E-mail: deshhitaishee@gmail.com  | 

Contact: +91 33 2264 8383

৬০ বর্ষ ৪৪ সংখ্যা / ১৬ জুন, ২০২৩ / ৩২ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩০

‘কণ্ঠ আমার রুদ্ধ আজিকে...’ - প্রসঙ্গ পঞ্চায়েত নির্বাচন

বরুণ বন্দ্যোপাধ্যায়


‘ওঠ ছুঁড়ি তোর বিয়ে’। জনপ্রিয় প্রাচীন বাংলা প্রবাদ। এই শব্দবন্ধের মানে সকলেরই জানা। তবু আরও একবার বলে নেওয়া যেতেই পারে। অভিধান বলছে, ‘যথোচিত প্রস্তুতির আগেই হঠাৎ কোনো গুরুতর বা চেষ্টাসাধ্য কাজ করার আহ্বান’ বোঝানোর জন্য এই প্রবচন। অর্থ অতি সহজবোধ্য সন্দেহ নেই। তাই এক লপ্তে এ নিয়ে আরও বেশি কাটাছেঁড়ারও দরকার নেই।

বুধবার, ৭ জুন, ২০২৩

মঙ্গলে উষা বুধে পা-র হিসেব মেনে রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস এবং নবান্নের ছায়াযুদ্ধ শেষে রাজ্যের মুখ্য নির্বাচন কমিশনার হিসেবে দায়িত্বভার গ্রহণ করেন পশ্চিমবঙ্গ শিল্প পরিকাঠামো উন্নয়ন নিগমের চেয়ারম্যান ও রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যসচিব আইএএস রাজীব সিনহা। তিনি কে, কোন বছরের ক্যাডার, কার ঘনিষ্ঠ, কোথায় কোথায় কার কার সঙ্গে কী অবস্থায় তাঁর ছবি দেখা গেছে ইত্যাদি প্রভৃতি নিয়ে নিন্দুকরা অনেক কিছুই বলেছেন। সেসব প্রসঙ্গ নিয়ে আলোচনা করে বিষয়কে লঘু করে লাভ নেই। তবে সংবাদমাধ্যম জানাচ্ছে, দায়িত্ব গ্রহণের পরেই সাংবাদিকরা তাঁকে পঞ্চায়েত নির্বাচন কবে হবে সেই বিষয়ে প্রশ্ন করলে তিনি ওইদিন জানান, ‘এখনও আমার দপ্তর এ ব্যাপারে কিছু জানেনা। রাজ্য সরকারই নির্বাচনের দিনক্ষণের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়। সরকারের সঙ্গে আলোচনার পরেই পঞ্চায়েত ভোটের দিন জানানো হবে’। অর্থাৎ সংবাদমাধ্যম এবং মাননীয় মুখ্য নির্বাচন কমিশনারের বক্তব্য অনুসারে, বুধবার, ৭ জুন বিকেলেও রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচন কবে হবে সেই বিষয়ে তাঁর কোনো ধারণাই ছিল না।

বৃহস্পতিবার, ৮ জুন, ২০২৩

ঘটনাবহুল দিন, সন্দেহ নেই। এইদিনই বেলা বারোটায় ‘লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস প্রাইভেট লিমিটেড’-এর গাড়ি চেপে বহু চর্চিত কয়লা কাণ্ডে সিজিও কমপ্লেক্সের ইডি দপ্তরে হাজিরা দিতে আসেন সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্ত্রী রুজিরা নারুলা ওরফে রুজিরা ব্যানার্জি। এদিনের দ্বিতীয় ঘটনা রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিমের সাংবাদিক সম্মেলন। যেখানে তিনি খুব স্পষ্টভাবে জানান, অবিলম্বে পঞ্চায়েত নির্বাচন ঘোষণার দাবিতে ১৫ জুন রাজ্য নির্বাচন কমিশন অফিসে অভিযান করা হবে। এর আগেই বামেদের পক্ষ থেকে পঞ্চায়েত নির্বাচনের তারিখ চেয়ে আন্দোলন জোরদার করা হয়েছিল। আর তাৎপর্যপূর্ণ তৃতীয় ঘটনা, মহম্মদ সেলিমের সাংবাদিক সম্মেলন চলাকালীনই পঞ্চায়েত নির্বাচন ঘোষণা। যেখানে মুখ্য নির্বাচন কমিশনার জানান, রাজ্যের পঞ্চায়েত নির্বাচন হবে ৮ জুলাই। মনোনয়ন জমা শুরু ৯ জুন থেকেই। সমস্ত মনোনয়ন কেন্দ্রের ১ কিলোমিটারের মধ্যে জারি থাকবে ১৪৪ ধারা।

অর্থাৎ, দায়িত্ব নেবার পর, ২৪ ঘণ্টা আগেও যিনি জানতেন না কবে পঞ্চায়েত নির্বাচন হবে, তিনিই একদিনের মধ্যে রাজ্যের ৬৩,২২৯টি গ্রাম পঞ্চায়েত, ৯,৭৩০টি পঞ্চায়েত সমিতি এবং ৯২৮টি জেলা পরিষদের নির্বাচন ঘোষণা করেন। রাজ্যের ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েতে ৩৪১টি ব্লকে মোট আসন সংখ্যা ৭৩,৮৮৭। অর্থাৎ মোট প্রায় ৭৪ হাজার আসনে মনোনয়নের জন্য রবিবার ছুটির দিন বাদ দিয়ে মাত্র ৬ দিন ধার্য করে কমিশন। এই ৬ দিন সকাল ১১টা থেকে ৩টে পর্যন্ত অর্থাৎ দৈনিক ৪ ঘণ্টা করে মনোনয়ন দেওয়া যাবে। হিসেব অনুসারে যা হয় ২৪ ঘণ্টা বা ১৪৪০ মিনিট। একটু কষ্ট করে অঙ্ক কষলেই আসন পিছু কতটা সময় কমিশন বরাদ্দ করেছে তা স্পষ্ট হয়ে যাবে। এই বরাদ্দকৃত সময়ে শাসকদলের মনোনয়ন সোজা পথে, বাঁকা পথে, ঘুর পথে ঠিকঠাক হয়ে গেলেও বিরোধীরা, বিশেষ করে বামেরা প্রবল সমস্যায় পড়বে তা নির্বাচন ঘোষণার দিনেই স্পষ্ট হয়ে গেছিল।

পঞ্চায়েত নির্বাচন ঘোষণার সময় সাংবাদিকরা মুখ্য নির্বাচন কমিশনারকে প্রশ্ন করেন অনলাইন মনোনয়ন এবং কেন্দ্রীয় বাহিনী ব্যবহার প্রসঙ্গে। দুই ক্ষেত্রেই ‘তাঁর’ (অথবা কার কে জানে?) উত্তর ছিল যথাক্রমে ‘কাল পরশু পরিস্থিতি কোথায় যায় দেখি, তারপর বলা যাবে’ এবং ‘কাল থেকে অবস্থা কী হয় দেখি’। যেহেতু ‘মর্নিং শোজ দ্য ডে’, তাই বিস্তারিত আলোচনায় যাচ্ছি না। পরিস্থিতি ঠিক কোথায় দাঁড়িয়েছে তা বিগত ৬ দিনে রাজ্যের মানুষ কিছুটা হলেও বুঝতে পেরেছেন।

পঞ্চায়েত নির্বাচন ঘোষণা হয়ে যাবার পর ওইদিনই মহম্মদ সেলিম সাংবাদিকদের জানান, ‘পঞ্চায়েত ভোটের তারিখ পেয়েছি। কিন্তু মনোনয়ন পত্র জমা থেকে পঞ্চায়েতের ফল ঘোষণা পর্যন্ত কমিশনের সজাগ সতর্ক তৎপরতা দাবি করছি। উনি এর আগে মুখ্যসচিব ছিলেন, উনি ভালোই জানেন কীভাবে শাসকদল পুলিশ ও গুন্ডাবাহিনী দিয়ে এর আগে গণতন্ত্র নিধন করেছে। মুখ্যসচিব হিসেবে যা করতে পারেননি এবার সাংবিধানিক পদে বসে রাজ্য সরকারের তাঁবেদার না হয়ে সেই কাজ করে দেখান।’ আশা করি এই চাঁচাছোলা বক্তব্যের নতুন কোনো ব্যাখ্যা হাজির করার প্রয়োজন নেই।

শুক্রবার, ৯ জুন, ২০২৩

রাজ্য নির্বাচন কমিশনের ঘোষণামতো খাতায় কলমে এদিনই ছিল মনোনয়ন জমা দেবার প্রথম দিন। যদিও নির্বাচন কমিশন যে আদৌ মনোনয়ন জমা নেবার অবস্থায় ছিল না তা প্রমাণ হয়ে যায় বহু জায়গায়। প্রার্থীরা অনেক জায়গাতেই মনোনয়ন দাখিল করতে পৌঁছে গেলেও দেখা মেলেনি প্রশাসনিক আধিকারিকদের। কোথাও আবার আধিকারিক থাকলেও ছিল না ডিসিআর। এভাবেই চরম অব্যবস্থার মধ্যে, কোনো প্রস্তুতি ছাড়াই ‘ছুঁড়ির বিয়ে’র প্যান্ডেলের বাঁশ বাঁধা শুরু হয় কর্ত্রীর ইচ্ছেয়, কর্তার হুকুমে। নজিরবিহীনভাবে এবার নির্বাচন ঘোষণার আগে হয়নি কোনো সর্বদলীয় বৈঠকও। ঢাল তরোয়ালহীন নিধিরাম সর্দারের যুদ্ধ যাত্রার শুরু এভাবেই।

সোমবার, ১২ জুন, ২০২৩

মনোনয়নের প্রথম দু’দিন রাজ্যজুড়ে ব্যাপক হিংসা, একজনের মৃত্যু এবং বামেদের প্রতিরোধের ছবি দেখেছে রাজ্যের মানুষ। যা নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় বিরোধীরা।

এই মামলার শুনানির সময় ১৪ জুলাই নির্বাচন করা হোক বলে প্রস্তাব দেওয়া হয় আদালতের পক্ষে। যদিও নির্বাচন কমিশনের পক্ষে সেই প্রস্তাবের বিরোধিতা করা হয়। প্রধান বিচারপতির প্রস্তাবের পালটা কমিশনের আইনজীবী আদালতে বলেন, নির্বাচনের দিন পিছিয়ে দেওয়া যায় না। গত পঞ্চায়েত নির্বাচনেও মনোনয়নের জন্য ৭ দিনই সময় দেওয়া হয়েছিল। যার উত্তরে প্রধান বিচারপতি জানান, ধারা ৪৩ অনুসারে নোটিফিকেশন দিয়ে সময় বাড়ানো যায়।

প্রধান বিচারপতি আরও বলেন, নির্বাচন কমিশন অনেক ক্ষমতার অধিকারী একটি স্বাধীন সংস্থা। স্বাধীন সংস্থা কোনো চাপের মুখে নত হতে পারে না। আমরা অনুভব করেছি যে, প্রাথমিকভাবে মনোনয়নের জন্য পর্যাপ্ত সময় নেই। তিনি আরও বলেন, ভোটারদের কোনোভাবেই কষ্ট দেওয়া উচিত নয়। নির্বাচন কমিশনকে অবশ্যই ভোটারদের আস্থা অর্জন করতে হবে। মনোনয়ন দাখিল করা এমনই একটি প্রক্রিয়া। কিন্তু ভোটারদের পুরো প্রক্রিয়ায় আস্থা থাকা উচিত।

প্রধান বিচারপতির প্রশ্নের উত্তরে নির্বাচন কমিশন জানায়, এখনও পর্যন্ত ১০ হাজার মনোনয়ন জমা পড়েছে এবং মনোনয়ন জমার প্রক্রিয়া চলছে। মনোনয়ন জমার সময়সীমা বিকেল ৩টে হলেও তখনই মনোনয়ন প্রক্রিয়া বন্ধ হয়ে যাচ্ছে না। যতক্ষণ পর্যন্ত লাইন থাকছে ততক্ষণ মনোনয়ন জমার প্রক্রিয়া চলছে।

কমিশনের এই বক্তব্যের উত্তরে প্রধান বিচারপতি জানান, তার মানে এটা স্পষ্ট যে, মনোনয়ন জমার জন্য ৪ ঘণ্টা দেওয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার, ১৩ জুন, ২০২৩

পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে মামলার রায়ে এদিন রাজ্য নির্বাচন কমিশনের ৯ জুনের বিজ্ঞপ্তিই বহাল রাখে কলকাতা হাইকোর্ট। পঞ্চায়েত নির্বাচন সংক্রান্ত মামলার রায়ে জানানো হয় মনোনয়নের সময়সীমায় হস্তক্ষেপ করছে না কলকাতা হাইকোর্ট। যদিও আদালত জানায়, স্পর্শকাতর জেলায় নিয়োগ করতে হবে কেন্দ্রীয় বাহিনী। শুধু রাজ্য পুলিশ নয়, কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়েই করতে হবে নির্বাচন। কোনো অবস্থাতেই নির্বাচনের কাজে বা আইনশৃঙ্খলা রক্ষার কাজে সিভিক ভলান্টিয়ারদের ব্যবহার করা যাবে না।

মনোনয়ন পেশের সময়সীমা বাড়বে কিনা সেই সিদ্ধান্ত নেবে রাজ্য নির্বাচন কমিশনই। অর্থাৎ মনোনয়নের সময়সীমা ১৫ জুন থেকে বাড়বে কিনা সেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে নির্বাচন কমিশনকেই।

আদালত আরও জানায়,নিরাপত্তার খাতিরে সমস্ত বুথে সিসিটিভি লাগাতে হবে এবং সমস্ত ফুটেজ সংরক্ষণ করতে হবে। যেখানে সিসিটিভি’র ব্যবস্থা করা যাবেনা সেখানে ভিডিওগ্রাফি করতে হবে। তিন স্তরের ভোট গণনা এক সঙ্গেই করতে হবে। এছাড়াও নির্বাচনের জন্য কর্মী না পাওয়া গেলে চুক্তিভিত্তিক কর্মী নেওয়া যাবে।

মোট ৭টি জেলাকে স্পর্শকাতর হিসেবে ঘোষণা করা হয়। এই সাত জেলার মধ্যে আছে উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, বীরভূম, মুর্শিদাবাদ, জলপাইগুড়ি, পূর্ব মেদিনীপুর এবং হুগলি। এইসব জেলায় অবিলম্বে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করতে হবে। ৭টি জেলা ছাড়া আর কোথায় কোথায় কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করতে হবে তা চিহ্নিত করতে বলা হয়।

বৃহস্পতিবার, ১৫ জুন, ২০২৩

আজ দুপুর বারোটায় এই লেখা যখন লিখতে বসেছি তখনও মনোনয়ন পর্ব চলছে। কমিশন এখনও পর্যন্ত মনোনয়নের সময়সীমা বাড়ানোর কোনো ঘোষণা করেনি। মনোনয়ন জমা নিয়ে এদিনও সংঘর্ষ চলছে জেলায় জেলায়।

একটু আগেই চোপড়ায় মনোনয়ন দিতে যাবার পথে বাম ও কংগ্রেস কর্মীদের ওপর গুলি চালানো হয়েছে তৃণমূলের পক্ষ থেকে। আহত কমপক্ষে কুড়ি জন। যাতে একজনের মৃত্যু হয়েছে। আহত এক ব্যক্তি জানিয়েছেন, আজ সকালে তাঁরা যখন সিপিআই(এম)-এর পক্ষে মনোনয়ন জমা দিতে যাচ্ছিলেন, সেই সময় তৃণমূল বাহিনী গুলি চালায়। এছাড়া ভাঙড়ে আরও ২জনের মৃত্যু হয়েছে।

অন্যদিকে আজই আদালতে আবারও চলছে শুনানি। যেখানে প্রশ্নের মুখে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। আদালত প্রশ্ন তুলেছে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের গড়িমসি নিয়ে। গত মঙ্গলবার নির্দেশ দেবার পরেও এখনও কেন কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি সেই প্রশ্নও তুলেছে আদালত। যদিও রাজ্য নির্বাচন কমিশন এদিন আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিল কেন্দ্রীয় বাহিনী প্রসঙ্গে আগের রায়ের সংশোধনী চেয়ে। রাজ্য এদিন আদালতে জানিয়েছে, রাজ্যের ৭ জেলাকে স্পর্শকাতর বলা হলেও ঠিক কোন কোন জেলা স্পর্শকাতর তা নিয়ে স্পষ্ট কোনও তথ্য তাদের কাছে নেই।

বৃহস্পতিবার আদালত খুব স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছে, ‘হাইকোর্টে আসা বিভিন্ন এলাকার বিরোধী প্রার্থীদের বসিরহাট, ক্যানিং, ভাঙড়, কাশীপুর পৌঁছাতে কলকাতা পুলিশকে এসকর্ট দিতে হবে’।

এদিন দুপুরে এক ট্যুইট বার্তায় মহম্মদ সেলিম বলেন, “পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের একটি বিভাগ তৃণমূলের গুন্ডাবাহিনীর সাথে সহযোগিতার রাস্তায় হাঁটছে। রাজ্য নির্বাচন কমিশন সম্পূর্ণ অকার্যকর এবং দায়িত্বজ্ঞানহীন। রাষ্ট্রীয় প্রশাসনের দায়িত্বহীন ও একতরফা মনোভাবের জন্য তৃণমূল সরকারকে চড়া মূল্য দিতে হবে।” অন্য এক ট্যুইটে তিনি বলেন, “উত্তর দিনাজপুরের চোপড়া ব্লকে এখনই তৃণমূলের গুন্ডা বাম কর্মী ও প্রার্থীদের উপর গুলি চালিয়েছে। বাম-কংগ্রেস সমর্থকরা ওই সময় মনোনয়ন জমা দিতে ব্লক অফিসে যাচ্ছিলেন।”

এবং পরিশেষে

আজ সন্ধের আগে বোঝা যাবেনা রাজ্যের পঞ্চায়েত নির্বাচনের ভবিষ্যৎ কোন দিকে যাচ্ছে এবং ঠিক কত মনোনয়ন জমা পড়বে অথবা কোন রাজনৈতিক দল শেষ পর্যন্ত কত মনোনয়ন জমা করতে পারবে। সঙ্গত কারণেই এই হিসেবে তৃণমূলকে রাখা ঠিক হবে না। কারণ প্রশাসনকে ব্যবহার করে, যে কোনো মূল্যে সব আসনেই তৃণমূল মনোনয়ন জমা করবেই। পঞ্চায়েতের মাধ্যমে গ্রামীণ মানুষের উন্নতি করা, ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণ করা নয়, পঞ্চায়েতের সোনার খনির দখল নেওয়াই তাদের মূল লক্ষ্য। সেই দখল না নিতে পারলে ৭৫:২৫ কমিশন তত্ত্বের বাস্তবায়ন হবে কীভাবে? তাইতো বোমা, বন্দুক, লাঠি হাতে গ্রামে গ্রামে বামেদের মনোনয়ন আটকানোর মরিয়া চেষ্টা। যদিও রাজ্যের মানুষের বিগত কয়েকদিনের একরোখা মনোভাবে একটা বিষয় এখন দিনের আলোর মত স্পষ্ট। ২০১৮ আর ২০২৩ কিন্তু এক নয়। মানুষের সম্মিলিত, ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধেই অবসান হবে এই কালো দিনের। এখন অপেক্ষা নতুন সকালের...