৬০ বর্ষ ৪৪ সংখ্যা / ১৬ জুন, ২০২৩ / ৩২ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩০
পঞ্চায়েতে লুট করতেই গণতন্ত্র লুট
সুপ্রতীপ রায়
পঞ্চায়েত নির্বাচন আসন্ন। তৃণমূল কংগ্রেসের আমলে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের নিয়ন্ত্রণে নির্বাচন মানে আতঙ্ক। ২০১৩ ও ২০১৮ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনকে প্রহসনে পরিণত করা হয়েছিল। অবশ্য ২০১৩ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনে তৎকালীন রাজ্য নির্বাচন কমিশনার মীরা পান্ডে নিরপেক্ষভাবে নির্বাচন করার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু শাসকদলের নেতা-নেত্রীরা মীরা পান্ডের তীব্র বিরুদ্ধাচরণ করেছিলেন, প্রতিদিন অকথ্য ভাষা ব্যবহার করেছিলেন। ফলে মীরা পান্ডের প্রচেষ্টা ফলপ্রসূ হয়নি। তৃণমূলের জমানায় অনুষ্ঠিত দুটি পঞ্চায়েত নির্বাচনে গণতন্ত্র লুট হয়েছে। এবারের নির্বাচনেও তৃণমূল একই পথে হাঁটছে। যদিও এবার প্রতিরোধ তীব্র হচ্ছে। কিন্তু প্রশ্ন হলো তৃণমূল গণতন্ত্র লুট করছে কেন? কারণ পঞ্চায়েত নির্বাচনের ফলের উপর দাঁড়িয়ে রাজ্য সরকারের ভবিষ্যৎ নির্ভর করেনা।
তৃণমূল কংগ্রেসের সৌজন্যে রাজ্যের অর্থনীতি ভঙ্গুর অবস্থায় চলে গেছে। নীতি-নৈতিকতাকে কবরে পাঠানো হয়েছে। ফলে আইনের সীমানার বাইরে অনেকে বাধাহীনভাবে অর্থ লুট করে চলেছে। একটা অংশ আছে যারা তোলাবাজি, কাটমানি, সরকারি অর্থ আত্মসাৎ, উৎকোচ গ্রহণ প্রভৃতি কাজকর্মের মাধ্যমে বিপুল অর্থ রোজগার করে চলেছে। এরা গ্রাম্য লুম্পেন। গ্রামাঞ্চলের বুথে বুথে এরাই তৃণমূলের নেতা। পেশিশক্তির মাধ্যমে এরা পঞ্চায়েত ব্যবস্থায় আধিপত্য স্থাপন করেছে। শাসকদলের আশ্রয়ে, মদতে এই লুম্পেনরা বুথে বুথে সন্ত্রাস সৃষ্টি করে, তোলাবাজি করে প্রোমোটারি করে। আবার ভোটের সময় এই অংশই ছাপ্পা ভোটের ব্যবস্থা করে। এটাও সত্যি এই লুম্পেনরাই বেশিরভাগ পঞ্চায়েত, সমবায় সমিতিতে, বিদ্যালয়-মহাবিদ্যালয়ের পরিচালন সমিতিতে পদ অলঙ্কৃত করে বসে আছে। এরাই তৃণমূলের শক্তির উৎস। পুলিশ প্রশাসন, সাধারণ প্রশাসন ও গ্রামীণ লুম্পেনদের একটা চক্র গড়ে উঠেছে। গত দশবছরে এরা প্রবল ক্ষমতাবান হয়ে উঠেছে। তৃণমূলের পক্ষে এরাই ভোটের নামে গণতন্ত্র লুট করে।
আসলে পঞ্চায়েতে চলছে আধিপত্যের রাজনীতি। এই রাজনীতির মধ্য দিয়েই আর্থিক সুবিধা ভোগ করছে তৃণমূলের নেতারা। ত্রিস্তর পঞ্চায়েতি ব্যবস্থাতে অর্থ রোজগারের পথে যাতে কোনো বাধাসৃষ্টি না হয় তার জন্য পঞ্চায়েতগুলিকে বিরোধী শূন্য রাখা খুবই প্রয়োজন। দেনা পাওনা, সুবিধা ভোগের পদ্ধতিতে যাতে বিরোধীদের কোনো বক্তব্য না থাকে তার জন্য গ্রামাঞ্চল বিরোধীশূন্য রাখা তৃণমূলের পক্ষে জরুরি।
তৃণমূলের হাত ধরে বিরোধীশূন্য পঞ্চায়েত রাখার যে রাজনীতি চলছে তার নেতিবাচক প্রভাব গ্রামীণ উন্নয়নে পড়ছে। পঞ্চায়েতে দলতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত। শাসকদলের গ্রামীণ নেতারা এককভাবেই গ্রামোন্নয়নের প্রকল্পগুলি নিয়ে সিদ্ধান্ত নেন, ফলে গ্রামের সাধারণ মানুষের কাছে পঞ্চায়েতের সদস্য অপেক্ষা তৃণমূলী নেতারাই বেশি গুরুত্ব পাচ্ছেন। তৃণমূলের পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতি এবং জেলা পরিষদ সদস্যরা সরকারি সভাগুলিতে সার্বিক দৃষ্টিভঙ্গির বদলে লুটের দৃষ্টিভঙ্গিতে কথা বলেন এবং লুট করার সরকারি বৈধতা আদায় করেন। বিভিন্ন প্রকল্প রূপায়ণে শাসকদলের নেতাদের লাভ লোকসান মানদণ্ড হিসাবে কাজ করছে এবং উন্নয়নের কাজে লুটের প্রভাবে পঞ্চায়েতগুলি উদ্ভাবনী শক্তি হারিয়েছে। লুটের ভাগ নিয়ে শাসকদলের মধ্যে অন্তর্দ্বন্দ্ব তীব্রতা লাভ করেছে। তৃণমূলের নেতারা তাদের সহকর্মীদের বিশ্বাস করেন না। ফলে গ্রাম বাংলায় বেড়েছে গোষ্ঠী সংঘর্ষ। এর পরিণতিতে খুনও হচ্ছেন অনেকে। অন্তর্দ্বন্দ্বের কারণে উন্নয়নের কাজে বাধা সৃষ্টি হচ্ছে এবং সাধারণ মানুষ পঞ্চায়েতকে আর নিজেদের প্রতিষ্ঠান বলে মনে করছেন না।
তৃণমূলের আমলে গণতান্ত্রিক রীতিনীতিগুলি সুরক্ষিত নেই, গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলি আক্রান্ত। আসলে রাজ্যে চলছে স্বৈরাচারী শাসন। অবাধ, মুক্ত এবং নিরপেক্ষ নির্বাচন তৃণমূলের আমলে কষ্টকল্পনামাত্র। আইনের শাসন, সহভাগী শাসন, মত প্রকাশের স্বাধীনতা - এগুলি তৃণমূলের অভিধানে নেই।
তৃণমূলের হাত ধরে গ্রাম বাংলায় গণতন্ত্রের বদলে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে নৈরাজ্য। তৃণমূলের বেপরোয়া ধারাবাহিক গণতন্ত্রের উপর আক্রমণ এবং প্রতিযোগিতামূলক সাম্প্রদায়িক রাজনীতি এরাজ্যে বিজেপি-কে পা ফেলার সুযোগ করে দিয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি নির্দিষ্ট লক্ষ্য নিয়েই গণতন্ত্রকে ধ্বংস করার কাজ করেছেন। ত্রিপুরা বা উত্তরপ্রদেশের বিজেপি-শাসনের সঙ্গে অনেক সাদৃশ্য মমতাদেবীর বাংলায়। একনেত্রী, এক কণ্ঠস্বর এরাজ্যে প্রতিষ্ঠিত। রাজনীতিতে দুষ্কৃতীদের ভাষাই তৃণমূলের ভাষা।
তৃণমূল সবকিছুর উপর আধিপত্য কায়েম করতে চায়। পঞ্চায়েতি ব্যবস্থাতে তারা যে সম্পূর্ণ আধিপত্য কায়েম করতে চায় তার প্রথম ইঙ্গিত মিলেছিল ২০১৩ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনে। ওই নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতা, ভোট লুট, গণনা কেন্দ্র দখল করেই তৃণমূল ৫১ শতাংশ আসনে জয়ী হয়েছিল। তাই গণনার পর পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠনে বিরোধী নির্বাচিত সদস্যদের ভাঙানোর খেলা চলে। অনেক নির্বাচিত বামপন্থী সদস্যকে খুন করা হয়। খুন করা হয়েছিল হাসনাবাদ পঞ্চায়েত সমিতির নির্বাচিত সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম গাজিকে। খুন করা হয়েছিল ফারাক্কার নির্বাচিত পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য হাসমত শেখকে। সারা রাজ্যেই তৃণমূল সাংবিধানিক বিধান, আইনকে পদদলিত করে পঞ্চায়েতে দখলদারি চালিয়ে যাচ্ছে।
আদালতের নির্দেশে ২০১৩ সালের জুলাইয়ে পঞ্চায়েত নির্বাচন হয়েছিল। ২০১৮ সালে নির্বাচন হয়েছিল মে মাসে। হিংসা ছাড়া তৃণমূলী আমলে নির্বাচন অসম্ভব। ২০১৮ সালের নির্বাচনে প্রায় ৩০ জন নিহত হয়েছিলেন, আহত হয়েছিলেন প্রায় সহস্রাধিক, কয়েক হাজার বামপন্থী কর্মীর নামে মিথ্যা মামলা রুজু করা হয়েছিল।
তৃণমূলী পঞ্চায়েত সদস্যদের অবাধে চুরির লাইসেন্স স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রীই দিয়েছেন। ২০১৭ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি, নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে পঞ্চায়েতরাজ সম্মেলনের উদ্বোধন করে বলেছিলেন, ‘‘...শুধু বলবে ও'চোর ও' চোর! আরে চুরি করবে না কী করবে? ওদের সুযোগ তো দাও...’’। এই বক্তব্য থেকে পরিষ্কার, তৃণমূল নামক দলটির কাছে পঞ্চায়েত টাকা কামানোর যন্ত্র ছাড়া আর কিছুই নয়। পঞ্চায়েত ব্যবস্থার প্রতিটি স্তরেই দুর্নীতি প্রাতিষ্ঠানিক রূপ পেয়েছে। আবাস সহ বিভিন্ন সামাজিক সুরক্ষা প্রকল্পে সুবিধা পেতে গেলে তৃণমূলের নেতাদের প্রণামি দিতেই হবে। কাজ শুরুর আগেই ঠিকাদারদের শাসকদলের নেতাদের কাছে টাকা দিয়ে আসতে হয়। আবার তৃণমূলের নেতাদের নামে বা বেনামে, স্ত্রীর নামে একাধিক ঠিকাদারির লাইসেন্স আছে। অর্থাৎ গ্রামাঞ্চলে ঠিকাদারির কাজ তৃণমূলের নেতারাই করছেন।
বাংলায় গত একদশকে পঞ্চায়েতের কাজের মূল্যায়ন করলে একথা দ্বিধাহীনভাবে বলা যায় - দুর্নীতি আর স্বৈরাচার মারাত্বকভাবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। দুর্নীতির বিরুদ্ধে বলবার অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়েছে। উন্নয়নমূলক কাজগুলির মান নিম্ন। কাজ না করে টাকা নেওয়া হচ্ছে, উন্নয়নের অর্থে মোচ্ছব চলছে। বাম আমলে পঞ্চায়েতি ব্যবস্থায় অর্থনৈতিক-সামাজিকভাবে পিছিয়ে পড়া মানুষদের অগ্রাধিকার ছিল। এখন তারাই সবচেয়ে বঞ্চিত ও পিছিয়ে পড়েছে। কৃষিতে গ্রামীণ শ্রমজীবী মানুষের অধিকার খর্বিত, যা আছে তা কাগজে কলমে।
কিষান বাজারগুলিতে পঞ্চায়েতের মাধ্যমে দালাল, ফড়েদের না হটিয়ে কৃষকদের ফসলের দাম না পাওয়ার ব্যবস্থাকে নিশ্চিত করেছে। বিজ্ঞাপন-প্রিয় মুখ্যমন্ত্রী প্রতীকী কিছু প্রকল্প ঘোষণা করলেও মানুষের কিছু লাভ হয়নি। বামফ্রন্ট আমলে পঞ্চায়েতের মাধ্যমে মহিলা স্বনির্ভর দলগুলি মহিলাদের ভরসাস্থলে পরিণত হয়েছিল। কিন্তু তৃণমূলের আমলে এই স্বনির্ভর দলগুলি শুকিয়ে যাচ্ছে। গোষ্ঠীর টাকায় মহাজনি কারবার চলছে।
তৃণমূলের সময় পঞ্চায়েতগুলিতে সাধারণ মানুষের অংশগ্রহণ কার্যত নেই। পঞ্চায়েতি আইনে এটা বলা আছে, সমস্ত সরকারি প্রকল্পের উপভোক্তা চিহ্নিত করার কাজ করবে গ্রামসংসদ। গ্রাম বৈঠক করে এই প্রক্রিয়াকে সম্পন্ন করার কথা বলা আছে। অর্থাৎ গ্রাম সভার হাতে বেশ কিছু ক্ষমতা দেওয়া আছে। গ্রামের প্রতিটি কাজে গ্রামসভার মতামত নেওয়ার অধিকার দেওয়া আছে। বেনিফিসারি কমিটি গঠনের কথা বলা আছে। এগুলি কার্যকর থাকলে দুর্নীতি অনেকটা আটকানো যায়। বর্তমানে পঞ্চায়েতে যে কাঠামো আছে তাতে পরিষেবা বিষয়ক ২৯টি বিষয়ে কাজ করা যেতে পারে।
গ্রাম পঞ্চায়েতি ব্যবস্থার মধ্য দিয়ে গ্রামীণ জনগণের অংশগ্রহণের বিষয়টি নিশ্চিত করতে চাওয়া হয়েছে। এই দৃষ্টিভঙ্গির প্রতিফলন ঘটে গ্রাম সংসদ, গ্রামসভা গঠনের মধ্যে দিয়ে। প্রতিবছর গ্রাম সংসদ সভা করে উন্নয়নের তালিকা অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে স্থির করবে। গ্রাম সংসদ সভায় গ্রামের মানুষের উপস্থিতি সুনিশ্চিত করতে হবে। কিন্তু তৃণমূলের আমলে এই ব্যবস্থা নিছক কাগজে কলমে পরিণত হয়েছে। গ্রাম সংসদের গুরুত্বকে লঘু করার জন্য পূর্বের অনেকগুলি বিধিকে বাতিল করা হয়েছে। নির্দেশিকায় বলা হয়েছে - গ্রাম সংসদে প্রথমে মোট ভোটারের ১০ শতাংশকে উপস্থিত থাকতে হবে, না হলে পরবর্তীসভায় ৪ শতাংশ, সেটা না হলে যে কয়েকজন উপস্থিত থাকবেন তাঁদের নিয়ে সিদ্ধান্ত করতে হবে। কিন্তু কোনো কিছু না করেই শাসকদলের নেতার বাড়িতে বসে জাল রেজ্যুলেশন তৈরি করা হচ্ছে। মসৃণ উপায়ে উন্নয়নের অর্থ আত্মসাৎ করার লক্ষ্যেই গ্রাম সংসদকে অকেজো করা হয়েছে।
গ্রাম পঞ্চায়েত, গ্রাম সংসদকে গুরুত্বহীন করার লক্ষ্যেই ‘দুয়ারে সরকার’, ‘পাড়ায় সমাধান’ ইত্যাদি আনা হয়েছে। পঞ্চায়েত অফিস, পঞ্চায়েত সদস্য/সদস্যা, গ্রাম সংসদ থাকতেও এসব কেন? কেন জনগণের টাকায় মুখ্যমন্ত্রীর রাজকীয় প্রশাসনিক বৈঠক? উত্তর একটাই - ক্ষমতার কেন্দ্রীকরণ, জনগণের সমস্ত অধিকার কেড়ে নেওয়া। তৃণমূলের আমলে পঞ্চায়েত দপ্তর, ভবন আছে। কিন্তু সেগুলিকে প্রাণহীন করে দেওয়া হয়েছে। অর্থ লুটই তৃণমূলের দর্শন।
পঞ্চায়েতি ব্যবস্থার উপর তৃণমূল সরকারের আক্রমণের ফলে কারা লাভবান হয়েছে? গত কয়েকবছরে গ্রামীণ নব্য ধনীদের পাশাপাশি দালাল, লুম্পেনরা লাভবান হয়েছে। দুর্নীতি, তোলাবাজি, প্রোমোটারির মধ্য দিয়ে বিপুল সম্পত্তির অধিকারী হয়েছে এই অংশ।
পঞ্চায়েতে দুর্নীতির ফলে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন গ্রামের গরিব মানুষ। পঞ্চায়েতের অন্যতম উদ্দেশ্য সামাজিক ন্যায় প্রতিষ্ঠা করা। সামাজিক ন্যায়ের বদলে অন্যায় বেড়েছে। প্রান্তিক অংশের মানুষ জমিচ্যুত হচ্ছেন। তৃণমূল আশ্রিত জমির দালালরা জমির দখল নিচ্ছে। ভূমি সংস্কার দপ্তরের অসাধু আমলা, শাসকদল, প্রোমোটারদের মধ্যে এক চক্র গড়ে উঠেছে। এই চক্র বর্গাদার, পাট্টাদারদের উচ্ছেদ করছে। তৃণমূলের আমলে নতুন করে খাস জমি বণ্টন হয়নি। তৃণমূলী জমানায় পঞ্চায়েত ব্যবস্থার মধ্য দিয়ে গরিব মানুষের ক্ষতি হয়েছে।
তৃণমূল সরকার পঞ্চায়েত থেকে গণতন্ত্রকে বিদায় দিয়েছে লুটের পথকে মসৃণ করার জন্য। লুটের পঞ্চায়েতকে জনগণের পঞ্চায়েতে পরিণত করাই এবারের নির্বাচনে প্রধান চ্যালেঞ্জ।