E-mail: deshhitaishee@gmail.com  | 

Contact: +91 33 2264 8383

৫৮ বর্ষ প্রথম সংখ্যা / ১৪ আগস্ট ২০২০ / ২৯ শ্রাবণ ১৪২৭

রক্ষা করতে হবে দেশের সংবিধান ও স্বাধীনতাকে

স্বাধীনতা দিবসের প্রাক্কালে পাঁচটি বামপন্থী দলের আহ্বান


দেশের সংবিধানকে রক্ষা করতে হবে, মজবুত করতে হবে ভারতের স্বাধীনতাকে। তার শপথ নিতে হবে স্বাধীনতা দিবসে। জনগণকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে একাজ করতে হবে। আরএসএস পরিচালিত কেন্দ্রের বিজেপি সরকার আগ্রাসীভাবে সংবিধানের নীতিসমুহকে খর্ব করছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্ট্র্যাটেজিক নকশার অনুজ সহযোগী হিসেবে আমাদের দেশের অবস্থানকে আরও দৃঢ় করছে। এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদে শামিল হতে হবে। ১০ আগস্ট এক যৌথ বিবৃতিতে দেশের পাঁচটি বামদলের পক্ষ থেকে এই আহ্বান জানানো হয়।

সিপিআই(এম), সিপিআই, সিপিআই(এমএল) লিবারেশন, আরএসপি এবং সারা ভারত ফরওয়ার্ড ব্লক এক যৌথ বিবৃতিতে বলেছে, কোভিড-১৯ অতিমারী এবং জাতীয় লকডাউনের এই পর্বে, অতিমারী মোকাবিলা এবং মানুষকে ত্রাণ দেওয়ার পরিবর্তে আরএসএস এবং বিজেপি-নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় সরকার আগ্রাসীভাবে খর্ব করে চলেছে ভারতের সংবিধানের মর্মবস্তুকে। একই সঙ্গে শান দেওয়া হচ্ছে তীব্র সাম্প্রদায়িক মেরুকরণে এবং লক্ষ্য করা হচ্ছে মুসলিম সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে। সংসদ, বিচার ব্যবস্থা, নির্বাচন কমিশন, সিবিআই থেকে ইডি, প্রতিটি সাংবিধানিক সংস্থাই আক্রমণের মুখে, খর্ব করা হচ্ছে তাদের স্বাধীনতা। ভারতীয় সংবিধান রক্ষায় স্বাধীনভাবে কাজ করা থেকে তাদের দুর্বল করা হচ্ছে। গুরুতর আক্রমণের মুখে গণতান্ত্রিক অধিকার এবং নাগরিক স্বাধীনতা। সরকার ও তার নীতির বিরুদ্ধে কোনোরকম ভিন্নমতের প্রকাশকেই দেগে দেওয়া হচ্ছে ‘দেশবিরোধী’ হিসাবে। এবং ভিন্নমত পোষণকারী মানুষ, কর্মী ও বুদ্ধিজীবীদের উপর ইউএপিএ’র মতো রাষ্ট্রদ্রোহের দানবীয় আইন প্রয়োগ করা হচ্ছে। সেইসঙ্গেই আমাদের সংবিধানের মৌলিক বৈশিষ্ট্য যুক্তরাষ্ট্রীয় নীতিকে নস্যাৎ করে সমস্ত ক্ষমতাকে কেন্দ্রীয় সরকারের অধীনে কুক্ষিগত করবার চেষ্টা চলছে।

এই পরিস্থিতিতে, আমাদের সংবিধানকে রক্ষা, তার আওতায় থাকার নিশ্চয়তার জন্য জনগণের ঐক্যবদ্ধ হওয়া আজ অপরিহার্য, আশু কর্তব্য। আর এভাবেই আমরা মজবুত করতে পারি আমাদের স্বাধীনতাকে।

এর পাশাপাশি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নির্দেশের মুখে কেন্দ্রীয় সরকারের ক্রীতদাসতুল্য নতিস্বীকার চলেছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্বজোড়া আধিপত্যকে শক্তিশালী করার স্ট্র্যাটেজিক নকশায় ভারতকে পরিণত করা হচ্ছে তার অনুজ শরিকে। এটা ভারত এবং আমাদের জনগণের স্বার্থবাহী নয়। সময়ের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ স্বাধীন বিদেশনীতি ভারতের অনুসরণ করা উচিত। এ নিয়ে সেপ্টেম্বরের এক তারিখ পর্যন্ত প্রতিবাদের ডাক দিয়ে পাঁচ বামপন্থী দল বিবৃতিতে বলেছে, ভারতকে তার বিদেশনীতির পথ সংশোধন করতে হবে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র-ইজরায়েল চক্রের কাছে বিদেশনীতির বশ্যতা, ভারতের সার্বভৌমত্বকে খর্ব করবে এবং নস্যাৎ করবে আমাদের স্বনির্ভরতা, তথা ‘আত্মনির্ভর ভারত’কে।