E-mail: deshhitaishee@gmail.com  | 

Contact: +91 33 2264 8383

৬১ বর্ষ ৬ সংখ্যা / ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ / ২৮ ভাদ্র, ১৪৩০

‘ইন্ডিয়া’ মঞ্চের সমন্বয় কমিটির বৈঠক


নিজস্ব সংবাদদাতাঃ আগামী অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহে ‘ইন্ডিয়া’ মঞ্চের প্রথম যৌথ সমাবেশ হবে নির্বাচনমুখী মধ্যেপ্রদেশের রাজধানী ভোপালে। ১৩ অক্টোবর দিল্লিতে অনুষ্ঠিত বিরোধী দলগুলির মঞ্চ ‘ইন্ডিয়া’র সমন্বয় কমিটির বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। এদিনের এই বৈঠক হয়েছে এনসিপি প্রধান শারদ পাওয়ারের বাসভবনে। সমাবেশের সিদ্ধান্তের পাশাপাশি আকাশছোঁয়া মূল্যবৃদ্ধি, তীব্র বেকারত্ব এবং জাতিভিত্তিক জনগণনার মতো জ্বলন্ত বিষয়গুলি নিয়ে দেশজুড়ে বিরোধীরা সরব হবেন বলে স্থির হয়েছে।

প্রসঙ্গত, পাটনা, বেঙ্গালুরু ও সর্বশেষ মুম্বাইয়ে ‘ইন্ডিয়া’ মঞ্চের বৈঠক হয়েছে। মুম্বাইয়ের সর্বশেষ বৈঠকে প্রচার আন্দোলনকে দেশজুড়ে এগিয়ে নিয়ে যেতে যোগাযোগ রক্ষার জন্য সমন্বয় কমিটির পাশাপাশি আরও কয়েকটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। এদিন এই সমন্বয় কমিটির প্রথম বৈঠক বসে দিল্লিতে। বৈঠকে কমিটির ১৪ জন সদস্যের মধ্যে ১২ জন উপস্থিত ছিলেন। কমিটির সদস্য অভিষেক ব্যানার্জি দুর্নীতি মামলায় আদালতের নির্দেশে কলকাতায় ইডি দপ্তরে জেরায় থাকার জন্য উপস্থিত থাকতে পারেননি এবং সিপিআই(এম) সদস্যের নাম এখনো জানানো হয়নি বলে কেউ বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন না।

আগামী লোকসভা ভোটের আগে মিজোরাম, মধ্যপ্রদেশ, ছত্তিশগড়, তেলেঙ্গানা ও রাজস্থান - এই পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচন। সেদিকে লক্ষ্য রেখেই ‘ইন্ডিয়া’ মঞ্চের প্রথম বৈঠক ডাকা হয়েছে মধ্যপ্রদেশের ভোপালে। এরপর দেশের প্রতিটি রাজ্যে এই যৌথ সমাবেশ হবে বলে জানিয়েছেন মঞ্চের নেতৃবৃন্দ। তবে প্রথম দিকের সমাবেশগুলি নির্বাচনমুখী রাজ্যেই অনুষ্ঠিত হবে বলে অনুমান করা হচ্ছে। সেই সমাবেশগুলিতে মোদি সরকারের নীতির জন্য সাধারণ মানুষের জীবনে যে দৈনন্দিন সংকট নেমে এসেছে, তা তুলে ধরবেন নেতৃবৃন্দ। একইসঙ্গে ক্রমবর্ধমান সাম্প্রদায়িক হিংসা, মণিপুরের জাতি সংঘর্ষ, মোদির বদান্যতায় তাঁর ঘনিষ্ঠ শিল্পপতিদের বিশেষ করে আদানি গোষ্ঠীর বাড়বাড়ন্তের কথা দেশবাসীর কাছে পৌঁছে দেবার লক্ষ্যেই সমাবেশগুলি হবে। সমাবেশের পাশাপাশি প্রচার, সমাজমাধ্যম, মিডিয়া এবং গবেষণা বিষয়ক কমিটিও পরপর বৈঠকে বসবে। সেই বৈঠকেও বিরোধীদের প্রচারকে আরও কত বেশি মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়া যায়, সে বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হবে।

এছাড়াও এদিন যে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত হয়েছে তা হলো, মিডিয়া কমিটির সাব-গ্রুপ তৈরি করা হয়েছে। তারা বাছবে কোন কোন সমাজমাধ্যমকে বয়কট করা হবে। এমনকী টক-শোয়ে কোন সঞ্চালক শাসক গোষ্ঠীর চূড়ান্ত ধামাধরা তা চিহ্নিত করবে ওই গ্রুপ এবং সেই অনুষ্ঠানে ‘ইন্ডিয়া’র কোনো প্রতিনিধি উপস্থিত থাকবেন না।

এদিনের বেঠকে লোকসভা নির্বাচনে আসন সমঝোতা প্রসঙ্গে অন্যতম সদস্য কংগ্রেসের কে সি বেণুগোপাল জানিয়েছেন, মঞ্চের অন্তর্গত দলগুলি এ নিয়ে আলোচনা শুরু করবে এবং দ্রুত সিদ্ধান্তে পৌঁছানোর চেষ্টা চালাবে। তবে এই প্রশ্নে পশ্চিমবঙ্গ, কেরালা সহ কয়েকটি রাজ্যে সেভাবে যে আসন সমঝোতা হবে না তা আগেই স্পষ্ট করে দিয়েছেন বামপন্থীরা।

জাতিভিত্তিক জনগণনা নিয়ে সবাই একমত হয়েছেন এদিনের বৈঠকে। বিরোধীরা এ বিষয়টিকে যথেষ্ট গুরুত্ব দিয়ে দেখছে বলে আলোচনা শেষে যৌথ বিবৃতিতে ঘোষণা করা হয়েছে।

এদিনের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন শারদ পাওয়ার (এনসিপি), কে. সি. বেণুগোপাল (কংগ্রেস), টি. আর. বালু (ডিএমকে), তেজস্বী যাদব (আরজেডি), হেমন্ত সোরেন (জেএমএম), মেহবুবা মুফতি (পিডিএস), ওমর আবদুল্লা (ন্যাশনাল কনফারেন্স), সঞ্জয় রাউত (শিবসেনা-উদ্ভব), লালন সিং (জেডিইউ), জাভেদ আলি খান (সমাজবাদী পার্টি), ডি. রাজা (সিপিআই) এবং রাঘব চাড্ডা (আপ)।