E-mail: deshhitaishee@gmail.com  | 

Contact: +91 33 2264 8383

৬০ বর্ষ ৪৮ সংখ্যা / ১৪ জুলাই, ২০২৩ / ২৮ আষাঢ়, ১৪৩০

পঞ্চায়েত নির্বাচনে পাঁচ শহিদ


কমরেড মনসুর আলম

১৫ জুন উত্তর দিনাজপুর জেলার চোপড়ায় বিডিও দপ্তরে মনোনয়নপত্র জমা দিতে যাবার সময় বামফ্রন্ট ও কংগ্রেস প্রার্থীরা তৃণমূলের সশস্ত্র বাহিনীর হাতে আক্রান্ত হন। তৃণমূলের আক্রমণে কমরেড মনসুর আলম (১৯) গুরুতর জখম হন। বোমা ও লাঠি নিয়ে তাঁর ওপর আক্রমণ করা হয়। এই আক্রমণের ঘটনাটা তৃণমূলের স্থানীয় বিধায়কের বাড়ির সামনে ঘটে। টানা ছ’দিন মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করে ২১জুন ভোরবেলায় শিলিগুড়ির নার্সিংহোমে কমরেড মনসুরের মৃত্যু হয়।

কমরেড রাজিবুল হক

পূর্ব বর্ধমানের আউসগ্রামের অমরপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে সিপিআই(এম) কর্মী কমরেড রাজিবুল হক (৩২) মারা যান ৮ জুলাই কলকাতার এনআরএস মেডিকেল কলেজে। ভোটের আগের দিন ৭ জুলাই বিকেলে তৃণমূল দুষ্কৃতীরা চড়াও হয় রাজিবুলের ওপর। রড দিয়ে মাথায় আঘাতে জ্ঞান হারান তিনি। পরে তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। কমরেড রাজিবুল ছিলেন পরিযায়ী শ্রমিক।

কমরেড রোশন আলি

পঞ্চায়েত ভোটের দিন তৃণমূলের দুর্বৃত্তদের হাতে খুন হন সিপিআই(এম) কর্মী নির্মাণ শ্রমিক রোশন আলি (৪০)। কমরেড রোশন মুর্শিদাবাদ জেলার লালগোলার ছাইতনির বাসিন্দা। স্ত্রীকে নিয়ে বুথে ভোট দিতে যাচ্ছিলেন। রাস্তাতেই তাঁকে খুন করা হয়।

কমরেড শুকুর আলি শেখ

কমরেড শুকুর আলি শেখ (৭২) ১০ জুলাই শক্তিনগর হাসপাতালে মারা যান। নদীয়া জেলার কৃষ্ণনগর এ ১ ব্লক এলাকার আনন্দবাসের বাসিন্দা পার্টিকর্মী শুকুর আলি পঞ্চায়েত ভোটের দিন ভোরবেলায় বুথের দিকে যাওয়ার পথে তৃণমূলের দুষ্কৃতীদের দ্বারা আক্রান্ত হন। তাঁকে বেদম প্রহার করা হয়। ভরতি থাকা অবস্থায় হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়।

কমরেড পুলক সরকার

পঞ্চায়েত ভোটের দিন ৮ জুলাই পূর্ব বর্ধমানের কেতুগ্রামের উত্তরপাড়ায় সিপিআই(এম) বুথ ক্যাম্পে কাজ করছিলেন কমরেড পুলক সরকার। তৃণমূল দুষ্কৃতীরা সেই ক্যাম্পে হামলা চালায়। পুলক সরকার সহ আরও কয়েকজন সিপিআই(এম) কর্মী আহত হন। পুলক সরকারের জখম ছিল গুরুতর। প্রথমে কেতুগ্রাম হাসপাতালে, পরে বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তাঁকে ভরতি করা হয়। সেখানেই ৮ জুলাই সন্ধ্যায় কমরেড পুলক সরকার (৫৫) মারা যান। তিনি পেশায় ঠিকাশ্রমিক ছিলেন।