E-mail: deshhitaishee@gmail.com  | 

Contact: +91 33 2264 8383

৫৯ বর্ষ ২২ সংখ্যা / ১৪ জানুয়ারি, ২০২২ / ২৯ পৌষ, ১৪২৮

ঐতিহাসিক কৃষক সংগ্রামে এআইকেএস’র ভূমিকা

অশোক ধাওয়ালে


সারা ভারত কৃষক সংঘর্ষ সমন্বয় সমিতি (এআইকেএসসিসি) এবং সংযুক্ত কৃষক মোর্চা (এসকেএম)’র প্রতিষ্ঠার সময় থেকেই এগুলির গুরুত্বপূর্ণ শরিক সারা ভারত কৃষক সভা (এআইকেএস)। সদ্য সমাপ্ত কৃষক আন্দোলনের যৌথ সিদ্ধান্ত এবং তার রূপায়ণে সক্ষমতা অনুযায়ী বড়ো ভূমিকা পালন করেছে এআইকেএস। যখনই কোনো বিতর্কিত বিষয় এসেছে, এসকেএম’র ঐক্যকে শক্তিশালী করতে এআইকেএস সবসময়েই নীতিনিষ্ঠ অবস্থান নিয়েছে।

এসকেএম’র মধ্যে থেকে শ্রমিক-কৃষক ঐক্য এবং জনগণের অন্যান্য অংশের সাথে কৃষকদের মৈত্রীকে শক্তিশালী করতেও উদ্যোগ নিয়েছিল এআইকেএস। ফলস্বরূপ, চারটি শ্রম কোড বাতিল এবং রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার বেসরকারিকরণ বন্ধের কেন্দ্রীয় ট্রেড ইউনিয়নগুলির দাবিকে এসকেএম প্রকাশ্যেই সমর্থন করে। দেশজুড়ে কর্মসূচিগুলিতে সমন্বয়সাধন করতে এসকেএম এবং কেন্দ্রীয় ট্রেড ইউনিয়নগুলির যৌথসভা হয়েছে। ২০২১ সালের আগস্টে সিঙ্ঘু বর্ডারে অনুষ্ঠিত এসকেএম’র জাতীয় কনভেনশনে ট্রেড ইউনিয়ন, খেতমজুর, দলিত,আদিবাসী, মহিলা, যুব ও ছাত্র সংগঠনগুলিকে আমন্ত্রণ জানানো হয় এবং তাদের দাবির সমর্থনে প্রস্তাব গৃহীত হয়। এই একতার দৃষ্টিভঙ্গিই ২৭ সেপ্টেম্বর ভারত বনধের নজিরবিহীন সাফল্যে সহায়তা করেছে।

এসকেএম'র যৌথ দেশজোড়া আন্দোলন-সংগ্রামের আহ্বানগুলিতে দৃঢ়ভাবে সক্রিয় অংশগ্রহণের সাথেই এআইকেএস স্বাধীনভাবে কিছু কর্মসূচি সংগঠিত করেছে। এরমধ্যে সবচেয়ে ফলদায়ী হয়েছিল, ২০২১ সালের ৯ আগস্ট ‘ভারত ছাড়ো দিবস’ বার্ষিকীতে সিআইটিইউ-এআইকেএস-এআইএডব্লিউইউ (সারা ভারত খেতমজুর ইউনিয়ন)’র যৌথ ডাকে দেশজোড়া সংগ্রাম। এই ‘দেশ বাঁচাও দিবস’-এ দেশজুড়ে সহস্রাধিক মানুষ সমবেত হয়েছিলেন। আরেকটি কর্মসূচি ছিল এআইকেএস এবং তার ভ্রাতৃত্বপ্রতিম সংগঠনগুলির পাঞ্জাব, হরিয়ানা ও উত্তরপ্রদেশে সপ্তাহব্যাপী ‘পদযাত্রা’ যা ২৩ মার্চ শহিদ দিবসে দিল্লির বর্ডারগুলিতে মিলিত হয়। বিভিন্ন রাজ্যে গত এক বছরে এধরনের বহু স্বাধীন কর্মসূচি এআইকেএস সংগঠিত করেছে।

দেশের মধ্যে এআইকেএস’ই একমাত্র কৃষক সংগঠন কৃষক আন্দোলনের সময়ে যাদের দিল্লির ছটি বর্ডারেই উপস্থিতি ছিল। এআইকেএস’র জমায়েত ছিল পাঞ্জাব, হরিয়ানা, রাজস্থান, উত্তরপ্রদেশ এবং মধ্যপ্রদেশের মতো আন্দোলনের অগ্রবর্তী রাজ্যগুলি থেকে। অন্যান্য রাজ্যগুলির এআইকেএস’র শাখা তাদের কর্মীবাহিনীকে সময়ে সময়ে কিছুদিনের জন্য দিল্লি বর্ডারে পাঠিয়েছিল। এদের মধ্যে ছিল মহারাষ্ট্র, কেরালা, তামিলনাডু, বিহার, পশ্চিমবঙ্গ, গুজরাট,তেলেঙ্গানা, অন্ধ্রপ্রদেশ, কর্ণাটক, অসম, ওডিশা, ছত্তিশগড়, উত্তরাখণ্ড, হিমাচল প্রদেশ এবং জন্মু ও কাশ্মীর। এআইকেএস’র দেশের যে ২৩টা রাজ্যে শাখা আছে তার প্রত্যেকটিতে গত এক বছরে এসকেএম’র প্রতিটি কর্মসূচি হাজার হাজার মানুষের অংশগ্রহণে দারুণভাবে পালিত হয়েছে এবং এর মধ্যদিয়েই এআইকেএস’কে এসকেএম’র শরিকদের মধ্যে সামনে সারিতে এনে দিয়েছে।

এসকেএম এবং এআইকেএসসিসি’র উদ্যোগে বড়ো বড়ো মহাপঞ্চায়েত সংগঠিত হয়েছে যেখানে এআইকেএস’র ভালো জমায়েত ছিল। আবার এআইকেএস’র ব্যানারেও স্বাধীনভাবে এধরনের কর্মসূচি হয়েছে। এই মহাপঞ্চায়েতগুলি হয়েছে কোলকাতা, মুম্বাই, আগরতলা, পাটনা, দ্বারভাঙা, সমস্তিপুর, বেঙ্গালুরু, বেলগাভি, হায়দরাবাদ, বিশাখাপত্তনম, বিজয়ওয়াডা,ওঙ্গলে, চেন্নাই, তাঞ্জাভুর, কন্যাকুমারী, তিরুভারুর, ভুবনেশ্বর, রাঁচি, তিরুবনন্তপুরম ও কেরালার অন্যান্য জেলা সদরে এবং হরিয়ানা, পাঞ্জাব, উত্তরপ্রদেশ, রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ এবং উত্তরাখণ্ডের মতো কৃষক আন্দোলনের সামনের সারির রাজ্যগুলিতে। এসকেএম’র কৃষক মহাপঞ্চায়েতগুলিতে বিশেষকরে, মুজফফরনগর, লক্ষ্মৌ এবং আরও অন্যান্য জায়গায় এআইকেএস’র অংশগ্রহণ ছিল উল্লেখযোগ্য।

কৃষক আন্দোলনের সামনের সারির রাজ্যগুলিতে এবং অন্যান্য সমস্ত রাজ্যে এই আন্দোলনের সময়ে এআইকেএস প্রশংসনীয় কাজ করেছে। ২০২০ সালের ২৩ এপ্রিল, যেদিন প্রথম গণকর্মসূচির ডাক দেওয়া হলো, সেদিন থেকেই সারা দেশে এআইকেএস’র কর্মীরা বিরামহীনভাবে রাস্তায় রয়েছেন।

কোভিড মহামারীর কঠিন পরিস্থিতির মধ্যেও এআইকেএস’র সদস্য সংখ্যা সামান্য বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০১৯-২০ সালে এআইকেএস’র সদস্য সংখ্যা ছিল ১ কোটি ১৭ লক্ষ ৩২ হাজার ৭৫৯। ২০২০-২১-এ তা হয়েছে ১ কোটি ১৭ লক্ষ ৪১ হাজার ৫১৩। এই আন্দোলনের সময়ে এআইকেএস কেন্দ্র থেকে হিন্দি ও ইংরেজিতে হাজার হাজার কপি প্রচারপত্র ও প্রচারপুস্তিকা প্রকাশ করা হয়েছে। এগুলো আবার অন্যান্য জাতীয় ভাষাতেও প্রকাশ হয়। এআইকেএস’র কেন্দ্রীয় মুখপত্র ‘কৃষক সংঘর্ষ’ (হিন্দি) এবং ‘পেজেন্টস স্ট্রাগল’ (ইংরেজি) এবং বিভিন্ন রাজ্যে সংগঠনের রাজ্য মুখপত্রগুলিও নিয়মিত প্রকাশ হয়েছে ও ভালো সংখ্যায় বিক্রিও হয়েছে। লক্ষ লক্ষ এআইকেএস’র ফ্ল্যাগ, ব্যাজ তৈরি করা হয়েছিল যা আন্দোলনে ভালো প্রভাব ফেলে।

দিল্লির ছটি বর্ডারেই এআইকেএস’র কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ তাপপ্রবাহ, শৈতপ্রবাহ, বৃষ্টিপাতকে উপেক্ষা করেই ক্যাম্প করে ছিলেন। রাজ্য নেতৃবৃন্দও সময়ে সময়ে সেই ক্যাম্পে যোগ দিয়েছেন। এছাড়াও আন্দোলনের সামনের সারির রাজ্যগুলি এবং দেশের অন্যান্য রাজ্য থেকেও সিআইটিইউ, এআইএডব্লিউইউ, সারা ভারত গণতান্ত্রিক মহিলা সমিতি (এআইডিডব্লিউএ), ভারতের গণতান্ত্রিক যুব ফেডারেশন (ডিওয়াইএফআই) এবং ভারতের ছাত্র ফেডারেশন(এসএফআই)’র নেতৃবৃন্দ ও কর্মীরাও দিল্লির বিভিন্ন বর্ডারে এসে আন্দোলনে অংশ নিয়েছেন এবং সংহতি জানিয়েছেন। একইসাথে কৃষক আন্দোলনকে প্রসারিত করতে এই সংগঠনগুলি দেশের প্রায় প্রতিটি রাজ্যে বিরাট উদ্যোগ নিয়েছিল।

এসকেএম’র নয় সদস্যের সমন্বয় কমিটিতে অন্যতম সদস্য ছিলেন হান্নান মোল্লা। শেষ কয়েক মাস হান্নান মোল্লার শারীরিক অসুস্থতার কারণে তাঁর জায়গায় এসকেএম’র বৈঠকগুলিতে অশোক ধাওয়ালে ও পি কৃষ্ণপ্রসাদ অংশ নিতেন। এসকেএম’র সাধারণ সভাগুলিতে ইন্দারজিৎ সিং, মনোজ সিং পুনেওয়াল, সুমিত এবং মাঝেমধ্যে অমরা রাম, বিজু কৃষ্ণন ও পাঞ্জাব, হরিয়ানার নেতৃবৃন্দ উপস্থিত থাকতেন। ২২ জানুয়ারি কেন্দ্রীয় সরকারের সাথে আলোচনা ভেস্তে যাওয়ার আগে পর্যন্ত যে ১১ রাউন্ড আলোচনা হয়েছিল তার প্রতিটিতে কৃষক সংগঠনগুলির ৪০ সদস্যের গোষ্ঠীতে এআইকেএস’র হয়ে হান্নান মোল্লা প্রতিনিধিত্ব করেন। বকেয়া ইস্যুগুলির মীমাংসায় কেন্দ্রীয় সরকারের সাথে চূড়ান্ত চুক্তিতে এসকেএম’র পাঁচ সদস্যের কমিটিতে এআইকেএস’র প্রতিনিধি হিসেবে অশোক ধাওয়ালে ছিলেন।

এআইকেএস-সিআইটিইউ-এআইএডব্লিউইউ’র সমন্বয়

একটা ইতিবাচক দিক হলো, গত বছর যৌথ আন্দোলনের কৌশলের পরিকল্পনা নিতে সিআইটিইউ, এআইএডব্লিউইউ এবং এআইকেএস’র নেতৃবৃন্দ নিয়মিত যৌথ সভায় বসেছেন। ২০২১ সালের ৮ মে এবং ২৪ জুন এই তিন শ্রেণি সংগঠন অনলাইনে দেশজুড়ে সভা করে। আরেকটি অনলাইনে সভা হয় জরুরি অবস্থা ঘোষণার বার্ষিকীতে ২৬ জুন ‘সেভ ডেমোক্রেসি ফোরামে’র উদ্যোগে। দেশের প্রায় প্রতিটি রাজ্যের জরুরি অবস্থার সময়ে যাঁরা বন্দি হয়েছিলেন তাঁদের অনেকে ওই সভায় বক্তৃতা দেন।

সিআইটিইউ-এআইকেএস-এআইএডব্লিউইউ’র এই সমন্বয়ের প্রক্রিয়া রাজ্যগুলিতেও পরিকল্পিতভাবে সংগঠিত হয়েছে। দেশের ২০টি রাজ্যে এই তিনটি শ্রেণি সংগঠনের পদাধিকারীদের যৌথ সভা হয়েছে, যেখানে সংগঠনগুলির কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। ২০২১ সালের ২৫ জুলাই থেকে ৮ আগস্ট দেশজুড়ে প্রচার আন্দোলনের প্রস্তুতির বিষয়ে এবং প্রচার আন্দোলনের কর্মসূচির শেষে ৯ আগস্ট ‘ভারত বাঁচাও দিবস’-এ গণকর্মসূচিকে সফল করার ব্যাপারে সভাগুলিতে আলোচনা হয়।

বিশেষভাবে যা উল্লেখ করতেই হবে তা হলো, কৃষক আন্দোলনের সময়ে এআইকেএস’র সংগ্রামী তহবিলে সিআইটিইউ অনুমোদিত বিভিন্ন ইউনিয়ন ও রাষ্ট্রায়ত্ত ক্ষেত্রের বহু ইউনিয়ন এবং অনেক শুভাকাঙ্ক্ষী অর্থ সাহায্য করেছেন।

এআইডিডব্লিউএ-ডিওয়াইএফআই-এসএফআই নিজেদের মধ্যে সমন্বয়সাধন করেছে আবার এআইকেএস-সিআইটিইউ-এআইএডব্লিউইউ’র সাথে কেন্দ্র ও বিভিন্ন রাজ্যে সমন্বয়সাধন করেছে এবং দেশজুড়ে বছরধরে কৃষক আন্দোলনের বিভিন্ন কর্মসূচিতে ওই সংগঠনগুলির হাজার হাজার কর্মীর জমায়েত ঘটিয়েছে।

কৃষক আন্দোলনের তাৎপর্য

ভণ্ডামিতে-ভরা ‘আত্মনির্ভরভারত’ স্লোগানের আড়ালে মোদি নেতৃত্বাধীন বিজেপি-আরএসএস সরকারের নগ্ন করপোরেটমুখী নীতির লক্ষ্য হলো সারা দেশকে বিক্রি করে দেওয়া। রেল, বিমান, বিমানবন্দর, বন্দর, খনি, স্টিল, তেল, সেচ, বিদ্যুৎ, টেলিকম, ব্যাঙ্ক, বিমা, শিক্ষা, স্বাস্থ্য এবং এমনকী প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম শিল্পও - ভারতে একটাও ক্ষেত্র পাওয়া যাবে না যেটা মোদি সরকার মুষ্টিমেয় কিছু দেশি বিদেশি করপোরেটের কাছে বেসরকারিকরণের জন্য নির্দিষ্ট করেনি। এখন কৃষি আর জমি তার হিট লিস্টে। এটাই কৃষক আন্দোলন যাকে চরমভাবে বিরোধিতা করেছে। তিনটি কৃষি আইনের বাতিল কৃষক ও জনগণের তাৎপর্যপূর্ণ জয় এবং করপোরেট সাম্প্রদায়িকতাবাদী শক্তিসমূহের লজ্জাজনক পরাজয়।

যদিও মূল বিষয় হলো - শস্য সংগ্রহ এবং শস্যের লাভজনক ন্যূনতম সহায়ক মূল্যের আইনি সুনিশ্চিতিকরণ; কৃষি উপকরণের মূল্য হ্রাস; আরও নতুন দ্রব্য সহ সর্বজনীন গণবণ্টন ব্যবস্থার বিরাট সম্প্রসারণ; বিদ্যুৎ সংশোধনী বিল প্রত্যাহার; কৃষকদের ঋণ থেকে মুক্তি; সুসংহত শস্য বিমা প্রকল্প; ঋণপ্রদান, সেচ ও বিদ্যুৎ ব্যবস্থার ব্যাপক সম্প্রসারণ; চারটি শ্রম কোড বাতিল; ডিজেল, পেট্রোল, রান্নার গ্যাস ও অন্যন্য অত্যাবশ্যক পণ্যের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি হ্রাস; এমজিএন রেগা প্রকল্পের অধীনে খেতমজুরদের শ্রমদিবস ও মজুরি দ্বিগুণ করা এবং এই প্রকল্পকে শহরাঞ্চলে সম্প্রসারিত করা; নয়া শিক্ষা নীতির প্রত্যাহার; ভূমিসংস্কার; কেন্দ্রীয় সরকারের রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার বেসরকারিকরণ অভিযান এবং তথাকথিত ন্যাশনাল মনিটাইজেশন পাইপলাইন প্রকল্পের মধ্যদিয়ে মুষ্টিমেয়র কাছে দেশকে বিক্রি করা বন্ধ এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুগুলিকে ধারাবাহিক ও ব্যাপক আন্দোলনের মধ্যদিয়ে তুলে ধরতে হবে।

ঐতিহাসিক কৃষক আন্দোলনের প্রকৃত তাৎপর্য হলো - বিজেপি-আরএসএস শাসনের ধ্বংসাত্মক নয়াউদারবাদী, করপোরেটমুখী, সাম্প্রদায়িক, স্বৈরাচারী, ফ্যাসিস্তধর্মী দেশবিরোধী নীতিসমূহের বিরুদ্ধে এই আন্দোলন এক ঐক্যবদ্ধ ধর্মনিরপেক্ষ প্রতিঘাত। গৌরবময় স্বাধীনতা আন্দোলনের সময় থেকেই আরএসএস সবসময় করপোরেট, সামন্তবাদ এবং সাম্রাজ্যবাদী লবির বশংবদ দালাল। কৃষক আন্দোলন একটা দেশপ্রেমিক লড়াই ছিল যা লক্ষ লক্ষ কৃষক শুধু নিজেদের জন্য লড়ে নি, সারা দেশের জনগণের স্বার্থে, আমাদের গণতন্ত্র, ধর্মনিরপেক্ষতা, যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো, সার্বভৌমত্ব এবং সর্বোপরি দেশের সংবিধান রক্ষায় তাঁরা লড়েছেন।

এই কৃষক আন্দোলনের জয় নীতি পরিবর্তনের জন্য এবং সর্বোপরি এই শাসন পরিবর্তনের জন্য উপরে উল্লিখিত দাবিগুলিতে জনগণের লড়াইয়ে প্রেরণাদায়ী উৎসাহ সঞ্চারিত করবে এবং অবশ্যই আরও বৃহৎ শক্তি আত্মবিশ্বাস ও প্রত্যয় নিয়ে সমুখপানে অগ্রসর হবে।

একটা ঐতিহাসিক লড়াইয়ে জয় হয়েছে। কিন্তু যুদ্ধ জারি আছে।

আমরা লড়াই করব! এবং ওই যুদ্ধেও জয়ী হবো!