৫৮ বর্ষ প্রথম সংখ্যা / ১৪ আগস্ট ২০২০ / ২৯ শ্রাবণ ১৪২৭
তাঁরা তিনজন এবং একটি পত্রিকা
অমিতাভ রায়
প্রমোদ দাশগুপ্ত
সত্যব্রত সেন
সুধাংশু দাশগুপ্ত
একটি সাপ্তাহিক পত্রিকা। লেটার প্রেসে ছাপা। কোনো বিজ্ঞাপন নেই। কিন্তু নিয়ম করে প্রতি শুক্রবার প্রকাশিত হয়। গল্প কবিতা রম্যরচনা ইত্যাদি অনুপস্থিত। আপাতদৃষ্টিতে কয়েকটি নীরস প্রবন্ধের সমাহার। সঙ্গে কিছু গুরুত্বপূর্ণ খবর। অথচ দেশের বাংলাভাষী বামপন্থী মানুষের কাছে তার কী চাহিদা। প্রত্যন্ত এলাকায় যেখানে দৈনিক সংবাদপত্র দুর্লভ সেখানে মানুষ শুক্রবার সন্ধ্যায় উন্মুখ হয়ে পত্রিকাটির জন্য অপেক্ষা করে। উনিশশো ষাট সত্তরের দশকে এমনটাই ছিল সাপ্তাহিক দস্তুর। টিভির জমানা তখনও বহু দূর। আর ইন্টারনেটবাহিত সামাজিক মাধ্যম তো কল্পবিজ্ঞানেও উপস্থিতি ঘোষণা করেনি।
১৯৮০-র দশকের সূচনালগ্নে পত্রিকার চেহারায় কিছু পরিবর্তন এলো। লেটার প্রেস থেকে কিছুদিন মনোটাইপ হয়ে লাইনো টাইপে উত্তরণ। পত্রিকার পরিসর প্রশস্ত হলো। অর্থাৎ একই পৃষ্ঠায় বেশি শব্দ জায়গা পেল। আশির দশকের শেষের দিকে এলো ডিটিপি। পত্রিকার ভোল পালটিয়ে গেল। প্রযুক্তির কল্যাণে পত্রিকা পেল ঝকঝকে চেহারা। সাদা কাগজে কালো আখরে ছাপা প্রতিটি পৃষ্ঠার উপরে মোটা বর্ডার আর নিচে একটা হাল্কা রেখা টেনে দেওয়ার ফলে পত্রিকায় সংযোজিত হলো এক দৃষ্টি আকর্ষণের সৌন্দর্য। একবিংশ শতাব্দীতে পৌঁছে সংযোজিত হলো রঙিন পাতা। তবে প্রকৃতিতে কোনো পরিবর্তন নেই। খেটে খাওয়া মানুষের জীবনযাত্রার খবর থেকে শুরু করে কীভাবে এই অবস্থা থেকে মুক্তি পাওয়া যায় তার দার্শনিক ব্যাখ্যা বিশ্লেষণের দায়িত্ব পালনের প্রতীতিতে পত্রিকা নিশ্চল। কোনো প্রলোভনের সঙ্গে সমঝোতা নেই।
এইভাবে দেখতে দেখতে পেরিয়ে এলাম প্রায় পঞ্চাশ বছর। অথবা বলা ভালো পড়তে পড়তে অর্ধ শতক ছুঁই ছুঁই। আর সেই পত্রিকায় লিখতে লিখতে তো একটানা চার দশক কবেই পেরিয়ে গেছে। সত্তরের সন্ত্রাসের দিনগুলিতে অথবা জরুরি অবস্থার কালো সময়ে একইরকমভাবে খেটে খাওয়া মানুষের সংগ্রামী প্রত্যয়কে উদ্দীপ্ত করার কাজে পত্রিকা অবিচল।
সেই ধারাবাহিকতায় সম্প্রতি সাময়িক ছেদ পড়ল। কোভিড-১৯ নামের এক অজানা অচেনা অনুজীবের সংক্রমণ প্রতিহত করতে দেশব্যাপী অবরোধের কারণে কয়েক সপ্তাহ পত্রিকাটি প্রকাশ করা সম্ভব হয়নি। সামাজিক দূরত্বের নামে তৈরি করা সামাজিক সঙ্কট নিরসনে পত্রিকা আবার স্বমহিমায় ফিরে এসেছে। প্রাথমিক পর্যায়ে অনলাইনে প্রকাশিত হলেও স্বল্পসময়ের মধ্যেই অনলাইনের পাশাপাশি পত্রিকা ছাপাও শুরু হয়েছে। নতুন সামাজিক পরিসরে এইভাবেই উদ্যাপিত হতে চলেছে সাপ্তাহিক দেশহিতৈষী পত্রিকার আটান্নতম জন্মদিন।
।। দুই ।।
১৭২ নং ধর্মতলা স্ট্রিট থেকে ১৯৭০ দশকের শুরুতেই তেত্রিশ নম্বর আলিমুদ্দিন স্ট্রিট। সঙ্কীর্ণ সদর। প্রবেশ পর্বে প্রথমে এক চিলতে চাতাল। তারপর ডানদিকে সিঁড়ি। বাঁদিকে ছাপাখানা। সিঁড়ি বেয়ে দোতলায় উঠলে সামনে ছিল এক বড়ো আকারের ঘর। সেটাই তখন হলঘর। তার একদিকে একটা ছোট্ট ঘরে বসতেন সিপিআই(এম) পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য কমিটির সম্পাদক। সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্যরাও দপ্তরে এলে ওখানেই বসতেন। তার বাঁদিকে এক ফালি ঘরে ছিল গণশক্তি পত্রিকার সম্পাদকীয় দপ্তর। গণশক্তি তখন সান্ধ্য দৈনিক। তারপর আরও দু’ ধাপ পেরিয়ে একটু খোলামেলা জায়গা। ডান দিকে দুটি ঘর। প্রথমটি গণশক্তি। আর পরেরটি দেশহিতৈষী দপ্তর। দরজা পেরোলেই বাঁ হাতে দুটো টেবিল। ডান দিকেও দুটি। বসতেন চারজন সাংবাদিক। আর এক কোণে একটা ছোট্ট জায়গায় বসতেন সম্পাদক। তাঁর টেবিলের পাশে একটা সাদামাটা কাঠের সোফা। একজনের বেশি দু’জনের বসা সম্ভব নয়। এবং কর্মব্যস্ত পরিবেশেও বেশিরভাগ সময়ই সোফাটি খালি পড়ে থাকে। বিকেল চারটে। চারটে বেজে পাঁচ বা চারটে বাজতে পাঁচ নয়, কাঁটায় কাঁটায় ঠিক চারটের সময় সম্পাদকের আগমন। পরিপাটি পোশাক। দৃপ্ত পদচারণা। গুরুগম্ভীর কন্ঠস্বর। আন্দামানের বন্দিজীবনে নিয়মিত শরীরচর্চার সুবাদে শক্তপোক্ত স্বাস্থ্য। রাশভারী মানুষ। প্রয়োজন ছাড়া কথা বলেন না। বাকি সময় লেখালিখি বা বই পড়ায় ব্যস্ত। তিনি সুধাংশু দাশগুপ্ত। কলকাতায় থাকলে চারটে বাজার একটু পরেই গুটি গুটি পায়ে দেশহিতৈষী দপ্তরে প্রবেশ করে একমাত্র সোফাটির দখল নিতেন সিপিআই(এম) পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য কমিটির সম্পাদক প্রমোদ দাশগুপ্ত। ততক্ষণে প্রতিটি টেবিলে গেলাস ভর্তি লাল চা পরিবেশন করা হয়ে গেছে। দুই প্রবীণ স্বাধীনতা সংগ্রামী এবং সহযোদ্ধা চায়ের গেলাসে চুমুক দিতে দিতে সংগঠন এবং রাজ্যের বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে নিবিড় আলোচনায় মগ্ন হয়ে সমাধানের পথ বিশ্লেষণ করতেন। কোনো গোপন সলা নয়। অথচ ওই সময় কেউ তাঁদের বিরক্ত করতে সাহস করতেন না। এমনকি রাজ্য বা জেলাস্তরের নেতারা দরজা থেকে উঁকি দিয়ে যদি দেখতেন রাজ্য সম্পাদক ও রাজ্য কমিটির সাপ্তাহিক মুখপত্রের সম্পাদক মুখোমুখি বসে গভীর আলোচনায় নিমগ্ন দরজা থেকেই বিদায় নিতেন। সাধারণত পাঁচটা নাগাদ শেষ হয়ে যেত চা-পান পর্ব। তবে ব্যতিক্রমী ঘটনা ঘটত যে দিন সম্পাদকদের বৈঠকে উপস্থিত হতেন আরেক স্বাধীনতা সংগ্রামী। তিনি কোনো জেলাস্তরের নেতা নন। রাজ্য কমিটিতেও নেই। কিন্তু তাঁর কথা মন দিয়ে শুনতেন প্রমোদ দাশগুপ্ত ও সুধাংশু দাশগুপ্ত। রাজ্যে বামফ্রন্ট সরকার গড়ে ওঠার পর পঞ্চায়েত ব্যবস্থার গুরুত্ব, ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণ ইত্যাদি বিষয়ে চলতে থাকত বিস্তারিত আলোচনা, চুলচেরা বিশ্লেষণ ইত্যাদি। প্রমোদ দাশগুপ্ত ও সুধাংশু দাশগুপ্ত’র তোলা প্রতিটি খুঁটিনাটি প্রশ্নের তাত্ত্বিক ও প্রায়োগিক ব্যাখ্যা করে চলেছেন এক পলিতকেশ প্রবীণ। কথনে ধীরস্থির। পুরু কাচের চশমার আড়ালে দৃষ্টি অবিচল। অবিরাম প্রশ্নের সম্মুখীন হয়েও মুখে কোনো বিরক্তি নেই। বড়োজোর কখনোসখনো বলতেন, - বাবু, আর একবার চায়ের বন্দোবস্ত করা যায়? বয়সে এক বছরের বড়ো সুধাংশু দাশগুপ্তকে তিনি ডাকনামেই সম্বোধন করতেন। প্রমোদ দাশগুপ্তর চুরুটের ধোঁয়ায় দেশহিতৈষী দপ্তর আচ্ছন্ন হয়ে গেলে হয়তো বলতেন, - এইসময় একটা সিগারেট পাওয়া গেলে মন্দ হতো না!
তিন প্রবীণ স্বাধীনতা সংগ্রামীর আনুষ্ঠানিকতাবিহীন আলাপ আলোচনার মধ্যে দিয়ে রচিত হতে থাকে গ্রামীণ সমাজে বিধিবদ্ধভাবে ক্ষমতা বিকেন্দ্রীকরণের প্রকল্প। স্থানীয় মানুষের প্রত্যক্ষ অংশগ্রহণের মাধ্যমে গ্রামোন্নয়নের যে পদ্ধতি আজ সারা পৃথিবীতে স্বীকৃতি পেয়েছে সেই পঞ্চায়েতব্যবস্থার রূপরেখার প্রাথমিক খসড়া দেশহিতৈষী পত্রিকার দপ্তরেই আস্তে-ধীরে গড়ে উঠতে থাকে। পঞ্চায়েতব্যবস্থা সম্পর্কে তখন কারো কোনো ধারণা নেই। দেশহিতৈষী’র পাতায় ছাপা শুরু হয় পঞ্চায়েতব্যবস্থা প্রসঙ্গে ছোটো ছোটো প্রবন্ধ। প্রমোদ দাশগুপ্ত ততদিনে পার্টির বিভিন্ন স্তরে পঞ্চায়েতব্যবস্থা সম্পর্কে একটা সাধারণ ধারণা পেশ করতে শুরু করেছেন। অবশেষে পার্টির সর্বোচ্চ স্তর থেকে সম্মতি আদায় করার পর ঘোষিত হলো পশ্চিমবাংলায় তিন স্তরের পঞ্চায়েতব্যবস্থা প্রবর্তন করা হবে।
১৯৭৮-এ আয়োজিত হলো প্রথম পঞ্চায়েত নির্বাচন। মার্চ-এপ্রিল মাস জুড়ে রাজ্যের প্রতিটি জেলায়, প্রতিটি গ্রামে এমনকি প্রত্যন্ত অঞ্চলে চলল নিরবচ্ছিন্ন প্রচার। নির্বাচনী প্রচারে গুরুত্ব দিয়ে বোঝানোর চেষ্টা হতো পঞ্চায়েতব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত হলে প্রশাসনের বদলে গ্রাম উন্নয়নের দায়িত্ব পাবেন গ্রামের মানুষ এবং তাঁদের নির্বাচিত প্রতিনিধি। প্রচারের সময় বারেবারে বলা হতো যে গ্রামের বাসিন্দাদের উদ্যোগে এবং সরকারি অর্থে গ্রাম উন্নয়নের এক নতুন পরীক্ষা শুরু হতে চলেছে। প্রমোদ দাশগুপ্ত প্রতিটি সভায় সবাইকে সতর্ক করে দিয়ে বলতেন, - এ এক কঠিন পরীক্ষা। এই পরীক্ষায় সফল হলে সম্মানিত হবে গ্রামের সাধারণ মানুষ। প্রশাসনের লাল ফিতে দিয়ে গ্রামোন্নয়ন আটকে রাখা যাবে না। একইসঙ্গে দৃপ্ত স্বরে বলতেন, - সবসময় সকলকে সতর্ক থাকতে হবে। আয় ব্যয়ের হিসাবের কাজে স্বচ্ছতা বজায় রাখতে হবে। উন্নয়নের অর্থে কোনো জনপ্রতিনিধি যেন বাস্তুঘুঘুতে পরিণত না হয়ে যায় সেদিকেও সকলের নজর রাখা কর্তব্য। একই কথা দেশহিতৈষী’তে নিয়মিত লিখতেন সুধাংশু দাশগুপ্ত এবং তাঁর সহকর্মীবৃন্দ।
রাজ্যে ১৯৭৮-এ সাফল্যের সঙ্গে পঞ্চায়েতব্যবস্থা প্রবর্তন করা হয়েছিল। কয়েক বছর পর রীতিমতো সংবিধান সংশোধন করে পঞ্চায়েতরাজ ব্যবস্থা সারাদেশে আইন করে প্রয়োগ করা হয়। পঞ্চায়েত ব্যবস্থা এখন গ্রামীণ সমাজে বিধিবদ্ধভাবে ক্ষমতা বিকেন্দ্রীকরণের মাধ্যমে গ্রামোন্নয়নের সেরা পদ্ধতি হিসেবে স্বীকৃত। সারা পৃথিবীতে ভারতের পঞ্চায়েতব্যবস্থা নিয়ে আলোচনা গবেষণার শেষ নেই। সর্বব্যাপী প্রচারের পরিসরে হারিয়ে গেছে দেশহিতৈষী’র দপ্তরে বসে যুক্তি উপস্থাপন করে তথ্যগত বিশ্লেষণের মাধ্যমে গ্রামীণ উন্নয়ন প্রক্রিয়ার নতুন রূপরেখার খসড়া প্রণয়নের কথা। এবং একেবারেই স্মৃতির আড়ালে চলে গেছেন পঞ্চায়েতব্যবস্থার অন্যতম স্থপতি ও রূপকার সত্যব্রত সেন।
ত্রিস্তর পঞ্চায়েতব্যবস্থা, ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণ, গরিব মানুষের মর্যাদা ও অধিকার প্রতিষ্ঠা, তার মাধ্যমে গ্রাম বাংলার রূপ ও সামাজিক পরিবর্তন, দারিদ্র্য এবং নিরক্ষরতা দূরীকরণে ত্রিস্তর পঞ্চায়েতব্যবস্থার সাফল্য এসবই ছিল মূলত সত্যব্রত সেনের ভাবনার ফসল। দেশহিতৈষী’র পাতা ছিল তার বাহক।
।। তিন ।।
এখন তো সেই রামও নেই, সেই অযোধ্যাও নেই। পরিবর্তনের সরকার সত্যিই পাল্টে দিয়েছে সবকিছু। বাস্তুঘুঘুরা আবার স্বৈরাচারী কায়দায় গায়ের জোরে পঞ্চায়েতকে করে তুলেছে দুর্নীতি ও লুঠের আখড়া। শুধু আমাদের রাজ্যে নয়, বাম শাসিত কেরালা বাদ দিয়ে সারা দেশের একই চিত্র। বামফ্রন্ট সরকারের পথ দেখানো যে পঞ্চায়েতব্যবস্থা গ্রামীণ সমাজের উন্নয়নের সেরা পদ্ধতি হতে পারত, দুর্নীতি ও দুর্বৃত্তায়নই হয়ে উঠেছে তার বৈশিষ্ট্য। ভোট লুট, শাসকদলের বিরুদ্ধে ভোটে প্রার্থী হওয়ায় বাধা, কখনও কখনও প্রার্থীদের খুন করে, পরিবারকে গ্রামছাড়া করে নেওয়া হচ্ছে পঞ্চায়েতের দখল। বহুদলীয় গণতন্ত্র যখন স্বৈরাচারের নিয়ন্ত্রণে চলে যায় তখন এমনটাই ঘটে থাকে। কিন্তু সেই সঙ্কুচিত পরিসরেও নির্দিষ্ট জনহিতকর প্রস্তাব সামনে রেখে সাংগঠনিক দুর্বলতা দূর করে খেটেখাওয়া মানুষের জোট শক্তিশালী করতে পারলে স্বৈরাচার অন্তর্হিত হয়। পৃথিবীর সর্বত্র গণআন্দোলনের অভিজ্ঞতার আলোকে এই বাস্তবতা বারেবারেই প্রমাণিত হয়েছে।
।। চার ।।
দেশহিতৈষী পত্রিকার সাতান্ন বছরের ইতিহাস থেকে শুধুমাত্র পঞ্চায়েতব্যবস্থার উদাহরণ বেছে নিয়ে স্বল্প পরিসরে ব্যাখ্যা করার চেষ্টা হয়েছে যে সংগঠন গড়ে তোলার ক্ষেত্রে পত্রিকা একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। বাম বিচ্যুতির বিরুদ্ধে লড়াইয়ের সময় বা সত্তরের দশকের কালোদিনগুলিতে সংগঠন মজবুত করার সংগ্রামেও দেশহিতৈষী সেই উজ্জ্বল ভূমিকা পালন করেছে। বামফ্রন্ট সরকারের বিভিন্ন জনমুখী প্রকল্পের তাৎপর্য মানুষের কাছে নিয়ে যাওয়ার জন্য দেশহিতৈষী নিরন্তর কাজ করে গেছে। ২০১১-য় এই রাজ্যে নৈরাজ্যের সরকার ক্ষমতায় আসার পরও দেশহিতৈষী কর্তব্য পালন করে চলেছে। প্রতি সপ্তাহে নিয়মিত প্রকাশিত হয় রাজ্য সরকারের বেনিয়মের কীর্তিকলাপের কাহিনি। প্রকৃতপক্ষে মাঠে-ময়দানে দাঁতে দাঁত চেপে যাঁরা প্রতিনিয়ত সাম্প্রদায়িকতা, স্বৈরাচারের সঙ্গে লড়াই করে চলেছে তাঁদের কাছে প্রতি সপ্তাহে দেশহিতৈষী পৌঁছে দেয় লড়াইয়ের রসদ। আটান্নতম বর্ষেও দেশহিতৈষী সেই প্রত্যয় নিয়েই কাজ করে যাবে। দেশহিতৈষী বিশ্বাস করে পত্রিকা গণআন্দোলনের গুরুত্বপূর্ণ সংগঠক।