৬০ বর্ষ ৩১ সংখ্যা / ১৭ মার্চ, ২০২৩ / ২ চৈত্র, ১৪২৯
মানুষই বলছে পঞ্চায়েতে জোর লড়াই হবে
বরুণ বন্দ্যোপাধ্যায়
ফালাকাটা থেকে আলিপুরদুয়ার টাউন যাবার রাস্তা দিয়ে গাড়ি যখন চলতে শুরু করল তখনও বুঝতে পারিনি। কিছুটা এগোনোর পরেই বেশ মালুম পেলাম যে, উন্নয়ন আক্ষরিক অর্থেই রাস্তায় দাঁড়িয়ে আছে। হলোই বা তার এক মূল হোতা গোরু চুরির দায়ে ফেঁসে দিল্লিতে। তা বলে কি খেলা হবেনা? তাই নাচতে নাচতে, খেলতে খেলতে, আপাদমস্তক ধুলোস্নান সেরে ৩৭ কিলোমিটার রাস্তা দেড় ঘণ্টার কিছু বেশি সময় ধরে পেরিয়ে যখন পৌঁছলাম তখন মনে পড়ল শুধুমাত্র রবি ঠাকুরের কথা। “দেহের রস রক্ত যদি হত দই তাহলে ঘণ্টাখানেকের মধ্যেই প্রাণটা তার থেকে মাখন হয়ে ছেড়ে বেরিয়ে আসত।” মানুষের দৈনন্দিন জীবন যন্ত্রণার পাশাপাশি যাত্রাযন্ত্রণাও যে কী ভীষণ হতে পারে তা হাড়ে হাড়ে টের পেলাম। জেলার প্রায় পনেরো লাখ মানুষের যে অংশ প্রতিদিন এই রাস্তায় যাতায়াত করেন, রুটি রুজির কারণে করতে বাধ্য হন, টের পেলাম তাঁদের দুর্বিষহ, নিরুপায় অবস্থাও। যদিও এই বিষয়ে প্রশাসনের কোনো হুঁশ আছে বলে শুনতে পেলাম না।
২০১৪ সালের ২৫ জুন আলিপুরদুয়ার-১, আলিপুরদুয়ার-২, ফালাকাটা, কালচিনি, কুমারগ্রাম এবং মাদারিহাট-বীরপাড়া ব্লক নিয়ে গঠিত হয় আলিপুরদুয়ার জেলা। যে জেলার ৮০ শতাংশের বেশি তফশিলি জাতি ও উপজাতি অধ্যুষিত। একসময় বাম শ্রমিক আন্দোলনে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা নেওয়া এবং দীর্ঘদিন বামেদের দখলে থাকা এই জেলায় যদিও ২০২১ বিধানসভা নির্বাচনে পাঁচটি আসনেই জয়লাভ করেছে বিজেপি। জেলার একমাত্র সাংসদও এই মুহূর্তে বিজেপি’র। উত্তরবঙ্গে দার্জিলিং ছাড়া আলিপুরদুয়ারই একমাত্র জেলা যেখানে রাজ্যের শাসকদলের কোনো সাংসদ বা বিধায়ক নেই। যদিও ২০১৯ বা ২০২১-এর নির্বাচনী ফলাফল দিয়ে এই মুহূর্তের আলিপুরদুয়ারের রাজনৈতিক বিন্যাস বুঝতে গেলে ভুল হবে। কারণ এই জেলাতেই ২০১৩ সালে বামেদের দখলে ছিল ১৩টি জেলা পরিষদ আসন। সেই জেলাতেই ২০১৮ সালে তৃণমূল জয়ী হয় ১৭ আসনে। বামেরা শূন্য।
২০১৮-র পঞ্চায়েত নির্বাচনের সময় মনোনয়ন জমা থেকে ভোটগ্রহণ, গণনা - প্রতিটি স্তরে রাজ্যজুড়ে শাসক তৃণমূলের যে সন্ত্রাস দেখা গেছিল তাকে নজিরবিহীন বললে কম বলা হয়। এই বিষয়ে সিপিআই(এম) বা বামেদের কথা শোনার থেকেও ভালো বোধহয় তৎকালীন এক বিজেপি সাংসদের কথা শুনে নেওয়া। ১৭ মে, ২০১৮, রাত ৮.৫৮ মিনিটে এক ট্যুইট বার্তায় বাবুল সুপ্রিয় লিখেছিলেন, “পঞ্চায়েত নির্বাচন ২০১৮-এর পুরো প্রক্রিয়াটি দেখার পর আমার অনুভূতি এটাই যে, নমিনেশন জমা দেওয়ার আগে ‘উন্নয়ন’ রাস্তায় দাঁড়িয়ে ছিল, ভোটের দিনও ‘উন্নয়ন’ অস্ত্র হাতে রাস্তায় দাঁড়িয়ে ছিল, গণনার দিনও ‘‘উন্নয়ন’’ গণনা কেন্দ্রে উপস্থিত ছিল।” “মানে সহজভাবে বলতে গেলে 404 error DEMOCRACY not found in West Bengal.” যদিও মন্ত্রিত্ব হারানোর কিছুদিন পর ৩১ জুলাই বিজেপি সাংসদের দলের প্রতি মোহভঙ্গ হয় এবং রাজনীতি ছাড়ার ইঙ্গিত দিয়ে এক দীর্ঘ ফেসবুক পোস্টে তিনি লেখেন, “কনফার্ম করছি, কেউ আমাকে ডাকেওনি, আমিও কোথাও যাচ্ছি না।” তিনবার এডিট করা সেই ফেসবুক পোস্টে তৃতীয়বার এই বাক্যবন্ধ অবশ্য বাদ দিয়ে দেন সাংসদ। গোদা বাঙলায় যাকে বলে ডিলিট করেন। অবশ্য এর দেড় মাসের মধ্যেই উন্নয়নে বিলীন হয়ে যান সুপ্রিয়। আপাতত তিনি রাজ্যের এক মন্ত্রী। এই প্রসঙ্গিত ঝালমুড়ি কাহিনি নাহয় উহ্যই থাক। আমাদের আলোচ্য তিনু-বিজু আঁতাত নয়, আমাদের আলোচ্য রাজ্যের পঞ্চায়েত ভোট।
২০১৮-র ওই বিরোধী শূন্য করার সেই ভয়ংকর পঞ্চায়েত নির্বাচনেও আলিপুরদুয়ারে ২৩টি গ্রাম পঞ্চায়েত এবং ১টি পঞ্চায়েত সমিতি আসনে জয়ী হয় বামেরা। যার মধ্যে ছিল কুমারগ্রামের ২টি, আলিপুরদুয়ার-১-এর ৩টি, আলিপুরদুয়ার-২-এর ৫টি, ফালাকাটার ১০টি, কালচিনির-৩টি আসন। মাদারিহাট ব্লকের একটি আসনেও জয়ী হয়নি বামেরা। আর ফালাকাটাতেই ১টি মাত্র পঞ্চায়েত সমিতিতে জয়লাভ করে বামেরা। সেবার প্রার্থী দেওয়া গেছিল ১২৪টি মতো আসনে। এছাড়াও বামেদের সমর্থনে নির্বাচনী ময়দানে ছিলেন বেশ কিছু নির্দল প্রার্থী। একটু আগেই বলেছি, রাজ্যের রাজনৈতিক পরিস্থিতি এই মুহূর্তে এত দ্রুত বদল হচ্ছে প্রতিদিন যে, এখন আর ২০১৮, ২০১৯, ২০২১-এর ফলাফল নিয়ে আলোচনা করতে বসে খুব একটা কিছু লাভ হবেনা। কারণ এই সময় দাঁড়িয়ে রাজ্যের, জেলার যা পরিস্থিতি তাতে ভোট হলে ফলাফল অন্য হতে বাধ্য। আসছি সে কথায়।
চুনিয়াঝোরা চা বাগানে ঐক্যবদ্ধ শ্রমিক বিক্ষোভ।
আলিপুরদুয়ারে ১৮টি জেলা পরিষদ আসন, ১৮৯টি পঞ্চায়েত সমিতির আসন এবং ১২৫২টি গ্রাম পঞ্চায়েত আসন। সিপিআই(এম) আলিপুরদুয়ার জেলা সম্পাদক কিশোর দাসের কথায়, নির্বাচন ঘোষণা না হলেও এখন থেকেই বুথ স্তরে কর্মীসভা শুরু হয়ে গেছে। সংগঠন ঢেলে সাজানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। জেলার বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে প্রতিনিয়ত বাম কর্মীরা রাস্তায় আছেন। মানুষ সবকিছুই নজরে রাখছেন। যেভাবে প্রতিদিন দুর্নীতির খবর সামনে আসছে তাতে মানুষের বিরক্তি, ক্ষোভ ক্রমশ বাড়ছে। জেলায় ১০০ দিনের কাজে দীর্ঘদিন ধরে মজুরি বকেয়া। কেউ ৭ মাস, কেউ ৮ মাস টাকা পাননি। মোট বকেয়ার পরিমাণ ৭৫ কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাবে।
তিনি আরও বলেন, জেলার ১২৫২টি গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্যে এবার আমরা হাজারের বেশি আসনে প্রার্থী দিতে পারব। যদিও কালচিনি এবং মাদারিহাট ব্লকের কিছু গ্রাম পঞ্চায়েতে আমরা প্রার্থী দিতে পারব না। এইসব অঞ্চলে আমরা বরাবরই দুর্বল। ইতিমধ্যেই মহম্মদ সেলিমের উপস্থিতিতে সম্ভাব্য প্রার্থীদের নিয়ে জেলায় দুটো সভা করা হয়েছে। ১৭ মার্চ আরও একটি সভা হবে। ঘর গুছোনোর কাজ চলছে পুরোদমে। অন্যদিকে সাধারণ মানুষের মনোভাব ক্রমশ স্পষ্ট হয়ে উঠছে যে, এই তৃণমূলকে আর ফেরানো যাবে না। বিজেপি’র সেই প্রভাব আজ আর নেই। মানুষও জোটবদ্ধ হচ্ছে। মানুষ এবার প্রতিরোধে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।
প্রায় একই কথা জানালেন জেলার শ্রমিক নেতা, সিআইটিইউ সভাপতি বিদ্যুৎ গুণ। তাঁর কথায়, এই জেলায় তিন ধরনের পরিবেশ। এখানে বিস্তীর্ণ এলাকায় চা বাগান আছে, আছে বনবস্তি, আর আছে গ্রামীণ এলাকা। ৬৪টা চা বাগান, ৩৪টা বনবস্তি। যে এলাকাগুলো পঞ্চায়েতের সঙ্গে যুক্ত করা হয় ১৯৯৮ সালে বামফ্রন্টের আমলে। এই তিন জায়গার সমস্যা তিন রকমের। আলাদা আলাদা। বামফ্রন্ট আমলে গ্রাম সংসদ থেকে পরিকল্পনা আসত। যে কোনো বিপদ আপদে মানুষ পঞ্চায়েতে ছুটে যেত। তৃণমূলের আমলে পঞ্চায়েতের সেই চেহারাই বদলে গেছে। এখন পঞ্চায়েতে সাধারণ মানুষের আর কোনো কাজ নেই। অংশগ্রহণ নেই। ফলে মানুষের সেই আগ্রহটাও নষ্ট হয়ে গেছে। এখন পঞ্চায়েত মানে কিছু ঠিকাদারের দাপাদাপি। কমিশনের রাজত্ব। ফলে কাজের কাজ কিছু হয়না। একশো দিনের কাজ পুরোপুরি বন্ধ। বিভিন্ন ভাতা পুরোপুরি বন্ধ। আবাস যোজনায় সীমাহীন দুর্নীতি। পুরো অফিসার রাজ চলছে। ফলে মানুষের ক্ষোভ ক্রমশ বাড়ছে। এখন সাধারণ মানুষই বলছে আগের পঞ্চায়েত অনেক ভালো ছিল। এই সময় দাঁড়িয়ে মানুষের এই অনুভব খুবই উল্লেখযোগ্য। আমরা চেষ্টা করছি মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করে আন্দোলন গড়ে তোলার। মানুষেরও আগ্রহ বাড়ছে। আগামী দিনে এটা আরও বাড়বে।
রাজ্যের সাম্প্রতিক নিয়োগ দুর্নীতি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এই ঘটনার প্রভাব গ্রামে পড়েনি এটা ভাবলে ভুল হবে। এই জেলায় শিক্ষিতের হার বেশি। বামফ্রন্টের আমলেই পঞ্চায়েতের হাত ধরেই শিক্ষার বিকাশ ঘটেছিল। বিশেষ করে মেয়েদের স্কুলে যাবার আগ্রহ তৈরি হয়েছিল বামফ্রন্টের আমলে। ওই সময় বিভিন্ন বাগান থেকে বাস দেওয়া হতো স্কুলে যাবার জন্য। সেইসব ছেলেমেয়েরা অনেকেই লেখাপড়া শিখে চাকরি পেয়েছে। কিন্তু আজ কী হয়েছে? শিক্ষিত ছেলেমেয়েরা মজুরের কাজ করছে। পরিযায়ী শ্রমিক হয়ে যাচ্ছে। কত মেয়ে যে হারিয়ে গেছে তার কোনো ইয়ত্তা নেই। সরকারের কাছেও সেই পরিসংখ্যান নেই। এই সময়েই উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে নাবালিকাদের বিয়ে। আর এদের লক্ষ লক্ষ টাকা দিয়ে চাকরি জোটানোর ক্ষমতাও নেই। ফলে এই দুর্নীতি ঘিরে মানুষের ক্ষোভ খুব স্বাভাবিক।
জেলার সিআইটিইউ সম্পাদক বিকাশ মাহালি বললেন, এই জেলা চা বাগান অধ্যুষিত। যখন থেকে এই জেলায় বিচ্ছিন্নতাবাদী আন্দোলন শুরু হলো তখন থেকেই আমাদের ওপর, বাম কর্মীদের ওপর প্রথম আক্রমণ শুরু হলো। এতে আমাদের বাম আন্দোলনের খুব ক্ষতি হয়ে গেছে। ফলে আমাদের আবার ধীরে ধীরে জমি তৈরি করতে হচ্ছে। তিনি আরও জানালেন, কোনো উন্নয়নমূলক কাজ হচ্ছে না। দপ্তর আছে। সরকারি কর্মীরা এসে বসছেন, চলে যাচ্ছেন। কিন্তু মানুষের কোনো কাজ হচ্ছে না। আবাস যোজনার পুরনো তালিকায় তৃণমূল কর্মীদের একই পরিবারের ৪ জন, ৫ জনের নাম তুলে দেওয়া হয়েছে। যাদের প্রয়োজন, তাঁরা পাননি। নাম বাদ দিয়ে দেওয়া হয়েছে।
২০১৮-র পঞ্চায়েত নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, গতবার আমি নিজেই নির্বাচনের সময় বিডিও অফিসে আক্রান্ত হয়েছিলাম। তৃণমূল টাকা দিয়ে বাইরে থেকে মস্তান ভাড়া করে এনেছিল। তারাই মানুষকে ভয় দেখিয়েছে, বুথে যেতে দেয়নি। পঞ্চায়েতকে এঁরা ব্যবসায় পরিণত করে দিয়েছে। কোনোভাবেই যেন পঞ্চায়েত হাতছাড়া না হয়ে যায়। সেই ভয়ে তৃণমূল ভুগছে। এবারেও হয়তো সেই চেষ্টা করবে। কিন্তু এবার আর আগের অবস্থা নেই। এবার মানুষের মেজাজ অন্য। মানুষ প্রতিরোধের মেজাজে আছে। ফলে এবার এত সহজে তৃণমূল সবকিছু দখল করে নিতে পারবে না। প্রতিরোধের মুখে পড়বে। তৃণমূল ইতিমধ্যেই সেটা বুঝে গেছে এবং ফলে ওরা কিছুটা আতঙ্কিত। সেটাই সাধারণ মানুষের জন্য প্লাস পয়েন্ট।
রীতিমতো চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়ে আলিপুরদুয়ার ১ নম্বর ব্লকের পূর্ব কাঁঠালবাড়ি অঞ্চলের দীর্ঘদিনের বামকর্মী জীবন সরকার জানালেন, এবারে আলিপুরদুয়ার জেলা জুড়ে পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রস্তুতি অনেক আগে থেকেই শুরু হয়ে গেছে। ইতিমধ্যেই অধিকাংশ জায়গায় বুথ কমিটি তৈরি করা হয়েছে। রাজ্যের সাম্প্রতিক পরিস্থিতির কারণে মানুষের মধ্যেও বামেদের প্রতি ঝোঁক অনেকটাই বেড়েছে। আমরাও ধীরে ধীরে মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করার চেষ্টা করছি। ফলে ২০১৮ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচন যেমন তৃণমূলের লুটের নির্বাচনে পরিণত হয়েছিল এবার আর তা হবেনা। এবার তৃণমূল মানুষের প্রতিরোধের মুখে পড়বে। ফলে এবার ফলাফল অন্য হতে বাধ্য।
পঞ্চায়েত নির্বাচন এখনও ঘোষণা হয়নি। যদিও বামেদের প্রস্তুতি চলছে নীরবে, জোরকদমে। রাতারাতি কোনো বড়ো পরিবর্তনের আশা না করেও মানুষকে পাশে নিয়ে এবারের পঞ্চায়েত নির্বাচনে জোর লড়াই দেবার লক্ষ্যে এখন থেকেই চলছে অঙ্ক কষা। চুলচেরা বিশ্লেষণ। সম্ভাব্য অঞ্চল, সম্ভাব্য গ্রাম পঞ্চায়েত ধরে ধরে বুথ ভিত্তিক যোগাযোগ, বাড়ি বাড়ি যোগাযোগ গড়ে তোলা হচ্ছে। ১৯৭৮ সালে যে বাস্তুঘুঘুর বাসা ভাঙার স্লোগান তুলে ক্ষমতায় এসেছিল বামেদের পঞ্চায়েত, ৪৫ বছর পরে ২০২৩ সালে আরও একবার নীরবে প্রায় সেই স্লোগান গেঁথে দেওয়া হচ্ছে মানুষের মনে, তৃণমূলের লুটের পঞ্চায়েত ভাঙো, মানুষের পঞ্চায়েত গড়ো।