E-mail: deshhitaishee@gmail.com  | 

Contact: +91 33 2264 8383

৫৮ বর্ষ ২২শ সংখ্যা / ১৫ জানুয়ারি ২০২১ / ১ মাঘ ১৪২৭

মুর্শিদাবাদ জেলার আন্দোলন সংবাদ


সংবাদদাতাঃ মহঃ সামসুজ্জোহা দিল্লিতে কৃষক আন্দোলনকে সমর্থন জানিয়ে মুর্শিদাবাদ জেলার কৃষক সমিতি আন্দোলন অব্যাহত রেখেছে। ১৫ ডিসেম্বর জেলার কুলি, জলঙ্গি এবং ভগবানগোলায় কৃষকরা রাস্তা অবরোধ ও অবস্থান বিক্ষোভ করেন। কুলি চৌরাস্তার মোড়ে রাস্তায় ধান ফেলে দিয়ে কৃষকরা অবরোধ বিক্ষোভ করেন ধানের ন্যায্য মূল্য পাবার জন্য। এখানে প্রায় ৭০০-৮০০ কৃষক উপস্থিত হয়েছিলেন। ধুলিয়ানে শপিং মলে, তেল পাম্পে বিক্ষোভ আন্দোলন হয়। পাম্প খুলতে দেয়নি কৃষকরা, এখানেও তাঁরা অবস্থান করেন। ১৬ ডিসেম্বর জেলা থেকে প্রায় ৫০০ কৃষক কৃষক সভার ডাকে কলকাতায় জমায়েতে অংশগ্রহণ করেন বলে জানিয়েছে মুর্শিদাবাদ জেলা কৃষক সভার সম্পাদক আবু বাক্কার।

ওইদিন জেলাতেও মিছিল, সমাবেশ হয়। জলঙ্গিতে পথসভা ও বিক্ষোভে ৫০০ কৃষক অংশগ্রহণ করেন। এখানে বক্তা ছিলেন খেতমজুর ইউনিয়নের রাজ্য কমিটির সদস্য জামাল হোসেন। এছাড়া মুর্শিদাবাদ জেলা খেত মজুর ইউনিয়নের সম্পাদক ইনসার আলিও বক্তব্য রাখেন জলঙ্গির সভায়।

৬ জানুয়ারি, ২০২১ নবগ্রামে কিষান মান্ডিতে ৪০০ কৃষক জমায়েত হয়ে ধান কেনার দাবিতে ডেপুটেশন দেন। কুলির সভায় উপস্থিত ছিলেন কৃষকসভার রাজ্য সভাপতি নৃপেন চৌধুরী, জঙ্গীপুরে সোমনাথ সিংহ, ধুলিয়ানে তোয়াব আলি। ১৭ ডিসেম্বর নবগ্রামে প্রায় তিন শতাধিক কৃষকের মিছিল হয়। এখানে উপস্থিত ছিলেন জেলা কৃষক সভার সভাপতি শচ্চিদানন্দ কান্ডারি। ৪, ৫, ৬ জানুয়ারি মুর্শিদাবাদ জেলার বিভিন্ন ব্লকে কৃষকরা তাঁদের ফসলের দাম, কৃষি বিল প্রত্যাহার, কৃষিজাত দ্রব্যেও উপযুক্ত দামের দাবিতে জাঠা কর্মসূচি পালন করেন। জাঠাগুলিতে গড়ে দুই শতাধিক কৃষক উপস্থিত ছিলেন।

আবার অন্যদিকে সরকারি আধিকারিকের নিয়মবহির্ভূত কাজের প্রতিবাদে ভগবানগোলার দলিল লেখক ও ল’ক্লার্করা যৌথভাবে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন। ওই আধিকারিককে অপসারণের দাবিতে তাঁরা আন্দোলন চালিয়ে যাবেন বলে যৌথ কমিটির পক্ষ থেকে জানানো হয়। তাঁরা আলোচনা যেমন করছেন, ধর্মঘট করছেন অপরদিকে এই আধিকারিকের অপকর্মের বিষয়গুলি লিখিত আকারে স্থানীয় ভগবানগোলার বিডিও, লালবাগের এসডিও এবং মুর্শিদাবাদ জেলাশাসককে জানানো হয়েছে।

লালগোলা, ভগবানগোলা এবং রানীতলা থানা মিলিয়ে একটি মাত্র রেজেস্ট্রি অফিস। তাই তিন থানার মানুষই অসুবিধায় পড়েছেন। বুকিং প্রথা উঠে গিয়েছে তথাপি এই আধিকারিক বুকিং করেই দলিল রেজেস্ট্রি করছেন। সরাসরি টাকার বিনিময়ে কাজ করছেন বলে অভিযোগ। এতে সাধারণ মানুষ যাঁরা জমি কেনাবেচা করছেন তাঁরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। বিভিন্নখাতে নিয়ম বহির্ভূতভাবে বেশিকরে টাকা নেওয়া হচ্ছে। অভিযোগ, ওই আধিকারিক দলিল লেখক এবং ল’ক্লার্কদের মধ্যে বিরোধ বাধাবার চক্রান্ত করছেন। দলিল লেখক এবং ল’ক্লার্ক ছাড়াও স্ট্যাম্প ভেন্ডার এবং এই অফিসের অন্যান্য কাজের সাথে যাঁরা যুক্ত আছেন তাঁরা সকলে একজোট হয়ে আন্দোলন ধর্মঘট চালিয়ে যাচ্ছেন। এই ধর্মঘটকে সমর্থন জানিয়ে বক্তব্য রেখেছেন ভগবানগোলার বাম বিধায়ক মহাসিন আলি, যৌথ কমিটির সম্পাদক সাজ্জাদ আলি, ল’ক্লার্ক আলাউদ্দিন প্রমুখ।