৬১ বর্ষ ১০ সংখ্যা / ১৩ অক্টোবর, ২০২৩ / ২৫ আশ্বিন, ১৪৩০
১০০ দিনের কাজের অধিকার লড়াই করে পেয়েছি, লড়াই করেই রাখব
অমিয় পাত্র
বাংলার গ্রামে-গঞ্জে একটাই চর্চা - রাজ্যে ১০০ দিনের কাজ প্রায় দু-বছর বন্ধ কেন? গ্রাম্য চর্চায় একথাও আসছে - শুধু ১০০ দিনের কাজ নয়, গরিব মানুষের জন্য কেন্দ্রীয় প্রকল্পে পাকা ছাদযুক্ত বসবাসের ঘর তৈরি, গ্রামে যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত করতে পাকা রাস্তা নির্মাণ এসব কাজও বন্ধ রয়েছে। মানুষের প্রয়োজনের কথা বিবেচনায় রেখেই সরকার প্রকল্প গ্রহণ ও রূপায়ণ করে থাকে। এই সময়ে মানুষ কাজ পাচ্ছে না, বসবাসের যোগ্য বাসগৃহ নেই, গ্রামের সঙ্গে গঞ্জ বা শহরের যোগাযোগ ব্যবস্থা দুর্বল হওয়া সত্ত্বেও কেন্দ্রীয় বরাদ্দের অভাবে সমস্ত প্রকল্পে অচল অবস্থা তৈরি হয়েছে। দেশের অন্য কোনো রাজ্য বা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে এভাবে কেন্দ্রীয় প্রকল্প রূপায়ণ বন্ধ হয়নি। এ রাজ্যে বামফ্রন্ট সরকার থাকাকালীন সময়ে কেন্দ্রীয় প্রকল্পের কাজ বন্ধ থাকেনি। স্বভাবতই প্রশ্ন উঠছে - কী এমন ঘটেছে, যে কারণে কেবলমাত্র পশ্চিমবঙ্গে এই প্রকল্পগুলি বন্ধ রয়েছে। রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের বক্তব্য, তেমন কিছুই ঘটেনি এটা রাজ্যের প্রতি বঞ্চনা এবং রাজনৈতিক প্রতিহিংসা। কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের বক্তব্য, কেন্দ্রীয় সরকার বিভিন্ন প্রকল্পভিত্তিক যে পরিমাণ অর্থ রাজ্য সরকারকে দিয়েছে তার যথাযথ সদ্ব্যবহার করা হয়নি। প্রকল্প রূপায়ণে কেন্দ্রীয় নির্দেশিকা লঙ্ঘন করা হয়েছে এবং বিপুল পরিমাণ টাকা দুর্নীতির কারণে বরবাদ হয়ে গেছে।
বাস্তবে কী ঘটেছে?
২০০৬ সাল থেকে ভারতে ১০০ দিনের কাজ জাতীয় গ্রামীণ কর্মসংস্থান নিশ্চয়তা আইনের ভিত্তিতে চলছে। এই আইনে নথিভুক্ত জব ওয়ার্কার কাজ চাইলেই পরিবার পিছু কমপক্ষে ১০০ দিন কাজের ব্যবস্থা সরকার করবে - এই বিধান আছে। কোনো কারণে কাজ দেওয়া সম্ভব না হলে মজুরদের বেকার ভাতা দেওয়ার কথা আইনে বলা আছে। গ্রামীণ কর্মসংস্থান নিশ্চয়তা আইন বা সংক্ষেপে ‘রেগা’-র কাজে অদক্ষ শ্রমিকদের মজুরির সম্পূর্ণ টাকা এবং উপকরণ বাবদ খরচের শতকরা ৭৫ ভাগ কেন্দ্রীয় সরকার বহন করে। কেন্দ্রীয় নির্দেশিকা অনুযায়ী এই প্রকল্প রূপায়ণের দায়িত্ব রাজ্য সরকারের। কেন্দ্রীয় প্রকল্পের ব্যয় সংক্রান্ত যাবতীয় হিসাব পরীক্ষা করবে কেন্দ্রীয় সংস্থা সিএজি। প্রকল্প রূপায়ণের ক্ষেত্রে নির্দেশিকা লঙ্ঘন, বরাদ্দ অর্থের অপব্যবহার ও দুর্নীতির অভিযোগ থাকলে কেন্দ্রীয় সরকার তদন্তের ব্যবস্থা করবে। প্রাথমিক তদন্তে অভিযোগের সারবত্তা থাকলে রাজ্যকে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেবে এবং রাজ্যকে অভিযোগের নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত অর্থের জোগান দেওয়া স্থগিত করে দেবে। ২০২২ সালের ৯ মার্চ থেকে পশ্চিমবঙ্গের জন্য এই পদক্ষেপ কেন্দ্র গ্রহণ করেছে। আইনে এ কথাও বলা আছে যে, প্রতিকারমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করে একটি যুক্তিগ্রাহ্য সময়ের মধ্যে পুনরায় রেগার কাজ চালু করতে হবে।
পশ্চিমবঙ্গের ২০১১ সালের পর থেকে এযাবত কোনো কেন্দ্রীয় কর্মসূচি রূপায়ণের ক্ষেত্রে সিএজি অডিট হয়নি। কেন্দ্রের বরাদ্দ অর্থে কর্মসূচির রূপায়ণ বা রাজ্য সরকারের কর্মসূচি সর্বত্রই ব্যাপকভাবে দুর্নীতি ও লুটপাট চলছে। কাজ না করেই টাকা তুলে নেওয়া, লাখ লাখ ভুতুড়ে জব কার্ডে টাকা সরানো, রেগা মজুরদের পরিবর্তে যন্ত্রপাতির ব্যবহার, অস্তিত্বহীন ফলের বাগান বা বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি, কাজের সুযোগ দেওয়ার ক্ষেত্রে পক্ষপাতিত্ব এবং একাংশকে প্রত্যাখ্যান করা এ ধরনের কয়েক হাজার অভিযোগ কেন্দ্রীয় সরকারের নিকট জমা পড়ে। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী দল বারে বারে আমাদের রাজ্যে এই অভিযোগ খতিয়ে দেখেছে। রাজ্যে দুর্নীতির প্রকৃতি, তার ব্যাপ্তি, কেন্দ্রীয় নির্দেশিকা লঙ্ঘনের ঘটনা, অবাস্তব ও অস্তিত্বহীন প্রকল্প ইত্যাদি যা কেন্দ্রীয় তদন্তে উঠে এসেছে তার ভিত্তিতে ৮ জেলার তালিকা রাজ্য সরকারের নিকট ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য দেওয়া হয়েছে। রাজ্য সরকার কী ব্যবস্থাগ্রহণ করেছে সেটাও মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদি ১০ আগস্ট ২০২২ কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন দপ্তরে জানিয়েছেন। সেই অ্যাকশান টেকেন রিপোর্টে সব দুর্নীতি ও বেনিয়মের অভিযোগ কার্যত স্বীকার করে নেওয়া হয়েছে। চিঠিতে তিনি উল্লেখ করেছেন, এ পর্যন্ত দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত ৪০ জন সরকারি আধিকারিক ও কর্মীকে চিহ্নিত করা গেছে এবং তাদের মধ্যে পাঁচজনের বিরুদ্ধে এফআইআর করা হয়েছে। ১৯ জনকে কর্মচ্যুত করা হয়েছে এবং এক কোটি দশ লক্ষ সত্তর হাজার টাকা উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। যে সংশোধনাত্মক ও শাস্তিমূলক ব্যবস্থা রাজ্য গ্রহণ করেছে তা রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় সংঘটিত অপরাধের তুলনায় নেহাতই তুচ্ছ। কেন্দ্রীয় সরকার এধরনের পাহাড়প্রমাণ দুর্নীতির ঘটনা লঘু করে দেখার বিষয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছে। এই তথ্য প্রমাণ করে তৃণমূল কংগ্রেসের উত্থাপিত বঞ্চনা বা প্রতিহিংসার তত্ত্ব ভিত্তিহীন।
পশ্চিমবাংলায় জব কার্ডের সঙ্গে আধার কার্ডের লিংক করার প্রক্রিয়ায় প্রায় ৮২ লক্ষ জব কার্ড বাতিল করতে হয়েছে। একইভাবে রাজ্যে রেশন কার্ড এবং আধার কার্ড লিঙ্ক করতে গিয়ে প্রায় দু’কোটি রেশন কার্ড বাতিল করতে হয়েছে। ১০ কোটি ৭০ লক্ষ রেশন কার্ড কমে বর্তমানে দাঁড়িয়েছে ৮ কোটি ৭৮ লক্ষ। স্বভাবতই প্রশ্ন উঠছে, রেগায় ৮২ লক্ষ এবং খাদ্য সুরক্ষায় ১ কোটি ৯২ লক্ষ ভুতুড়ে কার্ডে এযাবত তোলা রেশন কে খেয়েছে? ভুতুড়ে জবকার্ডে যে টাকা উঠেছে তা কার পকেটে গেল? এরাজ্যে প্রতিটি সরকারি কাজে চুরি, দুর্নীতি, বেনিয়ম, পক্ষপাত সর্বত্র বিরাজমান। সমগ্র দলটাই চলে দুর্নীতির টাকায়। তৃণমূল কংগ্রেস ক্ষমতাসীন হওয়ার পর থেকেই এই দুর্নীতির রমরমা। সময়ের সঙ্গে তাল রেখে দুর্নীতির বহর বেড়েছে। দুর্নীতির কিছু ঘটনা প্রকাশ্যে আসছে তাই রাজ্যজুড়ে হৈচৈ বেড়েছে।
বিজেপি সব জানে
কংগ্রেস দল ভেঙে তৃণমূল কংগ্রেস গড়ে তোলা থেকে এ পর্যন্ত সবকিছুই নিয়ন্ত্রিত হয়েছে বিজেপি’র পরামর্শ ও সহযোগিতায়। তৃণমূল কংগ্রেসের গ্রাম দখল, এলাকা দখল আন্দোলন, মাওবাদী সন্ত্রাস, সিঙ্গুর, নন্দীগ্রামের আন্দোলন সব ক্ষেত্রেই বিজেপি প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে তৃণমূলের সঙ্গে ছিল। বাজপেয়ী-আদবানি জমানা থেকে শুরু করে মোদি-শাহ জমানা পর্যন্ত এই বোঝাপড়া একই গতিতে অগ্রসর হয়েছে। হিন্দু রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার সিদ্ধান্তে অবিচল থেকে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ বিজেপি দলকে পরিচালনা করে চলেছে। বর্তমানে বিজেপি এবং তৃণমূল কংগ্রেস দু’টি দলের কার্যক্রম আরএসএস নিয়ন্ত্রণ করছে। সারদা বা নারদার ঘোটালায় কারা যুক্ত, কীভাবে জড়িত, দলের সঙ্গে এই দুর্নীতির কি যোগ, এই লুটের টাকায় কারা কারা উপকৃত - এ সবই বিজেপি বিস্তারিতভাবে জানে। তৃণমূল কংগ্রেস দুর্বল হলে বামপন্থীরা আবার রাজ্যে মাথা তুলে দাঁড়াবে এবং তার ইতিবাচক প্রভাব পরবে জাতীয় রাজনীতিতেও। তাই এই দুর্নীতির নিষ্পত্তি হবে না। তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই এখানেই থেমে থাকবে। একইভাবে বালি ও কয়লা পাচার, গোরু পাচার, শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি, অন্যান্য দপ্তরেও চাকুরি চুরি নিয়ে তদন্ত চলছে, আদালতে মোকদ্দমাও চলছে। রেগার দুর্নীতির কথা বিজেপি সবে জানতে পেরেছে এমনটা নয়। সব জানা সত্ত্বেও রাজ্যের দুর্নীতির ঘটনাগুলির নিষ্পত্তি করার সদিচ্ছা বিজেপি’র নেই। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা একজন প্রাক্তন তৃণমূলী এবং এই দুষ্কর্মের অন্যতম কারিগর। তিনি সব জানেন, সংবাদ মাধ্যমে অনেক কথাই বলেন, তৃণমূলে থাকাকালীন ভালোই কামিয়েছেন, তিনিও এই দুর্নীতিতে যুক্তদের শাস্তি চান না। এটা রাজ্যের বিরোধী দলের নেতা ভালোই জানেন আরএসএস তৃণমূলের পাশে আছে।
তৃণমূলের এই হুল্লোরবাজি কেন?
১০০ দিনের কাজ পুনরায় চালু করতে বা বকেয়া মজুরি আদায় করতে এই আন্দোলন হয়নি। দিল্লি বা কলকাতায় এই আন্দোলনের সঙ্গে গ্রাম বাংলার খেটে খাওয়া মানুষ ছিলেন না। ভুয়া জব কার্ড আছে এমন কেউ কেউ থাকতে পারেন যারা এই হুল্লোড়ে যোগ দিয়েছিলেন। এটা নির্ভেজাল তৃণমূলের দলীয় রাজনৈতিক কর্মসূচি ছিল। যারা রেগার অর্থ চুরি করেছে, গরিবের মুখের গ্রাস কেড়ে নিয়েছে, যাদের কৃতকর্মের জন্য রাজ্যে রেগার কাজ বন্ধ তারাই ছিলেন রাজভবন চত্বরের ওই হুল্লোড়ে। তৃণমূল কংগ্রেস এবং বিজেপি দলের মধ্যে গোপন বোঝাপড়া ক্রমশ জনমানসে বিশ্বাসগ্রাহ্য হয়ে উঠছে। সম্প্রতি রাজ্যের দুর্নীতি সংক্রান্ত অভিযোগগুলি তদন্তের ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় তদন্তকারীরা আদালতের নির্দেশ থাকা সত্ত্বেও আর অগ্রসর হতে চাইছে না। তদন্তকারী আধিকারিকদের ভূমিকা থেকে স্পষ্ট হয়েছে দুই দলের শীর্ষস্তরে বোঝাপড়া আছে। এই বোঝাপড়া চলতে থাকলে এ রাজ্যের দুর্নীতির কোনো কিনারা হওয়া সম্ভব নয়। এই সত্যটা চাপা দিতেই দুই দলের মধ্যে মেকি লড়াইটা তীব্র করার প্রয়োজন হয়েছে। রাজ্যবাসীর নজর অন্যদিকে ঘুরিয়ে দেওয়ার এটা একটা মরিয়া প্রচেষ্টা। দ্বিতীয়ত, এটা একটা রাজনৈতিক প্রজেক্ট যার মাধ্যমে তৃণমূল কংগ্রেসের উঠতি নেতাকে প্রোজেক্ট করার চেষ্টা হয়েছে। এটা লক্ষণীয় অক্টোবর মাসের প্রথম সপ্তাহে তৃণমূল পোষিত মিডিয়াকুলের ক্যামেরার ফোকাসে একজনকেই দেখা গেছে। তিলকে তাল বানানো প্রজেক্ট। এটাও ঠিক যে, বিপুল অর্থ, পুলিশ ও প্রশাসনকে ব্যবহার করে যেভাবে পঞ্চায়েত নির্বাচনে জয় ছিনিয়ে আনা হয়েছে তা দলের মধ্যেও গভীর ক্ষত তৈরি করেছে। লোকসভা নির্বাচনের পূর্বে দলের ক্ষয় নিরাময়ের থেরাপি হলো এই মেকি আন্দোলন। অনেকে মনে করেন আরও একটা কারণ আছে। সেটা হলো রেগা বিহনে কচি নেতার পার্শ্বচরদের করে খাওয়ার সুযোগ কিছুটা সংকুচিত হয়েছে। তাদের কথা বিবেচনায় রেখে টু-ইন-ওয়ান মুভ। নেতার অভিষেক এবং অনুচরদের অভিলাষ পূরণ। এক্ষেত্রে ১০০ দিনের কাজের টাকার কোনো বিকল্প হয়না।
বঞ্চিত জনগণকে মাথা তুলে দাঁড়াতে হবে
দুর্নীতির ঘেরাটোপ থেকে বেরিয়ে আসার রাস্তা রাজভবন দেখাতে পারেনা। পাঁচ দিনের নাটক শেষে বাড়ি ফেরার একটা অজুহাত দরকার ছিল। মহামান্য রাজ্যপাল সেই সুযোগটা করে দিলেন। রাজ্যে দ্বিদলীয় তৎপরতা চালিয়ে যাওয়ার কুশীলব যারা, রাজভবন তার বাইরে নয়। তৃণমূল কংগ্রেসের স্মারকলিপি মেইল করলেও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দপ্তরে পৌঁছে যেত। সেটাই রাজ্যপাল মহোদয় করেছেন। তাতেই আন্দোলনের বিশাল জয়জয়কার । ১০০ দিনের কাজের টাকার দাবিতে আন্দোলন একটি রসিকতা মাত্র, তা বোঝার জন্য কোনো পণ্ডিতের দরকার হয় না। এটা রাস্তা নয়। বিজেপি বা তৃণমূল কংগ্রেস এই গরিব ও খেটে খাওয়া মানুষদের ভোটব্যাঙ্ক হিসাবেই বিচার করে। করপোরেটদের স্বার্থ রক্ষাকারী বিজেপি সরকার ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পকে অপচয় বলেই মনে করে। তাই কেন্দ্রীয় সরকার বছরের পর বছর রেগার বাজেট বরাদ্দ কমিয়ে চলেছে। অন্যদিকে তৃণমূল কংগ্রেস নানাভাবে রেগার অর্থ থেকে খেতমজুর ও শ্রমজীবীদের বঞ্চিত করে দলের স্বার্থসিদ্ধি করে চলেছে। শ্রমজীবীদের জীবনযন্ত্রণা উপলব্ধি করতে এরা অক্ষম। একশো দিনের কাজের দাবি নিয়ে নাটক বাজি হবে কিন্তু কাজের কাজ কিছু হবে না।
রাজ্যের বেশিরভাগ মানুষ চাইছেন - ১) অবিলম্বে রেগার কাজ চালু হোক, মজুরদের প্রাপ্য মজুরি মিটিয়ে দেওয়া হোক, দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত প্রত্যেকের যথাযথ শাস্তির ব্যবস্থা করা হোক। ২) রাজ্যে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার কাজ এবং প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনার কাজ অবিলম্বে চালু করতে হবে। ৩) রাজ্যে দুর্নীতির তদন্ত সাপেক্ষে বিচারের কাজ ত্বরান্বিত করতে হবে। দুর্নীতির গ্রাস থেকে রাজ্যকে মুক্ত করতে হবে। কেন্দ্র ও রাজ্যের শাসকদল এই সমস্যা সমাধানে উদ্যোগ গ্রহণ করবে এমনটা ভাবার কোনো কারণ নেই। এদের দুরভিসন্ধির কারণেই রাজ্যের এই পরিণতি। ভুক্তভোগী ও গণতান্ত্রিক মানুষের সংগ্রামেই এর সমাধান হবে। জনগণই শেষ কথা বলবে। সেই মানুষদের জাগাতে হবে, আন্দোলনে শামিল করতে হবে। এর কোনো বিকল্প হয় না।