৬১ বর্ষ ১০ সংখ্যা / ১৩ অক্টোবর, ২০২৩ / ২৫ আশ্বিন, ১৪৩০
বিহারের জাতগণনায় ঝামেলায় পড়ে গেল বিজেপি
দেবেশ দাস
বিজেপি’র মৌচাকে কি ঢিল ছুঁড়ে দিল বিহারের নীতীশ সরকার? ২০১১ সালে কেন্দ্রীয় সরকার সারা দেশে জাতগণনা করেছিল, তার রিপোর্ট ১২ বছর বাদেও বের করতে পারেনি। আর ২০২৩ সালেই শুরু করে বিহারের জাতগণনার রিপোর্ট পেশ করে দিল বিহার।
বিহারে জাতগণনার নেপথ্যে
২০১১ সালের জাতগণনার রিপোর্ট প্রকাশের দাবিতে যে কয়েকজন সাংসদ সংসদে খুব সোচ্চার ছিলেন, তার মধ্যে বিহারের লালুপ্রসাদ যাদব অন্যতম। বিহারেও তিনি এই দাবিতে সোচ্চার হন। ২০১৫ সালে বিধানসভা নির্বাচনে লালুপ্রসাদের আরজেডি এবং নীতীশের জেডি(ইউ) যখন একসাথে লড়াই করে, সেখানে তাঁদের ইস্যু ছিল জাতগণনার রিপোর্ট প্রকাশ। তাঁরা যৌথভাবে সরকার করেন। ২০১৭ সালে জোট ভেঙে যায় ও নীতীশ বিজেপি-কে নিয়ে সরকার গড়েন। কিন্তু বিহারে জাতগণনার ইস্যু শেষ হয় না। বিরোধী আসনে থেকেও আরজেডি জাতগণনার কথা বলতেই থাকে।
২০২১ সালে সারা দেশে জনগণনা হওয়ার কথা। ২০১৯-র ফেব্রুয়ারি ও ২০২০-র ফেব্রুয়ারিতে বিহার বিধানসভায় সর্বসম্মতিতে আসন্ন ২০২১ সালের আসন্ন জনগণনার সাথে জাতগণনা করার পক্ষে প্রস্তাব পাশ হয়। ২০২১ সালে বিহার বিধানসভা থেকে নীতীশের নেতৃত্বে সর্বদলীয় প্রতিনিধিরা দেখা করেন প্রধানমন্ত্রীর সাথে - তাঁদের দাবি ছিল আসন্ন ২০২১ সালের জনগণনার সাথে জাতগণনা করার। প্রধানমন্ত্রী সর্বদল প্রতিনিধিদের কথা শোনেন, কিন্তু জাতগণনা দূরের কথা, পরে সারা দেশে জনগণনাই বন্ধ করে দেন।
২০২২ সালে নীতীশ সরকার সিদ্ধান্ত নেয় বিহারে আলাদা করে জাতগণনা হবে। সব দলই তা সমর্থন করে। এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার কয়েকমাস বাদে বিজেপি’র সাথে নীতীশের জোট ভেঙে যায়, সরকারে চলে আসে আরজেডি।
বিপাকে বিজেপি
বিহারে বিজেপি জাতগণনাতে অংশগ্রহণ করেছে। আর ওদিকে কেন্দ্রে বিজেপি ২০১১ সালের জাতগণনার রিপোর্ট প্রকাশ করছে না।
২০১১ সালের জাতগণনা জনগণনার সাথে হয়নি, আলাদা করে সেই কাজ করেছিল গ্রামীণ বিকাশ দফতর এবং হাউসিং ও শহুরে দারিদ্র্য দূরীকরণ দফতর। একে বলা হয়েছিল সামাজিক অর্থনৈতিক জাতগণনা (Socio Economic and Caste Census -SECC)। প্রায় ৫০০০ কোটি টাকা খরচ করে যে রিপোর্ট তৈরি করা হলো, আজ ১২ বছর হয়ে গেল, তার রিপোর্ট বেরোলো না। দ্বিতীয় ইউপিএ সরকার ২০১১ সাল থেকে ২০১৪ সাল এই তিন বছর রিপোর্ট বার করেনি, তারপরে বিজেপি সরকার গত ৯ বছরে এই রিপোর্ট বার করেনি। কিন্তু বর্তমানে কংগ্রেস দল থেকে এই রিপোর্ট বার করার দাবি জানানো হয়েছে। বিরোধী দলগুলির অনেকে এই দাবি তুলেছে।
গ্রামীণ বিকাশের সংসদীয় কমিটি ২০১৬ সালের এক রিপোর্টে জানিয়েছে যে, ২০১১ সালের জাতগণনার যে তথ্য আছে তার ৯৮.৮৭ শতাংশ মানুষের তথ্য নির্ভুল, বাকি ১.১৩ শতাংশ মানুষের তথ্য ঠিক করার কথাও তারা বলে। কিন্তু আজ পর্যন্ত সেই তথ্য ঠিক করা হলো না।
সরকার এই রিপোর্ট প্রকাশ করলে দেশের বিভিন্ন জাতের মানুষ কী অবস্থায় আছে সেটা প্রকাশ হয়ে যাবে। বিজেপি তা প্রকাশ করতে চাইছে না। কেন? তাতে কি দেখা যাবে যে, যাদের অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণি বলা হয়, তাদের অবস্থা যে বিভিন্ন সমীক্ষায় প্রকাশ হয়েছে, বাস্তবে অবস্থা তার চেয়েও খারাপ? সেই তথ্য হয়তো সরকারের অস্বস্তির কারণ হতে পারে। রিপোর্ট প্রকাশের দাবিতে খুব হইচই হলে বিজেপি সরকার আংশিক রিপোর্ট বার করে ২০১৬ সালে, কিন্তু সেখানে আসল তথ্যই নেই, তা হচ্ছে জাতের তথ্য।
২০১৮ সালের ৩১ আগস্ট আসন্ন ২০২১ সালের জনগণনা সম্বন্ধে প্রস্তুতি বিষয়ে সরকারি স্তরে একটি সভা হয় তদানীন্তন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী রাজনাথ সিং-এর সভাপতিত্বে। এই সভার পর সরকারের পক্ষ থেকে একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয় - “ওবিসি সম্বন্ধে তথ্য সংগ্রহ করার পরিকল্পনা হয়েছে’’। আসলে ২০১১ সালের জাতগণনার রিপোর্টকে কি চাপা দিতেই ২০১৮ এই প্রেস বিজ্ঞপ্তি? নাকি আসন্ন ২০১৯-র লোকসভা ভোটের দিকে তাকিয়ে এক জুমলা ছিল এই বিজ্ঞপ্তি?
এই প্রেস বিজ্ঞপ্তির পর সরকার একেবারে চুপ। ২০২১ সালে মন্ত্রী জানান যে, স্বাধীনতার পর সরকারের এটা নীতি যে, তপশিলি জাতি ও তপশিলি জনজাতি বাদে আর কারও ক্ষেত্রে জাতভিত্তিক গণনা হবে না (রাজ্যসভা প্রশ্নোত্তর, UNSTARRED প্রশ্ন ১৮১৩, ১০ মার্চ, ২০২১)। একেবারেই অসত্য। স্বাধীনতার পর সরকারের এই নীতি ঠিক হলে ২০১১ সালে জাতগণনা কেন করানো হলো সরকারের দুটি দফতর দিয়ে?
রিপোর্ট বার করছে না, কিন্তু কাজে লাগাচ্ছে গোপনে
২০১১ সালের রিপোর্ট প্রকাশ না করলেও বিজেপি ভালোভাবেই কাজে লাগাচ্ছে সেই রিপোর্ট। SECC-র রিপোর্ট তো সরকারের কাছে আছে, সেখান থেকে সরকার জানে কোন্ জাতের কত জনসংখ্যা ও কোন্ জাতের কী অর্থনৈতিক, সামাজিক, ইত্যাদি অবস্থা, কোন্ জাতের কাছে কী দাবি অগ্রাধিকার হতে পারে। সেসব দেখে বিভিন্ন রাজ্য সরকারে ও কেন্দ্রীয় সরকারে নানা পরিকল্পনা করছে বিজেপি। কোন্ রাজ্যে বা কেন্দ্রীয় সরকারে কোন্ জাতের প্রতিনিধিকে মন্ত্রী করলে রাজনৈতিক সুবিধা হবে, তা বিজেপি জানে, এবং সেই অনুযায়ীই কাজ করছে। এমনকী কোন্ জাতের বিরুদ্ধে কোন্ জাতকে কী ইস্যুতে লাগালে ওই দুই জাতের রাজনৈতিক ঐক্য গড়ে উঠবে না, সেসব জেনেই তা কাজে লাগাচ্ছে বিজেপি। এই কাজে লাগিয়েই তাদের ভাষায় তারা সোশ্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং করছে। উত্তরপ্রদেশে ওবিসি-দের নিয়ে সম্মেলন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
এই সোশ্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং ভোটে ভালো ফল এনে দিয়েছে বিজেপি-কে। ২০০৯ সালে বিজেপি ওবিসি ভোটের ২২ শতাংশ ভোট পেয়েছিল, যেখানে আঞ্চলিক দলগুলি পেয়েছিল ৪২ শতাংশ। সোশ্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং করেই ২০১৯ সালের ভোটে বিজেপি ওবিসি ভোটের ৪৪ শতাংশ পায়, আঞ্চলিক দলগুলির ওবিসি ভোট কমে যায় ২৭ শতাংশে।
যে তথ্যে বিজেপি’র একচ্ছত্র অধিকার, সেখানেই বিহারের ক্ষেত্রে থাবা বসিয়েছে বিহারের রাজ্য সরকার। পশ্চাৎপদ জাতগুলির উন্নয়নের জন্য কেউ আসল ইঞ্জিনিয়ারিং করলে বিজেপি'র সোশ্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং মাঠে মারা যাবে। আরও বিপদ হচ্ছে বিহারের এই জনগণনার রিপোর্টের মর্মবস্তু।
বিহার জনগণনার রিপোর্টের মূল কিছু বিষয়
বিহারে জনগণনাতে দেখা যাচ্ছে মোট ১৩.০৭ কোটি লোকের মধ্যে মুসলিম হচ্ছে ১৭.৭ শতাংশ। ১৯৩১ সালের জনগণনাতে মোট ৩৩ কোটির মধ্যে মুসলিমরা ছিল ১৪.৬ শতাংশ। মানে প্রায় এক শতাব্দীতে (৯২ বছরে) মুসলিমরা বেড়েছে মাত্র ৩.১ শতাংশ। বিজেপি যে প্রায়ই ভয় দেখায় যে, মুসলিমরা বেড়ে দেশে সংখ্যাগরিষ্ঠ হয়ে গেল বলে, তা আসলে এক বিশাল আজগুবি। যদি এক শতাব্দীতে মাত্র ৩ শতাংশ বেড়ে ১৭.৭ শতাংশ হয়, তবে আরও কয়েক শতাব্দী লেগে যাবে ৫০ শতাংশ পেরিয়ে সংখ্যাগরিষ্ঠ হতে।
বিহারের এই জনগননা রিপোর্টে বিভিন্ন সম্প্রদায় জনসংখ্যার যত শতাংশ তা সারণি-১ তে বলা হলো, তাঁদের জন্য সরকারি চাকরি ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভরতির ক্ষেত্রে যে সংরক্ষণ চালু আছে সেটাও বলা হলো। দেখাই যাচ্ছে, মোট ৬০ শতাংশ আসন সংরক্ষিত, বাকি ৪০ শতাংশ অসংরক্ষিত আসনে বাস্তবে উচ্চবর্ণের প্রাধান্য। ৬৩ শতাংশ পশ্চাৎপদ জাতির (ওবিসি) জন্য সংরক্ষণ মাত্র ৩৪ শতাংশ, ফলে আগামীদিনে এদের জন্য বাড়তি সংরক্ষণের দাবি উঠতে পারে।
সারণি-১: বিহারে বর্তমানে বিভিন্ন সম্প্রদায়ের জনসংখ্যা ও তাদের জন্য সংরক্ষণের শতাংশ
সম্প্রদায় জনসংখ্যার শতাংশ সংরক্ষণের শতাংশ
তপশিলি জাতি ১৯.৬৫ ১৫
তপশিলি জনজাতি ১.৬৮ ১
পশ্চাৎপদ জাতি ২৭.১৩ ৩৪
অতি পশ্চাৎপদ জাতি ৩৬.০২ -
উচ্চবর্ণ ১৫.৫২ ১০
মোট ১০০ ৬০
বাড়তি সংরক্ষণের দাবি উঠুক বা না উঠুক, জনগণনার রিপোর্ট পশ্চাৎপদ জাতিভুক্ত মানুষদের করুণ অবস্থাটা প্রকাশ করেছে, যেখানে প্রায় ৩৬ শতাংশ মানুষ অতি পশ্চাৎপদ। রিপোর্ট প্রকাশ করেছে যে, মুসলিমদের মধ্যেও জাতবিভাগ আছে, অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে তো বটেই, সামাজিক ক্ষেত্রেও তারা সকলেই সমান নয়, আর দেখা গেছে তাদের সংখ্যাগরিষ্ঠ অংশই পড়ে অতি পশ্চাৎপদের মধ্যে। মুসলিমদের অবস্থা তাহলে বেশ খারাপ।
আসলে সারা ভারতে জনগণনা করলেও দেখা যাবে তপশিলি জাতি, তপশিলি জনজাতি, ওবিসি-রা সামাজিক ও শিক্ষাগত ক্ষেত্রে তুলনামূলকভাবে আরও পিছিয়ে পড়েছে। মুসলিমদের ক্ষেত্রেও তাই। তাদের অবস্থা আসলে কী আছে, তা জানতে হলে ২০১১ সালে কৃত জনগণনার রিপোর্ট প্রকাশ করা দরকার বা নতুন করে জনগণনা করা দরকার।
মনুবাদে বিশ্বাসী বিজেপি এই পিছিয়ে পড়া অংশকে নিয়ে সোশ্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং করে, কিন্তু তাঁদের প্রকৃত দুর্দশাময় অবস্থা মানুষকে জানতে দিতে চায় না। ২০১১ সালের জনগণনা শুরু হওয়ার আগে যখন এ নিয়ে শোরগোল চলছিল, তখন নাগপুর থেকে আরএসএস-এর শীর্ষস্থানীয় নেতা ভাইয়াজি জোশি জানিয়েছিলেন যে, তারা জাতগণনার বিরোধী। জনগণনা হলেই তো এই পশ্চাৎপদদের উন্নয়নের জন্য কাজ করার শুধু কথা উঠবে না, তাদের অধিকার দেওয়ার কথাও উঠবে, যা ব্রাহ্মণ্যবাদ বিরোধী।
তাই মোদির গুস্সা
বিহারের জনগণনার রিপোর্টে পশ্চাৎপদ জাতিগুলির করুণ অবস্থা প্রকাশ করায় বিজেপি বিরক্ত। রিপোর্ট বেরোনোর পর মোদি বলেছেন - দেশকে জাতের ভিত্তিতে ভাগ করা হচ্ছে। যখন বিভিন্ন জাতকে নিয়ে সম্মেলন করে বিজেপি, এক জাতকে আরেক জাতের বিরুদ্ধে লাগায়, তখন জাতের ভিত্তিতে ভাগ হয় না, জাতিগুলি কী অবস্থানে আছে, তার বিজ্ঞানভিত্তিক তথ্য জনসমক্ষে প্রকাশ হলে জাত ভাগাভাগি হয়ে যায়। মোদির আমলেই জাতিগত, ধর্মগত রেষারেষি বেড়েছে, বাড়ানো হয়েছে আরএসএস-এর প্রচেষ্টায়।
নরেন্দ্র মোদি নিজে ওবিসি-র মধ্যে পড়েন, সেই প্রচারও বিজেপি চালায়। কিন্তু ওবিসিদের নিয়ে বাস্তব তথ্য প্রকাশ হলে মোদির রাগ হয়।
রাগে দিশাহীন?
রাগে দিশাহীন মোদি তাই চূড়ান্ত প্রতিহিংসাপরায়ণ। ২ অক্টোবর বিহারে জাতগণনার রিপোর্ট প্রকাশকে কেন্দ্র করে সারা দেশে হই চই। ৩ অক্টোবর সকাল থেকে মোদির পুলিশ নেমেছে নিউজক্লিক সাংবাদিকদের বাড়ি তল্লাশিতে। নিউজক্লিক নানা ইস্যুতে চিরকালই মোদি ও বিজেপি’র স্বরূপ প্রকাশ করেছে। এফআইআর-এর কপি না দিয়ে গ্রেফতার, এমনকী বিনা বিচারে ইউএপিএ-তে গ্রেফতার।
শেষ করার আগে
বিরোধীরা জাতগণনা চাইছে। নবগঠিত ‘ইন্ডিয়া’র (Indian National Democratic Inclusive Alliance) প্রায় সকলেই জাতগণনার পক্ষে বলেছেন, বিশেষত কংগ্রেস বলেই চলেছে। ব্যতিক্রম - তৃণমূল। মমতা জাতগণনার বিরোধী। জাতগণনা হলে তারও খুব অসুবিধা হবে, কারণ তৃণমূল সরকারে সব কিছু ঠিক করে একজন। তাই কোন্ জাত পিছিয়ে, কোন্ জাত এগিয়ে, কোন্ জাত ওবিসি-ভুক্ত হবে, কোন জাত হবে না, তা আগে ঠিক করবে একজন, তারপরে সেই অনুযায়ী সমীক্ষা হবে বা সমীক্ষা ছাড়াই ঘোষণা হবে। এটাই চলছে। কোনো জাতের নামে উন্নয়ন পর্ষদ করে তার মাথায় সেই জাতের কোনো নেতাকে বসিয়ে, সেই জাতের লোকদের ভোট টানতে হবে, সেটা ঠিক করবে একজন। কিন্তু সত্যিই সেই উন্নয়ন পর্ষদ করে সেই জাতের কোনও উন্নয়ন হলো কিনা তা ধরা পড়ে যাবে জাতগণনায়। সেটা ধরা পড়ে গেলে খুব মুশকিল। খুব স্বাভাবিকভাবেই মোদির মতো মমতাও জাতগণনা চান না।
প্রসঙ্গত, নিউজক্লিকে পুলিশের তল্লাশি ও গ্রেফতারির বিরুদ্ধে ইন্ডিয়া জোটের পক্ষ থেকে প্রেস বিবৃতি দেওয়া হয়েছে। আলাদা আলাদা করে এই জোটের কংগ্রেস, জেডিইউ, আরজেডি, ডিএমকে, আপ বিবৃতি দিয়েছে। কংগ্রেসের মুখপাত্র বলেছেন যে বিহারের জাতগণনা থেকে দৃষ্টি ঘোরাতেই এই ফ্যাসিবাদী কাজ। না, তৃণমূলের কোনো বিবৃতি নেই।