৫৯ বর্ষ ১৮ সংখ্যা / ১৭ ডিসেম্বর, ২০২১ / ১ পৌষ, ১৪২৮
আমলকি, হরতকি, বহেড়া - এরে কয় ত্রিফলা
বরুণ বন্দ্যোপাধ্যায়
আমলকি, হরতকি, বহেড়া। এই তিনে মিলে নাকি ত্রিফলা হয়। ত্রিফলা শুনেই আপনি হাসতে শুরু করলে আমার কিছু করার নেই। আমি নিতান্তই ভেষজ ত্রিফলার কথা বলতে চেয়েছি। যে তিন ফলের প্রচুর প্রচুর গুণ। প্রতিদিন সেবন করতে পারলেই কেল্লা ফতে। কিন্তু ওই আপনাদের দোষ। সারাদিন রাজনীতি করে করে ত্রিফলা বললেই আপনারা যদি তিন মাথাওয়ালা ঢপবাতি ছাড়া অন্য কিছু ভাবতে না পারেন সে দোষ একান্তই আপনার। আমি অন্তত ত্রিফলা নিয়ে কোনো রাজনীতিতে আগ্রহী নই। কাজেই আপনি যতই বলুন ত্রিফলা পান করলে শরীর ভালো থাকে আর ত্রিফলা সাপ্লাই করলে পকেট - আমি ওসব জটিল কচকচিতে ঢুকতেই রাজি নই। মানুষ এখন সকালের কথা বিকেলে ভুলে যায়। কাজেই হাজারো ব্রাহ্মী শাক খাওয়ালেও এখন আর সেই ত্রিফলার কথা মনে পড়বে না। সে প্রসঙ্গ না টানাই ভালো।
কর্পোরেশনকে কেউ কেউ নাকি চুপি চুপি ‘চোরপোরেশন’ বলে থাকেন। চোরপোরেশনই হোক কিংবা কর্পোরেশন - তাতে আম আদমির কিস্যু না। আপাতত ঝকঝকে ফ্লেক্স, ব্যানার, হোর্ডিং-এ চোখের তৃপ্তি। ঝলসে যাওয়া চোখ রগড়ে রগড়ে লাল হলেও জলে বেহাল শহরের কথা এখন মনে পড়া কিছুটা মুশকিল। কারণ ভিশন অতি ভীষণ বস্তু। চোখের সামনে এই মুহূর্তে যা দেখা যায় সেটুকুই স্মৃতিতে রাখতে ভালোবাসেন অনেকে। কে আর কবে মনে রেখেছেন বা রাখতে চান সিঙারা, তোয়ালে, স্যান্ডো গেঞ্জির ত্রিফলার কথা। আমি তোয়ালে, স্যান্ডো গেঞ্জি বা সিঙারা বলতেই আপনার ঠোঁটের কোণে আবার মিটি মিটি হাসি। বিশ্বাস করুন আমি কোনো নারদা ঘুষখোরদের কথা উচ্চারণও করছি না। আমি একবারও বলছি না যে কোনো একটা দল থেকে তিনজন মেয়র হয়েছেন - আর তিনজনকেই ক্যামেরায় কীসব করতে দেখা গেছে। নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসুর নামে ঘুম থেকে উঠে আর শুতে যাবার আগে এক গ্লাস করে জল খাওয়া পাবলিকের খোদ কলকাতা কর্পোরেশনে মেয়রের অ্যান্টি চেম্বারে বসে তোয়ালেবাজি দেখেই কিছু হেলদোল হয়নি! কাজেই আপনি যদি সেসব ভাবেন সে ভাবনা একান্তই আপনার। মানুষের এখন অত ভাবার সময় নেই মোহাই...
আপনি যদি সব কথাতেই হাসতে শুরু করেন তাহলে বাধ্য হয়েই এসব আর বলব না। আমি বলতে চাইছি এক, আর আপনারা যদি মানে করেন আরেক - তাহলে ঘোরতর মুশকিল। বাদ দিন এসব ত্রিফলা, নারদ, মেয়র, ঘুষ, দুর্নীতির কথা। আসুন একটু অন্য গপ্পো করি। ১৯৯৫ সালে কেন্দ্রীয় সরকার একটা প্রকল্প চালু করেছিল। জাতীয় সামাজিক সহায়তা প্রকল্প। মূলত বিপিএল তালিকাভুক্তদের জন্য এই প্রকল্পকে ভিত্তি করে আরও কিছু প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়। ২০০৬ সালের নভেম্বরে এই প্রকল্প খাতে পুরসভার হাতে ছিলো ৪০ লক্ষ টাকা। যা ২০১০ সালে বেড়ে হয় ৭ কোটি ৭৬ লক্ষ টাকা। ২০১৩ সালে ক্যাগ (কাক্কেশ্বর কুচকুচে নয়, কম্পট্রোলার অ্যান্ড অডিটর জেনারেল) জানায় শেষ ৩ বছরে ৭ কোটি ১৪ লক্ষ টাকা খরচ হয়ে গেছে। যে টাকায় ৭২ জনকে নিয়ম বহির্ভূত ভাবে টাকা দেওয়া হয়েছে। ১১ জন বিপিএল তালিকাভুক্তই নন। পঁচাত্তর পঁচিশের আসলি কাহিনিটা কবে থেকে শুরু হয়েছে কে জানে? আপনি জানেন নাকি?
ওই একটু আগে যে ক্যাগের কথা বলছিলাম, সেই ক্যাগ ২০১৩ সালে জানিয়েছিল বেআইনিভাবে খরচ করে কলকাতা পুরসভা ৮ কোটি টাকা লোকসান করেছে। অভিযোগ ছিল শাসকদলের এক মেয়র পারিষদের দিকে। স্পষ্টভাবে অন্তত ১২টি অভিযোগ করা হয়েছিল। মুখ্যমন্ত্রী যদিও ক্যাগ রিপোর্ট আসার পরেও দাবি করেছিলেন - কোনো অনিয়ম হয়নি। আর ক্যাগের অডিট রিপোর্ট জানিয়েছিল টেন্ডার প্রক্রিয়াতেই দুর্নীতি ছিলো। মাত্র চার দিনের নোটিশে স্পট টেন্ডার ডেকে বরাত দেওয়া হয়। কোনো নির্দিষ্ট দর ছিল না। তাই একেক জায়গায় একেক রকম দাম। অনেক ঠিকাদার টেন্ডারের আরনেস্ট মানি জমা করার আগেই বরাতের চিঠি পেয়ে গেছিলেন। একাধিক পুর-ইঞ্জিনিয়ারের বক্তব্য অনুসারে, ত্রিফলার দাম ঠিক করার ক্ষেত্রে পুরসভাই শিডিউল তৈরি করেছিল। পরে দেখা যায় ওই দাম বাজারের চেয়ে অনেক বেশি। ক্যাগের হিসেব অনুসারে প্রতিটি পোলের জন্য ৮,১৯০ টাকা করে অতিরিক্ত খরচ করেছিল কলকাতা পুরসভা। এরকম ১০ হাজার পোল বসানো হয়েছিল কলকাতা জুড়ে। এখন যদিও ওই ত্রিশূলগুলো আর দেখা যায় না। যাহ্! আপনাদের ফেরে পড়ে আমিও বেমালুম ত্রিফলার কথা বলে ফেললাম। কেলেঙ্কারি কাণ্ড! সরি সরি... আর বলব না...
বেড়াল নাকি আড়াই পা গেলেই সব ভুলে যায় আর ন্যাড়া একবারই বেলতলায় যায়। কোন্টা কোন্ ক্ষেত্রে প্রযোজ্য ঠিক জানিনা। তবে আরও একটা কথা বলতে খুব ইচ্ছে করছে। বলেই ফেলি। কী বলেন? এটা অবশ্য মার্চ ২০১৬-র কথা। সেইসময় পুরসভায় ঘটা করে তৈরি হয়েছিল উপদেষ্টা কমিটি। যার শীর্ষে শাসকদলের প্রাক্তন মেয়র পারিষদ পার্থ হাজারি। তিনি তহবিল সংক্রান্ত এক মাসিক বৈঠকে বলে ফেলেন, বাসস্ট্যান্ড নির্মাণে যে টাকা খরচ করা হচ্ছে তা অনেক বেশি। পুরসভা জানিয়েছিল সেই সময় এক একটা বাস স্ট্যান্ড তৈরিতে খরচ হচ্ছে সাড়ে তিন থেকে চার লক্ষ টাকা। পুরসভার ইঞ্জিনিয়ারদের বক্তব্য ছিল, যে ধরনের বাসস্ট্যান্ড তৈরি হচ্ছে তাঁর খরচ কোনোমতেই দেড় থেকে দু’লক্ষ টাকার বেশি হওয়ার কথা নয় এবং সেই হিসেবে ২০০ বাসস্ট্যান্ড তৈরিতে কমপক্ষে তিন কোটি টাকা অতিরিক্ত খরচ দেখানো হয়েছে। ওইসময় কলকাতায় শাসকদলের বিধায়ক এবং রাজ্যের সাংসদ তহবিলে একশো কোটি টাকার বেশি জমা পড়ার কথা। বিধায়ক সাংসদদের সুপারিশ অনুসারে কাজ করে পুরসভা। তাহলে এত টাকা গেল কোথায়? আপনারা এর পেছনে যেন আবার দুর্নীতি খুঁজতে যাবেন না। তবে এর উত্তর সুকান্ত নিশ্চই জানতেন। তাই বলে গেছিলেন, ‘কেমন ক’রে? সে প্রশ্ন আমাকে ক’রো না।’
কুমির তার বাচ্চাদের শেয়াল পণ্ডিতের কাছে লেখাপড়া শিখতে পাঠিয়েছিল। শেয়াল প্রতিদিন একটা করে বাচ্চা খেয়ে ফেলতো আর কুমিরকে একই বাচ্চা বারবার দেখিয়ে হিসেব ঠিক মিলিয়ে দিত। উপেন্দ্রকিশোরের গল্পে ঢেউ গোনার হিসেবে গণ্ডগোল হলে চোটপাট করতো মজন্তালী সরকারও। গপ্পো যদিও সবসময় গপ্পো নয়। লুকিয়ে থাকে বাস্তবও। যেমন ধরা যাক ১৯৯২ সালের কথা। কলকাতা পুরসভায় তখন মেয়র সিপিআই(এম)-এর প্রশান্ত চ্যাটার্জি। কমিশনার অমিত কিরণ দেব। কাজে স্বচ্ছতা আনতে বাম শাসিত পুরবোর্ড সিদ্ধান্ত নেয় বাইরের সংস্থাকে দিয়ে অডিট করানোর। ২০০০ সালে পুরসভায় পালাবদলের পর, মানে তৃণমূলের হাতে যাবার পর সেই অডিট বন্ধ করে দেওয়া হয়। ২০০৫-এ বামেরা ফের পুরসভায় ক্ষমতায় ফেরার পর সেই অডিট ফিরিয়ে আনা হয় ২০০৬-এ। টেন্ডার ডেকে তিন সংস্থাকে বরাত দেওয়া হয়। যদিও ২০১১-তে বাম সরকারের পতনের পর ২০১৩ সালে সেই বরাত বাতিল করে তৃণমূল পরিচালিত পুরসভা। নতুন টেন্ডার করে ৩৬টি সংস্থার মধ্যে থেকে বেছে নেওয়া হয় দুই সংস্থাকে। যদিও ২০১৫ সালের ২৮ নভেম্বর এক মেইনস্ট্রিম মিডিয়া তাদের প্রতিবেদনে জানায় গত দু’বছর কোনো অডিট হয়নি কলকাতা পুরসভায়। আগের অডিটে নাকি ধরা পড়েছিল তেল কেলেঙ্কারি, মেডিক্লেম কেলেঙ্কারি, মিড ডে মিল কেলেঙ্কারি, ট্রিপ টোকেন কেলেঙ্কারি, ত্রিফলা কেলেঙ্কারি প্রভৃতির কথা। এসব অপ্রাসঙ্গিক কথাবার্তা থেকে দূরে থাকাই ভালো।
ঝুলি থেকে বেড়াল যখন বেশ কয়েকটা বেরিয়ে পড়েছে আরও ক’টা নাহয় বেরোক। মনে রাখার দায় বা চাপ কোনোটাই যেহেতু নেই তাই আমরা তো শুনবো আর ভুলে যাবো। এটা অবশ্য হাল আমলের ঘটনা। গণশক্তি নয়। আনন্দবাজার লিখেছিল। ২২ জুন, ২০১৯। অভিযোগ ছিল কলকাতা পুরসভার তিন নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে। সুমন্ত চৌধুরী নামক এক প্রোমোটার অভিযোগ করেন, তিনি নাকি কয়েক দফায় ৪০ থেকে ৪২ লক্ষ টাকা এক কাউন্সিলরকে দিয়েছেন। পাশের এক ওয়ার্ডের কাউন্সিলরকেও বেশ কয়েক লক্ষ টাকা দিয়েছেন। আনন্দবাজারের রিপোর্ট অনুসারে প্রোমোটারের দাবি, ‘‘২০১২ সাল থেকে তোলার টাকা দিয়ে আসছি আমি। এর আগে, কলকাতা পুরসভার দু’নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ছিলেন শান্তনু সেন। সিঁথির বুকে তিনিই এই অলিখিত সিন্ডিকেট প্রথা চালু করেন। ২৫ হাজার টাকা তোলা নিয়ে হাতেখড়ি করেন। কেন টাকা দেব, জানতে চাইলে বলেন, গাড়ি ভাড়া এবং মাইক লাগানোর খরচ রয়েছে। তাই টাকা দিতে হয় নান্তিবাবু।” বিশ্বাস করুন। এটা পুরো কোট আনকোট। আমার লেখা নয়। যে কাগজ না পড়লে নাকি পিছিয়ে পড়তে হয় সেই প্রাতঃনমস্য ‘তাঁরা’ লিখেছিলেন। তিনি আরও জানিয়েছিলেন, ‘‘পরবর্তী কালে কাঠা প্রতি দু’লক্ষ টাকা নিতে শুরু করেন শান্তনু সেন। কাজ হোক বা না হোক, চার কাঠা জমি হলে ওঁকে আট লাখ টাকা দিতেই হত” (আনন্দবাজার ডিজিটাল, কলকাতা, ২২ জুন, ২০১৯)। এর কোনো মীমাংসা আজ পর্যন্ত হয়েছে বলে শুনিনি। আপনি শুনেছেন নাকি?
তিনি হেড আপিসের বড়োবাবু। শান্তশিষ্ট মানুষ। হঠাৎ একদিন তাঁর মনে হয়েছিলো সাধের গোঁফখানা চুরি হয়ে গেছে। সে এক তুলকালাম কাণ্ড। ‘সবাই তাঁরে বুঝিয়ে বলে, সামনে ধরে আয়না, মোটেও গোঁফ হয় নি চুরি, কক্ষনো তা হয় না।’ সুকুমার লিখে গেছেন। তবে বড়োবাবুর গোঁফচুরি নিয়ে ভ্রম হলেও শহর কলকাতার কাছেই এই বছরেই গোটা একটা খাল চুরির খবর পাওয়া গেছে। যা আদৌ ভ্রম নয়। যে খবর প্রকাশিত হয়েছিল একাধিক সংবাদমাধ্যমে। ত্রাণ চুরি, ত্রিপল চুরি, বালি চুরি, চাল চুরির, ওষুধ চুরির পর কলকাতা সংলগ্ন মহেশতলায় নাকি একটা খাল চুরি হয়ে গেছে। আস্ত একটা নিকাশি খাল বুজিয়ে তৈরি হয়ে গেছে সারি সারি দোকান, বাড়ি। কার মদতে খাল চুরি তা জানতে রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছে প্রশাসন। যে এলাকায় এই খাল সেখানে সাংসদ, বিধায়ক সবই বোধহয় রাজ্যের শাসকদলের। প্রতিবেদন জানাচ্ছে, ‘যে খালের অস্তিত্ব নেই, সেখানে জমা জল ফেলার জন্য ৫টি পাম্প রয়েছে। তার জন্য কর্মীও নিয়োগ করেছে ঠিকাদার সংস্থা।’ (আনন্দবাজার ডিজিটাল, কলকাতা, ১৪ জুলাই, ২০২১)। সুকুমার-ই অবশ্য লিখে গেছিলেন - ‘কাউকে বেশি লাই দিতে নেই, সবাই চড়ে মাথায়’।
প-পি-চু-স। এটা অ্যাব্রিভিয়েশন। পুর ভোটের প্রাক্কালে পুরো কথাটা বলেই দি নাহয়। পরস্পর পিঠ চুলকানো সমিতি। পিঠ যখন সকলেরই চুলকোয় তখন হাত ধরাধরি করে একজন আরেকজনেরটা চুলকে দিলে অসুবিধে কিছু নেই। সেই তত্ত্ব মেনেই তো ২০০৩ সালে রাজ্যের বুকে ‘দেবী দুর্গা’র আবাহন। সেপ্টেম্বর মাস ছিল সেটা। আরএসএস-এর এক সভায় হাজির হয়ে তিনি বলেছিলেন, ‘আপনারা যদি ১ শতাংশ সমর্থন দেন আমরা তাহলে লাল সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়াই করতে পারবো’। তিনি আরও জানিয়েছিলেন, ‘আপনারাই প্রকৃত দেশপ্রেমিক। আমি জানি আপনারা দেশকে ভালোবাসেন। আমরা কমিউনিস্টদের বিরুদ্ধে লড়াইতে আপনাদের সঙ্গে আছি’। (দ্য টেলিগ্রাফ, ১৫.৯.২০০৩)। আরএসএস মুখপত্র পাঞ্চজন্যের সম্পাদকের সম্পাদিত এক বই-এর উদ্বোধনে একথা বলার পরেই ‘তাঁর’ মধ্যে দেবী দুর্গাকে খুঁজে পান আরএসএস নেতৃত্ব। কাট টু ২০২১। আরএসএস-এরই আরেক পত্রিকা স্বস্তিকা। বাংলায়। যেখানে ডিসেম্বর সংখ্যায় এক প্রতিবেদনে বিজেপি সাংসদ দিলীপ ঘোষকে উদ্ধৃত করে বলা হয়েছে, ‘মমতাই এখন মুখ। সোনিয়া নয়। কংগ্রেসের দিন শেষ।’ ওই প্রতিবেদনেই বলা হয়েছে, ‘নরেন্দ্র মোদির স্বপ্ন কংগ্রেস মুক্ত ভারত। আপাতত মমতা সেই স্বপ্নের শরিক বলেই আমার ধারণা। তাই ইতিহাস মুছে ফেলে স্বপ্নের ফেরিওয়ালা মমতা’। বিজেপি-কে এখন শিল্পের দাবিতে সিঙ্গুরে ধরনা দিতে দেখে যদি রাজনাথ সিং, তথাগত রায়দের কথা মনে পড়ে যায় সেটা একান্তই আপনার স্মৃতিদোষ। পিঠ কি খুব চুলকোচ্ছে?
উদাহরণ, ব্যাখ্যা, ভাবসম্প্রসারণ, ত্রিফলা, শিঙাড়া, গেঞ্জি, তোয়ালে অনেক হলো। হচ্ছে। হবেও হয়তো আগামীতে। এখন সেটা হয়েই যাবে নাকি থামানো হবে তা ঠিক করা অবশ্য আমার হাতে নয়। স্টিয়ারিং বাঁ দিকে ঘোরাবেন, নাকি গাড়ি যেমন চলছে চলুক ভেবে ঘুমিয়ে পড়বেন সেটাও আপনাদের আঙুলের ডগা দিয়েই নির্ধারিত হবে। আমি নিজে বিশেষ কিছু লিখতে বা বলতে পারিনা। তাই সুকান্ত ভট্টাচার্য থেকে দুটো লাইন ধার নিয়ে বলি - ‘সংহত কঠিন ঝড়ে দৃঢ়প্রাণ প্রত্যেক শিকড়; শাখায় শাখায় বাঁধা, প্রত্যাহত হবে জানি ঝড়;’।