৬০ বর্ষ ৬ সংখ্যা / ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০২২ / ৩০ ভাদ্র, ১৪২৯
কলকেতা হইতে খুড়ার পত্র
বরুণ বন্দ্যোপাধ্যায়
“তুম ছাড়া কোই সম্জে না তো হম্রা দুরাবস্থা,/বহির তেরি বহুৎ merry খিল্খিল্ কর্কে হাস্তা!” ‘নাসিক হইতে খুড়ার পত্র’ রবীন্দ্রনাথ কবে লিখেছিলেন কে জানে! তবে এটা ঠিক কবির মতো এখন আমাদেরও ‘দুরাবস্থা’র শেষ নেই। ইচ্ছে হোক বা না হোক, চাই বা না চাই, দিনভর শুনতে, দেখতে হবে এমনকিছু মানুষজনের কথা যাদের কোনো অবস্থাতেই ‘বর্ণপরিচয়’-এর ভাষায় সুবোধ বালক বলা যেতে পারে না। কেউ চিটফান্ড কাণ্ডে প্রাক্তন জেলফেরত, তো কাউকে প্রকাশ্যে ঘুষ নিতে দেখা গেছে। আবার কেউবা গোরু পাচার, কয়লা পাচার, বালি পাচারে অভিযুক্ত। কারোর আবার ঘনিষ্ঠের বাড়ি থেকে কাঁড়ি কাঁড়ি টাকা উদ্ধার। সকলেই কোনো না কোনোভাবে অভিযুক্ত। আর ‘মেইন ইস্টিরিম’ মিডিয়ার দৌলতে তাদের অমৃতবাণী, অনৃতবাণী শুনে আমাদের দিনযাপন। তারা গলার শির ফুলিয়ে জ্ঞান দেবেন, আমরা শুনব। তারা কার চামড়া দিয়ে জুতো বানাবেন, আমরা দেখব। কোন যুবরাজের কার মাথায় গুলি করতে ইচ্ছে করছে তা নিয়ে ঘণ্টাখানেক আলোচনা করব। মুহূর্তে মুহূর্তে এইসব রোমাঞ্চকর ‘ব্রেকিং’-এর ঠ্যালায় সাধারণের বুদ্ধিশুদ্ধি, হার্ট-ফার্ট ব্রেক করে যাবার দশা। এ ‘দুরবস্থা’ কি যে সে ব্যাপার। পুরো কাপড়ে চোপড়ে হবার দশা। চোর, জোচ্চোর, বাটপাড়দের সুভাষিত বাণী শুনে যদি দিন কাটাতে হয় তাহলে যা হবার তাই হচ্ছে। আমরা ক্রমশ এগিয়ে চলেছি - কোন কৃষ্ণগহ্বরের দিকে কে জানে? কৃষি আমাদের ভিত্তি, শিল্প আমাদের ভবিষ্যৎ-এর পথ পেরিয়ে এখন আমাদের পরম প্রাপ্তি, ঢপ আমাদের ভিত্তি, চুরি আমাদের ভবিষ্যৎ।
‘পুলিশ চাইলেই গুলি চালাতে পারত। কিন্তু অনেক সংযত ছিল।’ এটা বিরোধীদের এক কর্মসূচি প্রসঙ্গে রাজ্যের প্রশাসনিক ক্ষমতার শীর্ষে থাকা মুখ্যমন্ত্রীর বয়ান। আর এই রাজ্যের শাসকদলের এক সাংসদের বয়ানে, ‘যদি আমার সামনে পুলিশের গাড়িতে আগুন জ্বালানো হতো, এরকম হামলা হতো, তাহলে আমি এখানে শ্যুট করতাম, মাথার ওপরে।’ একথা আমি বলিনি। এইধরনের উদ্ধত, হিংস্র মানসিকতা আমার কেন, রাজ্যের অধিকাংশ মানুষের নেই। যাদের আছে, ‘তাঁরা’ বিরোধীদের কপালে গুলি করে মেরে ফেলার ইচ্ছে প্রকাশ করেন (মাননীয় সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এসএসকেএম-এ দাঁড়িয়ে সাংবাদিকদের কাছে তাঁর বক্তব্য জানানোর সময় হাত দিয়ে কপাল দেখিয়ে বুঝিয়ে দিয়েছিলেন গুলিটা কোথায় করা হবে)। তা সে পিসি হোক বা ভাইপো। ইচ্ছের রুট একটাই। এই ইচ্ছাকে ‘ফ্যাসিবাদী ইচ্ছে’ বলব নাকি ‘ফ্যাসিবাদীদের মতো ইচ্ছে’ বলব তা ঠিক বুঝতে পারছি না। মনে হয় এখনই এই বিষয়ে বেশি মাথা ঘামিয়ে লাভ নেই। বরং পরিস্থিতি আরও একটু পর্যালোচনা করে পরে নাহয় সিদ্ধান্তে পৌঁছানো যাবে।
একইদিনে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এবং শাসকদলের সাংসদের যৌথ বিলো দ্য বেল্ট হুঁশিয়ারি একেবারে বিনা কারণে মনে করার কোনো কারণ নেই। এ বক্তব্যের পেছনে একদিকে যেমন বিরোধীদের প্রকট হুমকি দেবার ইঙ্গিত স্পষ্ট, তেমনই অন্যদিকে রাজ্যের পুলিশ প্রশাসনকে বেশ কিছুটা উস্কে দেবার প্রচ্ছন্ন চেষ্টাও গোপন করা যাচ্ছে না। প্রশাসনকে ব্যবহার করে বিরোধীদের দমনের খেলা তো যুগে যুগে চলে আসছে। সাম্প্রতিক সময়ে এই রাজ্যেও এরকম মুঠো মুঠো উদাহরণ আছে। বামেদের কোনো আন্দোলন, বিক্ষোভ, অভিযান থাকলেই রাজ্যের পুলিশ প্রশাসনের তৎপরতা মানুষ তো কম দেখেনি। এই ক’দিন আগেই গত ৩১ আগস্ট পূর্ব বর্ধমানে অতি তৎপর পুলিশ বাহিনীর ভূমিকা রাজ্যবাসী সবটাই দেখেছে। যে আইন অমান্যর ঘটনাকে ঘিরে বাম কর্মীদের বিরুদ্ধে দুটি মামলা রুজু করা হয়। যার মধ্যে একটির অভিযোগকারী ছিলেন বর্ধমান থানার আইসি সুখময় চক্রবর্তী। অপর অভিযোগটি করেন এক তৃণমূল কর্মী। বীজগণিতের সূত্রে ফেলে পুলিশ = তৃণমূল করে নিতে খুব একটা বেগ পেতে হবেনা। কে ‘এ’ হবে আর কে ‘বি’ তা নিজেদের মতো করে ঠিক করে নিলেই এ প্লাস বি হোলস্কোয়ার = এ স্কোয়ার প্লাস টুএবি প্লাস বি স্কোয়ার পাওয়া যাবে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর মতো কেউ আবার জিজ্ঞেস করে বসবেন না ‘ইয়ে এক্সট্রা টুএবি কাঁহাসে আয়া?’ ‘এ’ ‘বি’ তো পেয়েই গেছেন। ওই এক্সট্রা ‘টুএবি’ খান আছেন বসে দিল্লিতে। আমরা বরং নেচে গেয়ে সময় কাটাই খিল্লিতে।
২০২২-এর সেপ্টেম্বর মাস চলছে। এই মাসেরই ৭ তারিখ। বুধবার দুপুর। নবান্নে প্রশাসনিক বৈঠকে বসেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। আর ওইদিন বৈঠকের শুরু থেকে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে ক্ষোভে ফেটে পড়েন মুখ্যমন্ত্রী। মুখ্যমন্ত্রী জানতে চান, কেন মানুষ পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলছে? রাজ্যের পুলিশকে নিয়ে সাধারণ মানুষ প্রশ্ন তুললে রাজ্যের পুলিশমন্ত্রীর গোঁসা হওয়া স্বাভাবিক! যদিও রাজ্যের পুলিশকে নিজের হাতে করে শেষ করেছেন কে? ‘সে প্রশ্ন আমাকে কোরো না’। সে উত্তর আছে যে বছর তিনি ক্ষমতায় এসেছিলেন সেই ২০১১ সালের নভেম্বর মাসে। যেদিন রাজ্যের ‘গুন্ডা কন্ট্রোল করা’ পুলিশমন্ত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী স্বয়ং পৌঁছে গেছিলেন ভবানীপুর থানায় দুই আটককে ছাড়িয়ে আনতে। কলকাতা শহরের নাগরিকদের অভিযোগে যাদের আটক করা হয়েছিল জগদ্ধাত্রী পুজোর ভাসানে শব্দবাজি ফাটানোর অভিযোগে। অভিযোগ, মুখ্যমন্ত্রী নিজের প্রভাব খাটিয়ে পুলিশকে বাধ্য করেছিলেন আটকদের নিঃশর্তে ছেড়ে দিতে। বিষবৃক্ষ কি সেইদিনই রোপিত হয়েছিল রাজ্যের বুকে? নাকি তারও আগে। ২০০৮ সালে রাজ্যে বিরোধী থাকাকালীন তাঁরই দলের এক নেত্রী ‘কীসের বাচ্চা টাচ্চা বলে’ পুলিশের জিভ টেনে ছিঁড়ে নেবার কথা বলেছিলেন নোদাখালি থানায় ঢুকে।
৭ ফেব্রুয়ারি, ২০১৩। বইমেলায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর গাড়ি আসার জায়গা বদল হওয়ায় তাঁকে দু-তিন মিনিট অপেক্ষা করতে হয়। যাতে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন মুখ্যমন্ত্রী। পুলিশের স্পেশাল ব্র্যাঞ্চের সার্জেন্ট কে কে দ্বিবেদীকে তিনি বলেন, ‘আপনাদের ধরে চাবকানো উচিত’। এই ঘটনার মাত্র পাঁচ দিনের মাথায়, ১২ ফেব্রুয়ারি কলকাতার হরিমোহন ঘোষ কলেজের নির্বাচনের মনোনয়ন জমা দেওয়া নিয়ে তুমুল হাঙ্গামা বাধে। যে ঘটনায় মৃত্যু হয় গার্ডেনরিচ থানার সাব-ইন্সপেক্টর তাপস চৌধুরীর। এর কিছুদিনের মধ্যেই এই হত্যাকাণ্ডের মূল অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা ইকবালকে প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াতে দেখা যায়। এরও আগে পার্ক স্ট্রিট গণধর্ষণ কাণ্ডের পর দময়ন্তী সেনকে পদ থেকে সরিয়ে দেওয়াও তো বোধহয় আমরা এখনও ভুলিনি।
এরপরেই টেবিলের তলায় ঢুকে যেতে বাধ্য হয়েছিল পুলিশ। বাস্তবে না হলেও পরিস্থিতির চাপে। এই ঘটনার তিন বছর পরেই খোদ কলকাতার বুকে সেই ছবি দেখেছিল রাজ্যবাসী। প্রকাশ্য দিবালোকে। আলিপুর থানায়। ২০১৪ সালের নভেম্বর। সেবার মুখ্যমন্ত্রীর অতি ঘনিষ্ঠ শাসকদলের এক প্রভাবশালী নেতা তথা রাজ্যের মন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ তৃণমূল নেতার নাম জড়ায় ঘটনার সঙ্গে। আলিপুর থানায় তৃণমূল বাহিনীর তাণ্ডবে মাথায় ফাইল চাপা দিয়ে টেবিলের আড়ালে লুকোয় পুলিশ। মুহূর্তে ভাইরাল হয়ে যায় যে ছবি। ব্যাপক হাঙ্গামা করে ঠিক ২০১১-র নভেম্বর মাসে মুখ্যমন্ত্রীর দেখানো পথ অনুসরণ করে আটক ৪ মহিলা সহ ১৪ জন অভিযুক্তকে ছাড়িয়ে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ ওঠে। যদিও আনন্দবাজারের প্রতিবেদন অনুসারে ওই সময় লালবাজারের এক পুলিশকর্তা এই ঘটনার ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে জানিয়েছিলেন, “হামলাকারীদের থেকে বাঁচার জন্য নয়, ক্যামেরায় ধরা না-পড়ার জন্যই উনি ও-ভাবে বসে ছিলেন।” যদিও এই বিবৃতির আগেই হামলার মোটামুটি লাইভ টেলিকাস্ট দেখে নিয়েছিল রাজ্য তথা দেশবাসী। তাই পুলিশ কর্তা যাই বলুন না কেন হোয়াট ইজ হোয়াট সেটা তাদের কাছে দিনের আলোর মতো স্পষ্ট। যে ঘটনা প্রসঙ্গে তৎকালীন পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম জানিয়েছিলেন, “সামান্য ঘটনা। কিছু মানুষ থানায় স্মারকলিপি দিতে গিয়েছিলেন।” আর যে ঘটনা প্রসঙ্গে রাজ্যের প্রাক্তন পুলিশ কমিশনার নিরুপম সোম জানিয়েছিলেন, ‘আগে লোকে পুলিশকে ভয় পেত। এমন ঘটনা কখনও দেখিনি।’ প্রাক্তন পুলিশ কমিশনার তুষার তালুকদার জানিয়েছিলেন, ‘এই পুলিশ থাকা না থাকা একই! থানায় তালা চাবি দিয়ে দিলেই হয়।’ আর যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য অশোকনাথ বসু বলেছিলেন, ‘বিচারের বাণী টেবিলের নিচে কাঁদে। এ এক বিস্ময়কর ঘটনা।’
বিগত কয়েকবছরে পুলিশের ওপর রাজ্যের শাসকদলের নজিরবিহীন এই আক্রমণের ঘটনা আরও অনেক আছে। ১৯ জুলাই ২০১৪ খয়রাশোলে পুলিশ ফাঁড়ির ভিতরে ঢুকে ভাঙচুর। অভিযুক্তরা কেউ ধরা পড়েনি। ৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৪। বোলপুরে থানায় ঢুকে পুলিশকে বেধড়ক মার। যে ঘটনায় অভিযুক্তের পক্ষে সাফাই দিয়েছিলেন বর্তমানে গোরুপাচার মামলায় জেলবন্দি তৃণমূলের নেতা অনুব্রত মণ্ডল। আর এই অনুব্রত মণ্ডলই তো ২০১৩ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে বীরভূমের পাড়ুইতে প্রকাশ্য সভায় নির্দেশ দিয়েছিলেন, ‘পুলিশকে বোম মারুন, পুলিশের গাড়ি জ্বালিয়ে দিন। আমি বলছি।’ আর কোনো ঘটনা বলে কথা বাড়িয়ে লাভ নেই। রাজ্যের পুলিশের মেরুদণ্ড কার এবং কাদের আঙুল নাড়ানোয় ভেঙে ধুলোয় মিশে গেছে সেকথা একমাত্র ভালো বলতে পারবেন রাজ্যের পুলিশমন্ত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী স্বয়ং। ফলে স্বাভাবিকভাবেই এই বছরের এপ্রিল মাসে মেদিনীপুরে যেরকম পুলিশের বিরুদ্ধে হেনস্থার অভিযোগ তুলে মানুষ রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন সেরকম ঘটনা ক্রমশ বাড়বে।
এতক্ষণ পর্যন্ত যা যা লিখেছি তাতে কোনোভাবেই একথা ভেবে নেওয়া উচিত নয় আমি পুরো বিষয়টাকে জাস্টিফাই করার চেষ্টা করছি। না একদমই নয়। কারণ রাজ্যের মানুষ এইসব ঘটনাগুলো যেমন দেখেছে তেমনই রাজ্যের মানুষ সুদীপ্ত গুপ্তের মৃত্যু দেখেছে, মইদুল ইসলাম মিদ্যার হত্যা দেখেছে, আনিস খানের হত্যা দেখেছে। হাঁসখালি গণধর্ষণ কাণ্ড দেখেছে। বগটুই গণহত্যা দেখেছে। বাগুইহাটির জোড়া খুন দেখেছে। চিংড়িঘাটার পথ দুর্ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা দেখেছে। আর বামেদের লালবাজার অভিযান, নবান্ন অভিযান, জেলায় জেলায় বিভিন্ন কর্মসূচি, অভিযান, রাজ্যের দু’দুটো পঞ্চায়েত ভোটের মনোনয়ন পর্ব, পঞ্চায়েত ভোট, পুরসভা ভোট, বিধানসভা নির্বাচন, লোকসভা নির্বাচন সবই দেখেছে এবং সেইসব ঘটনায় পুলিশের ভূমিকাও দেখেছে। বিজেপি’র বিক্ষোভে পুলিশের ভূমিকা আর বামেদের বিক্ষোভে পুলিশের ভূমিকার ফারাকটাও চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়েছে কারা কাদের পক্ষে, কাদের হয়ে লাঠি ধরে।
মুখ্যমন্ত্রী ইদানীং বলে থাকেন, পুলিশের গাফিলতির জন্য সরকার কেন ভুগবে? পুলিশের ভূমিকায় উষ্মা প্রকাশ করেন। অসন্তোষ প্রকাশ করেন। কিন্তু পুলিশকে কীভাবে এই নড়বড়ে জায়গায় পৌঁছে দেওয়া হলো যেখানে শাসকপক্ষের অপরাধ কোনো অপরাধই নয়। বিরোধীদের সামান্য শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভেও কোনো ক্ষমা নেই। বিরোধীদের আন্দোলনের অনুমতি নেই। বিরোধীদের মিছিলে অনুমতি নেই। নড়বড়ে পুলিশের সময় সময় অতি সক্রিয়তায় সাধারণ মানুষের ক্ষোভ বাড়ে বৈকী।
গড়বড়ে সময়, নড়বড়ে পুলিশ, ভঙ্গুর প্রশাসন। মানুষ জেগে উঠছে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে চারপাশ আরও অশান্ত হয়ে উঠবে। অতএব, ‘চিঠি লিখিও মাকে দিও বহুত বহুত সেলাম,/ আজকের মতো তবে বাবা বিদায় হোকে গেলাম।’