৬০ বর্ষ ২৭ সংখ্যা / ১৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ / ৪ ফাল্গুন, ১৪২৯
অসমের বিজেপি সরকারের স্বেচ্ছাচারী ফরমান
সামাজিক পশ্চাৎপদতা দূর করার চেষ্টা না করে ‘বাল্য বিবাহ রোধে’র নামে নির্যাতন গ্রেপ্তার
কমলেশ গুপ্ত
তামারহাট পুলিশ স্টেশনের সামনে পুলিশের অন্যায় পদক্ষেপের বিরুদ্ধে মানুষদের বিক্ষোভ।
(এক)
ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে ‘বাল্য বিবাহ’ নিয়ে রাজ্য উত্তাল হয়ে উঠেছে। হঠাৎ করেই হিমন্তবিশ্ব শর্মার সরকার বাল্য বিবাহ-বিরোধী অভিযানে নেমে ইতিমধ্যে আড়াই হাজারের বেশি ‘বে-আইনি স্বামী’ গ্রেপ্তার করেছে। রাজ্যের বিভিন্ন থানায় চার হাজার মামলা নথিভুক্ত হয়েছে। সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে যে, আট সহস্রাধিক মানুষকে ‘বাল্য বিবাহ প্রতিরোধ আইন’ এবং ‘শিশুর বিরুদ্ধে যৌন অপরাধ আইন’এ অভিযুক্ত করা হয়েছে। এর বিরুদ্ধে রাজ্যের প্রান্তে প্রান্তে মহিলাদের স্বতঃস্ফূর্ত প্রতিবাদ এবং বিক্ষোভ চলছে। কোথাও কোথাও আত্মহত্যার ঘটনাও ঘটেছে। বিক্ষোভ নিয়ন্ত্রণের নামে বেশ কিছু স্থানে লাঠি চালনা, কাঁদানে গ্যাস প্রয়োগ করতে হয়েছে। বেশ কিছু ক্ষেত্রে ‘বেআইনি স্বামী’কে গ্রেপ্তার করতে না পেরে পুলিশ স্বামীর পিতাকে গ্রেপ্তার করেছে। এইসব ঘটনাকে স্বৈরাচারী উপদ্রব হিসেবে গণ্য করেছেন সমাজের চিন্তাশীল ও বিবেকবান অংশ। রাজ্যের বামদলগুলো, বিভিন্ন মহিলা সংগঠন এবং অন্যান্য গণতান্ত্রিক সংগঠন পুলিশের এই অভিযানকে ধিক্কার জানিয়েছে এবং এই পুলিশি অভিযান অবিলম্বে বন্ধ করার দাবি জানিয়েছে।
সর্বশেষ ঘটনায় জানা যাচ্ছে রাজ্য সরকার এই ‘বাল্য বিবাহ’ নিয়ে যে স্বৈরাচারী পদক্ষেপ নিয়েছে তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে গৌহাটি হাইকোর্ট। সেই সঙ্গে এই ঘটনায় গ্রেপ্তার করা সকলের আগাম জামিন মঞ্জুর করেছে।
বাল্য বিবাহ নতুন কোনো সামাজিক ব্যাধি নয়। দারিদ্র্য, আর্থ-সামাজিক অবস্থা, শিক্ষায় পশ্চাদপদতা সামাজিক কুসংস্কার, পুরুষতান্ত্রিক সমাজের লিঙ্গ বৈষম্য, স্বাস্থ্য সচেতনতার অভাব, প্রচলিত আইন-কানুন অনুযায়ী বিয়ের উপযুক্ত বয়স সম্পর্কে অজ্ঞতা প্রভৃতির ফলে পিছিয়েপড়া অঞ্চলে কোনো কোনো জনগোষ্ঠীর মধ্যে বাল্য বিবাহের প্রচলন আজও রয়েছে। শুধু ভারতে নয় বিশ্বের বেশ কিছু দেশেও এই অশুভ প্রথা বা পরম্পরা এখনও আছে। সমাজের রূপান্তর প্রক্রিয়ার অগ্রগতির সাথে সাথে এই সামাজিক ব্যাধি ক্রমশ অপসারিত হয়। ব্রিটিশ শাসনেই বাল্য বিবাহ বিরোধী আইন প্রণয়ন হয়েছিল ১৯২৯ সালে। ২০০৬ সালে যুগোপযোগী করে সেই আইন নতুন করে প্রণয়ন হয় এবং কঠোরভাবে বাল্য বিবাহ নিষিদ্ধ করা হয়। ২০১২ সালে শিশুর বিরুদ্ধে যৌন অপরাধ প্রতিরোধের উদ্দেশ্যে কঠোর আইন প্রণয়ন করা হয়। সমাজ প্রগতির লক্ষ্যেই এইসব আইন করা হয়েছিল। কিন্তু শুধু আইন করে এ ধরনের সামাজিক ব্যাধি নির্মূল করা সম্ভব নয়। সমাজের প্রগতির জন্য উপযুক্ত পরিবেশ গড়ে তোলা জরুরি। দারিদ্র্য, অশিক্ষা দূর করার সাথে সাথে স্বাস্থ্য সচেতনতা গড়ে তোলা চাই। নিশ্চিত করতে হবে নারী-পুরুষের সমমর্যাদা আর সমানাধিকার। কুসংস্কার আর অন্ধ বিশ্বাসের বিপরীতে বৈজ্ঞানিক মানসিকতা গড়ে তুলতেই হবে। সর্বোপরি এই সামাজিক কুপ্রথা এবং ব্যাধির বিরুদ্ধে গণচেতনা বৃদ্ধির জন্য লাগাতার প্রচেষ্টা প্রয়োজন। আর এসব করার মূল দায়িত্ব নিতে হবে সরকারকে।
অথচ শাসকগোষ্ঠী এসব দায়িত্ব পালন না করে বাল্য বিবাহ বিরোধী অভিযানের নামে রাজ্যের মানুষের ওপর নামিয়ে এনেছে নিষ্ঠুরতা আর স্বেচ্ছাচারিতার রাজত্ব। রাজ্যের মানুষের স্বাস্থ্য, শিক্ষা সহ বিভিন্ন মৌলিক সমস্যা সমাধানে ব্যর্থ সরকার আইনের দোহাই দিয়ে যে অত্যাচার নামিয়ে এনেছে, তা সমস্যা সমাধানের পরিবর্তে নতুন সামাজিক সমস্যার সৃষ্টি করেছে। এই অভিযানের ফলে দীর্ঘদিন স্বামী-স্ত্রী হিসেবে সংসার করা পরিবারের সদস্যরা একে অপরের থেকে বিচ্ছিন্ন হচ্ছে। সন্তানদের ভবিষ্যৎ হচ্ছে অন্ধকারাচ্ছন্ন। সন্তানসম্ভবা মহিলাদের অবস্থা হচ্ছে অতি করুণ। গরিব পরিবারের একমাত্র উপার্জনকারী জেলে থাকলে কী হতে পারে কল্পনা করা কঠিন নয়। তদুপরি বহু পরিবারকে বয়ে বেড়াতে হবে সামাজিক কলঙ্কের বোঝা।
অসমের তিন বামদল সিপিআই(এম), সিপিআই এবং সিপিআই(এমএল) অবিলম্বে এই অভিযান বন্ধের দাবি করেছে। ‘সরকারের স্বেচ্ছাচারিতায় সামাজিক সমস্যা বৃদ্ধিই করবে’- শীর্ষক বিবৃতির একটি অংশে দাবি জানানো হয়েছে, চরম দারিদ্র্য তথা আর্থ সামাজিক এবং শৈক্ষিক পশ্চাৎপদতা সামাজিক কুসংস্কার, পুরুষতান্ত্রিক সমাজে জড়িয়ে থাকা লিঙ্গ বৈষম্য, স্বাস্থ্য সচেতনতার অভাব, প্রচলিত আইনকানুন অনুযায়ী বিবাহের নিষিদ্ধ বয়স সম্পর্কে অজ্ঞতা ইত্যাদির ফলে পিছিয়েপড়া সম্প্রদায়, জনগোষ্ঠীর মধ্যে এবং পশ্চাৎপদ অঞ্চলগুলিতে বাল্য বিবাহের প্রচলন বেশি। বাল্য বিবাহ নির্মূল করতে হলে সরকারপোষিত শিক্ষা এবং স্বাস্থ্য পরিষেবার দ্রুত সম্প্রসারণ ছাড়াও সমাজে বাল্য বিবাহ, কুসংস্কার ইত্যাদির বিরুদ্ধে সচেতনতাবৃদ্ধি প্রয়োজন। কিন্তু স্বাস্থ্য শিক্ষা সহ এই সমস্ত দিকে সম্পূর্ণ ব্যর্থ এবং নির্বিকার এই রাজ্য সরকার আইনের দোহাই দিয়ে হঠাৎ করে অসমে বাল্য বিবাহের বিরুদ্ধে যে উপদ্রব শুরু করেছে, তা সমস্যা সমাধানের পরিবর্তে নতুন সামাজিক সমস্যারই সৃষ্টি করবে।
তিন বাম দল রাজ্য সরকারের নির্দেশে বাল্য বিবাহের বিরুদ্ধে হঠাৎ করে শুরু করা পুলিশি অভিযানকে ধিক্কার জানাচ্ছে এবং এই অভিযান দ্রুত বন্ধ করার দাবি জানিয়ে বিবৃতিতে বলেছে, এই সামাজিক ব্যাধিগুলিকে রোধ করার জন্য সুচিন্তিত এবং বাস্তব সম্মত পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। এজন্য প্রয়োজন রাজ্যের মহিলা সংগঠন, স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা এবং রাজনৈতিক দলগুলির সঙ্গে আলাপ আলোচনা করা।
সারা ভারত গণতান্ত্রিক মহিলা সমিতির কেন্দ্রীয় কমিটির পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে (৯ ফেব্রুয়ারি) দাবি জানানো হয়েছে, সত্ত্বর এই নিপীড়নমূলক প্রচার অসম সরকারকে প্রত্যাহার করতে হবে। যাঁদের বেআইনিভাবে নিজের পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন করে আটক করা হয়েছে তাঁদের মুক্তি দিতে হবে। এছাড়া যাঁরা এই হেনস্তার শিকার তাঁদের ক্ষতিপূরণ দেবার দাবিও জানিয়েছে মহিলা সমিতি।
এই ঘটনায় আক্রান্ত মহিলাদের আইনগত ও আর্থিকভাবে পাশে দাঁড়ানোর যে সিদ্ধান্ত সংগঠনের রাজ্য কমিটি নিয়েছে, তাকে সম্মতি জানিয়েছে সারা ভারত গণতান্ত্রিক মহিলা সমিতি।
এই বিবৃতিতে অসম সরকারের উদ্দেশে বলা হয়েছে, এই সমস্যাকে সামাজিক সমস্যা হিসেবে দেখতে হবে এবং দারিদ্র্য ও নিরক্ষরতা দূর করা ও বাল্য বিবাহ প্রতিরোধ আইন অনুযায়ী বাল্য বিবাহের বিরুদ্ধে সচেতনতা বৃদ্ধির উদ্যোগ সংগঠিত করতে হবে। সারা ভারত গণতান্ত্রিক মহিলা সমিতির অসম রাজ্য কমিটি শিশু ও মহিলার বিরুদ্ধে সন্ত্রাস সৃষ্টিকারী অভিযানে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে এবং ‘বাল্য বিবাহ প্রতিরোধ আইন- ২০০৬’-এর শর্ত অনুসারে সচেতনতামূলক কার্যসূচি গ্রহণ এবং প্রতি জেলায় অন্তত একজন করে কর্মকর্তা নিয়োগের দাবি জানিয়েছে। দাবি জানিয়েছে বাস্তবসম্মত এবং কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বিভিন্ন নারী সংগঠনের সাথে আলোচনায় বসার। উল্লেখ্য যে, ২০০৬ সালের বাল্য বিবাহ বিরোধী আইন দেশে বলবৎ হয়েছিল ২০০৭ সাল থেকে। কিন্তু অসম সরকার আজ পর্যন্ত আইনের নিয়মাবলি প্রস্তুত করেনি। প্রকৃতপক্ষে অসমের মুখ্যমন্ত্রী একটি নির্দিষ্ট ধর্মীয় সম্প্রদায়কে আক্রমণের লক্ষ্য করে নিয়েছেন বলে ভাবার যথেষ্ট কারণ আছে। রাজ্যের বিজেপি সরকার তার তীব্র সাম্প্রদায়িক মনোভাব নিয়ে ধর্মীয় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপরই আক্রমণকে কেন্দ্রীভূত করেছে। সরকারের সাম্র্মদায়িক বিদ্বেষ এক্ষেত্রেও প্রকট হয়ে উঠেছে। প্রকৃতপক্ষে পিছিয়েপড়া সব জনগোষ্ঠীর মধ্যেই বাল্য বিবাহ চলছে। এই ব্যাধি রোধের ক্ষেত্রে আইনি ব্যবস্থার সাথে সুচিন্তিত পদক্ষেপও জরুরি।
(দুই)
অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্তবিশ্ব শর্মার জন্মদিন উপলক্ষে ‘প্রাইড ইস্ট এন্টারটেইনমেন্ট’ নামের একটি সংস্থার উদ্যোগে গুয়াহাটির একটি স্টেডিয়ামে এআর রহমানের এক বিশাল সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এই সংস্থার সাথে তাঁর পরিবারের অনেকেই জড়িত। এর আগেও মুখ্যমন্ত্রীর পরিবারের মালিকানাধীন একটি এনজিও ‘স্নেহবন্ধন’ এবং ‘উদয়াচল’র উদ্যোগে লাকি আলির সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়। অসমের রাজ্যসভার সাংসদ অজিতকুমার ভূঞা মুখ্যমন্ত্রীর পরিবারের প্রতি সরকারি পৃষ্ঠপোষকতার সমালোচনা করেছেন। অজিত কুমার ভূঞা ট্যুইট করে অভিযোগ করেছেন যে, এই দুই অনুষ্ঠানের জন্য পর্যটন, স্বাস্থ্য প্রভৃতি বিভাগের পুঁজি ব্যবহার করা হয়েছে। এমনকী পিডবলউডি, বিদ্যুৎ, জনস্বাস্থ্য, জেলা এবং পুলিশ প্রশাসনকেও অনৈতিকভাবে ব্যবহার করা হয়েছে। এই অনুষ্ঠানের জন্য দেড় লক্ষ টাকা মূল্যের টিকিট বিক্রি করে ৩৭.৫ কোটি টাকা সংগ্রহ করা হয়েছে। সাংসদ ভূঞা এধরনের সুনির্দিষ্ট অভিযোগ উত্থাপন করে বলেছেন, সরকারি বিভাগগুলো কত টাকা এই দুই এনজিও-র অনুষ্ঠান উপলক্ষে খরচ করেছে বা তাদের তহবিলের জন্য দান করেছে তার হিসাব জনগণকে জানানো হোক।
স্বচ্ছ এবং দুর্নীতিমুক্ত প্রশাসনের দাবিদার অসম সরকারের উচিত ছিল এই অভিযোগের বিষয়ে বিশ্বাসযোগ্য স্পষ্টীকরণ দেওয়া অথবা তদন্তের নির্দেশ দেওয়া। সে পথে হাঁটেননি মুখ্যমন্ত্রী। পক্ষান্তরে ভূঞার সাংসদ পুঁজি ব্যয়ের ‘অনিয়ম’ খুঁজতে মুখ্যমন্ত্রী ভিজিলেন্স সেলকে দায়িত্ব দিয়েছেন। ভূঞা অভিযোগ করেছেন, জনমানসে তাঁকে হেয় প্রতিপন্ন করতে মুখ্যমন্ত্রীর অনুগত নেতা-মন্ত্রীরা ভূঞার সাংসদ পুঁজি অপব্যবহার হয়েছে এমন অপপ্রচারে নেমেছেন। বুঝতে অসুবিধা হয় না যে, ভূঞার কণ্ঠরোধের জন্যই এই ব্যবস্থা। এর বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছে অসমের বিরোধী দল কংগ্রেস, সিপিআই(এম), সিপিআই, সিপিআই(এম-এল), অসম জাতীয় পরিষদ, এনসিপি, এলডিপি, জাতীয় দল অসম প্রভৃতি সংগঠন।
(তিন)
২০০১ সালের আদমসুমারির ভিত্তিতে অসমের লোকসভা এবং বিধানসভা সমষ্টি পুনর্নির্ধারণের সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেছে রাজ্যের তিন বাম দল সিপিআই(এম), সিপিআই, সিপিআই (এম-এল)। ভারতের নির্বাচন আয়োগের এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে এক যৌথ স্মারকপত্রে দলগুলো বলেছে, ২০২৩ সালে ২০০১ সালের ভিত্তিতে সমষ্টির সীমা নির্ধারণ গ্রহণযোগ্য নয়। ২০০১ সালে অসমের জনসংখ্যা ছিল ২.৬৬ কোটি, ২০১১ সালে ৩.১২ কোটি এবং বর্তমানে ৩.৬৬ কোটি। তাই দুই দশকের ব্যবধানে ২০০১ সালের ভিত্তিতে সমষ্টির সীমা নির্ধারণ অযৌক্তিক এবং অর্থহীন। স্মারকপত্রে বলা হয়েছে - এই পুনর্গঠনে কেন্দ্র এবং রাজ্যের শাসকদল বিজেপি’র সংকীর্ণ রাজনৈতিক স্বার্থ পূরণ হতে পারে, কিন্তু সীমা নির্ধারণের মূল উদ্দেশ্য পূরণ হবে না।
নির্বাচন আয়োগ ২০২৩ সালের জানুয়ারি থেকে সকল প্রশাসনিক ব্যবস্থার পরিবর্তন নিষিদ্ধ করার পূর্বেই অসম সরকার অসমের চারটি নতুন জেলা অবলুপ্ত করে পূর্বের জেলার সাথে যুক্ত করার পেছনে কুঅভিপ্রায় এবং রাজনৈতিক অভিসন্ধি আছে বলে বামদলগুলো মতামত দিয়েছে। পুনর্নির্মাণ প্রক্রিয়া স্থগিত রেখে সংবিধানের ৮৪তম সংশোধনী অনুসারে ২০২৬ সালের পরে ভারতের অন্যান্য রাজ্যের সাথে অসমেও সমষ্টির সীমা পুননির্ধারণ করার দাবি জানিয়েছে।