E-mail: deshhitaishee@gmail.com  | 

Contact: +91 33 2264 8383

৫৮ বর্ষ ৪৮ সংখ্যা / ১৬ জুলাই, ২০২১ / ৩১ আষাঢ়, ১৪২৮

ডাক পাঠায় সুন্দরবন

সৌরভ চক্রবর্তী


(গত সংখ্যার পর)

জেমস রেনেল একজন বিখ্যাত ব্রিটিশ ভূগোল বিশারদ ঐতিহাসিক এবং সমুদ্র বিজ্ঞানী, তাঁকে সমুদ্রবিজ্ঞান বিদ্যার জনক বলা হয়। তিনি প্রথম নিখুঁতভাবে বাংলার মানচিত্র বেঙ্গল অ্যাটলাস তৈরি করেন ১৭৭৯ সালে। তাঁর মানচিত্রে সুন্দরবনের একটি অঞ্চলকে ‘কান্ট্রি ডিপপুলেটেড বাই মগস’ বলা হয়েছে, মগ, পর্তুগিজ নির্যাতনে ১৭৬১ সালের মধ্যে সমগ্র বাকরগঞ্জ জনশূন্য হয়ে গিয়েছিল। নবাব সিরাজদ্দৌলার পরাজয়ের পর ১৭৫৭ সালের ডিসেম্বরে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানিকে ২৪ পরগনা উপঢৌকন দেন মীরজাফর। তার মধ্যে ছিল সুন্দরবনের বিস্তীর্ণ অঞ্চল, শুরু হলো শোষণের নতুন অধ্যায়।

দু’জনের নাম এ ব্যাপারে গুরুত্বপূর্ণ, একজন ২৪ পরগনার কালেক্টর ক্লড রাসেল,অন্যজন টিলম্যান হেঙ্কেল। শুরু হয় জঙ্গল হাসিলের কাজ। ১৭৭০-১৭৭৩ সালের মধ্যে কিছু জমি লিজ দেওয়ার ব্যবস্থা করেন ক্লড রাসেল। এইসব জঙ্গলাবৃত ভূভাগ জমিদারদের মধ্যে বিতরণ করা হয়েছিল। ১৭৮৩ সালে টিলম্যান হেঙ্কেল দ্বিতীয় পদক্ষেপ নেন। ছোটো ছোটো প্লটে জমি কৃষকদের মধ্যে বিতরণের প্রস্তাব দেওয়া হয়। জঙ্গল পরিষ্কার করে চাষাবাদের উপর গুরুত্ব দেওয়া হতে থাকে।

জানা যায় সম্রাট আকবরের সময় সুন্দরবনের প্রথম জরিপ হয়েছিল তারপর জরিপের কাজ করে লেফটেন্যান্ট ডব্লিউ ই মরিসন, তার ভাই হিউজ মরিসন,পরে ক্যাপ্টেন রবার্টসন হুগলি থেকে নোয়াখালি জলপথ পরিমাপ করেন। ১৮২২-২৩ সালে হুগলি নদী থেকে ঠাকুরাণ নদীর স্রোতরেখা পরিমাপ করেছিলেন লেফটেন্যান্ট ক্লিন। যমুনা থেকে হুগলি নদী পর্যন্ত সুন্দরবনের গহীন অরণ্য পরিমাপ করেন প্রিন্সেপ। তিনি মরিসনের ম্যাপ অনুসারে সমস্ত এলাকাকে নদীসহ কয়েকটি ব্লকে সংখ্যা দ্বারা চিহ্নিত করেন। এইভাবে সুন্দরবনে লট বা লাটের উদ্ভব। ১৮২৯-১৮৩০ সালে কমিশনার ডাম্পিয়ের এবং সার্ভেয়ার হজেস সুন্দরবনে জরিপ করে একটি কাল্পনিক রেখা টেনে দিলেন। সুন্দরবনের মানচিত্রে এই রেখাটি ডাম্পিয়ের হজপস লাইন হিসেবে স্বীকৃত। গুরুত্বপূর্ণ এই লাইনটি সুন্দরবনের উত্তর সীমান্ত হিসেবে স্বীকৃতি পায়, যার একদিকে অরণ্য হীন বসতি অঞ্চল অপরদিকে বনাঞ্চল।

১৮২৮ সালে সরকার ঘোষণা করে, সমগ্র সুন্দরবন সরকারি সম্পত্তি। সুন্দরবনের জঙ্গল হাসিল, কৃষি ব্যবস্থা ও লিজ দেওয়ার অধিকার সরকারের। ডাম্পিয়ের ও হজেস লাইনের দক্ষিণে ৭৯০৮ বর্গ কিলোমিটার বনাঞ্চলের ৩৭৩৭ বর্গ কিলোমিটার ১৮৩০ সালের মধ্যে পরিষ্কার করা হয় কৃষিকাজ ও বসতির জন্য, অর্থাৎ প্রায় অর্ধেক বনাঞ্চল ১৮৩০ সালের মধ্যেই সাফ হয়ে গেল। সুন্দরবনের জৈব বৈচিত্র্যে এর থেকে বড়ো আঘাত আর কী হতে পারে! কিন্তু এসবই হলো ব্রিটিশ রাজের পরিচালনায় তাদের কোষাগার ভরতির জন্য। উপনিবেশবাদী ব্রিটিশ এভাবেই প্রকৃতিকে লুটতরাজের বন্দোবস্ত করেছিল। এই ক্ষতির জন্য মানুষকে দায়ী করে কোনো লাভ নেই।

যাক, যেভাবেই হোক মানুষ নিজের জীবন সংগ্রামে টিকে থাকতে গিয়ে প্রকৃতিতে হস্তক্ষেপ করে, এ ক্ষেত্রেও তাই হয়েছে। ব্রিটিশ জঙ্গল হাসিল করিয়েছে নিজের স্বার্থে। এজন্য আদিবাসীদের ঝাড়খণ্ড, ওডিশা থেকে টেনে নিয়ে আসা হয়েছিল। জঙ্গলের কাজে তফশিলভুক্ত সম্প্রদায়কে মেদিনীপুর সহ অন্য জেলা বা চব্বিশ পরগনার অন্য জায়গা থেকে নিয়ে আসা হয়েছিল। সুন্দরবনের আদিবাসীদের আগমন জঙ্গল হাসিল করার প্রথম লগ্ন থেকেই।

মানুষ যেখানে বসতি গড়েছে, যুক্ত হয়ে পড়েছে নানা জীবিকায় কিন্তু সব জীবিকাই সুন্দরবনের বাস্তুতন্ত্রের সাথে নিবিড়ভাবে সম্পৃক্ত। একটা সময় পর্যন্ত মানুষের জীবন-জীবিকার সংগ্রাম সুন্দরবনের বাস্তুতন্ত্র মানিয়ে নিয়েছে কিন্তু এরও একটা সীমা আছে, আজকের সুন্দরবনের বাস্তুতন্ত্র বিশ্ব উষ্ণায়নের প্রেক্ষাপটে মানুষের জীবন-জীবিকাকেই লাল সংকেত বার্তা পাঠাচ্ছে। পাঠাচ্ছে সর্বোপরি মানুষের অস্তিত্বের প্রতি।

সুন্দরবনের সমস্যা ও সম্ভব্য প্রতিকার

আজকের সুন্দরবনের সমস্যাগুলির একটা তালিকা করা যেতে পারে যদিও হয়তো কোনো তালিকাই একশোভাগ সমস্যাকে ধরতে পারবে বলে মনে হয় না। কিছু না কিছু বাকি থেকে যাবেই। সমস্যাগুলিকে ধরার চেষ্টা করা যাক, দেখা যাক সম্ভাব্য প্রতিকারের বিষয়গুলি।

মনে রাখতে হবে সুন্দরবন এক মামুলি বন বা অরণ্যের নাম নয়। বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ অরণ্য ভূমি, পৃথিবীর একমাত্র যে অরণ্যভূমিতে বাঘেদের আশ্রয়। অনেকগুলি পালক আছে সুন্দরবনের মুকুটে। ভারত সরকার সুন্দরবন টাইগার রিজার্ভ গঠন করে ১৯৭৩ সালে এবং ১৯৭৮ সালে গঠন করে সংরক্ষিত বনাঞ্চল বা রিজার্ভ ফরেস্ট, যার ১৩৩০ বর্গ কিলোমিটার এরিয়া চিহ্নিত করে ১৯৮৪ সালে তাকে ব্যাঘ্র সংরক্ষিত জাতীয় উদ্যান হিসেবে ঘোষণা করা হয়। ম্যান অ্যান্ড বায়োস্ফিয়ার প্রকল্প হিসেবে ইউনেস্কো ১৯৮৭ সালে সুন্দরবনকে ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট হিসেবে ঘোষণা করে। ১৯৮৯ সালে ঘোষিত হলো সুন্দরবন বায়োস্ফিয়ার রিজার্ভ আর ২০১৯-এ ভারতের ২৭ তম জলাভূমি হিসেবে ঘোষিত হলো রামসার সাইট।

এই বিপুল জৈব বৈচিত্র্যের ভূমি আজ গভীর সংকটে। সংকট নিরসনে, সুন্দরবনের বাস্তুতন্ত্রের গুরুত্বপূর্ণ অংশ, সেখানকার মানুষকে সঙ্গে নিয়ে, সেই মানুষের দাবি মেনে, যার জন্য সুন্দরবন সেই জৈব বৈচিত্র্যকে অক্ষুণ্ণ রেখেই, জৈব বৈচিত্র্যের শুশ্রূষা করতে হবে, সংকটের মোকাবিলা করতে হবে।

সুন্দরবনের নদীবাঁধ

সুন্দরবনের নদী বাঁধ নিয়ে চরম বিতর্ক চলছে, উঠছে দাবি। সুন্দরবনের নদীগুলো জোয়ার ভাটার নদী। উত্তরের যমুনা, ইছামতি, বিদ্যাধরী, গঙ্গার সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করার পর উৎস প্রায় হারিয়ে আজ জোয়ার ভাটাই সম্বল, কালিন্দী, রায়মঙ্গল থেকে দক্ষিণে সপ্তমুখী, ঠাকুরাণ, মাতলা, গোয়াসাবা জোয়ার ভাটার নদী। জোয়ারের সময় সাগর থেকে নদীতে জল ঢোকে, পলি বয়ে আনে। ভাটার সবটা পলি নিয়ে যেতে পারে না, কারণ জোয়ারের বেগ বেশি, ভাটার টান কম, তাই জমে যায় পলি নদী খাতে, কোথাও তৈরি হয় চর, নদীখাত তার ধারণ ক্ষমতা হারায়। সাইক্লোনে, ভরা কোটালে জল বেড়ে নদীবাঁধ টপকে নোনাজল গ্রামে ঢুকে কৃষিজমিকে বরবাদ করে দেয়। যদি বাঁধ না থাকতো তাহলে জোয়ারের সময় পলি দু’কূল ভাসাতো, পলিস্তর জমতো, নদীখাত বুজতো না। বনাঞ্চলের ভালো হতো কিন্তু এই ধারণা সুন্দরবনের সাথে মানুষকে যুক্ত করার ধারণা নয়।

সুন্দরবনের নদীতে দিনে দু’বার করে জোয়ার ভাটা। জোয়ারে মানুষ যখন ঘুমোতে যায় জল তার ওপরে। তাই মানুষ বাঁধ দিয়েছে। কিন্তু বাঁধ কেন ভাঙে! নদীখাতে নানা বাক মোড়ে হাওয়ার গতি, জোয়ার-ভাটার স্রোতের টান ইত্যাদি হাইড্রো ডায়নামিকসের কারণে বাধ ভঙ্গুর হয়। ওপর থেকে বোঝা যায় না, জলের গভীরে কি ঘটছে! সেখানে হাইড্রো ডায়নামিকসের নিরন্তর খেলা তাই বাঁধের ভঙ্গুরতা বোঝার জন্য বিজ্ঞানভিত্তিক স্টাডির প্রয়োজন।

আয়লা থেকে ইয়াস যদি আমরা দেখি, দেখব যেখানে ঘন ম্যানগ্রোভ জঙ্গল আছে সেখানে তাদের শ্বাসমূল ঠেসমূল বাঁধ সংলগ্ন নদীখাতকে শক্ত করে ধরে রেখেছে, বাঁধ ভাঙেনি। জলোচ্ছ্বাসে বাঁধ টপকে নোনা জল জমিতে ঢুকেছে ঠিকই, কিন্তু নদীবাঁধ ভাঙতে পারেনি। অপরদিকে যেখানে একদম ন্যাড়া, ম্যানগ্রোভ নেই, সেখানেই অবধারিতভাবে বাঁধ ভেঙেছে, ভাঙে।

কোনও সাইক্লোনেই সুন্দরবনের ৩৫০০ কিলোমিটার মাটির বাঁধের ২০ ভাগের বেশি ভাঙেনি, বাকি আশিভাগ মাটির বাঁধ অক্ষতই থাকে। আয়লার পরে বামফ্রন্ট সরকার একটা সমীক্ষা করে বলেছিল, সুন্দরবনের ৩৫০০ কিলোমিটার মাটির বাঁধের ৭৭৮ কিলোমিটার ভঙ্গুর। সেই হিসেবে ওই অংশটুকু আয়লাবাঁধ নাম দিয়ে কংক্রিট বাঁধের জন্য ভারত সরকারের কাছে অর্থ চাওয়া হয়েছিল। পাঁচ হাজার কোটি টাকা মঞ্জুর হয়েছিল। যার মধ্যে জমি অধিগ্রহণ এবং ৮৪ কিলোমিটার বাঁধ তৈরি হতে ১০০০ কোটির কিছু বেশি অর্থ খরচ হয়েছিল। সে সময় বিরোধী দল বিরোধ করেছিল এই টাকার প্রশ্নে। পরবর্তীতে বাকি প্রায় ৪০০০ কোটি টাকা বর্তমান তৃণমূল সরকারের আমলে ফেরত চলে যায়। এটা চূড়ান্ত অদূরদর্শিতার উদাহরণ হিসেবেই ইতিহাসে থেকে যাবে।

অভিজ্ঞতা হলো ২০ শতাংশের বেশি বাঁধ ভাঙেনা, আর ঘন ম্যানগ্রোভ থাকলে বাঁধ ভাঙেনা। তাহলে সাড়ে ৩৫০০ কিলোমিটার কংক্রিট বাঁধের দাবির যুক্তি কী ! বর্তমান হিসেবে এক কিলোমিটার কংক্রিটের বাঁধের খরচ হলো ১০ কোটি টাকা। সেই হিসেবে ৩৫০০ কিমি কংক্রিটের বাঁধের খরচ ৩৫,০০০ কোটি টাকা। স্বাধীনতার পরে যে ভারত সরকার সুন্দরবনের জন্য একটা বিজ্ঞানসম্মত সমীক্ষাই করে উঠতে পারলো না! পারলো না সুসংহত পরিকল্পনা গ্রহণ করতে! আজ রাতারাতি ৩৫,০০০ কোটি টাকা বরাদ্দ তারা করে দেবেন এটা বিশ্বাসযোগ্য কথা! আর সুন্দরবনের সমস্যা কি শুধুই নদীবাঁধ! অন্য কিছু নয়! এই বিশাল পরিমাণ অর্থ খরচের ভাবনার কোনও যুক্তি আছে! একবগ্গা কংক্রিট বাঁধের আলোচনা বড়ো নির্মাণশিল্পের কারবারিদের খুশি করার জন্য? নাকি সার্বিকভাবে সুন্দরবনের ৫৪ টি দ্বীপে বসবাসকারী ৫০ লক্ষ মানুষের জন্য, জৈব বৈচিত্র্য রক্ষার জন্য? দাবি উঠুক, সুন্দরবনের নদী বাঁধের পুঙ্খানুপুঙ্খ বিজ্ঞানভিত্তিক সমীক্ষা চাই, তাতে যদি দেখা যায় কংক্রিটের বাঁধ ৭৭৮ কিমি থেকে বেড়ে ১০০০ কিলোমিটার পেরিয়ে যাচ্ছে, যাক। বাকি মাটির বাঁধ আধুনিক পদ্ধতিতে শক্তপোক্ত করে মেরামত করা হোক। অর্থ খরচ করা হোক সেখানকার জৈব বৈচিত্র্য রক্ষার প্রশ্নে, হারিয়ে যাওয়া ম্যানগ্রোভ অরণ্য বুনে দেবার জন্য, সুন্দরবনের মানুষের জীবন-জীবিকা রক্ষার জন্য, বিকল্প জীবিকার জন্য।

নোনা জলে মেছো ঘেরি

একবগ্গা কংক্রিটের নদীবাঁধের দাবি, অন্য সমস্যাগুলিকে আড়াল করছে। অভিজ্ঞতা বলছে সুন্দরবনের নদী বাঁধের বড়ো শত্রু হলো বাঁধের গায়ে নোনা জলের মেছো ঘেরি। তারা নোনাজল ঢোকায় আর বার করে বাঁধের শরীর কেটে। ফলত বাঁধ হয় ভঙ্গুর, তা সে যেই বাঁধই হোক না কেন!

এবার যদি বলা যায় যে, নোনাজলের মেছো ঘেরি করা যাবেনা, তাহলে তারা বলবে, আয়লা-পরবর্তী সময়ে কৃষির সর্বনাশ, ধনসম্পত্তির সর্বনাশে, গ্রামের ছেলেরা বাইরের রাজ্যে চলে গেছে, পরিযায়ী শ্রমিক হিসেবে, চাষে আয় নেই, সাইক্লোনে জমিতে নোনা জল, খাবার জুটবে কী করে! এই বাস্তব কারণেই একবগ্গা নোনা জলের মেছো ঘেরি গড়ে উঠছে অসংখ্য। তাতে যে বিনিয়োগ করতে হয় সবার কাছে সে অর্থ নেই, কেউ জমি দেয় কেউ মজুর খাটে আর লাভের মূল টাকাটাই চলে যায় যার পুঁজি তার কাছে। এই নোনা জলের ফিশারিজের জন্য সুন্দরবনের জলস্তরের লবণাক্ততা বাড়ে, কৃষিতে সাবমারসিবল পাম্পের যথেচ্ছ ব্যবহারে মাটির তলার মিষ্টি জল আজ অনেক নিচে নেমে গেছে। নোনা জলের মেছো ঘেরি নদীবাঁধের গায়ে করা যাবে না, এক্ষেত্রে স্লুইস গেটের ভেতরের জল ব্যবহার করতে হবে। নোনা জলের মাছ চাষ কৃষির ক্ষতি করছে তাই এক্ষেত্রে স্বাভাবিকভাবেই উঠে আসে বিকল্প পথের, বিকল্প জীবিকার, একাজ সরকারকেই করতে হবে।


(আগামী সংখ্যায় সমাপ্য)