৫৯ বর্ষ ৩৫ সংখ্যা / ১৫ এপ্রিল, ২০২২ / ১ বৈশাখ, ১৪২৯
মূল্যবৃদ্ধি এবং দুর্নীতির বিরুদ্ধে মালদহের ইংরেজবাজারে প্রতিবাদসভা
নিজস্ব সংবাদদাতাঃ ৬ এপ্রিল ২০২২, সিপিআই(এম)’র ২৩তম কংগ্রেস উপলক্ষে ইংরেজবাজার এরিয়া কমিটির অন্তর্গত ফুলবারিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের নঘরিয়া কলোনির শাখা এলাকায় ৩টি জায়গায় পতাকা উত্তলন ও সংক্ষিপ্ত সভা অনুষ্ঠিত হয়। এই সভায় সভাপতিত্ব করেন সিপিআই(এম)’র প্রবীণ নেতা প্রণব মিশ্র। পতাকা উত্তোলন করেন ডাঃ অর্ধেন্দু ঝা। শহিদ বেদিতে মাল্যদান করেন শাখা সম্পাদক উদয়শঙ্কর মণ্ডল সহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ। সভাপতিত্ব করেন ডাঃ অর্ধেন্দু ঝা মহাশয়। তিনি তাঁর বক্তব্যে বলেন, সাম্রাজ্যবাদ, সামন্তবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে যারা প্রাণ দিয়েছেন সেই শহিদদের রক্তে রাঙা এই রক্ত পতাকা। তাকে লাল সেলাম জানাচ্ছে ফুলবারিয়া অঞ্চলের পার্টি কমরেড, পার্টি দরদি-কর্মীরা। ফুলবারিয়া অঞ্চলের প্রতিটি মোড়ে ঝান্ডা, চেন, পোস্টার দিয়ে সাজানো হয়। শহিদ বেদিতে মাল্যদান করা হয়। ফুলবারিয়া অঞ্চলে ব্যাপকভাবে কাটমানি, ঘুষ, দুর্নীতি চলছে। জননেতা কৃষ্ণ পোদ্দার প্রশ্ন তোলেন - দাঁড়শাল্লা গ্রামের হতদরিদ্র যতীন মণ্ডলের সবার জন্য বাড়ি প্রকল্পে নাম থাকা সত্ত্বেও বাড়ি তৈরির টাকা পাননি কেন? কোথায় গেল যতীন মণ্ডলের বাড়ির টাকা? গত ২ বছর আগে নাকি যতীন মণ্ডলের বাড়ি হয়ে গেছে! কারা টাকা পঞ্চায়েত থেকে তুলে আত্মসাৎ করলো - জনগণ তা জানতে চাইছেন।
তাঁতিপাড়া গ্রামে বামফ্রন্টের আমলে বিধবাভাতা চালু ছিল। অন্ত্যোদয়, অন্নপূর্ণা প্রকল্পে চাল-গম বিনা পয়সায় পেতেন রেশনের মাধ্যমে। পেটের তাগিদে পদ্মমুনি বসাক দিল্লি যান নির্মাণ শ্রমিকের কাজ করতে। ২০২০ সালে লকডাউনের আগে বাড়ি ফিরে জানতে পারেন তিনি নাকি ‘মৃত’। গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য এবং পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য পদ্মমুনি বসাককে মৃত বলে ঘোষণা করেন, ফলে তিনি চাল-গম, ভাতা ২০২০ সাল থেকে বঞ্চিত। এপ্রিল মাসে বিডিও অফিস এবং ফুড সাপ্লাই অফিসারদের সঙ্গে আলোচনা করে তা চালু করার উদ্যোগ চলছে।
এই বিজেপি সদস্যরা সবাই বর্তমানে তৃণমূলে আছেন, লুটে খাওয়ার জন্য দল পরিবর্তন করেছেন। সাধারণ মানুষের প্রকৃত সমস্যা থেকে দৃষ্টি ঘুরিয়ে দিতে চাইছে। কেন্দ্রের বিজেপি সরকার এবং তৃণমূলের শোষণ বঞ্চনার এবং আধিপত্যের বিরুদ্ধে লাল ঝান্ডার সংগ্রাম চলবে। দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি নিয়ে বিজেপি বা তৃণমূল কেউ প্রতিবাদ করে না। প্রতিবাদ করে লালঝাণ্ডা। পেট্রোল, ডিজেলের দাম ১০০ টাকা, রান্না গ্যাসের দাম ১০০০ টাকা পেরিয়ে যাচ্ছে, চৌকিদার এবং পাহাড়াদার সবাই ট্যাক্স নিচ্ছে। মানুষের যন্ত্রণা প্রচণ্ডভাবে বাড়ছে।
সিপিআই(এম), ডিওয়াইএফআই, এসএফআই’র পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, করের বোঝা চাপাতে যদি চাও, অতি-ধনীদের উপর কর চাপাও। মোদি সরকার উলটে এই অতিমারী সময়ে কর্পোরেট ট্যাক্স ১৮ শতাংশ ছাড় দিয়েছে, সরকারের নীতির জন্যই মানুষের জীবন-যাপন যখন চরম দুর্দশায় নেমে এসেছে, তখন মোদি ব্যস্ত হিজাব বা হালাল নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি করে মানুষের নজর ঘুরিয়ে দিতে।