৫৮ বর্ষ ১৩শ সংখ্যা / ১৩ নভেম্বর ২০২০ / ২৭ কার্ত্তিক ১৪২৭
আক্রান্ত জনগণের সঞ্চয় - লক্ষ্য পুঁজিপতিদের স্বার্থরক্ষা
জনার্দন মজুমদার
বিগত মার্চ মাসের তখন শেষ সপ্তাহ। দেশজুড়ে করোনা সংক্রমণের প্রেক্ষাপটে চারঘণ্টার নোটিশে অত্যন্ত অপরিকল্পিতভাবে ২৪ মার্চ সারা দেশে লকডাউন ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় সরকার, যা কার্যকর হয় ২৫ মার্চ থেকে। সারা দেশ কাঁপছে করোনা আতঙ্কে, দিশাহারা আমজনতা। দূরদর্শনের পর্দায় তখন দেশের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী লকডাউন ঘোষণা করতে গিয়ে তাঁর স্বভাবসিদ্ধ নাটকীয়তায় সামগ্রিক পরিস্থিতি মোকাবিলায় তাঁর সরকারের উপর সাধারণ মানুষকে ভরসা রাখতে বলছেন, জীবন-জীবিকার প্রশ্নে ঘাবড়ে না যাবার পরামর্শ দিচ্ছেন। বর্তমান কেন্দ্রীয় সরকারের ভূমিকা নিয়ে সাধারণ অভিজ্ঞতা চরম নেতিবাচক হলেও, চরমতম সঙ্কটে বিপন্ন মানুষ দেশের সরকারের প্রধানের ভরসা-বাণীতে খানিকটা হলেও আশ্বস্ত হবেন - সেটাই স্বাভাবিক। যদিও দেশের মানুষের ভুল ভাঙতে দেরি হয়নি। কেননা করোনা পরিস্থিতির পূর্ণ সদ্ব্যবহার করে ক্রমশ সংহারমূর্তি ধারণ করল নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বাধীন বিজেপি সরকার। জনজীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে মানুষের স্বার্থের বিরুদ্ধে কার্যত যুদ্ধ ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় সরকার। এই আক্রমণ থেকে বাদ পড়েনি ডাকঘরের স্বল্প সঞ্চয় প্রকল্পও। লকডাউনের সপ্তম দিনে বিপুলহারে ক্ষুদ্র সঞ্চয় প্রকল্পগুলোর সুদ কমিয়ে দেওয়া হয়। মোদী সরকারের প্রথম পাঁচ বছরে (২০১৪-২০১৯) স্বল্প সঞ্চয়ে সুদের হার কমানো হয়েছে পাঁচবার। দ্বিতীয় দফায় এখনো পর্যন্ত দু’বার। কিন্তু লকডাউনের সময়ে যে চড়া হারে সুদ কমানো হয়েছে, তা এককথায় অবিশ্বাস্য, অকল্পনীয়। এপ্রিল-জুন (২০২০-২০২১) এই তিনমাস সময়কালে বিভিন্ন ক্ষুদ্র সঞ্চয়ে সুদের হার ৭০ পয়েন্ট থেকে ১৪০ পয়েন্ট হারে কমানোর সিদ্ধান্ত নেয় কেন্দ্রীয় সরকার। এর ফলে কয়েকটি উদাহরণ থেকে বোঝা যাবে কী চড়া হারে সুদের হার কমানো হয়েছে। যেমন, পাবলিক প্রভিডেন্ট ফান্ডে সুদের হার ৭.৯ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৭.১ শতাংশ, ন্যাশনাল সেভিংস সার্টিফিকেটে ৭.৯ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৬.৮শতাংশ, সুকন্যা সমৃদ্ধি যোজনায় ৮.৪ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৭.৬ শতাংশ এমনকি প্রবীণ নাগরিকদের মেয়াদি জমায় ৮.৬ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৭.৪ শতাংশ করা হয়েছে। এভাবেই সুদের হার কমানো হয়েছে অন্যান্য প্রকল্পেও।
স্বল্প সঞ্চয়ে সুদের হার কমানো নতুন এবং বিচ্ছিন্ন কোনো ঘটনা নয়। বরং কেন্দ্রীয় সরকারের তথাকথিত উদারনীতির শর্ত মেনেই ক্রমশ এই হার কমানো হয়েছে। এ প্রসঙ্গে একটি উদাহরণ দেওয়া যাক। ডাকঘরের জনপ্রিয় এমআইএস (মান্থলি ইনকাম স্কিম) চালু হয় ১৯৮৭ সালে। তখন সুদ পাওয়া যেতো বার্ষিক ১২ শতাংশ হারে, যা মাসিক কিস্তিতে দেওয়া হতো। ৬ বছর শেষে আসল এবং তার সাথে আসলের ১০ শতাংশ বোনাস যোগ করে ফেরত পাওয়া যেতো। এই প্রকল্প এতটাই জনপ্রিয় ছিল এবং আমানত বাড়ছিল এত দ্রুত যে, ১৯৯২ সালে সুদ বাড়িয়ে করা হয় বার্ষিক ১৪ শতাংশ। কিন্তু তারপরেই উদারনীতির প্রেসক্রিপশন যত দ্রুত লাগু হতে থাকে, তত দ্রুত এই প্রকল্পের সুদ কমানো শুরু হতে থাকে। প্রত্যাহার করে নেওয়া হয় ১০ শতাংশ বোনাসও। কিন্তু এতদ্সত্ত্বেও সুদ হ্রাসের ক্ষেত্রে খানিকটা সামঞ্জস্য, ধীরগতি ছিল। কিন্তু ২০১৪ সালে বিজেপি নেতৃত্বাধীন সরকার ক্ষমতায় প্রতিষ্ঠিত হবার পর এই আক্রমণ চূড়ান্ত রূপ নেয়। শুধু তাই নয়, ‘মার্কেটের রিটার্নের’ উপর নির্ভর করে প্রতি তিনমাস অন্তর এই সুদের হারের পুনর্নির্ধারণের নামে কার্যত সুদ হ্রাসের সিদ্ধান্ত নেয় নরেন্দ্র মোদী নেতৃত্বাধীন প্রথম বিজেপি সরকারই। স্বল্প সঞ্চয়ের উপর আঘাত ছিলই, কিন্তু মোদী জমানায় তা ধ্বংসাত্মক রূপ নেয়। এই প্রসঙ্গে নিচের সারণি লক্ষণীয়ঃ
৩১.৩.২০২০ পর্যন্ত চালু এবং ১.৪.২০২০ থেকে কার্যকর সুদের হার তুলনা করলেই স্পষ্ট হবে নজিরবিহীনভাবে সুদ হ্রাস করা হয়েছে। এখন জুলাই-সেপ্টেম্বর’২০ এবং অক্টোবর-ডিসেম্বর’২০ সময়কালের জন্য সুদের হার এপ্রিল ২০-তে অপরিবর্তিত রেখে প্রকৃতপক্ষে জনবিক্ষোভ সামাল দেওয়ার মরিয়া প্রচেষ্টা করছে কেন্দ্রীয় সরকার। ব্যাঙ্ক সঞ্চয়ে এবং সরকারি বন্ড থেকে ক্ষুদ্র সঞ্চয়ে সুদের হার একই জায়গায় নিয়ে আসার পরিকল্পনা ভারত সরকার আগেই করেছে। এই প্রসঙ্গে বাণিজ্যিক ব্যাঙ্কগুলির যুক্তি হচ্ছে, স্বল্প সঞ্চয়ে সুদের হার চড়া হারের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে গেলে ব্যাঙ্কগুলিকেও আমানতে বেশি হারে সুদ গুনতে হচ্ছে। কমানো সম্ভব হচ্ছে না তহবিল সংগ্রহের খরচ। ফলে ছাঁটাই করা সম্ভব হচ্ছে না ঋণের সুদের হারও। কিন্তু রিজার্ভ ব্যাঙ্কের গর্ভনরের বক্তব্য হচ্ছে, স্বল্প সঞ্চয়ে সুদ নামলে ব্যাঙ্কগুলিও তাদের তহবিল সংগ্রহের খরচ কমাতে পারবে। সেক্ষেত্রে ব্যাঙ্কগুলি তাদের দেয় ঋণে কিছুটা সুদ কমাতে পারলে ব্যাঙ্ক থেকে বাড়ি-ঋণ, গাড়ি-ঋণ ইত্যাদি বাড়বে। এর ফলে ঝিমিয়ে-পড়া অর্থনীতি চাঙ্গা হবে। ফলে অনেকদিন ধরেই ডাকঘরের বিভিন্ন প্রকল্পের সুদের পুনর্বিন্যাস এমনভাবে করা হচ্ছে যে, অনেক প্রকল্পের সুদই এসে গিয়েছে ব্যাঙ্কের হারের কাছাকাছি। আমাদের অভিজ্ঞতা হচ্ছে - প্রতিক্ষেত্রেই আর্থিক কর্মকাণ্ড বৃদ্ধির যুক্তিকে অজুহাত হিসাবে খাঁড়া করা হলেও, সরকার তার ঘোষিত আর্থিক বৃদ্ধির লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারেনি। উলটে শিল্পোৎপাদনে, কর্মসংস্থানে, রপ্তানি বাণিজ্যে ক্রমাগত অধোগতির বিপজ্জনক ঝোঁক পরিলক্ষিত হচ্ছে। ভয়াবহ অর্থিক মন্দার পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে। বিশেষ করে সাম্প্রতিক বছরগুলিতে।
এ প্রসঙ্গে উদাহরণ হিসাবে বলা যায়, ২০১৫ সালে নরেন্দ্র মোদী তাঁর প্রথম ইনিংস শুরু করার দ্বিতীয় বছরেই আর্থিক বাজেটে কর্পোরেটদের সম্পত্তিকর পাঁচ বছরের জন্য ৩০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২৫ শতাংশ করবার সময়ও একই যুক্তি দিয়েছিলেন। এর ফলে বিনিয়োগে শিল্পপতিরা উৎসাহিত হবেন। কিন্তু তারপরও বিভিন্ন আর্থিকবর্ষে কর্মসংস্থানের হার ক্রমাগত ঋণাত্মক দিকে ঝুঁকছে। এটা ঠিক ব্যাঙ্কশিল্প জাতীয়করণের পর শিল্পপতিদের ঋণ দিয়ে শিল্পোন্নয়নে এক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল। কিন্তু সাম্রাজ্যবাদী পুঁজির বিকাশের যুগে পুঁজির শিল্প-বাণিজ্য তথা দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগের ক্ষেত্রের পরিবর্তে ফাটকা কারবারে বিনিয়োগে আগ্রহী বেশি। ফলে ব্যাঙ্কের সুদ আর ডাকঘরের স্বল্প সঞ্চয়ের সুদ কাছাকাছি থাকলেই অর্থনীতিতে তেজিভাব তৈরি হবে, এ এক অসার যুক্তি। আর ব্যাঙ্কের সুদ কমানো সম্ভব তার তহবিল আরও শক্তিশালী করে। সেক্ষেত্রে শিল্পপতিরা উন্নয়নের নামে ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ নিয়ে হাজার হাজার কোটি টাকা শোধ করছেন না; তা উদ্ধারে জোর দিতে হবে। অথচ নিরব মোদী, বিজয় মালিয়ার মতো শিল্পপতিরা প্রায় ১৫ হাজার কোটি ব্যাঙ্কের টাকা লুঠ করেছেন। সুতরাং, নান্দনিক অর্থনৈতিক তত্ত্বে যাই থাকুক, বর্তমান বাস্তবতায় স্বল্প সঞ্চয়ের সুদ কমিয়ে তথা ব্যাঙ্কের সুদ কমিয়ে দেশের সামগ্রিক উন্নতির পথ খুঁজে বার করা আদৌ সম্ভব নয়।
দ্বিতীয়ত, সুদের হার ধারাবাহিকভাবে কমানো হলেও, সরকারি ঋণপত্রের রিটার্নের তুলনায় এযাবতকাল পর্যন্ত যে বেশি হারে সুদ দেওয়া হতো, তা সরকারের তরফে কিছুটা ভরতুকি অনুমোদনের ফলেই সম্ভব হয়েছে। এই ভরতুকি প্রত্যাহার করে নিয়েই সুদ হ্রাস করা হচ্ছে। তৃতীয়ত, স্বল্প সঞ্চয়ে সুদের হার কমিয়ে সাধারণ মানুষের একাংশকে নিশ্চিত, সুরক্ষিত রোজগারের ফাটকা কারবারে বিনিয়োগ করে অল্প সময়ে বেশি লাভের ঝোঁকের দিকে ঠেলে দেওয়া হয়। ২০১১ সাল পরবর্তী সময়কালে সুদ হ্রাসের প্রেক্ষাপটে ডাকঘরের স্বল্প সঞ্চয়ের ঘর ভেঙে চিট ফান্ডের ঘর গড়ার (সারদা আর্থিক কেলেঙ্কারি) কলঙ্কিত কাহিনি সারা দেশের কে না জানে? আবার কী চমৎকার সমাপতন! বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেখা গেছে, যখনই স্বল্প সঞ্চয়ের সুদ কমেছে, শেয়ারবাজার সবচেয়ে তেজি হয়ে ওঠে। চতুর্থত, স্বল্প সঞ্চয়ের উপর আঘাতের অর্থই হচ্ছে আমজনতার ওপরে আঘাত। বিশেষ করে নিম্নমধ্যবিত্ত, মধ্যবিত্ত শ্রেণি, অবসরপ্রাপ্তদের ওপর আঘাত। যাদের একটা বড়ো অংশের পেনশন, সামাজিক সুরক্ষার কোনো ব্যবস্থা নেই। কষ্টার্জিত অর্থ ডাকঘরে সঞ্চয় করে তা থেকে প্রাপ্ত সুদের ওপরেই তাঁরা অনেকটা নির্ভরশীল। তাহলে, এই অংশের মানুষের উদ্বেগ, দুশ্চিন্তা বাড়িয়ে ক্রয়ক্ষমতা বহুলাংশে কমিয়ে শিল্প-বাণিজ্যের প্রসার আদপে সম্ভব? শিল্পজাত পণ্য কিনবে কে? শিল্পপতিদের অর্থের জোগান বাড়ানোই শিল্পোন্নয়নের একমাত্র শর্ত নয়, মানুষের ক্রয়ক্ষমতা বৃদ্ধিও সমান গুরুত্বপূর্ণ শর্ত।
সারা দেশে ৫ লক্ষেরও বেশি এজেন্ট ডাকঘরের স্বল্প সঞ্চয়ের সাথে যুক্ত। এটাই তাঁদের প্রধান, কারো কারো কাছে একমাত্র জীবিকা। মোট আমানতের দিক থেকে স্টেট ব্যাঙ্ক, আইসিআইসিআই ব্যাঙ্কের পরেই ডাকঘরের স্বল্প সঞ্চয়ের অবস্থান। এর পিছনে এই এজেন্ট বন্ধুদের গুরুত্বপূর্ণ অবদান আছে। অথচ শ্যামলা গোপীনাথ কমিটির সুপারিশ মেনে প্রায় সব প্রকল্পেই কমিশন অর্ধেক করে দেওয়া হয়েছে। এমনকি পাবলিক প্রভিডেন্ট ফান্ড, সিনিয়র সিটিজেন সেভিংস স্কিমে কমিশন পুরোপুরি তুলে দেওয়া হয়েছে, যদিও আমানত সংগ্রহের দায়িত্ব এজেন্টরাই পালন করেন। এঁদের দীর্ঘদিনের দাবি হচ্ছে, সচিত্র পরিচয়পত্র, কিংবা অসংগঠিত শ্রমিকের মর্যাদাদান। কিন্তু রাজ্য কিংবা কেন্দ্রীয় - বর্তমানের কোনো সরকারেরই এই বিষয়ে কোনো ভ্রূক্ষেপ নেই।
ডাকঘরের স্বল্প সঞ্চয়ে মানুষকে উৎসাহিত করতে এরাজ্যে বামফ্রন্ট সরকারের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ও অবদান ছিল। এমনকি রাইটার্স বিল্ডিং-এ স্মল সেভিংস ডাইরেক্টরেট বামফ্রন্ট সরকারের সময়েই গঠিত। রাজ্যের উন্নয়নের তাগিদে (স্বল্প সঞ্চয়ের জমা অর্থের ৭৫-৮০ শতাংশ দীর্ঘমেয়াদি ঋণ হিসাবে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছ থেকে পাওয়ার সুযোগ ছিল।) প্রতিনিয়ত সংবাদমাধ্যমে বিজ্ঞাপন দিয়ে, পঞ্চায়েত-পৌরসভাকে কাজে লাগিয়ে ক্ষুদ্র সঞ্চয়ে বিনিয়োগে মানুষকে উৎসাহিত করত বামফ্রন্ট সরকার। যদিও ২০১১ সাল পরবর্তী সময়কালে তৃণমূল কংগ্রেস পরিচালিত পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে এই বিষয়ে ন্যূনতম সদর্থক ভূমিকা পালন করতে দেখা যায়নি। ধারাবাহিক আক্রমণের পরেও সরকারি ব্যবস্থার উপর মানুষের অগাধ বিশ্বাস, এজেন্ট বন্ধুদের তৎপরতা ইত্যাদির ভিত্তিতে ২০১৮-২০১৯, ২০১৯-২০২০ সময়কালে ডাকঘরের স্বল্প সঞ্চয়ে ভারত সরকারের নিট লাভ হয়েছে যথাক্রমে ১,০৭,৪০৭.২১ কোটি টাকা এবং ২,৬৮,২২৫ কোটি টাকা। ওই সময়কালে মোট জমা অর্থের পরিমাণ যথাক্রমে ৫,৫০,৯১৯.২১ কোটি এবং ৮,৩১,৩৪৭ কোটি টাকা। এই বিপুল আমানতের উপর স্বভাবতই নজর আছে কর্পোরেটদের। ভারত সরকারও ‘ইন্ডিয়া পোস্ট পেমেন্ট ব্যাঙ্কে’র নামে ভবিষ্যতে ঘুরপথে এই আমানতের উপর কর্পোরেটদের দখলদারির ষড়যন্ত্রের পাকা ব্যবস্থা করছে। স্বল্প সঞ্চয়কে হাতে ও ভাতে উভয়দিক থেকেই ধ্বংস করার চেষ্টা চলছে। ফলে, দেশের স্বার্থেই স্বল্প সঞ্চয়কে রক্ষার সংঘবদ্ধ লড়াই গড়ে তোলা জরুরি।