E-mail: deshhitaishee@gmail.com  | 

Contact: +91 33 2264 8383

৫৯ বর্ষ ২২ সংখ্যা / ১৪ জানুয়ারি, ২০২২ / ২৯ পৌষ, ১৪২৮

কেরালায় কংগ্রেসী ঘাতকদের হাতে প্রাণ হারালেন এসএফআই কর্মী কমরেড ধীরাজ রাজেন্দ্রন


নিজস্ব সংবাদদাতাঃ কংগ্রেসী গুণ্ডাদের হাতে শহিদ হলেন কেরালার এসএফআই কর্মী ধীরাজ রাজেন্দ্রন। কেরল জুড়ে ছাত্র সংসদ নির্বাচনে ধারাবাহিক হারের মুখে দাঁড়িয়ে আতঙ্ক ছ‌ড়াতে শিক্ষাঙ্গনে হিংসার পথ নিয়েছে কংগ্রেসীরা। সেই লক্ষেই কলেজ ক্যাম্পাসে ছুরি মেরে হত্যা করা হলো ২১ বছর বয়সী ছাত্র ধীরাজ রাজেন্দ্রনকে। প্রকাশ্যে দিনের আলোয় কংগ্রেসী ঘাতকদের হাতে প্রাণ হারালেন এই এসএফআই কর্মী। শুধু ধীরাজ রাজেন্দ্রন নন, ওই দুষ্কৃতীদের হাতে আক্রান্ত হয়েছেন ওই কলেজেরই তার সহপাঠী আরও দুই এসএফআই কর্মী অভিজিৎ এবং অমল। ঘটনাটি ঘটেছে ১০ জানুয়ারি কেরালার ইদুক্কি জেলার ইদুক্কি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে। প্রকাশ্যে, দুপুর ১টা নাগাদ কংগ্রেস-কেএসইউ’র মদতপুষ্ট দুষ্কৃতীরা পরিকল্পিতভাবে কলেজে ঢুকে তাকে খুন করে। অভিজিৎ এবং অমল ধীরাজকে বাঁচাতে গিয়ে গুরুতরভাবে আহত হয়েছেন ওই কংগ্রেসী গুন্ডাদের হাতে। তাঁরা এখন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। কংগ্রেসীদের এই হামলার ঘটনার প্রতিবাদে ১১ জানুয়ারি থেকে শিক্ষাঙ্গন শুধু নয়, প্রতিবাদের ঢেউ উঠেছে দেশ জুড়ে।

শহিদ এসএফআই কর্মী কমরেড ধীরাজ রাজেন্দ্রনের শেষযাত্রা।

এ প্রসঙ্গে এক বিবৃতিতে এসএফআই’র পক্ষ থেকে বলা হয়েছে যারা ধীরাজকে খুন করেছে তারা বহিরাগত দুষ্কৃতী। যুব কংগ্রেস নেতা নিখিল পাল্লির নেতৃত্বে এই নৃশংস ঘটনা ঘটানো হয়েছে। সাধারণ ছাত্ররা কংগ্রেসের ওপর আস্থা রাখছে না তাই সমর্থন হারিয়ে কংগ্রেসের পোষা দুষ্কৃতীরা ক্যাম্পাসে ক্যাম্পাসে ভয়ের পরিবেশ তৈরি করতে খুনের পথ নিয়েছে।

ঘটনার সূত্রপাত কলেজ ক্যাম্পাসে আসন্ন ছাত্র সংসদ নির্বাচনে কংগ্রেসের ছাত্র সংগঠন কেএসইউ’র পরাজয়ের পরিস্থিতি থেকেই। ক্যাম্পাসে ক্যাম্পাসে বহিরাগত দুষ্কৃতীদের নিয়ে এসে এসএফআই কর্মীদের ওপর আক্রমণের ঘটনা ঘটছে কেরালার বেশ কিছু জায়গায়। যার নেপথ্যে কংগ্রেস-কেএসইউ। ১০ জানুয়ারি সকালেই শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচন পর্ব মিটে যায় কলেজে। হারের আঁচ পেয়ে অভ্যাস মতোই কংগ্রেসীরা চড়াও হয় ছাত্রদের ওপর। বহিরাগত দুষ্কৃতীরা বুকে ছুরি মেরে নির্মমভাবে খুন করে তরুণ ছাত্রনেতা ধীরাজকে। এসএফআই কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটি এক বিবৃতিতে এই হত্যাকে পরিকল্পিতভাবে খুন বলে অভিহিত করেছে। ১১ জানুয়ারি এই হত্যার প্রতিবাদে দেশজুড়ে প্রতিবাদের ডাক দেয় এসএফআই। এসএফআই নেতৃবৃন্দ দোষীদের কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।

ছাত্র খুনের ঘটনার নিন্দা করে কেরালার মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন বলেন, কোনভাবেই কলেজ ক্যাম্পাসে হিংসার পরিস্থিতি তৈরি করার চেষ্টা মেনে নেওয়া হবে না। পুলিশকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে দ্রুত ধীরাজের খুনিদের কঠোর শাস্তি দিতে হবে।

সিপিআই(এম) কেরালা রাজ্য কমিটির সম্পাদক কোডিয়ারি বালাকৃষ্ণন বলেন, কলেজে কলেজে নির্বাচনে কংগ্রেস হেরে যাবে বুঝেই ক্যাম্পাসে বহিরাগত দুষ্কৃতী এনে হিংসা ক্ষেত্র তৈরি চেষ্টা করছে। রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা ধ্বংসের চেষ্টা করছে কংগ্রেস।

সমালোচনার মুখে কংগ্রেস সভাপতি, যার বিরুদ্ধে ফৌজদারী অভিযোগ রয়েছে সেই কে সুধাকরণ বলেছেন, কোনরকম হিংসায় সমর্থন করছে না দল।