E-mail: deshhitaishee@gmail.com  | 

Contact: +91 33 2264 8383

৫৯ বর্ষ ২২ সংখ্যা / ১৪ জানুয়ারি, ২০২২ / ২৯ পৌষ, ১৪২৮

দক্ষ স্বচ্ছ গণতান্ত্রিক পুরবোর্ড গড়তে জয়ের লক্ষ্যে শিলিগুড়িতে চলছে বামফ্রন্টের নির্বাচনী প্রচার


শিলিগুড়ি পৌর নির্বাচনে প্রচারে অশোক ভট্টাচার্য।
ছবিঃ রাজু ভট্টাচার্য

নিজস্ব সংবাদদাতাঃ বামফ্রন্ট সরকার ও বামফ্রন্ট পরিচালিত শিলিগুড়ি পৌর কর্পোরেশনের বহুমুখী উন্নয়নের কর্মকাণ্ডের বিপরীতে তৃণমূল সরকারের জমানায় শুধু বঞ্চনা আর অবহেলাই প্রত্যক্ষ করেছেন এই শহরের মানুষ। তার পাশাপাশি বিগত আট মাসেরও বেশি সময়ধরে মনোনীত পৌর পরিচালকদের বেআইনি কাজ কারবারের বিস্তর অভিজ্ঞতাও অর্জন করেছেন শিলিগুড়ি শহরের অধিবাসীরা। এই অবস্থায় আসন্ন পৌর নির্বাচনে বামফ্রন্ট প্রার্থীদের জয়ী করার আবেদন জানিয়ে জয় অর্জনের লক্ষ্যে শহর জুড়ে চলছে বামফ্রন্টের প্রচার।

৩৫ নম্বর ওয়ার্ডে প্রচারে বামফ্রন্ট প্রার্থী শেফালি ভট্টাচার্য।
ছবিঃ রাজু ভট্টাচার্য

আগামী ২২ জানুয়ারি শিলিগুড়ি পৌর কর্পোরেশনের নির্বাচন। এখানে মোট ৪৭টি ওয়ার্ডের মধ্যে বামফ্রন্ট দু'দফায় ৪৩টি ওয়ার্ডে প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করেছে। এর মধ্যে সিপিআই(এম) ৩৬, এবং সিপিআই, আরএসপি, ফরওয়ার্ড ব্লক ২টি করে আসনে লড়ছে। একটি ওয়ার্ডে নির্দল প্রার্থীকে সমর্থন করছে বামফ্রন্ট। বাকি ৪টি ওয়ার্ডে প্রার্থী দেয়নি বামফ্রন্ট। সেই আসনগুলিতে কংগ্রেস প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে। প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করে জেলা বামফ্রন্টের আহ্বায়ক জীবেশ সরকার বলেছেন, বিজেপি এবং তৃণমূলকে পরাজিত করাই লক্ষ্য। নীতিগতভাবে আমাদের সিদ্ধান্ত ও লক্ষ্য সমস্ত বিরোধী ভোটকে এক জায়গায় আনা। তিনি জানিয়েছেন, প্রাক্তন মেয়র অশোক ভট্টাচার্যের নেতৃত্বেই বামফ্রন্ট শিলিগুড়ি পৌর কর্পোরেশন নির্বাচনে লড়াই করবে।

ডিজিটাল ইস্তাহার-এর প্রচ্ছদ।

গত ১০ জানুয়ারি শিলিগুড়ি পৌর কর্পোরেশন নির্বাচনে বামফ্রন্টকে জয়ী করার আহ্বান জানিয়ে ‘‘শিলিগুড়ি লড়ছে, বামেরাই ফিরছে’’ স্লোগান তুলে ডিজিটাল ইস্তাহার প্রকাশিত হয়েছে। দার্জিলিং জেলা বামফ্রন্টের পক্ষ থেকে প্রকাশিত এই ইস্তাহারে আবেদন জানিয়ে বলা হয়েছে, ‘‘আপনাদের প্রিয় শহর শিলিগুড়ির প্রতি রাজ্যের বর্তমান সরকার ও শাসক দল বহু অবহেলা ও বঞ্চনা করেছে। করেছে অপমান ও অসম্মান। আমরা চাই শিলিগুড়ির আত্মমর্যাদা ও আত্মসম্মান। কোনো দয়ার দান নয়, শিলিগুড়ি চায় তার ন্যায়সংগত প্রাপ্য। বামফ্রন্ট সেই প্রাপ্য দাবি আদায় করতে পারে। এই শহরের এখন পর্যন্ত যত উন্নয়ন হয়েছে, তা করেছে বামফ্রন্টই। বামফ্রন্ট পরিচালিত শিলিগুড়ির পুর বোর্ডই পারবে এই শহরের আরো উন্নয়ন। শিলিগুড়ি চায় কোনো মিথ্যা প্রতিশ্রুতি নয়। চায় উন্নয়ন। একটি দক্ষ, স্বচ্ছ, গণতান্ত্রিক, দুর্নীতিমুক্ত পুর বোর্ড দিতে পারে বামফ্রন্টই।’’

এই ইস্তাহারে আহ্বান জানানো হয়েছে, ‘‘আসুন ভোট লুঠ রুখে দিয়ে, শিলিগুড়ির গণতান্ত্রিক ঐতিহ্য বজায় রাখি।’’

ইস্তাহারে ‘উন্নত শিলিগুড়ি’ শিরোনামে শহরের রাস্তাঘাট, নিকাশি ব্যবস্থার উন্নতি; আবর্জনা নিকাশের ব্যবস্থাপনার বিজ্ঞানসম্মত উন্নয়ন; শিলিগুড়ির পরিস্রুত পানীয় জলের সার্বিক প্রকল্পের অনুমোদন আদায় করা; শহরের সৌন্দর্য বৃদ্ধি, মহানন্দা নদী তীরের সৌন্দর্যায়ন ও পার্ক নির্মাণ; যানজটের সমস্যার দ্রুত সমাধান এবং সুপরিকল্পিত পার্কিয়ের ব্যবস্থা করার কথা বলা হয়েছে।

ইস্তাহারে শহর সংলগ্ন নদী সংস্কার, পরিবেশ সুরক্ষা ইত্যাদি বিষয়ে ‘নদীর সুস্থতা, প্রাণের শহর’ শিরোনামে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নেবার কথা বলা হয়েছে। যেমন, শহর সংলগ্ন সমস্ত নদীর অবিলম্বে সংস্কার ও তার রক্ষণাবেক্ষণে রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টি করা, জলবায়ু পরিবর্তন অ্যাকশন প্ল্যান কার্যকর করা এবং শহরে বায়ু দূষণের মাত্রা হ্রাস করার কথা বলা হয়েছে।

এছাড়া, বৃক্ষ রোপণের মাধ্যমে শহরে গ্রিন জোন তৈরি করা, যত্রতত্র গাছকাটা অবিলম্বে বন্ধ করা এবং পরিবেশ রক্ষায় ওয়ার্ডভিত্তিক বিশেষ টিম পাড়ায়-পাড়ায় গঠন করার কথা বলা হয়েছে ইস্তাহারে।

বামফ্রন্টের ইস্তাহারে ‘শিক্ষার বিষয়’ শিরোনামে শিক্ষাক্ষেত্রে নানা গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগ বাস্তবায়নের কথা বলা হয়েছে। উল্লেখ করা হয়েছে,অবিলম্বে ড্রপআউট ছাত্রছাত্রীদের স্কুলে ফেরানো হবে,স্কুল কলেজে পঠনপাঠন চালু করার উদ্যোগ নেওয়া হবে, গরিব ছাত্রছাত্রীদের পাঠ্যপুস্তক প্রদান করা হবে, শহরে হিন্দি ভাষায় আরও স্কুল এবং আরও উন্নত খেলার মাঠ ও বস্তি ক্রীড়া পুনরায় চালু করা হবে।

উপার্জনের সুযোগ বৃদ্ধি, উন্নত প্রশিক্ষণ ও কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে ‘রোজগেরে শিলিগুড়ি’ নামে বলা হয়েছে, ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের লাইসেন্স ফি হ্রাস, নতুন ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পে উৎসাহ প্রদান; হকার ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের জন্য স্থায়ী বাজার নির্মাণ, বিধান মার্কেটকে পুরসভার হাতে আনা; হকার্স কর্নারে স্থায়ী বাজার তৈরি ও মালিকানা স্বত্ব দেওয়া; স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সংখ্যা বাড়ানো ও আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হবে।

এছাড়াও মহিলাদের জন্য নার্সিং ও কম্পিউটার প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা; টোটোও ভ্যান চালকদের জন্য বিশেষ সামাজিক সুরক্ষা; কর্পোরেশনে শূন্য স্থায়ী সাফাই কর্মী ও অন্যান্য পদ পূরণ করা এবং নতুন পদ সৃষ্টি করার কথা বলা হয়েছে এই ইস্তাহারে।

দরিদ্র অসহায় মানুষদের আশ্রয়ের জন্য ‘গরিবের বসবাসের নিশ্চয়তা’ শিরোনামে ইস্তাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, গরিব বস্তিবাসীদের পাট্টা ও বাস্তুজমির লিজ দেওয়া হবে; বস্তি উচ্ছেদ নয়, বসতি রেখে হবে বস্তির উন্নয়ন; গরিব বৃদ্ধ-বৃদ্ধা, প্রতিবন্ধীদের নিয়মিত ভাতা প্রদান ও বিনামূল্যে চাল দেওয়া হবে; বস্তিবাসী ও গরিবদের পৌরকর থেকে রেহাই দেওয়া হবে; সন্তানসম্ভবা গরিব মহিলাদের পুষ্টিকর খাদ্যের জন্য আর্থিক সহায়তা এবং ৫ বছরে সকলের জন্য আবাসন প্রকল্পে ১০ হাজার গৃহ নির্মাণের লক্ষ্যমাত্র নেওয়া হয়েছে।

জনস্বাস্থ্য ও স্বাস্থ্য পরিষেবা উন্নয়নে ‘ফিট শিলিগুড়ি’ শিরোনামে যে সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নেবার কথা বলা হয়েছে বামফ্রন্টের ইস্তাহারে তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে, প্রতিটি ওয়ার্ডে জনস্বাস্থ্য কেন্দ্র চালু করা, মাতৃসদনকে আরও উন্নত করা; ন্যাশনাল আরবান হেলথ মিশন প্রকল্পকে আরও উন্নতভাবে কার্যকর করা; বিভিন্ন সেবামূলক কাজে উৎসাহ দেওয়া ও সমাজের সাথে সমন্বয় সাধন, বাজারগুলিতে এমার্জেন্সি চিকিৎসা ও ফার্স্ট এইডের ব্যবস্থা করা এবং মেয়েদের জন্য পাড়ায় পাড়ায় জিম স্থাপন করা।

নারী সুরক্ষা ও অপরাধমূলক কার্যকলাপ বন্ধ করতে ‘সুরক্ষিত শিলিগুড়ি’ শীর্ষক এক জায়গায় বলা হয়েছে, নারী নিরাপত্তার জন্য প্রতিটি ওয়ার্ডে জনসচেতনামূলক প্রচার সংগঠিত করা; নারীদের অর্থনৈতিকভাবে স্বনির্ভর করে তোলার জন্য শিল্পোদ্যোগ; সমাজবিরোধী কার্যকলাপ রোধ ও লিঙ্গ বৈষম্যমূলক আচরণের কঠোর বিরোধিতা করা হবে ইত্যাদি।

শিলিগুড়ি শহরে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষায় ‘সম্প্রীতির শিলিগুড়ি’ শিরোনামে তৃণমূল-বিজেপি'র সাম্প্রদায়িক উসকানিকে রুখে ঐক্যবদ্ধ থাকার কথা উচ্চারিত হয়েছে; বলা হয়েছে, জাতি-ধর্ম-ভাষাভিত্তিক ভেদাভেদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

তৃণমূলের দুর্নীতি-গুন্ডামি রুখতে এবং মানুষের হয়রানির অবসানের লক্ষ্যে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া প্রসঙ্গে ‘শিলিগুড়ি স্পাইন’ শীর্ষক জায়গায় বলা হয়েছে, তোলাবাজি, কাটমানি, তৃণমূলের গুন্ডারাজ রুখে দেওয়া হবে; পুরসভাকে দালালচক্র মুক্ত করা হবে; জমি হাঙর-কর্পোরটরাজ বন্ধ করা হবে; নাগরিক পরিষেবা সুলভে প্রত্যেক মানুষের অধিকারে আনা হবে; শংসাপত্র পেতে হয়রানি বন্ধ করা হবে এবং ওয়ার্ড কমিটিগুলিতে গরিবদের মতামত প্রদান সুনিশ্চিত করা হবে।

এই সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণার পাশাপাশি ‘কোভিড কমব্যাট’ শিরোনামে এলাকাভিত্তিক সেফ হোম তৈরি; জরুরিভিত্তিতে তৎক্ষণাৎ ঘরে ঘরে অক্সিজেন, পথ্য, মাস্ক ইত্যাদি পৌঁছে দেওয়া; শহরে আইসোলেশন সেন্টারের সংখ্যা বাড়ানো এবং স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাগুলির সেবামূলক কাজে উৎসাহ প্রদান সহ নানা গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নেবার কথা বলা হয়েছে বামফ্রন্টের নির্বাচনী ইস্তাহারে।

ইস্তাহারে উল্লেখিত এই সমস্ত বিষয়ের পাশাপাশি বামফ্রন্ট কর্মীরা প্রচারে বিগত বামফ্রন্ট পরিচালিত পৌরবোর্ডের উন্নয়নমূলক নানা কাজের দিক তুলে ধরছেন। শিলিগুড়ির মানুষও ওই সময়ের সঙ্গে পৌরপ্রশাসকদের ৮ মাসের কাজের ফারাক স্পষ্ট প্রত্যক্ষ করতে পেরেছেন। তাঁরা দেখেছেন, বামফ্রন্ট পরিচালিত পৌরবোর্ডের সময়ে বিভিন্ন ভাষাভাষির মানুষ সমন্বিত শহরের সবচেয়ে বড়ো ৪২ নম্বর ওয়ার্ডে নদী বাঁধ, ম্যাস্টিক রাস্তা, পার্ক তৈরি হয়েছে। এই ওয়ার্ডে কেবল জল নিকাশি ব্যবস্থা উন্নত হয়নি, কমপ্রিহেনসিভ ড্রেনেজ স্কিম-এ কাজ হয়েছে। হেলথ পোস্ট সহ তিনটি হেলথ সেন্টারও হয়েছে। এছাড়া এই ওয়ার্ডে সবচেয়ে বেশি হাউসিং ও পেনসনের কাজ, বিধবা ভাতা প্রদান সহ মানুষের চাহিদা অনুযায়ী কাজ হয়েছে। ঠাকুর পঞ্চানন বর্মা প্রাথমিক স্কুল সহ হাইস্কুলও তৈরি হয়েছে বামফ্রন্টের সময়েই।

বামফ্রন্ট পরিচালিত পৌরবোর্ড পানীয় জলের সমস্যা সমাধানে ডিপ টিউবওয়েলের ব্যবস্থা করেছিল। কিন্তু তাতে কিছুটা সুরাহা মিললেও শিলিগুড়ি শহরের পানীয় জলের সমস্যা সমাধানের জন্য যে প্রকল্প রাজ্য সরকারের অনুমোদনের জন্য পাঠিয়েছিল,তা নজর দেয়নি গত ৮মাসের পৌরপ্রশাসক থেকে রাজ্য সরকার। এছাড়া অনেক জায়গাতেই বামফ্রন্টের পৌরবোর্ড যে জমির পাট্টা দিয়েছিল, সেসব আটকে দেওয়া হয়েছে। এছাড়া গত ৮ মাসে প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী একটি পাট্টাও দেওয়া হয়নি।

কর্পোরেশনে বামফ্রন্টের বোর্ড থাকাকালীন ৪৪ নম্বর ওয়ার্ডে মুন্সি প্রেমচাঁদ কলেজ হয়েছে, হেলথ সেন্টার হয়েছে, ইস্টার্ন বাইপাস সহ অসংখ্য রাস্তা নির্মাণের কাজ হয়েছে। বামফ্রন্ট পরিচালিত পৌরবোর্ডের সময়ে এমনই নানা উন্নয়নের সাক্ষী থেকেছেন শিলিগুড়ির বিভিন্ন ওয়ার্ডের মানুষজন।

আর এই সময়ে কর্পোরেশনের কাজকর্ম একেবারে শিকেয় উঠেছে। জঞ্জাল অপসারণ ও পানীয় জল সরবরাহ ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে, অন্যদিকে রমরমিয়ে চলছে বেআইনি নির্মাণের কাজ। তৃণমূলের কাউন্সিলরদের মধ্যে উন্নয়নের ভাবনা তো দূরের কথা তোলাবাজি, লুটের অভিযোগ উঠছে নানা জায়গায়। বামফ্রন্ট পরিচালিত পৌরবোর্ড যে বার্ধক্য, বিধবা, প্রতিবন্ধী ভাতা, চিকিৎসা ও শিক্ষাক্ষেত্রে বিভিন্ন ভাতা চালু করেছিল, তা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এসব নিয়ে মানুষের মধ্যে বিস্তর ক্ষোভ জমা হয়েছে। এছাড়া শিলিগুড়ির মানুষ দেখেছেন কীভাবে তৃণমূল সরকারে এসে বামফ্রন্ট পরিচালিত পৌরবোর্ডের ন্যায্য পাওনা ও অধিকার বারেবারে হরণ করেছে। তাই সমস্ত দুর্নীতি, অপশাসনও অন্যায়ের বিরুদ্ধে শিলিগুড়ির প্রকৃত উন্নয়নের লক্ষ্যে বামফ্রন্টের সমর্থনে প্রচার জনমানসে ক্রমশ সাড়া ফেলছে। অন্যদিকে ভোটলুট রুখে, স্বচ্ছ-দক্ষ-উন্নত পৌরবোর্ড গড়ার প্রত্যয় নিয়ে জয়ের লক্ষ্যেই নির্বাচনী লড়াই চালাচ্ছেন বামফ্রন্টকর্মীরা।


[ডিজিটাল ইস্তাহার ডাউনলোড করুন]