশি-বিদেশি কর্পোরেট সংস্হাগুলির কাছে নিঃশর্ত আত্মসমর্পণ। এই সময়ে নির্মমভাবে বেসরকারিকরণ প্রক্রিয়া চলছে। প্রতিরক্ষা উৎপাদন, পারমাণবিক শক্তি, বিভিন্ন স্ট্র্যাটেজিক ক্ষেত্র বিদেশি পুঁজির কাছে উন্মুক্ত করে দেওয়া হচ্ছে। রেলওয়ে, বিদ্যুৎ, পেট্ট্রোলিয়ম, ব্যাঙ্ক, বিমা, প্রতিরক্ষা উৎপাদন কেন্দ্র সহ গুরুত্বপূর্ণ রাষ্ট্রীয় অধিগৃহীত সংস্থাগুলিকে বেসরকারিকরণ করতে উঠে পড়ে লেগেছে কেন্দ্রীয় সরকার। একইসঙ্গে শ্রমিকশ্রেণি সহ সাধারণ মানুষের ওপর আক্রমণ নামিয়ে আনা হচ্ছে। বর্তমান পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে ৪৪টি শ্রমআইনের মধ্যে ১৫টিকে বাতিল করে বাকি ২৯টিকে নিয়ে ৪টি শ্রমকোড তৈরি করা হয়েছে। চুক্তি প্রথায় নিয়োগকে সর্বত্র চালু করতে ‘ফিক্সড টার্ম এমপ্লয়মেন্ট’ নামে স্থায়ী ব্যবস্থা করা হয়েছে। যেসব সংস্থায় ৩০০ জন বা তার কম সংখ্যক শ্রমিক-কর্মচারী কর্মরত সেখানে ছাঁটাই, লকআউট বা লে-অফ করার আগে রাজ্য সরকারের অনুমতির প্রয়োজন হবে না। বর্তমানে ৭০শতাংশ শিল্প সংস্থাতে ৩০০ বা তার কম সংখ্যক কর্মচারী আছে। এই সংস্থাগুলিতে কাজ করে দেশের ৭৪ শতাংশ শ্রমিক-কর্মচারী। এরা সবাই ‘হায়ার অ্যান্ড ফায়ার’ নীতির শিকার হয়ে পড়বেন। লকডাউনের সময়ে ১৪ কোটি মানুষ কাজ হারিয়েছেন। পরিযায়ী শ্রমিকদের দুর্দশা চরমে উঠেছে। অন্যদিকে শিল্পপতিদের মুনাফার পরিমাণ ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। শুধুমাত্র ৩ মাসেই মুকেশ আম্বানির সম্পত্তির পরিমাণ ১০০০ কোটি ডলার বৃদ্ধি পেয়েছে।
দ্বিতীয়ত, কেন্দ্র ও বিভিন্ন রাজ্য সরকারগুলির সহায়তায় আরএসএস-বিজেপি জোট, মুসলিম ধর্মীয় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর নানাভাবে আক্রমণ চালাচ্ছে। সাম্প্রদায়িক মেরুকরণ তীব্রতর করাই এর লক্ষ্য।
তৃতীয়ত, লক ডাউনের সময়ে কেন্দ্রীয় সরকার তাদের কর্তৃত্ব ও ক্ষমতা আরও বাড়িয়ে নিয়েছে। নির্বাচিত সরকারগুলিকে কার্যত ঠুঁটো জগন্নাথে পরিণত করা হচ্ছে। ফলে সংবিধানের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য, যুক্তরাষ্ট্রীয় ব্যবস্থা, আজ আক্রান্ত।
চতুর্থত, দেশের স্বাধীন ও সংবিধানসম্মত সংস্হাগুলির ক্ষমতাকেও খর্ব করা হচ্ছে।
পঞ্চমত, বর্তমান পরিস্থিতিকে কাজে লাগিয়ে ভারতকে মার্কিন সাম্রাজ্যবাদের অধস্তন শরিকে রূপান্তরিত করেছে। চীনবিরোধী মার্কিন প্রচারে ভারত নিজেকে জড়িয়ে ফেলছে। এসবের মধ্যে দিয়ে ভারতের স্বাধীন বিদেশনীতি আক্রান্ত হয়ে পড়েছে।
।। দুই ।।
যেকোনো ধর্মঘটের আগে বিভিন্ন শ্রমজীবীদের খণ্ড খণ্ড সংগ্রামগুলি সংগঠিত হয়। যেমন এই ধর্মঘটের আগে ২-৪ জুলাই কয়লাখনি শ্রমিকদের ধর্মঘট হয়েছিল। এই ক্ষেত্রভিত্তিক ধর্মঘটগুলি পরবর্তীকালে সাধারণ ধর্মঘটের সম্ভাবনাকে বিকশিত করে। আবার একটি সফল সাধারণ ধর্মঘটে অংশগ্রহণকারীরা পুনরায় ক্ষেত্রভিত্তিক ধর্মঘটগুলিকে সংগঠিত করতে উৎসাহিত হয়। অর্থাৎ, একদিনের ধর্মঘট একদিনে সীমাবদ্ধ থাকে না। তার রাজনৈতিক তাৎপর্য হয় সুদূরপ্রসারী।
ধর্মঘটের রাজনৈতিক প্রভাবের বড়ো প্রমাণ সদ্য অনুষ্ঠিত বিহার বিধানসভা নির্বাচনে বামপন্থীদের সাফল্য। আগামী বছরের মাঝামাঝি নাগাদ পশ্চিমবঙ্গ, আসাম, কেরালা, তামিলনাড়ু রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে চলেছে। ধর্মঘটে বড়ো ধরনের সাফল্য এবং তার দাবিগুলি সাধারণ মানুষকে অবশ্যই স্পর্শ করবে। এরাজ্যে আগামী নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেসকে ক্ষমতা থেকে অপসারণ, বিজেপি’কে ক্ষমতা থেকে দূরে রাখা এবং বামপন্থী, গণতান্ত্রিক, ধর্মনিরপেক্ষ শক্তিকে আরও শক্তিশালী করে গড়ে তোলা রাজ্যবাসীর এক গুরুত্বপূর্ণ কর্তব্য। এই কর্তব্য পালনে ধর্মঘট এক জোরালো হাতিয়ার হিসাবে কাজ করবে, একথা বলার অপেক্ষা রাখে না।
(১) ২৯ নভেম্বর, ১৯৯১, (২) ১৬ জুন, ১৯৯২, (৩) ৯ সেপ্টেম্বর, ১৯৯৩, (৪) ২৯ সেপ্টেম্বর, ১৯৯৪, (৫) ১১ ডিসেম্বর, ১৯৯৮, (৬) ১১ মে, ২০০০, (৭) ১৬ এপ্রিল, ২০০২, (৮) ২১ মে, ২০০৩, (৯) ২৪ জুন, ২০০৪, (১০) ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০০৫, (১১) ১৪ ডিসেম্বর, ২০০৬, (১২) ২০ আগস্ট, ২০০৮, (১৩) ৭ সেপ্টেম্বর, ২০১০, (১৪) ২৮ ফেব্রুয়ারি, ২০১২, (১৫) ২০-২১ ফেব্রুয়ারি, ২০১৩, (১৬) ২ সেপ্টেম্বর ২০১৫ (১৭) ২ সেপ্টেম্বর, ২০১৬, (১৮) ৮-৯ জানুয়ারি, ২০১৯, (১৯) ৮ জানুয়ারি, ২০২০।
দাবিসমূহঃ
১) আয়করের আওতা বহির্ভূত প্রতিটি পরিবারকে জনপ্রতি প্রতি মাসে নগদ ৭,৫০০ টাকা দিতে হবে।
২) প্রতিটি অভাবগ্রস্ত পরিবারের প্রতিটি সদস্যের জন্য মাসে ১০ কেজি রেশন বিনামূল্যে দিতে হবে।
৩) এমজিএনরেগা প্রকল্পের পরিসর বৃদ্ধি করে গ্রামীণ এলাকায় বছরে ২০০ দিনের কাজ দিতে হবে। শহর এলাকায় কর্মসংস্থানের নিশ্চয়তা দিতে হবে।
৪) সমস্ত কৃষকবিরোধী আইন এবং শ্রমিকবিরোধী সকল শ্রমকোড সমূহ বাতিল করতে হবে।
৫) রাষ্ট্রায়ত্ত শিল্পক্ষেত্র সহ আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলি বেসরকারিকরণ করা বন্ধ করতে হবে এবং সরকারি উৎপাদন কেন্দ্রগুলি যেমন রেলওয়ে, অর্ডন্যান্স ফ্যাক্টরি এবং বন্দর ইত্যাদি কর্পোরেটদের হাতে তুলে দেওয়া চলবে না।
৬) সরকারি এবং রাষ্ট্রায়ত্ত ক্ষেত্রগুলির কর্মীদের চাকরির মেয়াদ শেষ হবার আগেই তাদের অবসর নিতে বাধ্য করার দানবীয় আইন বাতিল করতে হবে।
৭) সকলের জন্য পেনশনের ব্যবস্থা করতে হবে, এনপিএস (ন্যাশনাল পেনশন স্কিম) বাতিল করে পুরনো পেনশন ব্যবস্থা চালু করতে হবে। ইপিএস ৯৫ (এমপ্লয়িজ পেনশন স্কিম ১৯৯৫)-কে উন্নত করতে হবে।