E-mail: deshhitaishee@gmail.com  | 

Contact: +91 33 2264 8383

৬০ বর্ষ ১৮ সংখ্যা / ১৬ ডিসেম্বর, ২০২২ / ২৯ অগ্রহায়ণ, ১৪২৯

বিজ্ঞান আলোচনা

এদেশে সংকুচিত হচ্ছে বিজ্ঞান গবেষণা

তপন মিশ্র


দেশের সম্ভাবনাময় কিশোর-কিশোরীদের বিজ্ঞান গবেষণায় উৎসাহিত করতে প্রায় দুই দশকেরও বেশি সময়ের প্রয়াস ‘কিশোর বৈজ্ঞানিক প্রোৎসাহন যোজনা’ (‘কেভিপিওয়াই’) পরিকল্পিতভাবে বন্ধ করে দিল মোদি সরকার। এই বছর থেকে ভারত সরকারের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রক কেভিপিওয়াই হঠাৎ বন্ধ করার বিজ্ঞপ্তি জারি করে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে “KVPY Aptitude test will not be conducted from the year 2022 onwards”। কিশোর বৈজ্ঞানিকদের নির্বাচন করার জন্য যে পরীক্ষা প্রত্যেক বছর হয়ে থাকে সেটাই হলো ‘কেভিপিওয়াই’ আপ্টিচিউড টেস্ট।

কেউ কেউ বলছেন যে, কেভিপিওয়াই-কে ইন্সপায়ার (INSPIRE) নামে আর একটি জাতীয় স্তরের কর্মসূচির সঙ্গে যুক্ত করে দেওয়া হবে। কিন্তু ইন্সপায়ার ফেলোশিপের কতগুলি প্রতিবন্ধকতা থাকায় সবার জন্য তা উন্মুক্ত নয়। কেন্দ্রীয় সরকারের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি দপ্তর ২০২২-এ এই বিজ্ঞপ্তিতে সব কিছু খুলে না বললেও যে খবর পাওয়া যাচ্ছে, তার থেকে পরিষ্কার যে, পরীক্ষা নেওয়ার জন্য যে পরিকাঠামো ও অর্থ ব্যয় হয় সরকার তা বহন করতে রাজি নয়। দেশে কিশোর বয়স থেকে বিজ্ঞানের বিভিন্ন ধারায় মৌলিক গবেষণায় উৎসাহী ছাত্রছাত্রীদের আকর্ষিত করতে এই প্রকল্পের শুরু হয় ১৯৯৯ সালে।

এই যোজনার লক্ষ্য ছিল, শিক্ষার্থীদের মধ্যে সফল বিজ্ঞান গবেষক হিসাবে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার সম্ভাবনাকে উপলব্ধি করতে সহায়তা করা এবং দেশে গবেষণা ও উন্নয়নের জন্য সেরা বৈজ্ঞানিক প্রতিভা তৈরি নিশ্চিত করা। নির্বাচিত কেভিপিওয়াই ফেলোদের (ছাত্র বা ছাত্রী) প্রাক পিএইচডি পর্যন্ত ফেলোশিপ সরকারি অনুদান হিসাবে প্রদান করা হতো। সাধারণভাবে ১০+২ পাশ করার পর ৫ বছর বা স্নাতকোত্তর ডিগ্রি শেষ করা পর্যন্ত (যেটি আগে) এই ফেলোশিপের অর্থ মাসে মাসে দেওয়া হতো। প্রদত্ত অর্থের পরিমাণ ছিল স্নাতক স্তরে মাসিক ৫,০০০ টাকা এবং স্নাতকোত্তর স্তরে মাসিক ৭,০০০ টাকা। এছাড়াও, কেভিপিওয়াই ফেলোদের জন্য গ্রীষ্মকালীন শিবির দেশের মর্যাদাপূর্ণ গবেষণাকেন্দ্র এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিতে আয়োজন করা হতো।

ভারত সরকারের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিভাগ নোডাল এজেন্সি হিসাবে কেভিপিওয়াই পরীক্ষার জন্য সংগঠিত ও পরিচালনার সামগ্রিক দায়িত্ব বেঙ্গালুরুর ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ সায়েন্স (IISc)-কে অর্পণ করে এবং এর তত্ত্বাবধানের জন্য একটি ব্যবস্থাপনা কমিটি এবং একটি জাতীয় উপদেষ্টা কমিটি (ন্যাশনাল অ্যাডভাইসরি কমিটি - এনএসি) গঠন করে। এদের কাজ কেভিপিওয়াই প্রোগ্রামের কাজ পরিচালন, গুণমান নির্ধারণ ইত্যাদি দিক দেখাশোনা করা। প্রতি বছর প্রায় ২৮০০ ছাত্রছাত্রী নিজেদের যোগ্য প্রমাণ করে এই যোজনার আওতায় আসত।

বন্ধ করার সিদ্ধান্তের প্রেক্ষাপট তো আছেই

সরকারের সিদ্ধান্ত এমন যে, মাথাব্যথা হলে তার নিরাময়ের চেষ্টা না করে বরং মাথা কাটাই শ্রেয়স্কর বিবেচনা করা। কেভিপিওয়াই-র পরীক্ষা পরিচালন সম্পর্কিত সমস্যার সমাধান না করে ব্যবস্থাটি সম্পূর্ণ তুলে দেওয়ার এক অজুহাত খুঁজছিল সরকার। এই সিদ্ধান্তের একটা প্রেক্ষাপট আছে। কেভিপিওয়াই দেশব্যাপী পরীক্ষার ভাষা সংক্রান্ত বিষয়ে তামিলনাডুর মাদুরাই হাইকোর্টে একটি মামলা হয়। মামলার বিষয় ছিল, দেশজুড়ে কেবল ইংরেজিতে পরীক্ষা না করে সমস্ত প্রাদেশিক ভাষায় (scheduled language) পরীক্ষা গ্রহণের ব্যবস্থা সরকারকে করতে হবে। এটা কোনো নতুন দাবি নয়। দেশে বেশ কিছু জাতীয় স্তরের পরীক্ষা বিভিন্ন প্রাদেশিক ভাষায় হয়ে থাকে। এটাই স্বাভাবিক কারণ, দেশের বৈচিত্র্যকে সম্মান করা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আদালতের নির্দেশ মেনে সরকার এই কাজ করতে অক্ষমতা প্রকাশ করেছে। আসলে এটা একটা অজুহাত মাত্র। ভারত সরকারের আসল উদ্দেশ্য হলো, বিজ্ঞান গবেষণা বিশেষকরে মৌলিক গবেষণার সমস্ত প্রকল্পে বিনিয়োগ হ্রাস করে পর্যায়ক্রমে বন্ধ করার ব্যবস্থা করা। মৌলিক বিজ্ঞানের গবেষণা বন্ধ করে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির প্রায়োগিক গবেষণার যা কিছু ব্যবস্থা অবশিষ্ট থাকবে সেগুলিকে করপোরেট নির্ভর করার জন্য বাধ্য করার লক্ষ্যে এই চেষ্টা।

দেশের বিজ্ঞান গবেষণার বিনিয়োগ কমাচ্ছে সরকার

২০২১ সালে প্রকাশিত ইউনেস্কো-র তথ্য বলছে (UNESCO Science Report,Towards 2030) যে, ভারতের গবেষণায় বিনিয়োগ একদমই আশাব্যঞ্জক নয়। রিপোর্ট বলছেঃ “ভারতে গবেষণায় গুরুত্ব ২০১৪ সাল থেকে ক্রমান্বয়ে হ্রাস পাচ্ছে। ২০০৩ সালের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি নীতিতে ২০০৭ সালের মধ্যে জিডিপি’র ২ শতাংশ গবেষণা ও উন্নয়নের খাতে (R&D) ব্যবহারের জন্য লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়। ২০১৩ সালে আবার নতুন করে যে বিজ্ঞান, প্রযুক্তি এবং উদ্ভাবনী নীতি (Science, Technology and Innovation Policy 2013) গ্রহণ করা হয় সেখানে আবার ২০২২ সালের মধ্যে একই প্রতিশ্রুতি প্রধানমন্ত্রীর ইকোনমিক অ্যাডভাইসরি কাউন্সিলের পক্ষ থেকে দেওয়া হয়। পরবর্তীকালে এই লক্ষ্যমাত্রাকে ২০১৮-তে নির্ধারণ করা হয়। তারপর আবার ২০২০ সালে, দেশের নতুন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি নীতির খসড়া তৈরি করার জন্য গঠিত টাস্ক ফোর্স এই লক্ষ্যের তারিখটিকে আরও কিছু পিছিয়ে ২০৩০ পর্যন্ত করার প্রস্তাব করেছে।

এই কঠোর বাস্তবতা আমাদের দেশের স্বনির্ভরতার পরিপন্থী। ইউনেস্কো সায়েন্স রিপোর্টে সেন্টার ফর ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ (সিডিএস)-র অধিকর্তা সুনীল মানি লিখছেন যে, বিজ্ঞান গবেষণার খাতে মোট দেশীয় ব্যয় (gross domestic expenditure on research and experimental development বা GERD) বছরের পর বছর ধরে জিডিপি’র ০.৭ শতাংশে স্থির রয়েছে। তিনি আরও যোগ করেন যে, ব্রিকস দেশগুলির (ব্রাজিল, রাশিয়া, ভারত, চীন এবং দক্ষিণ আফ্রিকা) মধ্যে ভারতের জিইআরডি সর্বনিম্ন। ১৯৯০-এর দশকে আমাদের দেশে বিজ্ঞান গবেষণার খাতে মোট দেশীয় ব্যয় ০.৬ শতাংশ ছিল এবং আমাদের আরও অগ্রগতির স্বপ্ন দেখানো হচ্ছিল। সেই স্বপ্ন এখনও বাস্তবায়িত হয়নি। এই সময়কালে অর্থাৎ ১৯৯৬ সালে আমাদের প্রতিবেশী দেশ চীনেরও বিজ্ঞান গবেষণার খাতে ব্যয়ের পরিমাণ প্রায় একই ছিল। কিন্তু চীন ২০০২ সালে এই খাতে ব্যয় ১.১ শতাংশে বৃদ্ধি করতে সক্ষম হয় এবং ২০১৪ সালে ব্যয় বরাদ্দ পৌঁছে যায় প্রায় ২ শতাংশে। ২০১৯ সালে এই খাতে ব্যয়ের পরিমাণ দাঁড়িয়ে যায় প্রায় ৪.৮ শতাংশ। অর্থাৎ পরিকল্পিতভাবে গবেষণা ক্ষেত্রে রাষ্ট্রের বিনিয়োগ বৃদ্ধি চীনের স্বনির্ভরতাকে যেমন আরও বিকশিত করেছে তেমনই দেশের আর্থ-সামাজিক ব্যবস্থাকেও দৃঢ করতে সাহায্য করেছে।

অধ্যাপক মানি 'দি হিন্দু'কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন যে, ভারতে বর্তমানে প্রতি ১০,০০০ কর্মরত মানুষের মধ্যে ১১ জন গবেষণার সঙ্গে যুক্ত। ১৯৯০-এর দশক থেকে এক্ষেত্রে তেমন কোনো উন্নতি ঘটেনি। চীনে এই সংখ্যা ৫০, জাপানে ১৩০ এবং দক্ষিণ কোরিয়াতে ১৮০।

আমাদের দেশে সরকার গবেষণা এবং উন্নয়ন খাতে প্রকৃত ব্যয় ২০১৫ সাল থেকে ক্রমাগত হ্রাস করে চলেছে। এক্ষেত্রে বেসরকারি ব্যবসায়িক উদ্যোগের ব্যয়ের অংশ কিছুটা বৃদ্ধি পেয়ে এখন প্রায় ৪২ শতাংশ। কেউ কেউ মনে করতে পারেন যে, এটি একটি ইতিবাচক প্রবণতা। কিন্তু আসলে এই ব্যয় বৃদ্ধি হয়েছে মাত্র কয়েকটি নির্দিষ্ট ক্ষেত্রে। এগুলির মধ্যে আছে ফার্মাসিউটিক্যালস এবং তথ্য প্রযুক্তির মতো কয়েকটি ক্ষেত্র। আরও উল্লেখ্য যে, বিদেশি বহুজাতিকদের দ্বারা গবেষণা এবং উন্নয়নের ক্ষেত্রে বিনিয়োগ বৃদ্ধি পাচ্ছে। বর্তমানে এর পরিমাণ ১৬ শতাংশের মতো। খবরটি যতটা আশার তার থেকে বেশি আশঙ্কার। গবেষণার ক্ষেত্রে বেসরকারি বিনিয়োগ কেবলমাত্র সেই ক্ষেত্রে হয় যেখানে মুনাফার সম্ভাবনা প্রবল। দেশের মানুষের কিছু মৌলিক সমস্যা সমাধানের জন্য গবেষণার কোনো উৎসাহ বেসরকারি সংস্থাগুলি নেই।

এতদ্‌সত্ত্বেও অত্যাধুনিক প্রযুক্তি সম্পর্কে ভারতীয় গবেষকদের বৈজ্ঞানিক গবেষণা প্রকাশনা উৎসাহজনকভাবে বৃদ্ধি ঘটেছে। ২০১১ সালে মোট প্রকাশনা ছিল ৮০,৪৫৮টি প্রবন্ধ। ২০১৯ সালে সেই সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়ায় ১.৬১ লক্ষ।ভারতীয় গবেষকরা স্মার্ট-গ্রিড প্রযুক্তি, ফোটোভোলটাইক্স, জৈব জ্বালানি এবং বায়োমাস এবং বায়ু টারবাইন প্রযুক্তিতে বিশ্বমানের প্রকাশনায় বড়ো ভূমিকা পালন করেন। এই গবেষণা বিকল্প এবং পরিবেশ-বান্ধব প্রযুক্তি বিকাশে বড়ো ভূমিকা নিয়ে থাকে।

গবেষণায় সিদ্ধান্ত গ্রহণে গবেষকদের ভূমিকা নগণ্য

দেশে প্রায় ৪০টির কাছাকাছি কেন্দ্রীয় গবেষণা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। দেশে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির বিভিন্ন ক্ষেত্রে গবেষণা বিকশিত করতে বিভিন্ন সময়ে এগুলি তৈরি হয়েছে। স্বাধীনতার পরে এই সমস্ত প্রতিষ্ঠানের পরিচালন ও নিয়ন্ত্রণ ছিল বিজ্ঞানীদের হাতে। কিন্তু ধীরে ধীরে এই ব্যবস্থা খর্ব হয়েছে। কেন্দ্রীয় এই প্রতিষ্ঠানগুলিতে আমলাদের প্রতিপত্তি বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে রাজনৈতিক ব্যক্তিদের হস্তক্ষেপ বৃদ্ধি পেয়েছে।

দেশের প্রাক্তন উপরাষ্ট্রপতি হামিদ আনসারি ২০১৬ সালে মহীশুরের এক সভাতে দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে গবেষণার সংকোচন সম্পর্কে কিছু গুরুত্বপূর্ণ মন্তব্য করেন। আনসারি দেশের সব থেকে বেশি সময় ধরে উপরাষ্ট্রপতি হিসাবে কর্মরত ছিলেন। তিনি বলেন যে, দেশের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি নীতি বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে গবেষণা বিকাশের ক্ষেত্রে বাধা তৈরি করছে। তিনি আরও বলেন যে,আমাদের দেশে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি নীতি প্রণয়নের সময় একটি গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্র অবহেলিত থেকে গেছে। তা হলো - আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর উন্নয়ন, বিশেষকরে বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি গবেষণার উন্নয়ন। অনেক ক্ষেত্রে সাফল্য থাকা সত্ত্বেও ভারতীয় সমাজের শিক্ষার আলোকে আলোকিত জনসমষ্টির মধ্যে বৈজ্ঞানিক মেজাজের অভাব রয়েছে। এর কারণ হলো অযৌক্তিক বিশ্বাস পোষণ করা।

জিএসটি’র ভারে ন্যুব্জ

বিজ্ঞানের গবেষণার অনেকটাই পরীক্ষা নির্ভর।ফলে গবেষণার মান নির্ভর করে কোন যন্ত্র দিয়ে কাজটা করা হচ্ছে সেটার ওপর। ইতিমধ্যে সরকার গবেষণার সমস্ত যন্ত্রপাতির এবং অন্যন্য সামগ্রীর উপর ৫-১৮ শতাংশ জিএসটি লাগু করেছে। ফলে উচ্চমানের যন্ত্রপাতি কিনতে গবেষণাগারগুলির প্রাণ ওষ্ঠাগত। যারা এই যন্ত্রপাতি বাণিজ্যিক কারণে ব্যবহার করেন তাদের জিএসটি দিতে বাধ্য করা যেতে পারে কিন্তু গবেষণা ব্যবহারের ক্ষেত্রে সমান ব্যবস্থা থাকা অনুচিত। এমনকী যারা তাত্ত্বিক গবেষণার কাজে যুক্ত তাদের যন্ত্রের চাহিদা কম হলেও উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন কম্পিউটার নেটওয়ার্কের চাহিদা রয়েছে। বড়ো বড়ো গণনা কম সময়ে সহজে করার জন্য এই ক্লাস্টার বা নেটওয়ার্ক জরুরি হয়ে পড়ে। ঠিক তেমনই ভাইরাস সংক্রান্ত গবেষণার জন্য আরটিপিসিআর যন্ত্র দরকার। আবার এই যন্ত্র ব্যবসায়িক কাজেও ব্যবহৃত হয়। উভয়ের জন্য সমান জিএসটি মোটেই কাম্য নয়। এমনিতেই গবেষণায় আর্থিক ঘাটতি রাজ্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকে পঙ্গু করে ফেলছে তার উপর জিএসটি। মোদ্দা কথা হলো, গোটা গবেষণা ব্যবস্থাটা ধীরে ধীরে চোরাবালিতে ডুবে যাচ্ছে।

বর্তমানে দেশের সরকার এই সুযোগ ব্যবহার করে যাতে বিজ্ঞান চর্চার গোড়ায় আঘাত করা যায় তার ব্যবস্থা করছে। এই সময়ে গবেষণায় বিনিয়োগ হ্রাস এবং উপযুক্ত মেধা অনুসন্ধানে বাধাদান দেশের করপোরেট স্বার্থ পোষণকারী এবং হিন্দুত্ববাদী সরকারের প্রধান লক্ষ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে।