৫৮ বর্ষ প্রথম সংখ্যা / ১৪ আগস্ট ২০২০ / ২৯ শ্রাবণ ১৪২৭
স্মরণ করছি সেই অগ্রণী কমরেডদের দেশহিতৈষী’কে যাঁরা এগিয়ে দিয়ে গেছেন
কমরেড মোহিত মৈত্র
কমরেড সুধাংশু দাশগুপ্ত
কমরেড মোহিত মৈত্র
জন্ম ১৮৯৮ সালে রাজশাহী জেলার নাটোরে। কৃতিত্বের সাথে ছাত্রজীবন শেষ করে অসহযোগ আন্দোলনে যোগ দিয়ে গ্রেপ্তারবরণ করেন। দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাশ প্রতিষ্ঠিত ফরওয়ার্ড কাগজে যোগ দেন। সুভাষচন্দ্র বসু ও শরৎচন্দ্র বসুর সংস্পর্শে আসেন। ‘লিবার্টি’ এবং ‘বাংলার কথা’ কাগজে দায়িত্বের সাথে কাজ করেন। ১৯৩৭ সালে অমৃতবাজার পত্রিকায়, পরে ১৯৪৯ সালে শরৎচন্দ্র বসুর ‘দ্য নেশন’ পত্রিকার সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট এবং সিন্ডিকেট সদস্য ছিলেন। বঙ্গ-বিহার সংযুক্তি বিরোধী আন্দোলনে যোগ দিয়ে গ্রেপ্তার হন। ১৯৫৬ সালে লোকসভা উপনির্বাচনে কংগ্রেস প্রার্থী অশোক সেনকে পরাস্ত করে সাংসদ নির্বাচিত হন। ১৯৫৭ সালে ভারতের কমিউনিস্ট পার্টির সদস্যপদ অর্জন করেন। ১৯৬৩ সালে দেশহিতৈষী’র সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি নির্বাচিত হন। ১৯৬৪ সালে কমরেড মোহিত মৈত্র সিপিআই(এম) রাজ্য কমিটির সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৬৬ সালের ১৮ নভেম্বর তাঁর জীবনাবসান হয়।কমরেড সুধাংশু দাশগুপ্ত
১৯১২ সালের ৩০ জানুয়ারি বরিশালে জন্মগ্রহণ করেন। ছাত্রজীবনেই নিরঞ্জন সেন, সতীশ পাকড়াশী প্রমুখ বিপ্লবীদের নেতৃত্বে রিভোল্ট গ্রুপে যোগদান। স্কুলজীবন শেষে কলকাতায় তৎকালীন কারমাইকেল মেডিক্যাল কলেজে ডাক্তারি পড়তে আসেন। কলকাতাতেই মেছুয়াবাজার বোমা মামলায় নিরঞ্জন সেন, সতীশ পাকড়াশী প্রমুখের সঙ্গে শুধাংশু দাশগুপ্তও গ্রেপ্তার হন। ১৯৩০ সালে আলিপুর সেন্ট্রাল জেলে কমরেড আবদুল হালিমের সাথে পরিচয়। সেখানেই কমিউনিস্ট পার্টির ইশ্তিহার পাঠ। ১৯৩২ সালে আন্দামান সেলুলার জেলে নির্বাসিত।১৯৩৪ সালে আন্দামান থেকে কলকাতায় আলিপুর জেলে স্থানান্তরিত। কিছুদিন পরে মুক্তিলাভ। ১৯৩৬ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কৃতিত্বের সঙ্গে ইতিহাসে এম এ পাশ। ১৯৩৬ সালে পি সি যোশীর সুপারিশে কমিউনিস্ট পার্টির সদস্যপদ লাভ। ট্রেড ইউনিয়ন ফ্রন্টে কাজ শুরু। ১৯৪০ সালের পর থেকে পার্টির পত্র-পত্রিকার কাজের সঙ্গে যুক্ত হন। জনযুদ্ধ, দৈনিক স্বাধীনতা, নিউ এজ, ক্রশ রোড ইত্যাদি পার্টি পত্রিকায় সাংবাদিকতা। ১৯৬০ সালে সংশোধনবাদী নেতৃত্ব কর্তৃক স্বাধীনতা থেকে বরখাস্ত। ১৯৬৩ সালেই দেশহিতৈষী প্রকাশিত হলে অন্যতম সম্পাদক নির্বাচিত। ১৯৬৬ সালের নভেম্বর থেকে দেশহিতৈষী’র প্রধান সম্পাদক। ১৯৬৪ সালে সিপিআই(এম) রাজ্য কমিটির সদস্য নির্বাচিত। ১৯৭২ থেকে ১৯৮৪ সাল পর্যন্ত পার্টির রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য। ১৯৬৪ সালের অক্টোবর মাস থেকে ১৯৬৬ সালের ৫ মে পর্যন্ত ভারতরক্ষা আইনে বিনাবিচারে বন্দী। ২০০৩ সালের ১০ মে জীবনাবসান।