E-mail: deshhitaishee@gmail.com  | 

Contact: +91 33 2264 8383

৫৮ বর্ষ ১৩শ সংখ্যা / ১৩ নভেম্বর ২০২০ / ২৭ কার্ত্তিক ১৪২৭

আমেরিকার নির্বাচন নিয়ে বিশ্বজুড়ে হইচই কেন?

দেবেশ দাস


পৃথিবীর সব সংবাদপত্রে প্রায় প্রতিদিন আমেরিকার রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের খবর। একেবারে প্রথম পাতায়। লিড নিউজ। সব টেলিভিশনে ব্রেকিং নিউজ। কেন আমেরিকার নির্বাচন নিয়ে দেশে দেশে এতো আলোড়ন? এর কারণ বুঝতে গেলে বুঝতে হবে বিশ্বের অর্থনীতি, রাজনীতি ও সামরিক ক্ষেত্রে আমেরিকার প্রভাব। যে প্রভাব মূলত তৈরি হয়েছে বিশ্বের অর্থনীতিতে তার আধিপত্যের জন্য।

দীর্ঘদিন ধরেই পৃথিবীর সবচেয়ে ধনী দেশ আমেরিকা। ওয়ার্ল্ড ব্যাঙ্কের হিসাব অনুযায়ী ২০১৯ সালে পৃথিবীর প্রথম পাঁচটা দেশের জিডিপি দেখানো হলো সারণি-১তে। ওই সারণিতেই দেখানো হলো আমেরিকার ফোরবস ম্যাগাজিন অনুযায়ী ওই দেশগুলিতে ১ বিলিয়ন ডলারের উপর সম্পদের মালিক কতজন (১ বিলিয়ন = ১০০০,০০০,০০০, বর্তমানে ১ ডলার = প্রায় ৭৪ টাকা)। দেখাই যাচ্ছে, আমেরিকায় সবচেয়ে ধনী লোকেদের বাস। এই ধনী দেশটি নিয়ে সারা পৃথিবীর মানুষের আগ্রহের শেষ নেই।

সারণি-১: ২০১৯ সালে প্রথম পাচটি দেশের জিডিপি ও সেই দেশগুলিতে বিলিওনেয়ারের সংখ্যা

* ১ ট্রিলিয়ন = ১০০০,০০০,০০০,০০০
সূত্রঃ https://data.worldbank.org, https://www.forbes.com

সারণি-২: ২০১৯ সালে প্রথম পাঁচটি দেশের সামরিক খাতে ব্যয়

সূত্রঃ https://www.statista.com/statistics/262742/countries-with-the-highest-military-spending/

অর্থনীতিতে আধিপত্যের সাথে সামরিক ক্ষেত্রেও আধিপত্য। এখনো সারা পৃথিবীতে সবচেয়ে বেশি সামরিক খাতে ব্যয় করে আমেরিকাই। সারণি-২তে দেখানো হলো সামরিক খাতে বিশ্বের প্রথম পাঁচটি দেশের ব্যয়। যদি নিউক্লিয়ার অস্ত্রশস্ত্রের মজুত ভাণ্ডার দেখি, তবে আমেরিকার নিউক্লিয়ার অস্ত্রের ভাণ্ডার রাশিয়ার থেকে কম হলেও, সংখ্যাটা কম নয় (সারণি-৩)। এতো নিউক্লিয়ার অস্ত্রশস্ত্র, এতো বেশি সামরিক খাতে ব্যয় করে আমেরিকার দাদাগিরি ভালোই চলে। তাকে অনেকে ভয় পায়, সমীহ করে চলে, অনেকে দলে রাখতে চায়।

সারণি-৩: ২০২০ সালে দেশে দেশে নিউক্লিয়ার অস্ত্র

সূত্রঃ https://www.armscontrol.org/factsheets/Nuclearweaponswhohaswhat

বিশ্ব অর্থনীতিতে আমেরিকার আধিপত্য শুরু হয় দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শেষ হতে হতেই। সেই অর্থনীতির আধিপত্যের পিছনে মদত দিয়েছে সামরিক আধিপত্য, যার ফলে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে দেশে সে আক্রমণ করেছে, বহু গণতন্ত্রকে ধ্বংস করেছে। বিশ্ব রাজনীতিতে তার দাপাদাপি চলছে গত সাড়ে সাত দশক ধরে।

গত শতাব্দীতে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শেষ হলো ২ সেপ্টেম্বর, ১৯৪৫। যুদ্ধের ভবিষ্যৎ কয়েকমাস আগেই নির্ধারিত হয়ে গেছিল, কারণ তার আগেই ৮ মে জার্মান বাহিনী সোভিয়েত রাশিয়ার কাছে আত্মসমর্পণ করে। বিশ্বের অর্থনীতিতে যে নতুন নিয়ন্ত্রণ হতে যাচ্ছে তা বুঝতে আমেরিকার অসুবিধা হযনি। ১৯৪৫-র জুলাই মাসে ওয়ার্ল্ড ব্যাঙ্ক প্রতিষ্ঠা হয়, বর্তমানে ১৮৯টি দেশ এর সদস্য। ১৯৪৫-র ডিসেম্বর মাসে প্রতিষ্ঠা হয় আন্তর্জতিক মুদ্রা ভাণ্ডার (International Monetary Fund-আইএমএফ), বর্তমানে ১৯০টি দেশ এর সদস্য। ওয়ার্ল্ড ব্যাঙ্ক এবং আইএমএফ’র পরিকল্পনা হয়েছিল ১৯৪৪ সালেই। এই দুটি সংস্থাই দেশে দেশে ঋণ দেয় তাদের শর্তে, এই দুটি সংস্থাকেই নিয়ন্ত্রণ করে আমেরিকা। ওয়ার্ল্ড ব্যাঙ্কের INTERNATIONAL BANK FOR RECONSTRUCTION AND DEVELOPMENT (আইবিআরডি) এবং আইএমএফ’এ কোন্‌ দেশের কত শতাংশ ভোট আছে তা সারণি-৪তে দেখানো হলো। আমেরিকা একমাত্র দেশ যার ওয়ার্ল্ড ব্যাঙ্ক এবং আইএমএফ’এ ভেটো দেওয়ার অধিকার আছে, সে না চাইলে কোনো সিদ্ধান্ত করা যাবে না। খুবই স্বাভাবিক যে, ওয়ার্ল্ড ব্যাঙ্ক কিংবা আইএমএফ থেকে কোনো দেশ সুবিধাজনক শর্তে ঋণ পেতে গেলে সেই দেশটিকে আমেরিকাকে তেল দিয়ে চলতে হবে।

সারণি-৪: ওয়ার্ল্ড ব্যাঙ্ক এবং আইএমএফ-এ বিভিন্ন দেশের ভোটের শতাংশ

সূত্রঃ http://pubdocs.worldbank.org/en/280961541106482420/IFCCountryVotingTable.pdf, https://www.imf.org/external/np/sec/memdir/members.aspx

১৯৪৮ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের উদ্যোগেই তৈরি হয় আরেকটি সংস্থা গ্যাট (GATT - General Agreement on Trade and Tariff)। এর উদ্দেশ্য ছিল বিভিন্ন দেশের মধ্যে ব্যবসা বাণিজ্য, পণ্য চলাচলে নিয়মনীতি ঠিক করা। ১৯৮৯ সালে সোভিয়েত রাশিয়া ও পূর্ব ইয়োরোপের দেশগুলিতে সমাজতন্ত্রের বিপর্যয়ের ফলে বিশাল এক বাজার পুঁজিবাদের উন্নত দেশগুলির কাছে উন্মুক্ত হয়। এই অবস্থায় ১৯৯১ সালে গ্যাটের অধিকর্তা ডাংকেল কিছু নতুন প্রস্তাব নিয়ে আসেন, যাতে পুঁজিবাদী উন্নত দেশগুলি তাদের পণ্য নিয়ে বিশ্বায়ন ও উদারীকরণের নামে দেশে দেশে অবাধে ঢুকতে পারে।

দেখা যায়, এতে সবটা হচ্ছে না। ১৯৯৫ সালে গ্যাট উঠে গিয়ে তৈরি করা হয় ডাব্লিউটিও (World Trade Organization - WTO) — যাতে বলা হয় যে, এটা হবে একমাত্র আন্তর্জাতিক বিশ্ব সংস্থা যা বিভিন্ন দেশের মধ্যে বাণিজ্যের নিয়মনীতি ঠিক করবে। উদ্দেশ্য হবে, যাতে পূর্বাভাস অনুযায়ী সাবলীল ও মুক্তভাবে বাণিজ্য (trade) চলাচল নিশ্চিত হয়। যে সমস্ত দেশ স্বাক্ষর করবে, তাদের নিজ নিজ দেশের আইন পার্লামেন্টে এমনভাবে পাশ করাতে হবে যাতে তাদের দেশগুলির বাজারে এই বাণিজ্যের অবাধ চলাচল হয়। অর্থাৎ কোনো দেশ যদি তার বাজারে বিদেশি পণ্য ঢোকার ক্ষেত্রে কর চাপাতে চায় তবে সেটা করার তার আর অধিকার রইল না। এখন, এই নিয়ম যদি কেউ না মেনে কোনো দেশ থেকে আসা পণ্যর উপর বাড়তি কর চাপায়, তাহলে কি শাস্তি হবে? তাহলে যে দেশটা থেকে আসা পণ্যের উপর বাড়তি কর চাপানো হচ্ছে, সেই দেশটাও পাল্টা কর চাপাতে পারবে। এখানেই যতো গন্ডগোল। ভারতের মতো দেশে যেখানে উৎপাদন কম, পণ্য রপ্তানি কম, আমদানি বেশি, সেখানে কোনো দেশের পণ্যের উপর বাড়তি কর চাপানোর চেষ্টা করলে, সেই দেশটিও পাল্টা পদক্ষেপ নেবে, ফলে রপ্তানি আরও কমবে। আর তাছাড়া, অনেক সময়ে অনেক প্রয়োজনীয় জিনিসও আমদানি করতে হয়, যাতে কর বসালে ভারতের ক্ষতি। ২০১৮-১৯-তে ভারতে আমদানি হয়েছে ৫১৪ বিলিয়ন ডলার, ভারত থেকে রপ্তানি হয়েছে ৩৩০ বিলিয়ন ডলার, অর্থাৎ ঘাটতি ১৮৬ বিলিয়ন ডলার (সূত্রঃ Economic Survey, 2019-20)।

ফলে ডাব্লিউটিও’র নীতিগুলি কতটা নিজের দেশের ক্ষেত্রে অনুকূল করা যায় তার জন্য ভারত ও তার মতো দেশগুলির শিল্পোন্নত দেশগুলির দয়ার উপর নির্ভর করতে হয়। নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ জোসেফ স্টিগলিৎস খুব সঙ্গতভাবেই ২০১৭ সালে লিখেছেন যে, বিশ্বায়নে গরিব উন্নয়নশীল দেশগুলি কার্যত অন্যান্যদের সদিচ্ছার উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়তে পারে (Joseph E. Stiglitz, “Globalization and its Its Discontent: Revisted”, Penguin,2017)। এই যাদের উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়ে তাদের মধ্যে পালের গোদা অবশ্যই আমেরিকা।

অর্থনীতি বাদ দিয়ে অন্য ক্ষেত্রে আসি। কোনো দেশ যদি আরেকটা দেশের সাথে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে, তারজন্য রাষ্ট্রসংঘ অনেক সময়ে হস্তক্ষেপ করে। যদিও আমেরিকার ক্ষেত্রে বারেবারে দেখা গেছে যে, রাষ্ট্রসংঘের নির্দেশকে সে থোড়াই কেয়ার করে। রাষ্ট্রসংঘর নিরাপত্তা পরিষদে ১৫ জন সদস্য, তার মধ্যে পাঁচজন সদস্য স্থায়ী, এরা হলো – আমেরিকা, চীন, ফ্রান্স, ব্রিটেন ও রাশিয়া। বাকি ১০জন দু’বছরের জন্য অস্থায়ীভাবে নির্বাচিত হয়। এই পাঁচজন স্থায়ী সদস্যর কোনো একটা সিদ্ধান্তে ভেটো প্রয়োগ করার ক্ষমতা আছে। অর্থাৎ, কোনো একটা সিদ্ধান্ত যদি ১৪ জন মিলে নেয়, বাকি একজন স্থায়ী সদস্য তাতে একমত না হলে পুরো সিদ্ধান্ত বাতিল হয়ে যেতে পারে। অস্থায়ী সদস্য নির্বাচিত হতে গেলে ১৯৩ সদস্য বিশিষ্ট জেনারেল অ্যাসেম্বলির দুই-তৃতীয়াংশ ভোট পেতে হবে। খুবই স্বাভাবিক, অস্থায়ী সদস্য হিসাবে নির্বাচিত হতে গেলে ভালো লবি করার দরকার। অনেকগুলো দেশই আমেরিকার উপর নির্ভরশীল, আমেরিকার বন্ধু দেশ অনেকেই আছে। ফলে অস্থায়ী সদস্য হতে চাইলে আমেরিকার সাথে সুসম্পর্ক রাখা জরুরি হয়ে দাঁড়ায়। এই পর্যন্ত ভারত ও পাকিস্তান প্রত্যেকেই ৭ বার করে নির্বাচিত হয়েছে। এখন এই ১৫ জনের কমিটির মধ্যে কোনো সিদ্ধান্ত হতে গেলে তাতে ৯ জনের ভোট চাই। তার মধ্যে ৫ জনের স্থায়ী সদস্যের তাতে একমত হতে হবে, বাকি ৪টি ভোটের ক্ষেত্রে যে বাকি ১০টি দেশ আছে, তাতে বাস্তবে দেখা যায় যে আমেরিকাকে ধরলে সেটা জোগাড় করা অনেক সময়ে সহজ। ফলে আমেরিকার উপর নির্ভরশীলতা বাড়ে (https://www.un.org/securitycouncil)।

নানা কায়দায় সারা বিশ্বে আমেরিকা তার প্রভাব বাড়িয়েছে। তার ন্যাটো আছে, নাফটা আছে, জি-১২ আছে। সমস্ত আন্তর্জাতিক সংস্থাতে আমেরিকা থেকে যারা সদস্য হন, তারা আমেরিকার রাষ্ট্রপতি দ্বারাই মনোনীত। ফলে সে দেশের রাষ্ট্রপতি নির্বাচন নিয়ে মানুষের আগ্রহের শেষ নেই।

সারা বিশ্বে আমেরিকার এই প্রভাব, প্রতিপত্তি সত্ত্বেও তার নিজের দেশে কিন্তু নানা সমস্যা বাড়ছে। করোনা ঠেকাতে যে তার স্বাস্থ্যব্যবস্থা পুরোপুরি ব্যর্থ তা তো পরিসংখ্যানই দেখিয়ে দিচ্ছে। নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ জোসেফ স্টিগলিৎস তার ২০১৭ সালের বইতে দেখান যে, গত প্রায় ৩৩ বছর ধরে বেশিরভাগ আমেরিকানের কোনো আয় বাড়েনি; সারা পৃথিবীতে যেখানে মৃত্যুহার কমছে, সেখানে ২০১৫-তে আমেরিকার মাঝবয়সী সাদা চামড়ার লোকেদের মৃত্যুহার বেড়েছে; ২০১৬-তে গড় আয়ু কমেছে; প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরে শিক্ষা পেতেও বৈষম্য বাড়ছে; উচ্চশিক্ষা পাওয়া কঠিন হয়ে যাচ্ছে (Joseph E. Stiglitz, “Globalization and its Its Discontent: Revisted”, Penguin, 2017)।

বিশ্বজুড়ে যে কোনো মন্দার প্রভাব আমেরিকায় ভালোভাবেই পড়ে। ২০০৮ সালে মন্দার প্রভাব কাটেনি, তার উপর ২০১৯ সালে মনে হয়েছিল যে আবার বোধহয় বিশ্বে মন্দা আসতে যাচ্ছে। ২০১৯ সালে আইএমএফ’র চেয়ারম্যান বলেছিলেন যে, বিশ্বের অর্থনৈতিক কাজকর্ম গতিবেগ হারিয়ে ফেলেছে, বিশ্ববাণিজ্য শ্লথ হয়ে পড়েছে। ওয়ার্ল্ড ব্যাঙ্ক জানিয়েছিল যে, ২০০৮-র সঙ্কটের সময় থেকেও বিদেশি বিনিয়োগ কমে গেছে ২০১৮-তে; বেশি সঙ্কটে পড়েছে আমেরিকা সহ উন্নত পুঁজিবাদী দেশগুলি। নিজের দেশে যদি অর্থনীতি ধসে পড়ে, তাহলে সারাবিশ্বে তার আধিপত্য আমেরিকা কতদিন ধরে রাখতে পারবে, সে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।

২০২০-তে করোনার ধাক্কায় সঙ্কট আরও বেড়েছে। ২০২০ সালে বার্ষিক যে জিডিপি বৃদ্ধির রিপোর্ট পাওয়া গেছে, তা সারণি-৫ তে দেখানো হলো। সারণিতে উল্লেখিত পাঁচটি দেশের মধ্যে একমাত্র চীনের বৃদ্ধির হার ধনাত্মক। এখনো জিডিপি’র হিসাবে চীনের অর্থনীতি আমেরিকার থেকে পিছিয়ে। কিন্তু এটা বাস্তব যে, চীন দ্রুতগতিতে এগোচ্ছে। অনেকেই মনে করছে, চীন অচিরেই বিশ্বের প্রথম অর্থনীতি হয়ে উঠবে।

সারণি-৫: ২০২০ সালে জিডিপি বৃদ্ধির হার

সূত্রঃ https://tradingeconomics.com/country-list/gdp-annual-growth-rate

একদিকে এই বিশ্বজুড়ে চাপ, অন্যদিকে আমেরিকার নিজের দেশের মধ্যেও চাকরি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, সমাজকল্যাণমূলক কাজে ব্যয় বাড়ানোর দাবি বাড়ছে। এই সমস্ত চাপের মধ্যেই নতুন রাষ্ট্রপতিকে ক্ষমতায় বসতে হচ্ছে। মানুষের এই সমস্ত ক্ষোভকে অন্যদিকে ঘোরানোর জন্য ট্রাম্প কিছুটা জাতিগত দাঙ্গায় উস্কানি দিয়েছিল। শেষপর্যন্ত সেটা সম্পূর্ণ সফল না হলেও, জাতিগত বিদ্বেষ বেড়েছে। মূল অর্থনৈতিক সমস্যাটা তো রয়েই গেছে। এই সমস্ত চাপের মধ্যেই নতুন রাষ্ট্রপতিকে চেয়ারে বসতে হচ্ছে। বলা যায়, তাঁর দিনগুলি খুব সুখের হবে না। আমেরিকার এই বিশ্বজুড়ে আধিপত্য ও তাকে নিয়ে এই বিশাল উৎসাহ আরও কতদিন চলবে সেটাই দেখবার।