৬০ বর্ষ ৩১ সংখ্যা / ১৭ মার্চ, ২০২৩ / ২ চৈত্র, ১৪২৯
বিজেপি’র বুলডোজার রাজনীতি এবং কমিউনিস্টরা
সুশোভন
বুলডোজার বাবা! যোগী আদিত্যনাথের নতুন নাম। কানপুর থেকে শাহারানপুর হয়ে প্রয়াগরাজ - উত্তরপ্রদেশ জুড়ে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে বুলডোজার। অ্যামাজন, ফ্লিপকার্টের মতো ই-কমার্স সাইটে বুলডোজারের খেলনা বিক্রি হচ্ছে। হোলিতে বুলডোজারের পিচকারি বিক্রি হচ্ছে। সরকারি অনুষ্ঠানে বুলডোজারের মেমেন্টো বিতরণ করা হচ্ছে। ফক্কড় ভক্তরা গায়ে বুলডোজারের ট্যাটু করাচ্ছে।
এই সবের শুরুটা জুলাই, ২০২০-তে। কোর্টের অর্ডার ছাড়াই কানপুরের বিক্রু গ্রামে গ্যাংস্টার বিকাশ দুবের বাড়ি বুলডোজার দিয়ে ভেঙে গুঁড়িয়ে দেয় যোগী আদিত্যনাথের সরকার। সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পরে সেই ছবি-ভিডিয়ো। পপুলিস্ট ন্যারেটিভে ‘‘অন্যায়ের বিরুদ্ধে ন্যায়’’ হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা হয় বুলডোজার রাজনীতিকে।
ওই যে বলে, হাতির খাওয়ার আর দেখানোর দাঁত আলাদা। ঠিক সেটাই হয় এই বুলডোজার রাজনীতির ক্ষেত্রেও। সংবিধানের আর্টিকেল ১৪-র রাইট টু ইকুয়ালিটি-কে তুড়ি মেরে উড়িয়ে যোগী আদিত্যনাথ নেতৃত্বাধীন বিজেপি সরকার এর পর থেকে একের পর এক জায়গায় বুলডোজার রাজনীতি ব্যবহার করতে শুরু করে মূলত মুসলিম এবং যোগী সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী কণ্ঠস্বরকে দমন করতে। অভিযুক্ত মানেই দোষী, সুতরাং তার ঘর ভেঙে দেওয়া জায়েজ - এটাই এরকম সরকারি ভাষ্য হিসেবে মান্যতা দেওয়া হয়। উত্তরপ্রদেশের সাম্প্রতিক বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি’র জয় বকলমে যোগী আদিত্যনাথের বুলডোজার রাজনীতির সার্টিফিকেশন বলে ব্যবহার করা হয়। ক্রমশ বুলডোজার রাজনীতি ছড়িয়ে পড়ে মধ্যপ্রদেশ এবং দিল্লিতেও।
।। দুই ।।
বুলডোজার রাজনীতির সবচেয়ে চর্চিত উদাহরণ দিল্লির জাহাঙ্গিরপুরী। হনুমান জয়ন্তীকে কেন্দ্র করে প্রথমে জাহাঙ্গিরপুরীতে হিন্দুত্ববাদীদের ম্যানুফ্যাকচারড সাম্প্রাদায়িক উত্তেজনা, সংখ্যালঘুদের উপর আক্রমণ, পুলিশের নিষ্ক্রিয়তা এবং মদত। আক্রান্তদের বিরুদ্ধেই মিথ্যে মামলা, গ্রেপ্তার। এই ঘটনার রেশ ধরেই ‘বে-আইনি’ উচ্ছেদের নামে সংখ্যালঘুদের ঘর বাড়ি দোকানের উপর বুলডোজার। সুপ্রিম কোর্টের অর্ডারকে তোয়াক্কা না করার ঔদ্ধত্য।
ভারতে পুঁজিবাদের তাঁবেদারিতে গরিব মানুষের ঘর উচ্ছেদ এই প্রথমবার নয়। কিন্তু তার মধ্যেও দিল্লির জাহাঙ্গিরপুরীর ঘটনার আরও কিছু বিশেষ আঙ্গিক রয়েছে। গোটা এলাকায় মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষই বসবাস করেন বেশি। মূলত বাংলাভাষি মুসলমান। ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের তাঁদের আইডেন্টিটির জন্য প্রাতিষ্ঠানিকভাবে আক্রমণ করার উদাহরণ বিজেপি’র আমলে ভুরি ভুরি। তার সাথে এখানে যুক্ত হলো বাঙলা ভাষার প্রশ্ন। বাঙালি মুসলমানদের দাগিয়ে দেওয়া হচ্ছে ‘বাংলাদেশি’, ‘রোহিঙ্গা’ হিসেবে। সঙ্ঘ পরিবারের ‘রাজনৈতিক হিন্দু’ তৈরি করার প্রোজেক্টে এটাই দিল্লির বহু মানুষের জেনারেল সেন্টিমেন্ট।
দিল্লি সহ বিভিন্ন মেট্রো শহরে এরকম বহু পরিযায়ী শ্রমজীবী আছেন যারা কিন্তু বকলমে এই বিশাল শহরগুলির চালিকা শক্তি। অথচ তারা শোষিত ও বঞ্চিত। কেউ নির্মাণকর্মী থেকে ছোটো ব্যবসায়ী, কেউ ম্যানুয়েল স্ক্যাভেঞ্জারস - মূলত অসংগঠিত শ্রমিক। যাদের স্থায়ী মাথা গোঁজার জায়গা নেই। নেই রোজগারের নিশ্চয়তা। লকডাউন পরবর্তী সময়ে কমেছে তাঁদের কাজের সুযোগও। জাত, ধর্ম ও ভাষার আইডেন্টিটির আঙ্গিকে এই মানুষগুলোর রুটি রুজির আসল দাবিগুলোকে আড়াল করার চেষ্টা করা হচ্ছে দিনের পর দিন।
।। তিন ।।
প্রশ্ন আসতে পারে গো-বলয়ে জনমানসে বুলডোজার রাজনীতির মান্যতা পেয়ে যাওয়া নিয়ে। এই বিষয়টি গভীরে গিয়ে বিশ্লেষণের দাবি রাখে। বুলডোজার রাজনীতি আসলে হিন্দুত্ববাদীদের মাসেল ফ্লেক্সিং-র রেটোরিক। রাষ্ট্র ক্ষমতাকে ব্যবহার করে সংখ্যালঘুদের উপর আক্রমণ। ফ্যাসিস্ট শাসকদের ইতিহাসে যা স্বাভাবিক এবং প্রত্যাশিত। দেশের অন্য সমস্ত রাজনৈতিক দলগুলির থেকে বিজেপি’র চরিত্রে মৌলিক পার্থক্য রয়েছে। এবং সেই পার্থক্যের ড্রাইভিং ফোর্সই হলো বিজেপি'র পাওয়ার সেন্টার - সঙ্ঘ পরিবার।
বিজেপি’র ক্ষমতায়ন মানে বকলমে এই সঙ্ঘ পরিবারের কাছেই রিমোট কন্ট্রোল। যে সঙ্ঘ পরিবারের প্রধান অ্যাজেন্ডা দেশের সোশ্যাল ফ্যাবরিকে মনুবাদী বিষকে প্রোথিত করা। বিজ্ঞানমনস্কতার ধারণাকে ক্রমাগত আঘাত করা। জনমানসে ‘ধর্ম’-কে একটা ‘লার্জার দেন লাইফ’ স্ট্যাটাসে উন্নীত করা। সঙ্ঘ পরিবারের গত প্রায় ১০০বছর ধরে সমাজের মধ্যে এই বিষ ইনজেক্ট করে ‘রাজনৈতিক হিন্দু’ তৈরি করার প্রজেক্টকে বাদ দিলে বিজেপি’র নির্বাচনী সাফল্য কিংবা বুলডোজার রাজনীতির সামাজিকীকরণের কেমিস্ট্রি বোঝা সম্ভব নয়।
খুব সংক্ষেপে বলতে গেলে, সঙ্ঘ পরিবারের কাজ ভারতের সোশ্যাল ফ্যাবরিককে পরিবর্তন করে রাজনৈতিক হিন্দু তৈরি করা। আর সঙ্ঘ পরিবারের এই কাজে সংসদীয় রাজনীতিতে দালালের নাম বিজেপি। দেশের বিস্তীর্ণ গো-বলয়ের বিভিন্ন জায়গায় সামাজিক রীতিনীতি ও সংস্কৃতি যদি গভীরভাবে খেয়াল করা যায় তাহলে ওই রাজ্যগুলিতে বিজেপি’র রাজনৈতিকভাবে শক্তিশালী হওয়ার ইউএসপি-টা বোঝা যাবে।
গো-বলয় জুড়ে জনমানসে ধর্ম, ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠান একটা গম্ভীর বিষয়। গো-বলয় জুড়ে ধর্ম মেনে আজীবন নিরামিষ খাওয়া একটা চয়েস না, কর্তব্য, কম্পালশন। ধর্মকে নিয়ে মশকরা করা যায় না। প্রশ্ন করা যায় না। যুক্তি খোঁজা চলে না। রাম নবমী’র ন’দিন মাংসের দোকান খোলা যায় না। আমাদের বাংলার সঙ্গে ধর্ম পালনের স্টাইলে পার্থক্যটা চক অ্যান্ড চিজের মতো।
এবং তার কারণ বাঙলাতে বামপন্থীদের রাজনৈতিক ক্ষমতায়নের হাত ধরে মুক্তচিন্তার চাষ। যুক্তিবাদী সামাজিক বিন্যাস। বিজ্ঞানমনস্কতার ধারা। সংস্কৃতির গভীরতা। কিমুলেটিভলি যা সঙ্ঘ পরিবারের রাজনৈতিক হিন্দু তৈরি করার প্রোজেক্টের পরিপন্থী এবং অনুর্বর। ঠিক এই কারণেই অন্য কোনো বিরোধী দল নয়, বামপন্থী মতাদর্শই নরেন্দ্র মোদির প্রাইম টার্গেট। ঠিক এই কারণেই বিধানসভা নির্বাচনে বাঙলায় প্রচারে এসে বলেছিলেন, ‘বাঙলায় ধর্মের গাম্ভীর্য প্রতিষ্ঠা করতে হবে’।
।। চার ।।
সম্প্রতি সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া একটি ইন্টারভিউর ভিডিয়ো ক্লিপিং-এ দেখা যাচ্ছে প্রধানমন্ত্রী কমিউনিস্টদের সম্পর্কে বলছেন - ‘‘আজকাল কমিউনিস্টরা আর কোথায়? ওই কোণে কেরালাতে গিয়ে সীমিত হয়ে গেছে। কিন্তু যত ছোটোই হোক, ওই মতাদর্শটা বিপজ্জনক। ওই মতাদর্শটাকে হারানো জরুরি।’’ হিন্দিতে প্রধানমন্ত্রীর স্পষ্ট উচ্চারণ ‘‘উস (কমিউনিস্ট) ভাবধারা কো হারানা জরুরি হ্যায়’’।
বিজেপি'’র মতো একটা আদ্যপ্রান্ত সাম্প্রদায়িক দলের প্রতিনিধিত্ব করেন নরেন্দ্র মোদি। কিন্তু তার থেকেও নরেন্দ্র মোদির জরুরি পরিচয় উনি সঙ্ঘ পরিবারের অনুগত দাস এবং এক সময়ের প্রচারক। যে সঙ্ঘ পরিবারের প্রতিষ্ঠা, উত্থান, কর্মধারা কিংবা বিগত প্রায় ১০০ বছরের ইতিহাস; প্রতিটিই এই দেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির ইমারতকে দুর্বল করার লক্ষ্যে, জাতি-ধর্ম-ভাষাগত সংখ্যালঘুদের প্রাতিষ্ঠানিক আক্রমণের মধ্যে দিয়ে দুর্বল করার লক্ষ্যে, রাজনীতির সঙ্গে ধর্মের ককটেলের মাদকতায় রুটি-রুজি, জীবন-জীবিকার গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নগুলিকে মূল রাজনৈতিক ন্যারেটিভে দুর্বল করার লক্ষ্যে।
সেই সঙ্ঘ পরিবারের কৃতি সন্তান নরেন্দ্র মোদি যদি কমিউনিস্টদের মতাদর্শকে ভয় পান তাহলে সেই ভয় তো কমিউনিস্টদের সার্টিফিকেটই। গত লোকসভা নির্বাচনে সংসদে দুর্বল হয়েছে বামপন্থীরা। বাঙলা ও ত্রিপুরাতে বিধানসভা নির্বাচনে বামফ্রন্ট পরাজিত হয়েছে। সংসদীয় রাজনীতিতে ক্ষমতা উল্লেখযোগ্যভাবেই খর্ব হয়েছে বামপন্থীদের। তবুও ভয় পাচ্ছেন সঙ্ঘ পরিবারের প্রচারক প্রধানমন্ত্রী! ভয় পাচ্ছেন মিসকল দিয়ে সদস্য জোগাড় করার পৃথিবীর বৃহত্তম রাজনৈতিক দলের অন্যতম ক্ষমতাবান নেতা। কেন? অন্য কোনো বিরোধী দলের সম্পর্কে তো এই ধরনের কথা কেন বলছেন না নরেন্দ্র মোদি?
উত্তর খুঁজতে হলে ফিরে যেতে হবে ইতিহাসের পাতায়। উত্তর খুঁজতে হলে নজর রাখতে হবে সাম্প্রতিক রাজনীতির আয়নায়। তামাম দুনিয়ায় সমস্ত ফ্যসিস্ট ম্যাসকটদের প্রথম টার্গেট ছিলেন বামপন্থীরাই। হিটলার থেকে মুসোলিনি, পিনোচেত হয়ে ফ্রাঙ্কো - বরাবর ফ্যাসিস্টদের টার্গেট পয়েন্টে কমিউনিস্টদেরই দাঁড়াতে হয়েছে। তাই ‘‘উস (কমিউনিস্ট) ভাবধারা কো হারানা জরুরি হ্যায়’’ - প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য স্বাভাবিক এবং প্রত্যাশিত।
।। পাঁচ ।।
প্রধানমন্ত্রীর এই বক্তব্যের নির্যাস খুঁজতে হলে বুঝতে হবে, জাহাঙ্গিরপুরীতে বিজেপি সরকারের উদ্ধত বুলডোজারের বিরুদ্ধে সীমিত শক্তি দিয়ে রুখে দাঁড়িয়েছিলেন কমিউনিস্টরা। অন্য বিরোধী দলের মতো সুবিধাবাদী রাজনীতি না, কোদালকে কোদাল বলে, বহুত্ববাদী ভারতে ভাষা ও ধর্মের আইডেন্টিটিতে বিজেপি সরকারের গেম থিওরির মুখোশ খুলে দিয়েছে কমিউনিস্টরা। বুলডোজার রাজনীতির বিরুদ্ধে জরুরি অর্থনৈতিক প্রশ্নটা তুলছেন কমিউনিস্টরা!
জাহাঙ্গিরপুরীর ঘটনার পর বৃন্দা কারাতের ২০১৯ সালের একটি বক্তব্য সোশ্যাল মিডিয়াতে ভাইরাল হয়েছে। যেখানে তিনি বলেছেন ‘‘সংসদে যদি আমরা দুর্বল হয়ে যাই, তাহলে রাস্তার এই লড়াই, এই একতা, এই সংগ্রাম, এই আন্দোলনই হিন্দুস্তানকে বাঁচাবে।’’ জাহাঙ্গিরপুরীর ঘটনা সেই লড়াই সংগ্রামের দৃপ্ত ও জ্বলন্ত উদাহরণ। আসলে সংসদীয় রাজনীতিতে দুর্বল হয়ে গিয়েও রাস্তার লড়াইয়ে রাষ্ট্রের বুলডোজারকে থামিয়ে দেওয়ার সংগ্রাম এদেশের কমিউনিস্টরা করছেন দেশের প্রতিটি কোণে। প্রতিটি দিন।
বাংলাতে বিধানসভা নির্বাচনে বিপর্যয়কর ফলাফলের বছর ঘোরার আগেই রাজনৈতিক ন্যারেটিভ ধীরে ধীরে বদলে দিচ্ছেন বামপন্থীরা। শান্তিপুরের উপনির্বাচন, কলকাতা মিউনিসিপ্যাল করপোরেশনের নির্বাচন, চারটি মিউনিসিপ্যাল করপোরেশনের নির্বাচন, রাজ্যের সমস্ত পুরসভার নির্বাচন - দ্রুত এগোচ্ছেন বামপন্থীরা। বালিগঞ্জ বিধানসভার উপনির্বাচনে বামপন্থীদের ফলাফল নজর কাড়া। সাগরদিঘিতে জয় পেয়েছেন বাম সমর্থিত কংগ্রেস প্রার্থী। কম হলেও ভোট বেড়েছে আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রেও। ক্রমশ শক্তিশালী হচ্ছে বামপন্থীদের পুনরুত্থানের সম্ভাবনা।
রাজ্যে বিজেপি ক্রমশ দুর্বল হচ্ছে। বিজেপি’র ভোট হ্রাসের হাজার একটা কারণ থাকতে পারে। ‘হয় তৃণমূল না হয় বিজেপি’র দ্বৈত ভাষ্য (বাইনারি ন্যারেটিভ) তৈরি করার জন্য বাঙলার মিডিয়ার দায় থাকতে পারে। বামপন্থীরা নিজের ভোট বৃদ্ধি করতে সক্ষম হয়েছে নির্দিষ্ট রাজনৈতিক অভিমুখে শ্রেণি সংগ্রামের উপর ভিত্তি করেই। রুটি-রুজির কথা বলা, মানুষের জীবন জীবিকার দাবিতে প্রতিদিন রাস্তার রাজনীতিতে পড়ে থাকা, সীমিত সময়ে প্যান্ডেমিকের সময়ে মানুষের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করা, এক ঝাঁক নতুন মুখকে সামনে রেখে লড়াই করার সাহস দেখানো, ব্যর্থতা থেকে শিক্ষা নিয়ে নিজেদেরকে আরও শক্তিশালী করার উদ্যম ও তাগিদ - এই সমস্ত কিছুরই কিউমিলেটিভ প্রতিফলন হলো এই ভোট বৃদ্ধি।
বামপন্থী রাজনীতির সেই বেসিকটা আবার স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন বৃন্দা কারাত। সংসদে দুর্বল হলে রাস্তার লড়াই আবার সংসদীয় রাজনীতির রাস্তা তৈরি করে দেবে। সংসদ কিংবা রাস্তা কমিউনিস্টদের দায়িত্ব শ্রেণির রাজনীতি করা। শ্রেণির প্রতিনিধিত্ব করা। কমিউনিস্টদের দায়িত্ব রাষ্ট্র যন্ত্রের প্রতিটি শোষণ, বঞ্চনার বুলডোজারকে থামিয়ে দেওয়া!