E-mail: deshhitaishee@gmail.com  | 

Contact: +91 33 2264 8383

৫৮ বর্ষ ১৮শ সংখ্যা / ১৮ ডিসেম্বর ২০২০ / ২ পৌষ ১৪২৭

বিপিসিএল

সাধারণ ধর্মঘটে যোগ দেবার দায়ে শৃঙ্খলাভঙ্গের নোটিশ শ্রমিকদের পাশে সিপিআই(এম)


রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা ভারত পেট্রোলিয়েম কর্পোরেশনের (বিপিসিএল) শ্রমিক-কর্মচারীরা ধর্মঘটে যোগ দেওয়ের জন্য বিপিসিএল কর্তৃপক্ষ ওই শ্রমিক-কর্মচারীদের একদিনের মজুরি কেটে নিয়ে এবং শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগ এনে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ২৬ নভেম্বর দেশব্যাপী সাধারণ ধর্মঘটে যোগ দিয়ে তাঁরা কেন্দ্রের আনা লেবার কোডের এবং বিপিসিএল-এর বেসরকারিকরণের বিরোধিতা করেছিলেন।

বিপিসিএল কর্তৃপক্ষের এই শ্রমিকবিরোধী পদক্ষেপের প্রতিবাদ জানিয়েছে সিপিআই(এম)। পার্টির রাজ্যসভার দলনেতা সাংসদ এলমারাম করিম সংস্থার চেয়েরম্যান এবং ম্যানেজিং ডিরেক্টর কে পদ্মকরকে ১২ ডিসেম্বর চিঠি দিয়ে সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের অনুরোধ জানিয়েছেন।

প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের ২৮ নভেম্বর এবং ২০২০ সালের ৮ জানুয়েরি ধর্মঘটে যোগ দেওয়ের জন্যও কর্মীদের বিরুদ্ধে এই ধরনের অগণতান্ত্রিক পদক্ষেপ নিয়েছিল বিপিসিএল। চিঠিতে করিম এ সংক্রান্ত বিষয়গুলির উল্লেখ করে বলেছেন, এই আচরণ যদি চালিয়ে যাওয়ে হয় তাহলে সংস্থার শিল্পসম্পর্কের পরিবেশের আরও ক্ষতি হবে, সংস্থার অভ্যন্তরে শান্তি বিঘ্নিত হবে। এই মুহূর্তে সংস্থার দরকার আরও সহযোগিতা এবং উন্নততর পারস্পরিক বোঝাপড়া। চিঠিতে তিনি কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছেন যে, ২৬ তারিখের ধর্মঘটে অন্যান্য কেন্দ্রীয় সংস্থার কর্মীরা যোগ দিলেও একমাত্র বিপিসিএল কর্তৃপক্ষ কর্মীদের বিরুদ্ধে প্রতিহিংসার মনোভাব নিয়েছে। দেশব্যাপী এই ধর্মঘটে ২৫ কোটি শ্রমিক-কর্মচারী শামিল হন। পাশাপাশি ২৬ নভেম্বর বিপিসিএল-এর তৈল শোধনাগারগুলিতেও ধর্মঘট সর্বাত্মক হয়। এই রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাটিকে পুরোপুরি বিক্রি করে দিতে চায় মোদী সরকার। ধর্মঘটের পরই ২ ডিসেম্বর সংস্থার কোচি শোধনাগারের কর্মীদের কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয় কর্তৃপক্ষ। নোটিশে জানতে চাওয়ে হয়েছে ধর্মঘটের যোগ দেওয়ের জন্য শাস্তিমূলক ব্যবস্থা হিসেবে কেন তাদের একদিনের মজুরি কাটা হবে না। পার্টির রাজ্যসভার দলনেতা সাংসদ এলমারাম ওই চিঠিতে কর্তৃপক্ষকে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ থেকে সরে আসার জন্য অনুরোধ করেছেন।