৫৮ বর্ষ ৩৯ সংখ্যা / ১৪ মে, ২০২১ / ৩০ বৈশাখ, ১৪২৮
কার্ল মার্কসঃ মানবমুক্তির পথ প্রদর্শক
পার্থ মুখার্জি
“ভূপৃষ্ঠের ঐদিকে - জানি আমি - আবার নতুন ব্যাবিলন
উঠেছে অনেকদূর; - শোনা যায় কার্নিসে সিংহের গর্জন,
হয়ত বা ধূলিসাৎ হয়ে গেছে এত রাতে ময়ূর বাহন”
- জীবনানন্দ দাশ।
১৯৮৯-এর ৯ নভেম্বর বার্লিনের প্রাচীর যেদিন ভেঙে গেছিল কিছু উদ্ভট বুদ্ধিজীবীর ঘোষণা ছিল - বিদায় ঘটেছে শ্রেণির, বিদায় ঘটেছে শ্রেণি যুদ্ধের, এখন অখণ্ড এই বিশ্ব! কিন্তু যতই অখণ্ডতার বিজয় ভেরি বাজুক পৃথিবী কিন্তু অখণ্ড নয়। শ্রেণি সংগ্রাম আজও অব্যাহত। অর্থনৈতিক সঙ্কটে সবাই এখন খুঁজছে কার্ল মার্কসের ক্যাপিটাল। - লড়াই চলছে হ্যাভ আর হ্যাভ নট-এর অর্থাৎ শ্রম এবং পুঁজির চলছে অবিরত লড়াই।
কার্ল হাইনরিখ মার্কসের জন্ম ১৮১৮ সালের ৫ মে, এই দিনটি ভিন্ন পরিস্থিতিতে আজ সর্বত্র পালিত হচ্ছে। প্রত্যেক বছর এই দিনটিতে আমরা একত্রিত হই, মতাদর্শগতভাবে শিক্ষিত এবং পুনঃশিক্ষিত হবার সুযোগ গ্রহণ করি। মহামারীর কারণে এবারে সে সুযোগ সীমিত। ভরসা প্রযুক্তির, যার মাধ্যমে পৌঁছে যেতে হচ্ছে সাধারণ মানুষের কাছে। কোভিড-১৯ ধনী দরিদ্রের কোনো ভেদাভেদ করেনি। রবীন্দ্রনাথ বলতেন নদী একটি দ্বীপকে উর্বর করে কিন্তু বৃষ্টি সকলকে সমানভাবে ভেজায়। এখানে কোনো বৈষম্য নেই। এই মহামারী যে থাবা বসিয়েছে তা একাকার করে দিয়েছে সারা বিশ্বকে। কিন্তু এই মহামারীর সময়েও কেউ এক মুঠো অন্নের জন্য লাইনে দাঁড়িয়ে, কারো বা এ সমস্যা নেই। ক্ষুধার এ পৃথিবীতে মহামারী-পরবর্তী ক্ষেত্রে অর্থনৈতিক সংস্কার কি সবাইকে সমান সমান করে তুলবে? মার্কসবাদী হিসেবে স্পষ্টতই দেখা যায় তৈরি হবে বৈষম্য, স্পষ্ট হবে শ্রেণিবিভাজন।
এখন বিশ্বে সেই বিষবৃক্ষ মহীরূহ হয়ে উঠেছে (সাম্রাজ্যবাদ)। পাপের ফুল ফুটছে চারিদিকে। সে ফুলের সব মধু সাবাড় করে নিয়েছে তারাই। যতই ঢাক বাজুক পৃথিবী কিন্তু অখণ্ড নয়। শ্রেণিযুদ্ধ আজও অব্যাহত। অর্থনৈতিক সঙ্কটে সবাই এখন খুঁজছে কার্ল মার্কসের ‘ক্যাপিটাল’। সাদা চোখেই দেখা যাচ্ছে হ্যাভ (আছে) এবং হ্যাভ নট (নেই)-দের অস্তিত্ব বর্তমান।
প্রকৃতিবিজ্ঞান থেকে শুরু করে সামাজিক বহু বিষয়ের উপরই কার্ল মার্কস দৃষ্টি নিক্ষেপ করেছিলেন। কার্ল মার্কসকে সমাধিস্থ করার সময় এঙ্গেলস তাঁর বিখ্যাত বক্তৃতায় বলেছিলেন, ১৪ মার্চ বেলা ২ টা ৪৫ মিনিট নাগাদ পৃথিবীর সর্বশ্রেষ্ঠ চিন্তানায়ক চিন্তা থেকে বিরত হয়েছেন। মাত্র মিনিট দুয়েকের জন্য তাঁকে একা রেখে যাওয়া হয়েছিল; আমরা ফিরে এসে দেখলাম তিনি তাঁর আরাম কেদারায় শান্তিতে ঘুমিয়ে পড়েছেন। এর ফলে আমাদের সমাজে ইতিহাস বিজ্ঞানে এক অপূরণীয় ক্ষতি হলো। মার্কসের জীবনের একটি সর্বশ্রেষ্ঠ উদ্ভাবনা কমিউনিস্ট ইস্তাহার। কমরেড স্তালিনের ভাষায় বলা যায় দ্য সঙ অব অল সঙস (সমস্ত সঙ্গীতের মহাসঙ্গীত)। এটি রচনার পূর্বে বহু মানুষের সঙ্গে ব্যক্তিগত আলাপচারিতায় রত ছিলেন, গভীরভাবে পর্যালোচনা করতেন। ১৮৪৮ সালে কমিউনিস্ট ইস্তাহার তৈরি হলেও এর খসড়াটি হয়েছিল ১৮৪৭ সালে। মার্কস এবং এঙ্গেলস এই কাজে উভয়েই অভাবনীয় পরিশ্রম করেছিলেন। কমিউনিস্ট লিগ ব্যতীত সব সংগঠন বা সমিতির বক্তব্য ছিল “সব মানুষ ভাই”। মার্কস সেই ভাবনা পালটে দিয়ে লিখলেন, “দুনিয়ার মজদুর এক হও”। কমিউনিস্ট ইস্তাহারকে সামনে রেখে কমিউনিস্ট, সমাজতন্ত্রী ও তাদের সমর্থনকারীরা দেশে দেশে সঙ্ঘ এবং সমিতি গড়ে তুললেন।
অত্যাচারের বিরুদ্ধে কর্মসূচি নেওয়া শুরু হলো। তবে কমিউনিস্ট পার্টির কাঠামোকে আধুনিকভাবে গড়ে তোলার ক্ষেত্রে কমরেড লেনিনের ভূমিকা অনস্বীকার্য। ১৯০৩ সালে আরএসডিএলপি-র সম্মেলনের মধ্য দিয়ে কমরেড লেনিন যে সংগঠন গড়ে তোলেন সেটি আধুনিক সময়ে কমিউনিস্ট পার্টির বিধিবদ্ধ রূপ। ১৯২১ সালের আন্তর্জাতিকে কমিউনিস্ট পার্টির কাঠামো সম্পর্কে তার নির্দিষ্ট বক্তব্য মূলত পার্টি সভ্যদের মান, যোগ্যতা বৃদ্ধি করার পদ্ধতি সংক্রান্ত প্রশ্নের সুনির্দিষ্ট বক্তব্য গৃহীত হয়। আমাদের দেশের কমিউনিস্ট পার্টিও এ ধারণার বাইরে নয়।
কার্ল মার্কস জীবনে কি না হতে পারতেন, অধ্যাপক, আইনজীবী; সুখে স্বাচ্ছন্দে কাটাতে পারতেন জীবন। কিন্তু সে পথ তিনি ধরেন নি। তখন তিনি চিন্তার জগতে শান দিয়েছেন আর হাতিয়ার করেছেন কলমকে। দারিদ্র্য কড়াঘাত করেছে বারেবারে, সব কিছুকে তুচ্ছ করে, ডিমোক্রিটাস, এপিকিউরাসের গ্রিক দার্শনিক সিদ্ধান্তগুলি, মহান ফরাসি বিপ্লবের চালচিত্র, বৃটিশ রাজনৈতিক অর্থশাস্ত্রে, জার্মান দর্শন শাস্ত্রে, ইউটোপীয় কমিউনিস্টদের বিচারধারাগুলোকে গভীরভাবে দিনের পর দিন, মাসের পর মাস অধ্যয়ন করেছেন গভীরভাবে । এই দুঃসময়ে পাশে পেয়েছিলেন স্ত্রী জেনিকে এবং অকৃত্রিম বন্ধু হিসেবে পেয়েছিলেন ফ্রেডারিক এঙ্গেলসকে। সন্তান হারানোর জ্বালা ভুলে গিয়েও খুঁজে চলেছিলেন পুঁজির অন্তর্নিহিত চরিত্র।
কার্ল মার্কস তাঁর বৈজ্ঞানিক তত্ত্বের বিকাশে বারেবারে সাহায্য পেয়েছিলেন তাঁর বন্ধু এঙ্গেলসকে। কিন্তু এঙ্গেলস বলেছিলেন তাঁকে বাদ দিয়ে কার্ল মার্কস এই রচনা অনায়াসেই করতে পারতেন। ‘আমরা যদি বুদ্ধিমান হই কার্ল মার্কস ছিলেন জিনিয়াস’।
কার্ল মার্কস বলতেন প্রয়োগ ছাড়া তত্ত্বের কোনো অর্থই হয় না। মার্কসবাদের চারটি বিষয়কে এখানে উল্লেখ করা যায়...
(১) মার্কসবাদের দার্শনিক ভিত্তিঃ দ্বন্দ্বমূলক ও ঐতিহাসিক বস্তুবাদ। এখানে ইতিহাসকে দ্বান্দ্বিক প্রক্রিয়াতেই তিনি ব্যবহার করেছেন।
(২) উদ্বৃত্ত মূল্যের তত্ত্ব (অর্থনৈতিক ভিত্তি): আসলে পুঁজি হলো শ্রমিকের রক্ত এবং ঘামের জমাট বাঁধা শ্রম। শ্রমিকের রক্ত ও ঘামকে লুঠ করে কি করে পুঁজির পাহাড় তৈরি হয়! শ্রমিক তার শ্রমশক্তিকে প্রয়োগ না করলে উৎপাদন হতে পারে না। এরাই হলো উৎপাদনের চালিকাশক্তি।
(৩) শ্রেণিসংগ্ৰামের তত্ত্বক্ষমতা কেউ হাতে তুলে দেয় না। পরিবর্তনের জন্য একটা ধাক্কা দিতে হয় । এখানেই প্রয়োজন সংগঠনের।
(৪) মার্কসবাদের তত্ত্ব বিশ্বজনীন। নিজ নিজ দেশে তার মতো খাপ খাইয়ে নিতে হবে। প্রলেতারিয়েতের নেতৃত্বেই শাণিত হবে শ্রেণি সংগ্রাম, ঘটবে মানবমুক্তি।
কার্ল মার্কস, হেগেলের রাষ্ট্রসমাজ নাগরিকসমাজ আমলাতন্ত্রের ধারণাকে সমালোচনা করেই নিজ দার্শনিক চিন্তার বিকাশ ঘটাচ্ছিলেন। প্রশ্ন উঠে আসে, মানবমুক্তি বলতে কি বোঝায়? ধর্মীয় বাধা নিষেধ মুক্ত হলেই কি রাষ্ট্র মানবমুক্তির পথে যেতে পারবে? “অন দি জুয়িশ কোয়েশ্চেন”-এ মার্কস বললেন, রাষ্ট্রকে ধর্মের হাত থেকে মুক্ত করা গেলেও মানবসমাজকে তার হাত থেকে মুক্ত করা যাবে না।মানুষকে উপলব্ধি করতে হবে সে সামাজিক শক্তির অংশ। সেই শক্তিকে সংগঠিত করতে হবে। এবং সামাজিক শক্তি থেকে ব্যক্তিকে বিচ্ছিন্ন করার প্রক্রিয়ার অবসান ঘটাতে হবে। কেবলমাত্র সেই পথেই মানবমুক্তি পূর্ণাঙ্গ রূপ পেতে পারে। প্রকৃত নিপীড়নের স্বরূপ উন্মোচন করা দর্শনের কাজ। শুধুমাত্র ধর্মের সমালোচনাতেই মানুষের মুক্তি ঘটতে পারে না।
উপরিউক্ত আলোচনায় এটা স্পষ্ট, একদলের আছে আর একদলের নেই। এখন যে পরিস্থিতিতে (কোভিড-১৯) আমরা তাতেও স্পষ্ট শ্রেণিবিভাজন। স্বাধীনোত্তর ভারতে আমরা দেখছি এক বিশাল নিরক্ষর ও অভুক্ত মানুষের চেহারা - কিন্তু ইতিহাস থেমে থাকেনি। তাই গত শতকের ’৫৯-এ হয়েছে খাদ্য আন্দোলন, ’৬৫-তে একই রূপ, পরবর্তী সময়ে দেখা গেছে এই বাংলায় শ্রেণি সংগ্ৰামের তীব্র বিকাশ, পার্লামেন্টে বামপন্থীদের সোচ্চার কণ্ঠ, এতদসত্ত্বেও আজ বলা যায় খাদ্য কারা পাচ্ছেন তা আমরা আগেই দেখেছি । কতটুকু পাচ্ছেন, ৩০ দিনে ৫ কেজি অর্থাৎ দিনে ১৬৬ গ্ৰাম। ১৬৬ গ্ৰাম কি জীবনকে বাঁচিয়ে রাখার পক্ষে যথেষ্ট?
রাষ্ট্রসঙ্ঘের ফুড অ্যান্ড এগ্রিকালচারাল অর্গানাইজেশন পরিষ্কার বলেছে, দেশের সকলের যখন পর্যাপ্তভাবে খাদ্য কেনার ক্ষমতা থাকবে তখনই বুঝতে হবে শারীরিকভাবে সে দেশ সক্ষম। এই মুহূর্তে সারা দেশে খাদ্যের চাহিদা। কিন্তু কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার উভয়েই সব বিরোধিতার কণ্ঠকে চেপে রেখে এই ক্ষুধিত পাষাণের মতো সব সমালোচনার বিরুদ্ধে একই কথা, “সব ঝুটা হ্যায়”। মানুষ ক্ষুধার্ত হলে রাষ্ট্রের দৈহিক সঙ্কট স্পষ্ট হয়। ডব্লিউ এইচ অওডেন-এর বিখ্যাত পংক্তি -
Hunger allowed no choice,
To the citizen or to police,
We must laugh one another or die.
বর্তমান পরিস্থিতিতে কার্ল মার্কস বর্ণিত বৈষম্যগুলি আরও স্পষ্ট।নগ্ন হয়ে উঠেছে মিথ্যা প্রচারগুলি। এই মূহূর্তে মানুষ বড়ো অসহায়। তাদের পাশে দাঁড়ানোই এখন কমিউনিস্টদের প্রধান কাজ। মার্কসের শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে আসুন আমরা হাতে হাত মিলিয়ে এই কাজ করি।
একটা সময় গেছে যখন ‘প্রলেতারিয়েত’ শব্দের ব্যবহার আর সাধারণভাবে দুর্দশাগ্ৰস্ত মানুষকে প্রায় সমার্থক করে তোলা হয়েছিল। ১৮৪৫ সালে ‘‘কন্ডিশন অব ওয়ার্কিং ক্লাস ইন ইংল্যান্ড’’-এ আধুনিক অর্থ নিয়ে প্রলেতারিয়েত শব্দের ব্যবহার হয়। নতুন ও আধুনিক শ্রেণি পুঁজিবাদী উৎপাদনের সঙ্গে যুক্ত। ১৮৪৪ সালে ‘‘ইকনমিক্স অ্যান্ড ফিলোজফিক্যাল ম্যানুস্ক্রিপ্ট’’-এ মার্কস পুঁজিবাদী ব্যবস্থার ওপর জোর দেন। ম্যানুস্ক্রিপ্ট এর প্রথম বাক্যই; পুঁজির মালিক ও শ্রমিকের সংগ্ৰামের মধ্য দিয়েই মজুরি নির্ধারিত হয়। এই বিশ্লেষণ পুঁজিবাদী উৎপাদন বৃদ্ধির বিষয়কে সামনে নিয়ে আসে। তাহলে প্রশ্ন, পুঁজিবাদের ধ্বংস কি স্বতঃপ্রণোদিত ? নাকি সচেতন শ্রেণি সক্রিয়তার ফসল? কোন্টি? এটি না ওটি?
স্পষ্টকথা উভয়ের মধ্যে কোনো স্ববিরোধিতা নেই। কিন্তু সচেতনতা একদিনে গড়ে ওঠে না। ঐতিহাসিক প্রক্রিয়াতেই তা হয় - এটাই মার্কসের জ্ঞানতত্ত্বের মূল কথা। মার্কস-এঙ্গেলস দেখালেন ইতিহাসের নিজের কোনো সম্পদ নেই। ইতিহাস কোনো যুদ্ধ লড়েনি। কোনো সংগ্ৰামে অবতীর্ণ হয়নি। যা করেছে সব মানুষ।
প্রলেতারিয়েতের এই নির্ণায়ক ভূমিকাকে আরও কার্যকর করার জন্য মার্কস এঙ্গেলস আন্তর্জাতিক শ্রমজীবীদের ঐক্যবদ্ধ সংগঠনের কথা অনেকদিন ধরেই চিন্তা ভাবনার ফসল হিসেবে গড়ে ওঠে শ্রমজীবীদের প্রথম আন্তর্জাতিক ১৮৬৪ সালে - যা ১৮ মার্চ- ১৮৮৩-তে মার্কসের মৃত্যুর পর দ্বিতীয় এবং তৃতীয় আন্তর্জাতিক পর্যন্ত এগিয়ে যায়। কিন্তু একথা অনস্বীকার্য যে, প্রথম আন্তর্জাতিকের মধ্যে দিয়েই বিশ্বের দেশে দেশে প্রলেতারিয়েতের পার্টি - কমিউনিস্ট পার্টির বীজ বপনের কাজ শুরু হয়েছিল। সংগঠিত হতে শুরু করে শ্রেণি সংগ্রাম এবং বৈজ্ঞানিক সমাজতান্ত্রিক সমাজ গঠনের কাজ।
মানুষের কাজকর্মই ইতিহাস। এই ইতিহাস শ্রেণি সংগ্রামের। তথাকথিত নিরপেক্ষ নয়। মানব সমাজে সমস্ত বৈষম্য থেকে মুক্তির একমাত্র পথ শ্রেণি সংগ্রাম। প্রলেতারিয়েতকে শাসন ক্ষমতায় প্রতিষ্ঠিত করা। এর জন্য প্রয়োজন ইস্পাত দৃঢ় সংগঠন।
মার্কসের এই কথাকে আমাদের মনে রাখতে হবে -
শৃঙ্খল ছাড়া প্রলেতারিয়েতের হারাবার কিছু নেই, জয় করার জন্য আছে সারা দুনিয়া।
দুনিয়ার মজদুর এক হও।