৬১ বর্ষ ২ সংখ্যা / ১৮ আগস্ট, ২০২৩ / ৩২ শ্রাবণ, ১৪৩০
মনু ও চেতন্ : ঘৃণা নির্মাণের প্রেক্ষাপট
সত্যজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়
নাসির জুনেইদ-কে জ্যান্ত পুড়িয়ে মারার মূল অভিযুক্ত বজরং দলের নেতা মনু মানসারের বিরুদ্ধে হরিয়ানার নুহত-এ বিশ্ব হিন্দু পরিষদ ও দুর্গাবাহিনী আয়োজিত (৩১ জুন, ২০২৩) ব্রজ মণ্ডল জলাভিষেক যাত্রার সময়ে সাম্প্রদায়িক হিংসা ছড়ানোর অভিযোগ উঠেছে। ওই একই দিনে আরপিএফ কনস্টেবল চেতন সিং চলন্ত জয়পুর-মুম্বাই সেন্ট্রাল এক্সপ্রেসে ‘হিন্দুস্থান মেঁ রহেনা হ্যায় তো মোদি, যোগিকো ভোট দেনা হ্যায়’ বলে হুমকি দিতে দিতে, তারই সহকর্মী, একজন আদিবাসী, অ্যাসিস্ট্যান্ট সাব-ইন্সপেকটর টিকারাম মিনা এবং ৫ ও ৬ নম্বর কামরা থেকে খুঁজে খুঁজে তিনজন মুসলিম যাত্রীকে তার স্বয়ংক্রিয় অস্ত্রের সাহায্যে গুলি করে হত্যা করেছে।
বিগত কয়েক দশক ধরে হিন্দুত্ববাদীদের নেতৃত্বে সংখ্যালঘু ও নিম্নবর্গের বিরুদ্ধে এই ধরনের আক্রমণ ঘটেই চলেছে। এগুলি কোনো আকাশ থেকে পড়া, হঠাৎ ঘটে যাওয়া, বৃহত্তর প্রেক্ষাপট থেকে বিচ্ছিন্ন, কার্যকারণ সম্পর্কহীন ঘটনা নয়। ১৯২৫-এ যখন আরএসএস-এর প্রতিষ্ঠা হচ্ছে তার আগেই অসহযোগ আন্দোলন (১৯২০) ও খিলাফত আন্দোলনের (১৯১৯-১৯২২) নেতা হিসেবে কংগ্রেসের গান্ধীযুগ শুরু হয়ে গেছে। কংগ্রেসের চরমপন্থী পর্বের নেতারা গভীর দেশপ্রেমিক হওয়া সত্ত্বেও, হিন্দু পুনরুত্থানবাদীদের প্রভাবে, মুসলিম সমাজ কংগ্রেস থেকে দূরে সরে গিয়েছিলেন। গান্ধীজি একই সঙ্গে অসহযোগ আন্দোলন ও খিলাফত আন্দোলনের নেতা হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করার পর থেকে মুসলিম সমাজের সঙ্গে কংগ্রেসের দূরত্ব কমতে শুরু করে। ঐতিহাসিক ইরফান হাবিব দিল্লির ‘তুলিকা’ প্রকাশনা থেকে প্রকাশিত ‘দ্য ন্যাশনাল মুভমেন্টঃ স্টাডিজ ইন আইডিওলজি অ্যান্ড হিস্ট্রি’ বইতে সেই সময়ের জাতীয় আন্তর্জাতিক স্তরের ঐতিহাসিক পরিস্থিতির কথা স্মরণ করিয়ে মন্তব্য করেছেনঃ ‘It was the genius of Gandhi that enabled him to see in Khilafat the crucial factor in the situation.’ পরবর্তী সময়ে দেখা গেছে, ভারতের মুসলিম সমাজ মূলত ভারতীয় হিসেবেই স্বাধীনতা সংগ্রামে অংশ নিয়েছেন, মুসলিম হিসেবে নয়।
এই রকম ঐতিহাসিক পরিস্থিতিতে মুচলেকা দিয়ে সেলুলার জেল থেকে মুক্তি পেয়ে পঞ্চগনিতে বসে ১৯২৩-এ সাভারকর ‘হিন্দুত্ব’ বইটির সূত্রে হিন্দুত্ববাদ নামক রাজনৈতিক তত্ত্বটি সামনে আনলেন। তার আগে হিন্দুত্ববাদ বলে কোনো কিছুর অস্তিত্ব ছিলনা। সাভারকর হিন্দুত্বের ইংরেজি করেছিলেন ‘হিন্দুনেস’, হিন্দুইজম নয়। হিন্দুধর্ম ও হিন্দুত্ববাদ গুণগতভাবে পৃথক। হিন্দুধর্ম আত্মীকরণমূলক ও হিন্দুত্ববাদ বর্জনমূলক। গোলওয়ালকর তার ‘বাঞ্চ অফ থটস’ বইতে বলে দিয়েছেনঃ মুসলিম, খ্রিস্টান ও কমিউনিস্টরা দেশের অভ্যন্তরীণ শত্রু। তার পূর্বসূরি সাভারকর বলেছিলেনঃ Hinduise all politics and militarise Hindudom। হিন্দুত্ববাদীরা যে শুধুই উদারবাদ-বিরোধী, আধুনিকতাবাদ-বিরোধী, পুনরুত্থানবাদী মতাদর্শই প্রচার করতেন ও করেন তাই নয়, সেইসঙ্গে এক হিংস্রতা ও নিষ্ঠুরতার সংস্কৃতিকেও ব্যাপ্ত ও গ্রহণযোগ্য করে তোলার মধ্যে দিয়ে, স্বাধীনতা আন্দোলনের ঐতিহাসিক প্রক্রিয়ার গভীর থেকে উৎসারিত গণতান্ত্রিক, ধর্মনিরপেক্ষ, আধুনিক ভাবনার জগৎকেও ধ্বংস করার চেষ্টা চালাতেন ও চালাচ্ছেন। সাভারকর যখনই Hinduise the military and militarise Hindudom চাইছেন, তখনই তিনি ভারতের মুসলিম সমাজকে অপর বা আদার ধরে নিয়ে এক ভয়ঙ্কর হিংস্র অবস্থান নিচ্ছেন। যা সাম্প্রতিককালে সামরিকবাহিনীতে ‘অগ্নিপথ’-এর এবং হিন্দুত্বের বিষাক্ত ঘৃণা, হিংসা ও সন্ত্রাসের অনুপ্রেরণা। সামরিক বাহিনীর হিন্দুত্বকরণের লক্ষ্যে ১৯৩৭-এর ১২ জুন নাসিকে ডাক্তার বালকৃষ্ণ শিবরাম মুঞ্জে ভোঁসলে মিলিটারি স্কুল প্রতিষ্ঠা করেন। আরএসএস প্রতিষ্ঠার সঙ্গেও তিনি যুক্ত ছিলেন। ইতালিতে মুসোলিনির সঙ্গে সাক্ষাৎ করার পর মুঞ্জে দেশে ফিরে এসে ভোঁসলে মিলিটারি স্কুলের জন্য বিভিন্ন দেশীয় রাজ্যের প্রধানদের থেকে, মিলমালিকদের থেকে ও অন্যান্য সূত্র থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা সংগ্রহ করেছিলেন। ভাইসরয় ও কমান্ডার-ইন-চিফ তাকে পূর্ণ সমর্থন দিয়েছিলেন। ১৯৩৬-এর ১ ফেব্রুয়ারি মুঞ্জে লর্ড ব্র্যাবোর্ন-এর সঙ্গে সাক্ষাৎ করে স্কুলের জন্য ভূমিদানের আবেদন করেন। মুঞ্জে তাকে নিশ্চিত করেন যে, ছাত্ররা রাজনীতি থেকে দূরে থাকবে ও স্কুলটি দেরাদুনের ইন্ডিয়ান মিলিটারি আকাডেমির ফিডার স্কুল হিসেবে কাজ করবে। স্কুলে শুধু হিন্দু ছাত্রদেরই ভরতি করা হতো। গান্ধীহত্যার পর ১৯৪৯-এ আরএসএস-এর ওপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নেবার পরে গোলওয়ালকর অভিভাবকহীন স্কুলটি সম্পর্কে উৎসাহ দেখাতে শুরু করেন। স্কুলটির পুনরুত্থানের সময়ে যাদের নতুন আজীবন সদস্য করা হয় তারা সবাই ছিলেন আরএসএস-এর সদস্য। ২০০৬-২০০৮ সালে ঘটে যাওয়া কয়েকটি সন্ত্রাসবাদী বিস্ফোরণের পরে, মহারাষ্ট্রের এটিএস হেমন্ত কারকারে তদন্তের দায়িত্বে আসার পরে, স্কুলের ক্যাম্পাসের ভিতরে সন্ত্রাসবাদীদের ট্রেনিং দেবার অভিযোগ সামনে আসে।
আরএসএস-এর দ্বিতীয় সরসংঘচালক গোলওয়ালকর তারই উত্তরসূরি হিসেবে তার ‘উই অর আওয়ার নেশনহুড ডিফাইন্ড’ (১৯৩৯) বইতে জার্মান ফ্যাসিবাদ সম্পর্কে যে বক্তব্য রেখেছেন ও ভারতে তার প্রয়োজন সম্পর্কে যে মতামত প্রকাশ করেছেন সেগুলি থেকে স্পষ্ট বোঝা যায়, সাংগঠনিক ও মতাদর্শগতভাবে আরএসএস স্বাধীনতার অনেক আগে থেকেই কীভাবে ফ্যাসিস্ট মতাদর্শের দ্বারা প্রভাবিত ছিল। ‘উই অর আওয়ার নেশনহুড ডিফাইন্ড’ বইটিতে তিনি বলছেনঃ জাতিগর্ব সর্বোচ্চ মাত্রায় প্রকাশিত হয়েছিল জার্মানিতে। জার্মানি এটাও ভালোভাবেই দেখিয়েছে যে, গভীরভাবে দেখলে জাতি এবং সংস্কৃতির পার্থক্য থাকা একেবারেই অসম্ভব - হিন্দুস্তানের জন্য এটি একটি ভালো শিক্ষা। জার্মানির যে উগ্র জাতিগত অহংকার, যা ফ্যাসিবাদের অন্যতম ভিত্তি, তাকে গোলওয়ালকর যে শুধু মান্যতাই দিচ্ছেন তা নয়, সেইসঙ্গে হিন্দুস্তানের ক্ষেত্রে তাকে শিক্ষণীয় বলেও মনে করছেন। তিনি আরও বলছেনঃ হিন্দুস্থানে যে বিদেশিরা বসবাস করবে তাদের হিন্দুসংস্কৃতি, হিন্দুধর্ম, হিন্দুজাতি ও হিন্দুভাষার আধিপত্য ও গর্বকে প্রশ্নহীনভাবে স্বীকার করে নিতে হবে। নিজস্ব অভিজ্ঞানকে ভুলে গিয়ে তাদের হিন্দুজাতির মধ্যে আত্মীকৃত হয়ে যেতে হবে। অথবা হিন্দুজাতির অধস্তন হিসেবে এই দেশে বসবাস করতে হবে, তারা কোনো সুযোগসুবিধা দাবি করতে পারবেনা, এমনকী নাগরিকত্বও দাবি করতে পারবেনা। এনআরসি-এনআরপি-কে সামনে রেখে জন্মগত অভিজ্ঞানের সঙ্গে নাগরিকত্বের ধারণাকে জুড়ে দিয়ে মোদি সরকার যা করতে চাইছে তা গোলওয়ালকরের এই ভাবনারই দুর্বল সংস্করণ। আরএসএস তার জাতীয়তাবাদ সম্পর্কে তত্ত্ব বানিয়ে তুলেছিল তার ‘হিন্দুরাষ্ট্র’ প্রতিষ্ঠার মতাদর্শগত-তাত্ত্বিক যুক্তির ওপর ভর করে। যার অবস্থান হিন্দুধর্মের থেকে অনেক দূরে এবং যাকে বাস্তবে ‘হিন্দুত্বরাষ্ট্র’ বলা উচিত। সংঘ প্রস্তাবিত-কল্পিত এই রাষ্ট্রে শুধু মুসলিম ও অন্যান্য সংখ্যালঘুদেরই নয়, নারী ও নিম্নবর্গের মানুষরাও এক ভয়ঙ্কর হিংস্র ও দানবিক অবস্থার মুখোমুখি হবে। মনে রাখা দরকার, প্রথমত আরএসএস-এর ওয়েবসাইটে বলা আছে, শুধু হিন্দু ও পুরুষরাই সংঘের সদস্য হতে পারবেন। অর্থাৎ অহিন্দু ও নারীরা আরএসএস-এর বাইরে থাকবেন। দ্বিতীয়ত, আর্যতত্ত্ব সম্পর্কে তাদের মোহ এমনই যে, আরএসএস-এর গুরুজি গোলওয়ালকরকেও ইতিহাস এবং ভূগোলের জ্ঞানের প্রতি যুক্তি-তথ্য বিরোধী সহিংস আক্রমণ করে বলতে হয়েছিল যে, আর্যরা উত্তরমেরু থেকে আসতে পারে এবং উত্তরমেরু মূলত ভারতে ছিল, আজকের বিহার ও ওডিশা অঞ্চলে এবং আর্যরা ভারতে থাকাকালীন উত্তর মেরু জিগজ্যাগ করে পরবর্তী সময়ে তার বর্তমান অবস্থানে এসে পৌঁছেছে! (North Pole later zigzagged its way up to its current location!)। প্রসঙ্গত, গোলওয়ালকরের আরও একটি উদ্ধৃতি স্মরণীয়ঃ ‘...বেদের আর্কটিক হোমটি সত্যিই হিন্দুস্থানেই ছিল এবং হিন্দুরা যে সেই ভূখণ্ডে স্থানান্তরিত হয়েছিল তা নয়, বরং আর্কটিকই স্থানান্তরিত হয়েছিল এবং হিন্দুদের হিন্দুস্থানে রেখে গিয়েছিল’। (‘...the Arctic Home in the Vedas was verily in Hindusthan itself and that it was not the Hindus who migrated to that land but the arctic which emigrated and left the Hindus in Hindusthan’) আর্যরাই ভারতের আদি বাসিন্দা বলে মনে করে বলেই আরএসএস আদিবাসীদের ভারতের আদি অধিবাসী হিসেবে স্বীকার করেনা - তাদের ‘বনবাসী’ বলে। যেমন, তাদের একটি সংগঠনের নাম ‘বনবাসী কল্যাণ আশ্রম’। তৃতীয়ত, সংঘ পরিবারের বিভিন্ন ব্যক্তি ও সংগঠন বারবার মনুসংহিতার ভিত্তিতে ভারতের সংবিধান রচনার দাবি তুলেছেন। মনুসংহিতা পড়লে বোঝা যায়, ‘হিন্দুত্বরাষ্ট্রে’ নারী ও নিম্নবর্গকে কী হিংস্র ও নিষ্ঠুর পরিস্থিতির মধ্যে পড়তে হবে।
সংঘ পরিবারের এই অবস্থানের অনিবার্য পরিণতিতে ভারতীয় সমাজের একটি বড়ো অংশ হিংসা ও নিষ্ঠুরতার ওপর দাঁড়িয়ে যাচ্ছে। এই পরম্পরাকেই আরএসএস-এর নেতৃত্বে তাদের প্রায় ১০০-টির ওপর শাখা সংগঠন নিঃশব্দে সামাজিকভাবে গ্রহণযোগ্য করে তোলার কাজ করে চলেছে। বিজেপি এই শাখা সংগঠনগুলির একটি। বিজেপি আরএসএস-এর হয়ে ভোটে দাঁড়ায়। বিজেপি’র ভোটব্যাঙ্ক হচ্ছে আরএসএস-এর সবকটি শাখা সংগঠনের মিলিত ভোটব্যাঙ্ক। তাই শুধু বিজেপি’র সক্রিয়তার সঙ্গে তাদের প্রাপ্ত ভোটের শতাংশকে বহুক্ষেত্রেই মেলানো যায়না। তাই যারা সংবিধানকে রক্ষার লড়াই চালাচ্ছেন তাদের পক্ষে শুধু বিজেপি’র বিরোধিতা করাই যথেষ্ট নয়। সংঘ পরিবারের হিন্দুত্ববাদী রাজনৈতিক মতাদর্শ এবং এই মতাদর্শের ভিত্তিতে বানিয়ে তোলা হিংস্রতা ও নিষ্ঠুরতার মনস্তত্ত্বের বিরুদ্ধেও লড়তে হবে। লড়াইটি খুবই কঠিন, লড়াইটির এরিনার বড়ো অংশ হলো ভারতের ইতিহাস ও তার বস্তুবাদী ব্যাখ্যা।
আরএসএস-এর নেতৃত্বে সংঘ পরিবারের কাজকর্ম থেকে এটা খুবই স্পষ্ট যে, মুসলিমদের বিরুদ্ধে ঘৃণা এবং অবিশ্বাস জাগানোর জন্য ছোটো ছোটো ছেলেমেয়েদের বিকাশমান মনকে বিষাক্ত করার কাজে তারা সবথেকে জোর দেয়। বহু বছর ধরে আরএসএস’র হাজার হাজার সরস্বতী শিশুমন্দির এই কাজ করে চলেছে। ২০১৬-তে তারা ১২,০০০ স্কুল চালাত ও ৩.২ মিলিয়ন ছাত্র স্কুলগুলিতে পড়ত। ১৯৯২ সালে আরএসএস-এর সরস্বতী শিশুমন্দির-এর পক্ষ থেকে ষষ্ঠ শ্রেণির পাঠ্যপুস্তক ‘গৌরব গাথা’-তে ইসলাম সম্পর্কে ঘৃণা ছড়ানোর লক্ষ্যে যা বলা হয়েছিল তার উল্লেখ করেই লেখাটি শেষ করছিঃ ‘‘তারা (মুসলিমরা) যেখানেই যেতেন, তাদের হাতে থাকত তলোয়ার। তাদের সৈন্যবাহিনী ঝড়ের মতো চার দিকেই ছড়িয়ে পড়ত। তাদের পথে আসা যে কোনো দেশকে তারা ধ্বংস করত। সমস্ত উপাসনা গৃহ ও বিশ্ববিদ্যালয় তারা ধ্বংস করত, লাইব্রেরি পুড়িয়ে দেওয়া হতো ও ধর্মীয় বই ধ্বংস করা হতো। মা-বোনদের লাঞ্ছিত করা হতো এবং করুণা ও বিচার তাদের অজানা ছিল।’’ (পৃষ্ঠা- ৫১-৫২) এখন প্রশ্ন হলোঃ কে জিতবে? মৃত্যু ও ধ্বংসের প্রবৃত্তি (থ্যানাটজ), না-কি সৃষ্টি, নির্মাণ ও যুক্তির উদার আকাশ (ইরজ)? ইরজ-কে জয়ী করার জন্য আমাদের দীর্ঘস্থায়ী লড়াই চালিয়ে যেতেই হবে।