E-mail: deshhitaishee@gmail.com  | 

Contact: +91 33 2264 8383

৬০ বর্ষ ২৭ সংখ্যা / ১৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ / ৪ ফাল্গুন, ১৪২৯

উচ্চশিক্ষা বাঁচাতে রাষ্ট্রশক্তির বিরুদ্ধে তীব্রতর সংগ্রামের ডাক ওয়েবকুটা’র

নিলয়কুমার সাহা


সম্মেলন উদ্বোধন করে বক্তব্য রাখছেন প্রভাত পট্টনায়েক।

কোভিড অতিমারীর অভিশপ্ত সময় অতিক্রম করে দীর্ঘ চার বছর পর গত ১১-১২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ গোলপার্ক রামকৃষ্ণ মিশন ইনস্টিটিউট অব কালচারে অনুষ্ঠিত হলো পশ্চিমবঙ্গ কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি (ওয়েবকুটা)-র ৮৪তম সম্মেলন এবং ৯৪তম বার্ষিক সাধারণ সভা। রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয় এবং মহাবিদ্যালয়গুলির চরম বিরোধিতা সত্ত্বেও রাজ্যের বিভিন্ন জেলা থেকে প্রবীণ এবং নবীন অধ্যাপকদের প্রাণোচ্ছ্বল উপস্থিতিতে দেশ তথা রাজ্যের শিক্ষাব্যবস্থাকে বাঁচাতে, শিক্ষা সংশ্লিষ্ট সকলের স্বার্থ রক্ষার্থে সম্মেলন মঞ্চেই ঘোষিত হলো অধ্যাপক সমিতির আপসহীন আন্দোলন কর্মসূচি। এই আন্দোলন কর্মসূচির প্রেক্ষাপট জানতে আমাদের ফিরতে হবে ২০১১ সালে। ২০১১ সালের ১৩ মে পশ্চিমবঙ্গে রাজনৈতিক পালা বদলের পর রাজ্যের প্রথম শহিদ বিদ্যালয় শিক্ষক জিতেন নন্দী। পরবর্তী সময়ে রাজ্যের মহাবিদ্যালয় এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা ‘ছোটো ছোটো ছেলেদের’ আক্রমণের লক্ষ্যবস্তু হয়ে ওঠে। বিগত এক দশকে রাজ্যবাসী প্রত্যক্ষ করেছেন রাজ্যে বিদ্যালয় স্তর থেকে বিশ্ববিদ্যালয় স্তর পর্যন্ত রাজনৈতিক দখলদারি কায়েম করতে কীভাবে ধ্বংস করা হয়েছে দীর্ঘ সময় সযত্নে লালিত সমস্ত গণতান্ত্রিক পরিচালন পরিকাঠামো। রাজনৈতিক এই দখলদারির আইনি রূপ দিতে বিরোধীশূন্য বিধানসভায় পাশ হয় ‘পশ্চিমবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজ (প্রশাসন ও নিয়ন্ত্রণ) আইন ২০১৭’। বর্তমানে রাজ্যের সমস্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়োগের বৈধতা আদালতে বিচারাধীন। কেবলমাত্র কোটি কোটি টাকার বিনিময়ে অযোগ্য শিক্ষক এবং শিক্ষাকর্মী নিয়োগ করে ক্ষমতাসীন সরকার কেবল রাজ্যের বিদ্যালয় শিক্ষাব্যবস্থাকে কালিমালিপ্ত করেনি, ছারখার করে দিয়েছে যোগ্য হবু শিক্ষকদের সোনালী ভবিষ্যৎ।

বর্তমান বছরে মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর সংখ্যা গতবারের তুলনায় প্রায় চার লক্ষ কমে যাওয়ার পিছনে সীমাহীন এই দুর্নীতির প্রভাবও কি বর্তমান? এই প্রশ্নের উত্তর রাজ্য সরকারকেই দিতে হবে। প্রায় দু’বছর যোগ্য হবু শিক্ষক এবং হবু শিক্ষাকর্মীদের রাজপথে ধরনামঞ্চের ধারাবাহিক আন্দোলন কর্মসূচিতেই প্রতিফলিত হয় ক্ষমতার দম্ভে অন্ধ সম্পূর্ণ দুর্নীতিগ্রস্ত এই সরকারের অমানবিক চেহারা। সরকার বিরোধী যে কোনো আন্দোলন কর্মসূচি বানচাল করতে আমরা প্রত্যক্ষ করেছি রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের ভয়ংকর রূপ। তমসাচ্ছন্ন এই গভীর সংকটময় মুহূর্তে একমাত্র ভরসার জায়গা দেশের বিচারব্যবস্থা। যদিও সামগ্রিকতার বিচারে দেশের বিচারব্যবস্থাও আজ নানান প্রশ্নের সম্মুখীন। ওয়েবকুটা রাজ্যের শিক্ষা মূলত উচ্চশিক্ষার উপর যাবতীয় রাষ্ট্রীয় আঘাত রাস্তায় নেমে আন্দোলনের পাশাপাশি মহামান্য আদালতের দ্বারস্থ হয়ে প্রতিরোধ করতে বদ্ধপরিকর। ইতিমধ্যেই শিক্ষার স্বার্থে, শিক্ষকদের স্বার্থে ওয়েবকুটা কালাকানুন - ‘পশ্চিমবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজ (প্রশাসন ও নিয়ন্ত্রণ) আইন ২০১৭’ প্রত্যাহারের দাবিসহ আরও একাধিক পেশাগত দাবিতে মহামান্য আদালতের শরণাপন্ন হয়েছে এবং কিছু কিছু ক্ষেত্রে ন্যায়বিচার পেয়েছে, যা অধ্যাপক সমিতির লড়াইকে আরও উদ্দীপিত করেছে।

ভারত সরকার ২০১৯ সালে প্রকাশ করে ‘খসড়া জাতীয় শিক্ষানীতি ২০১৯’। স্বাধীনোত্তর ভারত ১৯৬৮ সালে এবং ১৯৮৬ সালে প্রত্যক্ষ করেছে দুটি পূর্ণাঙ্গ জাতীয় শিক্ষানীতি। প্রায় চার দশক পর অন্তত সময়ের নিরিখে এই খসড়া জাতীয় শিক্ষানীতির প্রাসঙ্গিকতা অস্বীকার করা যায় না। এই খসড়া জাতীয় শিক্ষানীতিতে বেশ কিছু আকর্ষণীয় শব্দবন্ধ যেমন - ‘করপোরেট ফিলানট্রপি’, ‘অ্যাকাডেমিক ব্যাঙ্ক অফ ক্রেডিট’, ‘ডিজিটাল লকার’, ‘ম্যাসিভ ওপেন অনলাইন কোরসেস’, ‘ডিজিটাল লার্নিং,’ ‘ওপেন এন্ট্রি অ্যান্ড ওপেন একজিট’ ইত্যাদি ব্যবহৃত হলেও বিবেচিত হয়নি ভারতের আর্থ-সামাজিক পরিকাঠামো, উপেক্ষিত হয়েছে নাগরিক মূল্যবোধ, আলোচিত হয়নি অর্থনৈতিক অসাম্যের কারণে ক্রমবর্ধমান বিদ্যালয়-ছুটের বাস্তব সমস্যা, অভাব রয়েছে বিজ্ঞানমনস্কতার। পাশাপাশি গুরুত্ব আরোপিত হয়েছে গুরুকুল, মাদ্রাসা, গৃহবিদ্যালয় এবং ধর্মশিক্ষা বিদ্যালয়ের উপর। বহুমুখী উচ্চশিক্ষার প্রসারে প্রস্তাবিত এই শিক্ষানীতিতে বহুবার ‘তক্ষশীলা’ এবং ‘নালন্দা’র কথা উল্লেখিত হয়েছে। উল্লেখিত হয়েছে ভারতীয় প্রাচীন কল্যাবিদ্যার ৬৪ কলার কথাও। স্বাধীনতা-উত্তর ভারতে যুক্তরাষ্ট্রীয় শাসন ব্যবস্থায় দেশের শিক্ষাব্যবস্থা কেন্দ্র ও রাজ্যের যৌথ তালিকাভুক্ত একটি বিষয় হলেও, এই প্রথম আলোচ্য খসড়া জাতীয় শিক্ষানীতিতে দেশের শিক্ষাব্যবস্থাকে পুরোপুরি প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় সরকারের কুক্ষিগত করার স্পষ্ট আয়োজন বর্তমান ছিল। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে এই খসড়া জাতীয় শিক্ষানীতির নানান সীমাবদ্ধতার উপর আলোকপাত করা হয়। দেশের সর্বপ্রাচীন এবং সর্ববৃহৎ শিক্ষক সংগঠন ঐতিহ্যের পরম্পরা অনুসরণ করে এই বিষয়েও প্রয়োজনীয় পরিবর্তন এবং পরিমার্জন সংক্রান্ত মতামত যথা সময়ে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রকে পাঠায়। সারা পৃথিবীসহ ভারত যখন কোভিড অতিমারীতে পর্যুদস্ত, কেন্দ্রের হঠকারী সিদ্ধান্তের পাশাপাশি রাজ্যের প্রকৃত তথ্য গোপনের কৃতকৌশলে মানুষ যখন দিশাহারা, জীবন-মৃত্যুর দোলায় দুলতে দুলতে আমরা প্রত্যক্ষ করলাম ২০২০ সালের ২৯ জুলাই ‘জাতীয় শিক্ষানীতি ২০২০’র আনুষ্ঠানিক আত্মপ্রকাশ। খসড়া প্রস্তাবে কিছু অদল বদল করে কাঠামো এবং দৃষ্টিভঙ্গি অপরিবর্তিত রেখেই ঘোষিত হয়েছে এই নতুন জাতীয় শিক্ষানীতি। ব্যয়বরাদ্দের দিক্‌নির্দেশ না থাকলেও আছে শিক্ষাব্যবস্থার পরিকাঠামোর আমূল পরিবর্তনের বাধ্যবাধকতা, যা বাস্তবে শিক্ষাক্ষেত্রকে সংকুচিত করবে। এই সু‍‌যোগে বিদেশি বিনিয়োগের হাত ধরে ভারতীয় শিক্ষা পর্যবসিত হবে বিত্তবান দেশবাসীর কাঙ্ক্ষিত ‘পণ্যে’ যা নিশ্চিতভাবে সামাজিক বিচ্ছিন্নতার পথ প্রশস্ত করবে।

শিক্ষাব্যবস্থার উপর কেন্দ্র ও রাজ্যের সুপরিকল্পিত যৌথ আক্রমণ প্রতিহত করার সংকল্প নিয়ে ওয়েবকুটার এই সম্মেলনে ‘জাতীয় শিক্ষানীতি ২০২০’-র প্রেক্ষাপটে আয়োজন করা হয়েছিল ‘স্বাধীনতার পঁচাত্তর বছরঃ দেশের শিক্ষাচিত্র’ শীর্ষক এক জাতীয় পর্যায়ের আলোচনা সভা। ওই আলোচনা সভায় অংশগ্রহণ করেন অধ্যাপক শোভনলাল দত্তগুপ্ত, অধ্যাপক তরুণকান্তি নস্কর এবং বিশিষ্ট সাংবাদিক অনির্বাণ চট্টোপাধ্যায়। অধ্যাপক শোভনলাল দত্তগুপ্ত শিক্ষার গুণগত মানের উপর আলোকপাত করে বলেন, ‘‘শিক্ষাব্যবস্থা দৃশ্যত আকষর্ণীয় হলেই চলবে না, পাঠক্রম এবং পাঠক্রমের বিষয়বস্তু বিচার করতে হবে। পাশ্চাত্য শিক্ষা যেমন পাঠক্রমে থাকবে, তেমনি থাকবে দেশজ ভাবনা ও সংস্কৃতির উপস্থিতি। দেশজ ভাবনা ও সংস্কৃতির গোঁড়ামিও কাঙ্ক্ষিত নয়, কারণ গোঁড়ামি থেকে জন্ম নেয় মৌলবাদ। বর্তমান শিক্ষানীতি নয়া ঔপনিবেশিক শিক্ষাব্যবস্থা কায়েম করতে বদ্ধপরিকর, যা প্রতিহত করা আশু কর্তব্য।’’ আলোচনায় অধ্যাপক তরুণকান্তি নস্কর বলেন, ‘‘উচ্চশিক্ষায় কেন্দ্রীয় সরকারের ব্যয়সংকোচ নীতি দেশের শিক্ষাব্যবস্থাকে ঠেলে দিচ্ছে করপোরেট হাউসের হাতে। দেশের শিক্ষানীতি প্রণয়নে শিক্ষকদের মতামতের তোয়াক্কা না করে কেন্দ্রীয় সরকার একমুখী কেন্দ্রীকতার পথই উন্মুক্ত করেছে। উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলির স্বাধিকার কেড়ে নেওয়া চলতে পারে না।’’ অনির্বাণ চট্টোপাধ্যায় তাঁর বক্তব্যে কেন্দ্রীয় সরকারের সমালোচনা করে বলেন, ‘‘কোভিড অতিমারীতে সব থেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে দেশের শিক্ষাব্যবস্থা। কোভিডোত্তর পর্যায়ে যাবতীয় শক্তি প্রয়োগ করে শিক্ষাক্ষেত্রে ঘটে যাওয়া ক্ষতিপূরণের উদ্যোগ না নিয়ে নতুন জাতীয় শিক্ষানীতির প্রণয়ন সন্দেহের জন্ম দেয়। এই শিক্ষানীতিতে যে ‘চয়েজ বেস ক্রেডিট সিস্টেম’-এর কথা বলা হয়েছে সেখানে চয়েজের কোনো সুযোগ নেই। ২০২০ সালের শিক্ষানীতি যে যে দিক্‌নির্দেশ করে তা কার্যকর করতে যে পরিকাঠামো প্রয়োজন তা আমাদের নেই। ওই পরিকাঠামোর অসম্পূর্ণতা কার্যত ‘ড্রপ আউট’-কেই আইনসিদ্ধ করে তুলবে।’’ সম্মেলনের সভাপতির ভাষণে অধ্যাপক শ্যামল চক্রবর্তী আক্ষেপের সুরে বলেন, ‘‘স্বাধীনতার ৭৫ বছর পার হলো। ঢক্কানিনাদে পালিত হলো ‘আজাদি কা অমৃত মহোৎসব’, নাকি ‘আজাদি কা গরল বহ্ন্যুৎসব?’ আমাদের অনেকের মনে এমন দ্বিধাদ্বন্দ্ব তৈরি হয়েছে। আমরা ঔপনিবেশিক শাসন থেকে ‘ইনডিপেনডেন্স’ পেলেও ‘ফ্রিডম’ পাইনি। বর্তমান রাষ্ট্রশক্তি ‘ইতিহাস অনুসন্ধান’-এ নয়, আগ্রহী ‘ইতিহাস পুনর্নির্মাণ’-এ। ইতিহাস চেতনা এবং বিজ্ঞান সংস্কৃতির উপর পরিকল্পিত আক্রমণ আমাদের প্রতিহত করতেই হবে।’’

সম্মেলনের উদ্বোধক বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক প্রভাত পট্টনায়েক তাঁর উদ্বোধনী ভাষণে বহুমাত্রিক দেশ ভারতে বহুমুখী শিক্ষাক্রমের উপর গুরুত্ব আরোপ করে বলেন, ‘‘ঔপনিবেশিক ভারতবর্ষে শিক্ষাব্যবস্থায় স্বাভাবিক নিয়মে শাসক ব্রিটিশের আধিপত্য থাকলেও অত্যন্ত প্রতিকূল পরিস্থিতিতে মহাত্মা গান্ধী, মদনমোহন মালব্য, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর সকলেই বিকল্প শিক্ষা চিন্তার বীজ বপন করতে সক্ষম হয়েছিলেন। পরবর্তী সময়ে সেসব শিক্ষা চিন্তার বাস্তবিক প্রয়োগ এবং সুফল আমরা প্রত্যক্ষ করেছি। শিক্ষার একমাত্র লক্ষ্য কখনোই জীবিকার্জন নয়, যদিও শিক্ষার অভিমুখ কর্মমুখী হওয়াও অবাঞ্ছিত নয়। তবে লক্ষ রাখতে হবে কোনো অবস্থাতেই জীবিকার দোহাই দিয়ে শিক্ষাকে ‘পণ্যে’ পরিণত করা চলবে না। যদিও বর্তমান রাষ্ট্রশক্তি ‘করপোরেট’ এবং ‘হিন্দুত্ববাদ’কে পুঁজি করে শিক্ষাকে পণ্যে পরিণত করতে বদ্ধপরিকর। এই অশুভ প্রয়াস সমস্ত শুভবুদ্ধিসম্পন্ন নাগরিককে প্রতিহত করতেই হবে। আর এই কাজে অগ্রণী ভূমিকা নেবেন আপনারা - শিক্ষক সমাজ।’’

সম্মেলনের সাফল্য কামনা করে রামকৃষ্ণ মিশন ইনস্টিটিউট অব কালচারের অধ্যক্ষ স্বামী সুপর্ণানন্দজি মহারাজ তাঁর বক্তব্যে শিক্ষকদের কর্তব্য স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেন, ‘‘রাষ্ট্রের আমলা, প্রশাসক, বিচারক সবই আপনাদের তৈরি, কিন্তু পরিতাপের হলেও সত্য, আপনারা সকলেই এই তিনটি শ্রেণি কর্তৃক নিয়ন্ত্রিত। শিক্ষক সমাজ তৈরির কারিগর। কাজেই অত্যন্ত সতর্কতার সাথে আপনাদের উপর অর্পিত দায়িত্ব, কর্তব্য আপনাদের সম্পাদন করতে হবে।’’ সম্মেলনের শেষ পর্বে সম্মেলন মঞ্চ থেকে জাতীয় শিক্ষানীতি-২০২০ প্রত্যাহারের দাবির পাশাপাশি রাজ্যের শিক্ষাক্ষেত্রকে সম্পূর্ণ দুর্নীতিমুক্ত করতে পথে নেমে আপসহীন সংগ্রামের ডাক দেয় ওয়েবকুটা।