৫৯ বর্ষ ৪৮ সংখ্যা / ১৫ জুলাই, ২০২২ / ৩০ আষাঢ়, ১৪২৯
সুভাষিতাণি...
বরুণ বন্দ্যোপাধ্যায়
সুভাষিতাণি... আজ একটু ভালো কথা দিয়ে শুরু করি। সকলের ভালো লাগবে। ‘‘সংকট আসে। কিন্তু কোনো সংকটের সময় নেতৃত্ব দিশাহীন হলে, অসহায় হলে, হতাশ হলে সংকট গভীর হয়। ১২৫ কোটির দেশ আজ হতাশায় ডুবে আছে। দিল্লি থেকে, দিল্লির নেতৃত্বের থেকে আশাব্যঞ্জক কোনো কথা বা কোনো পদক্ষেপ বা কোনো পরিকল্পনা দেখা যাচ্ছে না। দেশের দুর্ভাগ্য যে, দেশের শাসকদের দেশের সুরক্ষার বিষয়ে কোনও চিন্তা নেই, টাকার মূল্য নিয়েও কোনও চিন্তা নেই। এঁদের একমাত্র চিন্তা কীভাবে গদি বাঁচানো যাবে। কোন কৌশলে গদি বাঁচানো যাবে তা নিয়েই ব্যস্ত। তাই আজ এঁদের সামনে দেশকে নিয়ে ভাবনার কোনো সময় নেই। ডলারের সামনে টাকা শক্তি নিয়ে দাঁড়াবে তা নিয়ে কোনও পরিকল্পনা নজরে আসেনি। একদিকে গত তিন মাসে যেভাবে দ্রুত টাকার দাম পড়ছে সেই সময় সরকার সেই পতন আটকাতে কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি। তাই আমার দেশের জন্য চিন্তা হয়। টাকার দাম যদি এভাবে পড়তেই থাকে, পড়তেই থাকে তাহলে পৃথিবীর অন্য শক্তিশালী দেশ এর সুযোগ নেবে। তা আটকানোর কোনও চেষ্টা দেশের সরকার করেনি। গত পাঁচ বছর ধরে আমরা শুনছি তিন মাসে জিনিসের দাম কমে যাবে। অথচ গত পাঁচ বছরে কমপক্ষে একশো বার জিনিসের দাম বেড়েছে। মূল্যবৃদ্ধি আটকাতে পারেনি দিল্লির সরকার। এমন একটা ক্ষেত্র পাওয়া যাবে না যেখানে মানুষ বলতে পারবে সরকার সদর্থক কিছু করেছে। কোথাও কিছু নজরে পড়ছে না। আজ দেশ বিরাট সংকটের সামনে দাঁড়িয়ে আছে।’’ কোট আনকোট এতটা লেখা পড়তে আমার বেশ লেগেছে। আপনাদেরও হয়তো। সত্যিই তো। দেশের অবস্থা ভয়াবহ তা নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই। আর তা নিয়ে দেশনেতাদের এই উদ্বেগ দেখলেও সাধারণ মানুষ হিসেবে বেশ খুশি খুশি ভাব জাগাই স্বাভাবিক। তবে এই কাহিনিতে একটা ছোট্ট ট্যুইস্ট আছে। এই বক্তব্যটা ২০১৩ সালের ২০ আগস্টের। বক্তা গুজরাটের তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
৭৯.৮৪ পয়সা। ১৪ জুলাই, ২০২২ বৃহস্পতিবার সকালে লেখা শুরু করার আগেই মোবাইলে নোটিফিকেশন এলো। ১ আমেরিকান ডলারের অনুপাতে ভারতীয় টাকার দামে সর্বকালীন রেকর্ড পতন। বৃহস্পতিবার সকালের দাম। গত ফেব্রুয়ারি মাস থেকেই যা লাগাতার পড়ছে। ঠিক যেমন শেয়ার বাজারে ভালুকের আক্রমণে রক্তক্ষরণ, তেমনই ভারতীয় টাকার দামেও তাই। সেনসেক্স নিফটিতে ষাঁড় বনাম ভালুকের এই দড়ি টানাটানিতে আমজনতার প্রত্যক্ষ কোনো ক্ষতি নেই। পরোক্ষ ক্ষতি নিয়ে এখন ভাবার সময় নেই। অর্থনীতির বিষয়টা সীতারামনের হাতেই ছাড়া থাক। শান্ত সিংহের হিংস্র হয়ে ওঠা তাতে আটকাবে না। বদলাবে না বুলডোজার নীতি কিংবা কানওয়ার যাত্রাপথে সমস্ত মাংসের দোকান বন্ধ রাখার ফতোয়া। পেল্লাদ বাবুদের জল্লাদি দাপটে যে কোনো মূল্যে বিষ্ণুর প্রতি ভক্তি দেখাতেই হবে। না হলে সকলেরই হবে হিরণ্যকশিপুর দশা। সিংহের রূপান্তর তারই আগাম প্রচ্ছন্ন শাসানি।
নাসা সম্প্রতি একটা ছবি প্রকাশ করেছে। ১৩০০ কোটি বছর আগেকার। যে বিষয়টা পুরোপুরি বিজ্ঞানের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত। এখনও পর্যন্ত সেই ছবির কোনো ফোটোশপ ভার্সন সোশ্যাল মিডিয়া আমাদের দিতে পারেনি। দেবে হয়ত কয়েকদিনের মধ্যেই। এর আগে যেমন ‘ওম’ ধ্বনি নিয়ে নাসার নামে প্রচার করেছিল আইটি সেল। এবার হোয়াটসঅ্যাপে হয়তো বা মেসেজ আসবে নাসা রামচন্দ্র বা শ্রীকৃষ্ণেরও ছবি প্রকাশ করেছে। কল্পনা আরও ফুলে ফেঁপে উঠবে। মানুষ মোবাইল থেকে সেই ছবির প্রিন্ট আউট বের করে ছবি ছাপিয়ে পুজো করবে। পুরাণ, কাব্যকাহিনি ইতিহাসে রূপান্তরিত হয়ে যাবে। পুরাণ আলোচনা ভালো বা খারাপ সে বিষয়ে দুম করে ঢুকে পড়া উচিত হবে না। পরিস্থিতি অনুযায়ী একটু সমঝে চলাই শ্রেয়। কারণ পুরাণ তো ফিরে ফিরে আসছে। চাইলেও আসছে, না চাইলেও। ফিরিয়ে আনা হয়। হচ্ছে। এভাবেই তো পুরাণের পুরানো গল্প একসময় ইতিহাস হবে। ইতিহাস, ভূগোল, বিজ্ঞানের ককটেল হবে। নতুন ইতিহাস বানানোর গবেষণাগারে অতি তৎপরতার সঙ্গে কাজ চলছে। মাননীয় মন্ত্রীমহোদয় চিকিৎসকদের সম্মেলনে জানিয়েছিলেন গণেশের হাতির মাথা প্রথম প্লাস্টিক সার্জারি। রাজস্থান হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি যেমন জানিয়েছিলেন ময়ূরের চোখের জল পান করেই ময়ূরীর গর্ভধারণ। আবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রীসভার এক সদস্য জানিয়েছেন বিমানের প্রথম উল্লেখ পাওয়া যায় রামায়ণে। ভরদ্বাজ ঋষি তার আবিষ্কর্তা। রাম কতবড়ো ইঞ্জিনিয়ার ছিলেন তা নিয়ে গুজরাটের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর নাতিদীর্ঘ ভাষণ একটু খুঁজলেই পাওয়া যায়। আর রাজস্থানের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী জানিয়েছেন গোরুই একমাত্র প্রাণী যারা অক্সিজেন প্রশ্বাস নেয় এবং নিঃশ্বাসেও অক্সিজেন ছাড়ে। জেমস ওয়েব টেলিস্কোপ, বিজ্ঞান যাই বলুক না কেন বিরল প্রজাতির প্রাণীদের এসব তত্ত্ব বহুল প্রচারিত। এসব নিয়ে নাচানাচিও ভালোই চলে।
“ঠাস্ ঠাস্ দ্রুম দ্রাম,শুনে লাগে খটকা -/ ফুল ফোটে? তাই বল! আমি ভাবি পট্কা!” দেশ জুড়ে ফুল ফোটার সময়, ‘কমল খিল রাহা হ্যায়’-এর সময় বাজে কথা বলা এবার বন্ধ করতে হবে। প্রয়োজন সুবচন। তাই একটু ভালো ভালো কথা বলি। ভালো ভালো কথা না বললে, কঠিন কঠিন শব্দ ব্যবহার না করলে লেখার, বলার দর বাড়ে না। লেখা, বলা ভালো হয়না। পাঠকমহলে, শ্রোতামহলে সমাদৃত হওয়া যায় না। ঠিক আমার মতোই একই কথা ভেবেছে লোকসভা সচিবালয়ও। এটাকে শব্দকল্পদ্রুম না বলে শব্দকল্প দুরুমও বলা যেতে পারে। শব্দকল্পদ্রুম নাকি এমন এক কাল্পনিক গাছের নাম, যে গাছ মানুষের কামনা অনুযায়ী ফল প্রদান করে। এক্ষেত্রে নিশ্চই শাসকের কামনা পূরণ করবে। বিরোধীদের উদ্দেশ্যে এমন দুরুম করে তোপ বোধহয় সেই উদ্দেশ্যেই। তাই সংসদের সচিবালয়ই ঠিক করে দিয়েছে আগামীদিনে কী কী বলা যাবে আর কী কী বলা যাবে না। নিজেদের সুস্থ সংস্কৃতিবান করে তুলতে হলে ‘অসংস্কৃত’ শব্দ ব্যবহার নৈব নৈব চ। তাই এখন থেকে সংসদের উচ্চ বা নিম্নকক্ষে ব্যবহার করা যাবেনা বেশ কিছু শব্দমালা। এখন থেকে সরকার পক্ষের সমালোচনা করলেও শব্দ বেছে সমালোচনা করতে হবে। আপাতত রাজ্যসভা লোকসভা দিয়ে শুরু হয়েছে। সারা দেশে চালু করে দিতে কতই বা সময় লাগবে! ১৯ নম্বর ধারায় যে বাক্ স্বাধীনতা ও মতামত প্রকাশের অধিকার ছিল ২০২১ সালেই তো সংবিধানের ১৯(২) ধারার উল্লেখ করে তাকে বুড়ো আঙুল দেখানো হয়ে গেছে। আইন করে সোশ্যাল মিডিয়ায় সমালোচনার মুখে লাগাম পরিয়ে দেওয়া হয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকারের যুক্তি অনুসারে, বাক্ স্বাধীনতার অধিকার কোনো সময়েই 'অপরিসীম' হতে পারে না। অতএব ধীরে বন্ধু।
১৩ জুলাই সংসদীয় সচিবালয় জানিয়েছে সংসদের আসন্ন বাদল অধিবেশনে কোনো বিতর্ক বা বক্তব্য পেশের সময় ব্যবহার করা যাবে না বেশকিছু শব্দ। যার মধ্যে আছে ‘লজ্জাজনক’, ‘নির্যাতন’, ‘বিশ্বাসঘাতকতা’, ‘নাটক’, ‘দুর্নীতিগ্রস্ত’, ‘অযোগ্য’, ‘ভণ্ডামি’, ‘জুমলাবাজি’, ‘কোভিড স্প্রেডার’, ‘খুন সে ক্ষেতি’, ‘স্নুপগেট’ প্রভৃতি শব্দ। ব্যবহার করা যাবে না ‘শকুনি’, ‘জয়চাঁদ’, ‘বিনাশ পুরুষ’, ‘খালিস্তানি’, ‘তানাশাহি’, ‘স্বৈরাচারী’, ‘নৈরাজ্যবাদী’ প্রভৃতি শব্দও। সচিবালয়ের মতে ‘নিকম্মা’, ‘নৌটঙ্কি’, ‘বেহরি সরকার’, ‘ঢিন্ডোরা পিটনা’, ‘দোহরা চরিত্র’ প্রভৃতি শব্দও অ-সংসদীয়। অবশ্য ২০২২-এ নয়। এই ধারা শুরু হয়েছে ২০২১ থেকেই। সেবারও এক ধাক্কায় বাদ দেওয়া হয়েছিল বেশ কিছু শব্দ। কুমীরের কান্না, চামচাগিরি, প্রতারিত, গাধা, নাটকবাজি, হিপোক্রেসি, আইওয়াশ, ইনকমপিটেন্ট, গদ্দার, গিরগিট, কালা দিন, কালাবাজারি, মিসলিড, লাই এসবও তালিকা থেকে বাদ। অর্থাৎ, সরকার যদি কোনো বিষয়ে সংসদকে বা দেশের মানুষকে বিভ্রান্তও করে আগামী দিনে বলা যাবে না সরকার ‘মিসলিড’ করছে। সরকার দেশের মানুষের জন্য কুমীরের কান্না কাঁদলেও কোনো বিরোধী সাংসদ বলতে পারবেন না সরকার ‘ক্রোকোডাইল টিয়ার্স’ ঝরাচ্ছেন। সরকার জুমলা করলেও সরকারকে ‘জুমলাবাজ’ বলা যাবে না। সরকারকে দুর্নীতিগ্রস্ত বলা যাবে না। দেশের দুরবস্থাকে ‘কালা দিন’ বলা যাবে না। সরকার মিথ্যে বললেও বলা যাবে না সরকার মিথ্যে বলছে। মহান সরকারের কথা অমৃত সমান, মন দিয়ে শুনিলেই তুমি পুণ্যবান!
সবাই যখন পালা করে পিছিয়ে যাচ্ছে, পুরো দেশটাকেই পিছিয়ে দেবার পরিকল্পনা চলছে তখন আমারও একটু পিছিয়ে যেতে ইচ্ছে করছে। ২০১৫-র ২৮ সেপ্টেম্বর। পশ্চিম উত্তরপ্রদেশের গৌতমবুদ্ধনগর লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত দাদরি বিধানসভা অঞ্চলের এক অখ্যাত গ্রাম বিশাড়া। সেখানেই এক বাড়িতে ঢুকে ফ্রিজে নাকি পাওয়া গেছিল গোমাংস। নিজের বাড়ির ফ্রিজে সেই মাংস রাখার অপরাধে শুরু হয়েছিল গণপিটুনি। মৃত্যু হয়েছিল মহম্মদ আখলাকের। বিগত লোকসভা নির্বাচনের সময় আখলাকের হত্যাকারীদের দেখা গেছে বিজেপি'র বিভিন্ন জনসভায়। অন্যদের তথাকথিত ‘ধর্মীয় ভাবাবেগে’ আঘাত দিয়ে প্রাণের বিনিময়ে প্রায়শ্চিত্ত করেছেন আখলাক। আপাতত ওই গ্রামে বাস ছেড়েছেন নিহত আখলাকের পরিবার। যে হত্যা সম্পর্কে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় বলেছিলেন, ‘খাবারের জন্য কাউকে পিটিয়ে মারলে খুন হয় সংবিধান’। যদিও তিলে তিলে একটু একটু করে সংবিধানকে খুন করা হলে কী হয় সেটা এখনও পর্যন্ত কেউ বলেননি।
মনে হতেই পারে আখলাকের ঘটনা তো অনেক পুরোনো। হঠাৎ সেই পুরোনো কাসুন্দি আবার কেন? হয়তো দরকার ছিল না। আবার দরকার আছেও। কারণ কোনো ঘটনাই তো ক্রোনোলজি বহির্ভূত নয়। বরং যা ঘটছে, যা যা ঘটছে তার সবটুকুই ক্রোনোলজি মেনে। সেখানে আখলাকের হত্যা অথবা টাকার দামে পতন, কিংবা সংসদের কণ্ঠরোধ কিংবা একের পর এক বেসরকারিকরণ, নতুন শ্রমকোড চালু অথবা জাতীয় প্রতীক বদলে দেওয়া - না কোনোটাই বিনা কারণে নয়। বরং ধাপে ধাপে লক্ষ্যপূরণের দিকে এগিয়ে চলার লক্ষ্যেই সমস্ত পদক্ষেপ।
লেখাটা যখন শুরু করেছিলাম তখন থেকে এখন পর্যন্ত ভারতীয় টাকার দাম আরও কিছুটা পড়ে গেছে। ১ আমেরিকান ডলারের অনুপাতে গতকাল যে ভারতীয় টাকার দাম ছিল ৭৯.৬৫ টাকা আজ এই মুহূর্তে দুপুর দুটোর সময় সেই দাম আরও নেমে পৌঁছে গেছে ৭৯.৯১ টাকায়। হয়তো আজই ৮০ ছুঁয়ে ফেলবে। এই সপ্তাহের সোমবার ১১ জুলাই থেকে সেনসেক্সে যে পতন শুরু হয়েছে আজ টানা চতুর্থ দিন বৃহস্পতিবারও সেনসেক্স নিফটির পতন অব্যাহত। আজ এখনও পর্যন্ত বাজার পড়েছে ১৬০ পয়েন্টের বেশি। আচ্ছে দিন এবার সত্যিই এসে গেছে। এখনও যেটুকু বাকি আছে সেটুকু আসতে খুব বেশি দেরি নেই।
লেখা শুরু করেছিলাম গুজরাটের তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির প্রধানমন্ত্রী হবার আগের বক্তব্য দিয়ে। যেখানে তিনি বলেছিলেন, “দেশের দুর্ভাগ্য যে, দেশের শাসকদের দেশের সুরক্ষার বিষয়ে কোনও চিন্তা নেই, টাকার মূল্য নিয়েও কোনও চিন্তা নেই। এঁদের একমাত্র চিন্তা কীভাবে গদি বাঁচানো যাবে। কোন কৌশলে গদি বাঁচানো যাবে তা নিয়েই ব্যস্ত।” ২০২২-এ এসেও ২০১৩-র কথা অক্ষরে অক্ষরে সত্যি। এখন যদিও তিনি মুখ্যমন্ত্রী থেকে প্রধানমন্ত্রী, টানা দু’বার। গদি বাঁচানো, ক্ষমতা দখলে রাখার জন্য যে কোনো পথ নেওয়া বিগত কয়েক বছরে ভারতবাসী বড়ো কম দেখেনি। হাতের সামনেই টাটকা উদাহরণ আছে মহারাষ্ট্রে সরকার ফেলে দেবার। তাই নতুন করে কিছু বলার নেই। অনাচার করো যদি, রাজা তবে ছাড়ো গদি - যদিও পৃথিবীতে কোনো শাসকই স্বেচ্ছায় গদি ছাড়ে না। মানুষই তাকে গদি থেকে টেনে নামায়। তাই এখন বোধহয় বলার সময় - দড়ি ধরে মারো টান, রাজা হবে খান খান।