E-mail: deshhitaishee@gmail.com  | 

Contact: +91 33 2264 8383

৬০ বর্ষ ৪৪ সংখ্যা / ১৬ জুন, ২০২৩ / ৩২ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩০

আদিবাসীরা আক্রান্ত

চাই গণতন্ত্র ঐক্য সমানাধিকার এবং জনগণের পঞ্চায়েত

রবীন্দ্রনাথ হেমব্রম


ভারতে প্রায় ১১ কোটি আদিবাসী মানুষের বসবাস। পশ্চিমবঙ্গে এই সংখ্যা প্রায় ৫৪ লক্ষ। রাজ্যের জনসংখ্যার প্রায় ৫.৮ শতাংশ। এ রাজ্যে ৪০টি সম্প্রদায় আদিবাসী হিসেবে স্বীকৃত। এদের আবার ‘আদিম অধিবাসী (Aborigines)’, ‘গিরিজন’ বিভিন্ন অভিধায় চিহ্নিত করা হয়। আধুনিক সমাজতাত্ত্বিক পরিভাষায় আদিবাসী বলা হয়েছে। ভারতের সংবিধানে এরা তফশিলি ভুক্ত উপজাতি। আবার আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষের মধ্যে বহু সাধারণ সমস্যা যেমন আছে, তেমনি সমস্যার প্রকারভেদও আছে। সামগ্রিক পরিস্থিতির বিচারে সামাজিক, অর্থনৈতিক ও শিক্ষাগত বিষয়ে অগ্রাধিকার খুবই প্রয়োজন। আদিবাসী ও জনজাতি জনগণের আইনি ও সংবিধানে বর্ণিত অধিকার রক্ষার ও বাস্তবায়নে সরকারের সদর্থক ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আদিবাসীদের প্রতি ব্রিটিশদের যে ভূমিকা বা দৃষ্টিভঙ্গি ছিল তাতে তাদের কোনো উন্নয়নই সম্ভব ছিল না। এরা মূলত কৃষির সাথে যুক্ত। তবে চা শিল্পের প্রসারে, খনি থেকে কয়লা, আকরিক লোহা উত্তোলনে, রেললাইন পাততে এদের ‘শ্রমশক্তি’কে ব্যবহার করা হয়েছে। ব্রিটিশ শাসকদের মদতে পরাধীন ভারতে সামন্তপ্রভুরা আদিবাসীদের ওপরে যে অত্যাচার, নিপীড়ন চালাত তার প্রতিবাদে আদিবাসী নেতা-নেত্রীর নেতৃত্বে পরিচালিত সাম্রাজ্যবাদ ব্রিটিশ বিরোধী প্রত্যক্ষভাবে বীরত্বব্যঞ্জক সংগ্রামের অনেক ঐতিহ্য আছে।

স্বাধীনতার ৭৫ বৎসর পরেও সারা দেশে এবং পশ্চিমবঙ্গেও আদিবাসীরা বৈষম্যের শিকার। তাদের সুসম বিকাশের বিষয়টি অবহেলিত থেকে গেছে। পুঁজিবাদ এবং আধা-সামন্ততান্ত্রিক ব্যবস্থায় সামাজিক এবং অর্থনৈতিকভাবে আদিবাসীদেরকে প্রাপ্য অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে। আদিবাসীদের বাসস্থান, জমি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, সংস্কৃতি এবং জীবন-জীবিকা কিছুই সুরক্ষিত হচ্ছে না। এককথায় বলা যায় আদিবাসীরা এখনও পশ্চাৎপদ থেকে গেছে।

নয়ের দশকে নয়া-উদার অর্থনৈতিক নীতি কার্যকর করার পর আদিবাসীরা নতুন-করে আক্রমণের শিকার হয়েছেন। জল, জঙ্গল, জমি প্রাকৃতিক সম্পদ থেকে তাদের বঞ্চিত করেই পুঁজিবাদের লুঠ দ্রুততর হয়ে উঠছে। জমি, কেন্দ্রের এবং রাজ্যের উভয় সরকারের মদতেই আগ্রাসী লুঠতরাজ চলছে। পশ্চিমবঙ্গ সহ দেশের অনেক রাজ্যে খনি, শিল্প, সেচপ্রকল্প, রাস্তাঘাট, বন্যপ্রাণ সংরক্ষণের জন্য আদিবাসীদের বিনা ক্ষতিপূরণে বা নামমাত্র ক্ষতিপূরণে উৎখাত এখনও চলছে। ২০০৬ সালের বনাঞ্চলে আদিবাসীদের ও বংশ পরম্পরায় বসবাসকারী জনগণের বনাঞ্চলের জমি চাষ, বসবাস ও ক্ষুদ্র বনজ সম্পদ সংগ্রহ করার অধিকার আইনকে মান্যতা দেওয়া হচ্ছে না। বন সংরক্ষণের নীতি সংশোধনের নামে আইনে বর্ণিত গ্রাম সংসদ বা গ্রাম সভার ক্ষমতাকে কেন্দ্রীয় সরকার শেষ করতে চাইছে। বীরভূমের ‘দেওচা-পাঁচামি-হরিণশিঙা-দেওয়ানগঞ্জ’ এলাকায় অবৈজ্ঞানিক খোলামুখ কয়লা খনি প্রকল্পে চাকরির প্রলোভন দেখানো হচ্ছে। ক্ষতিপূরণ, পুনর্বাসনের স্বচ্ছ পরিকল্পনা প্রকাশ করা হচ্ছে না।

এক আদিবাসী সম্প্রদায়ের সাথে অন্য সম্প্রদায়ের আদিবাসীদের মধ্যে সংঘাত বাঁধানো হচ্ছে। এমনকী একই সম্প্রদায়ের আদিবাসীদের মধ্যেও জাতি, ধর্ম, ভাষা বিভিন্ন ভাবাবেগ ব্যবহার করে বিভাজনের রাজনৈতিক স্বার্থে আদিবাসীদের ব্যবহার করা হচ্ছে। ফলে আদিবাসীদের মধ্যে ঐক্য দুর্বল হচ্ছে। আদিবাসী সহ গণতান্ত্রিক জনগণের জীবন-জীবিকার লড়াই দুর্বল হচ্ছে।

বিগত দিনে কংগ্রেস সরকারগুলি কখনোই আদিবাসীদের সমস্যার সমাধানকে অগ্রাধিকার দেয়নি। আদিবাসীদের অধিকারগুলিকে অগ্রাহ্য করে তথাকথিত উন্নয়নের কাজ চলেছে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে।

পশ্চিমবঙ্গ ও ত্রিপুরায় বামফ্রন্ট সরকার তৈরির পর আদিবাসীদের পরিকল্পিত উন্নয়ন ও অধিকার রক্ষা, মর্যাদাদানে গোটা দেশের সামনে দৃষ্টান্ত স্থাপন করে। কেরালাতে বাম গণতান্ত্রিক ফ্রন্ট সরকার আদিবাসীদের স্বার্থে পরিকল্পিত উদ্যোগ গ্রহণ করে এবং শ্রমিক, কৃষক, খেতমজুরদের জীবন-জীবিকা সুনিশ্চিত করছে। কেরালা সরকার কোভিড-১৯-এর মোকাবিলায় আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রেও প্রশংসিত হয়েছে।

পশ্চিমবঙ্গে বামফ্রন্ট সরকার আদিবাসীদের উন্নয়নের কর্মসূচির সফল রূপায়ণ করেছিল। ভূমিসংস্কারের ফলে ভূমিহীন, প্রান্তিক কৃষক, খেতমজুরদের মধ্যে একদিকে জমির পাট্টা দেওয়া অপরদিকে বর্গাদার নথিভুক্তির কাজে অগ্রাধিকার দিয়েছিল। বামফ্রন্ট সরকারের আমলে ১৫ লক্ষ ২৫ হাজার ১৭৮ একর জমির পাট্টা দেওয়া হয়েছে ৩০ লক্ষ ৩৪ হাজার ৭০২টি পরিবারকে। তার মধ্যে আদিবাসী পরিবার ৫ লক্ষ ৪১ হাজার ৭০২টি পরিবার। মোট পাট্টাদারদের মধ্যে ১৭.৮৫ শতাংশ আদিবাসী পাট্টাপ্রাপক। যদিও আদিবাসী জনগণ রাজ্যের মোট জনসংখ্যার বর্তমানে ৫.৮ শতাংশ। মোট বণ্টিত জমির মধ্যে ২ লক্ষ ২৩ হাজার ৪৩৫ একর জমি আদিবাসীদের দেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ মোট বণ্টিত জমির ১৪.৬৯ শতাংশের অধিকারী আদিবাসী। আদিবাসী বর্গাদারের সংখ্যা ১ লক্ষ ৬৫ হাজার ৬৮৫ জন। বনাঞ্চলে আদিবাসীদের অধিকার আইন ২০০৬ সালে তৈরি হয়। বিধি (Rules) ২০০৮ সালে তৈরির পর ২০১০ সালের মধ্যে পশ্চিমবঙ্গে বামফ্রন্ট সরকার বনাঞ্চলের ১৫ হাজার ৮৮৩ একরের বেশি জমির পাট্টা ২৭ হাজার ৭৭৩টি আদিবাসী পরিবারকে দিতে পেরেছে। প্রসঙ্গত, জঙ্গল মহলে মাওবাদী-তৃণমূলী মদতপুষ্ট জনসাধারণের কমিটির মতো সন্ত্রাসীদের উপদ্রবের কারণে বনাঞ্চলের জমি চিহ্নিত হলেও তখন সবাইকে পাট্টা দেওয়া যায়নি।

২০১১ সালের পর তৃণমূল কংগ্রেস পরিচালিত সরকার, পাট্টাদার, বর্গাদারদের জমি থেকে উচ্ছেদ করছে। প্রাকৃতিক সম্পদ জল, জঙ্গল, জমি, পাহাড় করপোরেটদের হাতে তুলে দিচ্ছে। সরকারি জমি, জলাভূমিকেও ব্যক্তি মালিকানার হাতে তুলে দেবার ষড়যন্ত্র করছে।

বামফ্রন্ট সরকারের সময়ে ত্রিস্তর পঞ্চায়েতে গরিব মানুষ সহ আদিবাসীদের রাজনৈতিক ক্ষমতায়ন হয়েছে। আসন সংরক্ষণ করার মধ্য দিয়েই আদিবাসীদের সামাজিক মর্যাদার আসনে প্রতিষ্ঠিত করা সম্ভব হয়েছে। বর্তমান তৃণমূল কংগ্রেস শাসকদল তথা রাজ্যের সরকার আদিবাসীদের ওপর সামাজিক নিপীড়ন অত্যাচার চালাচ্ছে। সবিতা লায়েকের ওপর মন্ত্রীর সস্ত্রীক অত্যাচারের ঘটনা, কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপিকা ডঃ মেরুনা মুর্মু, ডঃ সরস্বতী কেরেটা, পাপিয়া মান্ডি’র ওপর মানসিক শারীরিক নির্যাতন এহেন ঘটনার পরও পুলিশ প্রশাসন, মা-মাটি-মানুষের সরকার, মুখ্যমন্ত্রী নীরব দর্শক। ডাইনি অপবাদে জরিমানা, ঘরছাড়া, পিটিয়ে মারা, ধর্ষণ করে খুনের ঘটনা মধ্যযুগীয় বর্বরতাকেও হার মানাচ্ছে।

রোহিত ভেমুলা, ডাঃ পায়েল তদভির’দের প্রাতিষ্ঠানিক খুন, হাথরস, উন্নাওয়ের ঘটনাও মানুষকে চমকে দিচ্ছে। আদিবাসী ও তফশিলি অংশের মানুষদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রিভেনশন অফ অ্যাট্রোসিটিজ এগেইন্টস এসসি-এসটি অ্যাক্ট ১৯৮৯-কে কার্যকর করেনি মোদি-মমতার সরকার। পশ্চিমবঙ্গে বামফ্রন্ট সরকার ১৯৯৫ সালে এই আইন কার্যকর করার জন্য বিধি তৈরি করেছিল। আদিবাসীদের ওপর অত্যাচার হলে এই আইন অনুসারে ক্ষতিগ্রস্ত আদিবাসীদের ক্ষতিপূরণ ও পুনর্বাসনে সাহায্য করার জন্য সরকার দায়বদ্ধ। তৃণমূল সরকার সেই দায়িত্ব এড়িয়ে যাচ্ছে।

বর্তমানে পঞ্চায়েতে শাসকদলের দুর্নীতিতে আদিবাসী সহ গরিব মানুষেরা একশ দিনের কাজের মজুরির টাকা পর্যন্ত পাচ্ছেন না। প্রকৃত গরিব মানুষ আবাস যোজনার ঘর পাচ্ছেন না। পড়ুয়ারা স্কলারশিপ-স্টাইপেন্ড পর্যন্ত পাচ্ছে না। এসসি-এসটিদের সমস্তরকমের ছাত্রাবাস বন্ধ হয়ে গেছে। ড্রপআউটের সংখ্যা বাড়ছে। বেকার যুবকদের সংখ্যা বাড়ছে।

সাঁওতালি ভাষার শিক্ষক নিয়োগ হচ্ছে না। বহু আদিবাসী সম্প্রদায়ের ভাষার স্বীকৃতি যেমন পাচ্ছে না, তেমনি ভাষা সংস্কৃতির পরম্পরা রক্ষার প্রশ্নেও সরকার উদাসীন। জাতিগত শংসাপত্র পাওয়ার ক্ষেত্রে একদিকে জটিলতা বৃদ্ধি করা হচ্ছে, অপরদিকে জাল শংসাপত্র সংখ্যারও বৃদ্ধি ঘটছে। চাকুরিতে সংরক্ষণের নীতি অমান্য করা হচ্ছে। শুধু তাই নয় নিয়োগে যা দুর্নীতি রাজ্যে হয়েছে ভূ-ভারতে আর কোথাও এধরনের দুর্নীতির উদাহরণ আর নেই। সাঁওতালি ভাষা শিক্ষার বিষয়ে বৈজ্ঞানসম্মত কোনো পরিকল্পনা নেই। সাঁওতালি আকাডেমিকে পঙ্গু করে দেওয়া হয়েছে।

বামফ্রন্ট সরকার আদিবাসী সহ সমস্ত গরিব মানুষের ঐক্য শক্তিশালী করেছিল। এই ঐক্য ভাঙার জন্য পরিচিতিসত্তার রাজনীতি তৃণমূল কংগ্রেস রাজ্যে আমদানি করেছে। তৃণমূল কংগ্রেস প্রত্যক্ষভাবে বিভাজনের রাজনীতির প্রবক্তা আরএসএস-বিজেপি’কে মদত দিয়েছে বামফ্রন্ট বিরোধিতার নামে। সন্ত্রাস সৃষ্টি ও বামফ্রন্ট সরকার ভেঙে ফেলার জন্য প্রতিক্রিয়াশীল শক্তি, মাওবাদীদের সাথে যুক্ত হয়ে জঙ্গল মহলের তিন জেলাতে তারা নৃশংসভাবে খুন করে ৩৩৭ জনকে। এর মধ্যে আদিবাসীর সংখ্যা ১২৭ জন। সেই সময় ওই সন্ত্রাস কবলিত এলাকাতে তৃণমূল কংগ্রেসের সাহায্য সহযোগিতায় আরএসএস’র কর্মীরা কাজ করেছে। বর্তমানে বিজেপি রাজ্যে প্রধানবিরোধী রাজনৈতিক দল। তৃণমূল-বিজেপি’র মধ্যে প্রকৃত কোনো পার্থক্য নেই। আরএসএস-বিজেপি’র হিন্দুত্ববাদী মতাদর্শে নারী, আদিবাসী ও দলিতদের কোনো মর্যাদা নেই। মোদি-মমতার জমানাতে এরা বারেবারে আক্রান্ত। আইনের কোনো শাসন নেই।

২০১১ সালের পর রাজ্যে গণতন্ত্র ভেঙে পড়েছে। সর্বত্র নৈরাজ্যের পরিবেশ তৈরি করছে দুর্বৃত্তরা। জাতি, ধর্ম, ভাষা সংস্কৃতি নিয়ে বিদ্বেষের বিষ ছড়ানো হচ্ছে। প্রতিক্রিয়াশীল দাঙ্গাবাজ দুষ্কৃতীরা পুরস্কৃত হচ্ছে। গরিব মানুষের জীবন-জীবিকার লড়াইকে দুর্বল করার ষড়যন্ত্র চালানো হচ্ছে। সর্বত্র লুঠের রাজত্ব চলছে। পুলিশ, আমলারা শাসকদলের তাঁবেদারি করছে। এই রকম পরিস্থিতি সরকারের মদত ছাড়া তৈরি হতে পারে না। আরএসএস এবং তাদের রাজনৈতিক শাখা বিজেপি এই পরিস্থিতির ফায়দা তুলতে মাঠে নেমে পড়েছে। এদের মূল উদ্দেশ্য শ্রমজীবী মানুষের ঐক্য দুর্বল করা। আদিবাসী মানুষ যারা খেতে খামারে,খনিতে, কারখানায়, চা বাগানে, সামাজিক আন্দোলনে নিজেদের যুক্ত রাখছেন, তাঁদের আদিবাসী সত্তার ভাবাবেগ কাজে লাগিয়ে আদিবাসী সহ শ্রমজীবী মানুষের আন্দোলনকে ভাঙার জন্য বিজেপি নানা চক্রান্ত চালাচ্ছে। হিন্দুত্ববাদী দেশ গঠনের লক্ষ্যে মানুষকে প্ররোচিত করে দাঙ্গা বাঁধাতে লড়াকু আদিবাসীদের ব্যবহার করতে চাইছে। সেই পরিকল্পনা রূপায়ণ করছে চতুরতার সাথে তৃণমূল সরকার বিনা বাধায়।

একমাত্র সামাজিক আন্দোলন ও শ্রেণিআন্দোলনের ঐক্য জোরদার করেই শ্রেণিআন্দোলনের পথেই তৃণমূল কংগ্রেসের মদতপুষ্ট বিজেপি’র বিভেদের রাজনীতিকে রুখে দেওয়া সম্ভব।

আদিবাসীদের জ্বলন্ত সমস্যার সমাধান করতে প্রয়োজন আরও ব্যাপক ও জোরদার আন্দোলন-সংগ্রাম। সেই সংগ্রামের পথ ধরেই গণতন্ত্র, ঐক্য, সমানাধিকার প্রতিষ্ঠা ও জনগণের পঞ্চায়েত পুনঃপ্রতিষ্ঠা সম্ভব। চাই আদিবাসী পাড়ায় পাড়ায় নিবিড় যোগাযোগ। আদিবাসী সহ গরিব মানুষদের সাথে নিবিড় বন্ধুত্ব গড়েই আগামীদিনে পরিবর্তনের পথ দেখাতে হবে। গড়ে তুলতে হবে জনগণের পঞ্চায়েত।