E-mail: deshhitaishee@gmail.com  | 

Contact: +91 33 2264 8383

৬০ বর্ষ ১৮ সংখ্যা / ১৬ ডিসেম্বর, ২০২২ / ২৯ অগ্রহায়ণ, ১৪২৯

আরও দীর্ঘস্থায়ী, জেদি কৃষক আন্দোলন গড়ে তোলার প্রত্যয় নিয়ে শুরু

(ত্রিচূড় থেকে সুপ্রতীপ রায়ের প্রতিবেদন)


সম্মেলনে সম্পাদকীয় প্রতিবেদন পেশ করছেন হান্নান মোল্লা।

কৃষিতে আধিপত্য প্রতিষ্ঠিত করার চক্রান্ত রুখতেই হবে। এর জন্য দীর্ঘস্থায়ী, জেদি লড়াই রাজ্যে রাজ্যে গড়ে তুলতে হবে। সারা ভারত কৃষক সভার ৩৫তম সর্বভারতীয় সম্মেলনের শুরুতে এই বার্তা দেওয়া হয়েছে। স্লোগান দেওয়া হয়েছে, Struggle, Consolidate and Advance for an Alternative & quot;। অর্থাৎ সংগ্রাম, একত্রিকরণ এবং বিকল্পের জন্য এগিয়ে চলার কথা ঘোষিত হয়েছে।

১৩ ডিসেম্বর থেকে কেরালার ত্রিচূড়ে (কে বরদারাজন নগর) শুরু হয়েছে সম্মেলন। প্রতিনিধি সম্মেলন শুরু হওয়ার পূর্বে সংগঠনের পতাকা উত্তোলন করেন সংগঠনের সর্বভারতীয় সভাপতি অশোক ধাওয়ালে। শহিদ বেদিতে মাল্যদান করেন সাধারণ সম্পাদক হান্নান মোল্লা, সর্বভারতীয় নেতৃত্ব বাদল সরোজ, কৃষ্ণ প্রসাদ, বিজু কৃষ্ণন প্রমুখ। ১৬ ডিসেম্বর প্রকাশ্য সমাবেশের মধ্য দিয়ে সম্মেলন সমাপ্ত হবে।

প্রতিনিধি অধিবেশনে সভাপতির ভাষণে অশোক ধাওয়ালে বলেন, ২৩ বছর বাদে কেরালায় সর্বভারতীয় সম্মেলন হচ্ছে। সংগঠনের ১১তম সম্মেলন হয়েছিল কান্নুরে ১৯৫৩ সালে, ১৯৬১ সালে ত্রিচূড়ে ১৮তম সম্মেলন হয়েছিল, ১৯৯৯ সালে কোঝিকোডে হয়েছিল ২৯তম সম্মেলন। কেরালার কৃষক আন্দোলনের ঐতিহ্য আছে। সেই ধারা বহমান। তিনি আরও বলেন, কেরালার বর্তমান এলডিএফ সরকার কৃষক দরদি সরকার। এই সরকারের কৃষিনীতিতে বিকল্প ভাবনা প্রতিফলিত। সরকার কৃষকদের পাশে কীভাবে দাঁড়াতে পারে তার উদাহরণ কেরালার বতর্মান সরকার। ধাওয়ালে আরও বলেন, ৩৫তম সম্মেলন ঐতিহাসিক সম্মেলনে পরিণত হবে। মোদি সরকারকে বড়ো ধাক্কা দেওয়ার আলোচনা প্রতিনিধিরা করবেন।

সম্মেলনে এআইকেএস-এসকেএম নেতৃবৃন্দ।

সম্মেলন পরিচালনার জন্য সভাপতিমণ্ডলীর সদস্যরা হলেন - অশোক ধাওয়ালে, কে বালকৃষ্ণান, অমরা রাম, মাল্লা রেড্ডি, প্লিজা।

১৩ ডিসেম্বর প্রতিনিধি সম্মেলনকে অভিনন্দন জানিয়ে বক্তব্য রাখেন সারা ভারত খেতমজুর ইউনিয়নের সভাপতি বিজয় রাঘবন, সারা ভারত গণতান্ত্রিক মহিলা সমিতির সর্বভারতীয় সম্পাদিকা মরিয়ম ধাওয়ালে।

বিজয় রাঘবন বলেন, শ্রেণি ঐক্য গড়ে তোলার মধ্যে দিয়েই মোদির সাম্প্রদায়িক ও করপোরেটমুখী নীতি পরাস্ত হবে। শ্রমিক-কৃষক ও খেতমজুর সংগঠনের আরও ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন গড়ে তোলা জরুরি। মরিয়ম ধাওয়ালে বলেন, লিঙ্গ বৈষম্য ক্রমবর্ধমান। কৃষিতে মহিলাদের মজুরি কম। বিভিন্ন গণসংগঠনের যৌথ আন্দোলন ধারাবাহিকভাবে গড়ে তোলা জরুরি।

১৩ ডিসেম্বর খসড়া রাজনৈতিক ও সাংগঠনিক প্রতিবেদন পেশ করেন সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক হান্নান মোল্লা। এই প্রতিবেদনে কৃষি পরিস্থিতি, সংগঠন, আন্দোলন সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে পর্যালোচনা করা হয়েছে।

হান্নান মোল্লা বলেন, ২০১৭ সালের অক্টোবর মাসে হরিয়ানার হিসারে ৩৪তম সম্মেলনে নয়া উদার অর্থনীতির প্রভাব কৃষি ক্ষেত্রে কী পড়েছে তা পর্যালোচনা হয়েছিল। সেখানে আমরা দেখেছিলাম, নয়া-উদারবাদী অর্থনীতিতে কৃষকরা ক্ষতিগ্রস্ত । গত পাঁচ বছরে মোদি সরকার করপোরেটমুখী নীতি আরও বেশি বেশি প্রয়োগ করেছে।

করপোরেট-লাভের দিকে তাকিয়েই মোদির কৃষিনীতি পরিচালিত হচ্ছে। হিসার সম্মেলনে স্লোগান ছিল, কৃষক সভা সব গ্রামে, সব কৃষক কৃষক সভায়। গত পাঁচ বছরে আন্দোলনের ক্ষেত্র যেমন প্রসারিত হয়েছে তেমনি সংগঠনও প্রসারিত হয়েছে। হান্নান মোল্লা বলেনঃ সংগ্রাম, সংহতকরণ ও বিকল্পের কথা মানুষের কাছে তুলে ধরার অঙ্গীকার আমাদের তুলে ধরতে হবে।

রিপোর্টে খুব পরিষ্কারভাবে বলা হয়েছে - বিশ্ব আর্থিক সংকট ক্রমবর্ধমান, ক্ষুধার্ত মানুষের সংখ্যা বাড়ছে।

বেকারি বাড়ছে। অতিমারী সংকটকে আরও তীব্র করেছে। বিশ্বজুড়ে রাজনীতি অনেকটা দক্ষিণমুখী।

রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, আরএসএস’র কথায় দেশের সরকার পরিচালিত হচ্ছে। বিজেপি সরকারের নীতি প্রতিক্রিয়াশীল, বিভাজনমূলক। করপোরেট-সাম্প্রদায়িক বোঝাপড়ার সরকার চলছে। গত ৪৫ বছরে সর্বোচ্চ সংখ্যক বেকারি। বিচারবিভাগ, নির্বাচন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সবেতেই আরএসএস’র দখলদারি চলছে।

হান্নান মোল্লা রিপোর্ট উত্থাপন করতে গিয়ে বলেন, ২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের আগে মোদি বলেছিলেন, দেশে কৃষি সংকটের তীব্রতা থেকে তিনি মুক্তি দেবেন। স্বামীনাথন কমিশনের সুপারিশ মেনে ‘‘ফসলের ন্যূনতম সহায়ক মূল্য” নির্ধারণ করবেন, কম সুদে সরকারি ঋণ চাষিদের দেওয়া হবে ও ফসলের ক্ষতি হলে সরকারি বিমা কৃষককে দেওয়া হবে। কিন্তু এগুলির একটাও বাস্তবায়িত হয়নি। ফলে কৃষকের আত্মহত্যা বাড়ছে, কৃষি আয় কমছে।

খসড়া রিপোর্টে দেখানো হয়েছে চাষ থেকে আয় কমছে। এনএসও প্রকাশিত তথ্যে (১০ সেপ্টেম্বর, ২০২১) দেখানো হয়েছে, দৈনিক একজন কৃষক চাষ থেকে মাত্র ২৭ টাকা আয় করে। চাষে আয় কমছে। চাষ আর লাভজনক নয়। কৃষক আত্মহত্যা করতে বাধ্য হচ্ছেন। জাতীয় ক্রাইম ব্যুরোর সমীক্ষাতে প্রকাশ পেয়েছে, গত আট বছরে এক লক্ষের উপর কৃষক আত্মহত্যা করতে বাধ্য হয়েছেন। গত দু’দশকে (১৯৯৫-২০১৪) ২,৯৬,৪৩৮জন কৃষক আত্মহত্যা করেছেন। গুজরাট, ছত্তিশগড়, পাঞ্জাব, পশ্চিমবঙ্গে কৃষক আত্মহত্যা ক্রমবর্ধমান। পাঞ্জাবে কৃষক আত্মহত্যা উদ্বেগজনক পর্যায়ে পৌঁছেছে। ওই রাজ্যে ২০০০-১৮ সালে গড়ে প্রায় ৯০০ কৃষক প্রতিবছর আত্মহত্যা করেছেন। একটি আরটিআই থেকে জানা যাচ্ছে, পশ্চিমবাংলার পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় ২০২১ সালে ১২২ জন কৃষক আত্মহত্যা করেছেন। যদিও এসব সত্ত্বেও চাষে সরকারি সহায়তা কমছে। ২০১০-১১ এবং ২০১৯-২০ কেন্দ্রীয় বাজেট ও রাজ্য বাজেটে কৃষির অংশ ১১ শতাংশ থেকে কমে ৯.৫ শতাংশ হয়েছে।

কোভিড-১৯ সংকটকে আরও বাড়িয়েছে বলে রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে। মনরেগা প্রকল্পকে কার্যত অকেজো করে দেওয়া হচ্ছে। বিপন্ন খাদ্য নিরাপত্তা।

হান্নান মোল্লা রিপোর্ট উত্থাপন করে বলেন, বিশ্বব্যাঙ্ক, বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার চাপ মেনে নিচ্ছে সরকার। মুক্ত বাণিজ্যের নাম করে আমদানি-রপ্তানির উপর বিধিনিষেধ প্রত্যাহার করে নেওয়া হচ্ছে, যার মধ্যে অনেক কৃষিজ দ্রব্য আছে। সংকট নেমেছে কৃষিতে।

সারা ভারত কৃষক সভার ৩৫তম সম্মেলনে সাধারণ সম্পাদকের পেশ করা রিপোর্টে দেখা যাচ্ছে ,জমিহারা মানুষের সংখ্যা বাড়ছে, আদিবাসীরা বেশি বেশি করে জমি থেকে উৎখাত হচ্ছেন। রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, অতিমারীর সময় সরকারের নীতি ছিল অমানবিক। চাষিরা ওই সময় আরও বিপদে পড়েছিলেন। প্যাকেজের নামে জুমলা হয়েছে। অতিমারীর সময় মোদি সরকার তিনটি কৃষক বিরোধী, করপোরেটমুখী কৃষি বিল আনে। পরে তা আইনে পরিণত করা হয়। আনা হয় বিদ্যুৎ আইন সংশোধনী বিল (২০২০)। এর বিরুদ্ধেও ঐতিহাসিক কৃষক আন্দোলন পরিচালিত হয়েছে।

রিপোর্টে বলা হয়েছে, গত পাঁচ বছরে অন্যান্য কৃষক সংগঠনগুলির সঙ্গে যেমন যুক্ত আন্দোলন হয়েছে তেমনি সংগঠনের পক্ষ থেকে একক আন্দোলনও হয়েছে। স্বাধীনতার পর সর্ববৃহৎ কৃষক আন্দোলন পরিচালিত হয়েছে।

সংযুক্ত কিষান মোর্চার নেতৃত্বে যে কৃষক আন্দোলন পরিচালিত হয়েছে সেখানে সারা ভারত কৃষক সভার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল। গত আট বছরে মোদি সরকারকে বারেবারে কৃষক প্রতিরোধের মুখে পড়তে হয়েছে। প্রথম ধাক্কা মোদি সরকারকে কৃষক আন্দোলনই দিয়েছে। ভূমি অধিগ্রহণ অধ্যাদেশ প্রত্যাহার করতে বাধ্য হয় মোদি সরকার।

ভূমি অধিকার আন্দোলনে সারা ভারত কৃষক সভার উজ্জ্বল ভূমিকা ছিল। ঋণ মুক্তির দাবিতে মহারাষ্ট্রে ২০১৭ সালে কৃষক সংগঠনগুলির ধর্মঘট হয়েছে। ঋণ মুক্তির দাবিতে রাজস্থানে ২০১৭, ২০১৮ সালে বড়ো ধরনের আন্দোলন সংগঠিত হয়েছে। ২০১৮ সালে সারা ভারত কৃষক সভার নেতৃত্বে মহারাষ্ট্রে কিষান লঙ মার্চ হয়েছে।

হান্নান মোল্লা বলেন, গত কয়েকবছরে শ্রমিক-কৃষক-খেতমজুর সংগঠনের পক্ষ থেকে যৌথ আন্দোলন হয়েছে।

২০১৮ সালের ৯ আগস্ট জেল ভরো আন্দোলন, ৫ সেপ্টেম্বর মজদুর-কিষান সংঘর্ষ সমাবেশ দিল্লিতে হয়েছে।

যৌথ আন্দোলনের প্রয়োজনীয়তা বারংবার অনুভূত হয়েছে বলে হান্নান মোল্লা উল্লেখ করেন। এআইকেএসসিসি’র নেতৃত্বে কিষান মুক্তি যাত্রা হয়েছে।

রিপোর্টে বলা হয়েছে, সংযুক্ত কিষান মোর্চার নেতৃত্বে তিনটি কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে আন্দোলন মোদি সরকারকে আতঙ্কিত করে তুলেছিল। সংযুক্ত কিষান মোর্চায় পাঁচশোর বেশি কৃষক সংগঠন আছে।

রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে দিল্লির ঐতিহাসিক আন্দোলন দেখিয়ে দিয়েছেঃ ১) ইস্যুভিত্তিক আন্দোলন গড়ে তুললে ফল পাওয়া যায়। ২) এই আন্দোলনে শ্রমিক-কৃষক ঐক্য গড়ে উঠেছে। ৩) আন্দোলন সাম্প্রদায়িক বিভাজনের রাজনীতিকে পরাস্ত করেছে। ৪) কৃষক আন্দোলনের প্রভাব বেশ কয়েকটি রাজ্য বিধানসভা নির্বাচনে পড়েছে।

হান্নান মোল্লা রিপোর্ট উত্থাপন করতে গিয়ে বলেন, মোদি সরকার আন্দোলনের চাপে তিন কৃষি আইন প্রত্যাহার করতে বাধ্য হয়েছে। কিন্তু সরকার প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করে চলেছে। তাই আরও বড়ো আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।

তিনি বলেন, যৌথ কৃষক আন্দোলনের সঙ্গে সঙ্গে সংগঠনের স্বাধীন আন্দোলনের কার্যক্রম বাড়াতে হব। কিন্তু যৌথ আন্দোলন নিয়ে ভ্রান্ত ধারণা, সংকীর্ণ দৃষ্টিভঙ্গি থাকলে তা পরিহার করতে হবে। গত ১০ বছরে যৌথ আন্দোলনে ফল এসেছে। বোঝাপড়া উন্নত হওয়া বাঞ্ছনীয়।

হান্নান মোল্লা প্রতিনিধিদের সামনে রিপোর্ট পেশ করতে গিয়ে বলেন, এবার রাজ্যে রাজ্যে আন্দোলন ছড়িয়ে দিতে হবে।

সাধারণ সম্পাদকের পেশ করা রিপোর্টে দেখা যাচ্ছে, গত কয়েকবছরে আন্দোলনের প্রভাব সদস্য সংগ্রহে পড়েছে। সদস্যের পরিমাণ দেশে বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০২০-২১ সালে সদস্য সংগৃহীত হয়েছিল, ১,১৭,৪১,৫১৩।

২০২১-২২ সালে এই সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১,৩৬,৮৫,৮১২। অন্ধ্র প্রদেশ, আসাম, বিহার, গুজরাট, হরিয়ানা, হিমাচল প্রদেশ, ঝাড়খণ্ড, কর্নাটক, কেরালা, মধ্যপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র, ওডিশা, পাঞ্জাব, রাজস্থান, তামিলনাডু, তেলেঙ্গানা, উত্তরাখণ্ড, উত্তর প্রদেশ এবং পশ্চিমবঙ্গে সদস্য বেড়েছে। বেড়েছে গ্রামস্তরে সাংগঠনিক কাঠামো।

ফসলভিত্তিক সংগঠন গড়ে তোলার সিদ্ধান্ত অনেকাংশে বাস্তবায়িত করার ফলে সংগঠন প্রসারিত হয়েছে।

হান্নান মোল্লা বলেন, আগামীদিনে আন্দোলনের উত্তাপ বাড়াতে হবে। ২৬ নভেম্বর মোদির প্রতিশ্রুতি ভঙ্গের বিরুদ্ধে ২৫ রাজ্যে বড়ো বড়ো সমাবেশে অন্তত ৫০ লক্ষ কৃষক অংশ নিয়েছিলেন। এটি ছিল সংযুক্ত কিষান মোর্চার কর্মসূচি কিন্তু সারা ভারত কৃষক সভার বড়ো ভূমিকা ছিল এই কর্মসূচিতে।। তিনি ৫ এপ্রিল পার্লামেন্ট অভিমুখে শ্রমিক-কৃষক সংঘর্ষ সমাবেশকে ঐতিহাসিক রূপ দেওয়ার আহ্বান জানান।

এদিন সংযুক্ত কিষান মোর্চার নেতৃত্বের উপস্থিতিতে বিশেষ অধিবেশন হয়। এই অধিবেশনে উপস্থিত ছিলেন সংযুক্ত কিষান মোর্চার অন্যতম শীর্ষ নেতৃত্ব রাকেশ টিকায়েত, অখিল ভারত কিষান সভার অতুল কুমার অঞ্জন, অখিল ভারতীয় কিষান মহাসভার রাজা রাম সিং।

রাকেশ টিকায়েত বলেন, আগামীদিনে আন্দোলনের গতি আরও বাড়বে। কৃষিতে করপোরেট লুট চলবে না। খেতি বাঁচাতে হবে। খেতি বাঁচলে চাষি বাঁচবে, চাষি বাঁচলে দেশ বাঁচবে। মোদি কৃষকদের প্রতি মিথ্যাচার করে চলেছেন। এই ভ্রষ্টাচারের জবাব দিতে পারে ঐক্যবদ্ধ কৃষক আন্দোলন।

প্রতিনিধি অধিবেশনের প্রথম দিনে ২০২১-২২ সালের কৃষক আন্দোলনের বিষয়ে একটি ওয়েবসাইটের উদ্বোধন করেন হান্নান মোল্লা। এখানে ঐতিহাসিক কৃষক আন্দোলনের বিস্তারিত নথিপত্র, তিনটি কৃষি আইন সহ প্রাসঙ্গিক বিষয় আছে।

৩৫তম সর্বভারতীয় সম্মেলন থেকে আন্দোলনের প্রশ্নে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গৃহীত হতে চলেছে।


(সম্মেলনের অবশিষ্ট প্রতিবেদন আগামী সপ্তাহে)