৫৯ বর্ষ ৪৮ সংখ্যা / ১৫ জুলাই, ২০২২ / ৩০ আষাঢ়, ১৪২৯
স্বাধীনতা সংগ্রামের ঐতিহ্য স্মরণে রাজ্যজুড়ে সিপিআই(এম)’র কর্মসূচি
নিজস্ব প্রতিনিধিঃ কমরেড মুজফ্ফর আহ্মদের জন্মদিবস ৫ আগস্ট থেকে ১৫ আগস্ট স্বাধীনতা দিবস পর্যন্ত স্বাধীনতার ৭৫ বছরে স্বাধীনতা সংগ্রামের ঐতিহ্য তুলে ধরতে রাজ্যজুড়ে কর্মসূচি পালন করবে সিপিআই(এম)। ১৩ জুলাই এক সাংবাদিক সম্মেলনে পার্টির রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম একথা জানিয়ে বলেন, স্বাধীনতা সংগ্রামের বীর যোদ্ধা, শহিদদের স্মরণ করে রাজ্যজুড়ে পোস্টার, পথসভা, সেমিনার ইত্যাদি নানা কর্মসূচি পালন করা হবে। নানা অনুষ্ঠান করবে গণসংগঠনগুলিও।
স্বাধীনতা সংগ্রামের প্রকৃত ঐতিহ্যকে তুলে ধরার প্রয়োজনীয়তা ব্যাখ্যা করে এদিন সাংবাদিক বৈঠকে সেলিম বলেছেন, এখন যারা কেন্দ্রের শাসন ক্ষমতায় তারা স্বাধীনতা সংগ্রামে কোনও ভূমিকা পালন করেনি। তারা ব্রিটিশদের সাম্রাজ্যবাদী মনে করতো না, তারা মনে করতো ব্রিটিশরা ভারতে মুসলিম শাসনের অবসান ঘটিয়েছে। যাদের স্বাধীনতা সংগ্রামে কোনও অবদানই নেই তারা স্বাধীনতার ৭৫ বছর উদ্যাপন করবে কী করে! ওরা স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসকেই বিকৃত করছে।
এই পরিপ্রেক্ষিতেই স্বাধীনতার ৭৫ বছর উদ্যাপনে সিপিআই(এম)’র উদ্যোগের কথা ঘোষণা করে সেলিম বলেছেন, ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামে কমিউনিস্টদের বিরাট অবদান ও ঐতিহ্য রয়েছে, কমিউনিস্টরাই প্রথম পূর্ণ স্বাধীনতার দাবি তুলেছিল, তারাই কৃষক ঐক্যবদ্ধ করে সংগ্রাম গড়ে তুলেছিল, কমিউনিস্টদের বিরুদ্ধে ব্রিটিশরা একের পর এক ষড়যন্ত্র মামলা দায়ের করেছিল। মুজফ্ফর আহ্মদকে ২৭ বছর জেলে কাটাতে হয়েছে। তাঁর জন্মদিবস ৫ আগস্ট উদ্যাপন করে ১৫ আগস্ট পর্যন্ত আমরা নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে স্বাধীনতার সেই গৌরবোজ্জ্বল ধারাকে স্মরণ করব।
এদিন অশোক স্তম্ভের সিংহের মুখ পরিবর্তন করার উল্লেখ করে মহম্মদ সেলিম বলেন, অশোক স্তম্ভ রাষ্ট্রীয় প্রতীক। জাতীয় পতাকা, জাতীয় প্রতীক, জাতীয় সঙ্গীত এগুলি সংবিধান নির্দেশিত, এগুলি বিকৃত করা যায় না। আইনকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে মোদি সরকার সে কাজই করছে। সুপ্রিম কোর্টের স্বতঃপ্রণোদিত ব্যবস্থা নেওয়া উচিত এর বিরুদ্ধে। জাতীয় প্রতীক পরিবর্তনের তাৎপর্য উল্লেখ করে তিনি বলেন, এটা শুধু পাথরের মূর্তি পালটে দেওয়া নয়, ভারতের রাষ্ট্রধর্মের ওপরে হামলা। সিংহের মুখে হিংস্রতা এনে কী বোঝাতে চাইছে? ভারতের সমন্বিত সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের অনুসারী রাষ্ট্রধর্মে অহিংসা পরম ধর্ম, কিন্তু মোদিজি ‘অ’ তুলে নিয়ে গিয়ে সত্যমেব জয়তের সামনে বসাচ্ছেন। ‘হিংসা পরম ধর্ম’ আর ‘অসত্যমেব জয়তে’ বোঝাতে চাইছেন। আরএসএস’এর এটাই উদ্দেশ্য, তারা ভারতকে উগ্র হিংস্র আগ্রাসী হিন্দুত্ববাদের পথে নিয়ে যেতে চাইছে।