৫৮ বর্ষ ১৮শ সংখ্যা / ১৮ ডিসেম্বর ২০২০ / ২ পৌষ ১৪২৭
কোভিড ভ্যাকসিন এবং আত্মনির্ভর ভারত
তপন মিশ্র
রাষ্ট্রায়ত্ত ৩টি ভ্যাকসিন গবেষণা সংস্থা -
সেন্ট্রাল রিসার্চ ইনস্টিটিউট (সিআরআই), কৌশালী
পাস্তুর ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়া (পিআইআই), কুন্নুর
বি. সি. জি. ভ্যাকসিন ল্যাবোরেটরি, চেন্নাই
আমরা কি আত্মনির্ভরতার দিকে এগোচ্ছি? আমার বন্ধু অঞ্জন সেদিন সকালে ফোন করে বলতে শুরু করলঃ ‘‘এবার একটু স্বস্তি পেলাম’’। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন করলাম - ‘‘কেন?’’ উত্তরে বললঃ “এই যে গতকাল প্রধানমন্ত্রী আমেদাবাদ থেকে পুনা হয়ে হায়দরাবাদ সফর করে ভ্যাকসিন তৈরির তদারকি করলেন। এবার নিশ্চয়ই ভ্যাকসিন এসে যাবে”। জিগ্যেস করলাম - ‘‘তদারকি না তাগাদা - কোনটা?’’ ও বললঃ “কৃষি আইনে কৃষকদের ক্ষতি হয়েছে স্বীকার করব কিন্তু টিকা তৈরির জন্য মোদী যে যারপরনাই চেষ্টা করছেন সেকথা অস্বীকার করা যাবেনা”। হ্যাঁ, অঞ্জনের মতোই দেশের অনেক মানুষ বুঝলেন, আমাদের দেশের প্রধানমন্ত্রী দেশের মানুষের জন্য সত্যি কত ভাবেন। গবেষণাগারগুলির দুয়ারে দুয়ারে ঘুরে নিজেই টিকা তৈরির কাজের তদারকি করছেন। আমি বললাম - ‘‘এগুলিতো সব বেসরকারি সংস্থা’’। সঙ্গে সঙ্গে বন্ধু তেলেবেগুনে। ‘‘এই মহামারীর সময়ে আবার সরকারি-বেসরকারি খোঁজের রাজনীতি!’’ অগত্যা রাগ কমিয়ে কিছু সময় কথা বলে বোঝানোর চেষ্টা করলাম।
প্রভুর ইচ্ছাতেই বিজ্ঞানের গবেষণা!
বলরাম ভার্গভ, ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চ (আইসিএমআর)-এর ডাইরেক্টর জেনারেল। দেশের একজন গুরুত্বপুর্ণ বিজ্ঞানী-প্রশাসক এবং অত্যন্ত দায়িত্বশীল হবেন নিশ্চই। ১৫আগস্টের আগে ঘটা করে বলেছিলেন, দেশের ৭৩তম স্বাধীনতা দিবসের আগে প্রধানমন্ত্রী লালকেল্লা থেকে ঘোষণা করতে পারেন যে, ভারত বায়োটেকের করোনার ভ্যাকসিন প্রস্তুত। প্রসঙ্গত, ভারত বায়োটেকের সঙ্গে আইসিএমআর-এর যৌথ উদ্যোগে ভ্যাকসিনের গবেষণা চলছে।
সারা দেশ যখন প্রতিবাদে সোচ্চার তখন বলরাম ভার্গভ পিছু হটে বললেন, ২০২০-র শেষের দিকে নিশ্চয়ই তৈরি হয়ে যাবে। ডিসেম্বরের শেষপ্রান্তে এসে দেখছি, তৃতীয় ধাপের ট্রায়াল সবে শুরু হয়েছে।
সেদিন প্রধানমন্ত্রী তদারকির জন্য নিজের বিমানে আমেদাবাদের জাইডাস, পুনার সিরাম ইনস্টিটিউট, হায়দরাবাদের ভারত বায়োটেক সংস্হায় ঘুরলেন - সেগুলি সবই বেসরকারি সংস্থা। ভারত বায়োটেকের সঙ্গে আইসিএমআর এবং ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ভাইরোলজি (এনআইভি) ইত্যাদির যেমন প্রযুক্তিগত সহযোগিতা আছে তেমন অন্যদিকে আমেরিকার স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়, মার্কিন সরকারের সিডিসি (সেন্টার ফর ডিজিস কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন) ইত্যাদির সঙ্গেও সহযোগিতায় ভ্যাকসিন তৈরি করছে। আসলে এসব সহযোগিতা হলো - ফেলো কড়ি মাখ তেলের।
হায় স্বনির্ভরতা!
এদেশে টীকা তৈরির সরকারি সংস্থা নেই এমনটা মোটেই নয়। আমাদের দেশে উত্তরপ্রদেশের বুলন্দশহরে ভারত ইমিউনোলজিক্যালস অ্যান্ড বায়োলজিক্যালস করপোরেশন লিমিটেড একটি পাবলিক সেক্টর আন্ডারটেকিং এবং ১৯৮৯ সাল থেকে কাজ করছে। যে পোলিও ভ্যাকসিন আমাদের শিশুরা খায় তার নির্মাতা হলো এই সংস্থা। অবশ্য এই টিকার আবিষ্কর্তা আমেরিকার জোনাস সাল্ক (Jonas Edward Salk) ১৯৫২ সালে এই টিকা তৈরি করেন। তাঁকে যখন জিগ্যেস করা হয় যে, তিনি এই আবিষ্কারের “পেটেন্ট কেন করছেন না” - তিনি বলেন “Can you patent the Sun”? জ্ঞানের পেটেন্টের দৌরাত্ম্য ধনবাদী অর্থনীতির ফল। এদেশে এনআইভি, বাঙ্গালোরের আইআইএসসি, আইআইটি’গুলি সহ বেশ কয়েকটি আইআইএসইআর ইত্যাদি এই গবেষণা করতে পারত কিন্তু সেখানে তা করা হয়নি। এদেশে মেধার অভাব নেই, অভাব পরিকাঠামোর।
২০০৬-০৭ সালে বিসিজি (যক্ষ্মা রোগের টিকা)-র দাম ছিল ১৩ টাকা, ২০২০ সালে এই টিকার দাম ৯০ থেকে ১০৫ টাকা। ডিপিটি টিকা (ডিপথেরিয়া, হুপিং কাশি ইত্যাদি)-র দাম ছিল ১১.৮০ টাকা, কিন্তু এখন প্রায় ৫৬০ টাকা। টিটেনাস রোগের টিকার দাম ৬.২০ টাকা থেকে বেড়ে এখন ১১ টাকা। ২০০৬-০৭ সাল পর্যন্ত এই টিকাগুলির ৯০ শতাংশ আসত তিনটি সরকারি সংস্থা যেমন কৌশালীর সেন্ট্রাল রির্সাচ ইনস্টিটিউট (সিআরআই), কুন্নুরের পাস্তুর ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়া (পিআইআই) এবং চেন্নাইয়ের বিসিজি ভ্যাকসিন ল্যাবোরেটরি থেকে। তারপর শুরু হয় ধীরে ধীরে এই সংস্থাগুলির কর্মক্ষমতা কমিয়ে দেওয়ার পালা। ২০০৮ সালের জানুয়ারি মাসে এগুলি বন্ধ করে দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়ে যায়। এরপর স্বাস্থ্যবিষয়ক সংসদীয় স্ট্যান্ডিং কমিটি সরকারকে এগুলি খোলার একটি বিশদ প্রস্তাব পাঠায়। কিন্তু কেউ তা শোনেনি। প্রথমে আর্থিক অনুদান কমিয়ে দেওয়া হয়। ফলে একটি টিকা তৈরির সংস্থার যে আন্তর্জাতিক মান - গুড মানুফ্যাকচারিং প্রাকটিস (জিএমপি) থাকার কথা সেই মান নষ্ট হয়ে যায়। ফলে এইসব রোগ প্রতিরোধের জন্য সরকারের যে সার্বিক টিকাকরণ অভিযান চলছিল তা বাধা পায়। বিংশ শতাব্দীর বিশ্বের সর্ববৃহৎ টিকাপ্রস্তুতকারী দেশ ভারত বহুজাতিকদের মুখাপেক্ষী হয়ে যায়। ২০১২-১৩ সালের একটি হিসাব বলছে যে, উপরের অতি প্রয়োজনীয় টিকাগুলির টিকাকরণ অভিযানে সরকার ১৯,৮৫৩ লক্ষ ডোজ টিকা বহুজাতিক সংস্থাগুলি থেকে ক্রয় করেছে। সেক্ষেত্রে উপরের দুটি সংস্থা (সিআরআই এবং পিআইআই) মাত্র ১০৯৫ লক্ষ ডোজ তৈরি করেছে। এখন বহুজাতিক সংস্থাগুলি যে সংমিশ্রণ ভ্যাকসিন (কম্বিনেশন ভ্যাকসিন) বিক্রি করে তা তৈরির অনুমতি সরকারি সংস্থাগুলিকে দেওয়া হয়নি। এভাবেই তিলে তিলে ভাতে মারার চেষ্টা হয়েছে।
ভ্যাকসিন কি?
আমাদের দেহে কোনো এক রোগের প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করার জন্য যে ওষুধ (ড্রাগ) ব্যবহৃত হয় তাকেই ভ্যাকসিন বলে। কোভিডের মতো ভাইরাসঘটিত রোগের জন্য যে টিকা লাগে তা আসলে কোনো জৈব পদার্থ। টিকা দেহের প্রতিরক্ষাব্যবস্থাকে প্রশিক্ষণ দিয়ে রোগজীবাণুর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ তৈরি (ইমিউন সিস্টেম) করতে শেখায়। ফলে মানবদেহে বাইরের কোনো অ্যান্টিজেন প্রবেশ করলে দেহে অ্যান্টিবডি তৈরি সম্ভব হয়। টিকার কাজ হলো - প্রথমে শত্রুকে চেনা, তারপর অ্যান্টিবডি তৈরি করে কীভাবে লড়াই করতে হবে তা মনে রাখা। এই অর্থে টিকা যেমন নিরাপদ তেমনই চতুর।
জৈব প্রযুক্তি যত এগিয়েছে টিকার প্রযুক্তিও ততোটা আধুনিক হয়েছে। আগে কেবল নিষ্ক্রিয় (Inactivated) বা আংশিক নিষ্ক্রিয় (Live-attenuated) ভাইরাস দিয়ে তৈরি টিকা হতো; যেমন পোলিও, রাবিজ ইত্যাদি। এখন আরও কয়েক ধরনের যেমন, ভাইরাস দেহের খণ্ড দিয়ে তৈরি ভ্যাকসিন (হুপিং কাফ, হেপাটাইটিস-বি ইত্যাদি), এবং ডিএনএ কিংবা আরএনএ খণ্ড দিয়ে তৈরি ভ্যাকসিন তৈরির প্রযুক্তি এগোচ্ছে। নিউক্লিক আসিড (ডিএনএ বা আরএনএ)-এর ভ্যাকসিন হলো জৈবপ্রযুক্তির অতিসাম্প্রতিক উদ্ভাবন।
টিকা তৈরিঃ তখন এখন
গুটিবসন্তের টিকা এডওয়ার্ড জেনার ১৭৯৬ সালে আবিষ্কার করার পর তা’প্রয়োগ করতে সময় লেগেছিল ২০ বছরেরও বেশি। এটাই ছিল পৃথিবীর প্রথম সফল টিকা। তারপর ক্রমান্বয়ে ভ্যাকসিন আবিষ্কার থেকে প্রয়োগের সময় কমেছে। এর মূল কারণ দুটি। প্রথমত, উন্নত প্রযুক্তি যা তৈরির সময় অনেকটা কমিয়ে দিয়েছে এবং দ্বিতীয়ত, একটি পর্যায় থেকে অন্য পর্যায়ে যাওয়ার সময় অনুমোদন প্রক্রিয়ার সময়কে কমিয়ে ফেলেছে। তাই বলে এই নয় যে, পরীক্ষার ট্রায়ালের ধাপগুলি এড়িয়ে যাওয়া যাবে বা সঙ্কোচন করা যাবে। মানুষের উপর পরীক্ষার আগে প্রাণীদের উপর পরীক্ষা হয় যাকে প্রি-ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল বলা হয় এবং তার পর মানবদেহে পরীক্ষা হয় তিনটি পর্যায়ে। উদ্দেশ্য হলোঃ এটি মানুষের জন্য নিরাপদ কিনা, বড়ো ধরনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া মুক্ত কিনা এবং কতো পরিমাণে এবং কতদিন কার্যকর তা নির্ধারণ করা। এখন পর্যন্ত যে টিকাগুলির নাম সংবাদমাধ্যমে ঘোরাফেরা করছে তারমধ্যে যেগুলি এম-আরএনএ (mRNA) টিকা সেগুলির ক্ষেত্রে এই ম্যাসেঞ্জার (m) বা বার্তাবহ আরএনএ গবেষণাগারে তৈরি করে তার উপর লিপিডের এক প্রলেপ দিয়ে টিকা প্রস্তুত হয়। টিকাকরণের মধ্য দিয়ে এম-আরএনএ চলে যায় কোষের সাইটোপ্লাজমে। আমাদের কোষের নিউক্লিয়াসের মধ্যে স্বাভাবিক নিয়মে এম-আরএনএ তৈরি হয় এবং কী প্রোটিন কোষ তৈরি করবে তার বার্তা বহন করে সাইটোপ্লাজমে নিয়ে আসে। সেই মতো প্রোটিন তৈরির কারখানা রাইবোজোমে সেই প্রোটিন টি-আরএনএ এবং আর-আরএনএ-এর সহযোগিতায় তৈরি হয়। এই টিকার ক্ষেত্রে যা হবে তা হলো অ্যান্টিবডি প্রোটিন তৈরির বার্তা আসবে নিউক্লিয়াসের পরিবর্তে টিকা থেকে। এখন যে এম-আরএনএ টিকাগুলি ব্যবহারের আগের অবস্থায় তার মধ্যে মর্ডানা’র (mRNA-1273) এবং বায়োএনটক-এর টিকা রয়েছে। এই প্রযুক্তিতে টিকা তৈরিতে যেমন সময় কম লাগে তেমনই খরচও। এই টিকার জৈবপ্রযুক্তি সর্বাধুনিক।
আমাদের দেশে যে দুটি টিকার কথা বহুলচর্চিত তার মধ্যে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগিতায় অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনাকা-র শিম্পাঞ্জির ইনফ্লুয়েঞ্জা রোগসৃষ্টিকারী অ্যাডিনোভাইরাসকে ব্যবহার করে টিকা (ChAdOx1) প্রথমেই আসে। এখানে এই অ্যাডিনোভাইরাসের ডিএনএ টিকা হিসাবে ব্যবহার করা হয়েছে। এই অ্যাডিনোভাইরাসের মধ্যে জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিয়ের মাধ্যমে ডিএনএ’র একটি অংশ কেটে সেখানে করোনা ভাইরাসের একটি খণ্ড ঢোকানো হয়। এই ডিএনএ মানবদেহে করোনা ভাইরাসের জন্য প্রোটিন অ্যান্টিবডি তৈরি করতে সমর্থ। এইভাবে তৈরি টিকা প্রয়োগ করলে তা কোষের নিউক্লিয়াসের মধ্যে ঢুকে পড়ে এবং সেই ডিএনএ অ্যান্টিবডি তৈরির জন্য এম-আরএনএ তৈরি করে সাইটোপ্লাজমে পাঠায়। এবার এম-আরএনএ যা আগের এম-আরএনএ টিকার মতোই কাজ করতে শুরু করে।
ভারত বায়োটেক কিন্তু করোনার নিষ্ক্রিয় ভাইরাস ব্যবহার করেই টিকা তৈরি করেছে। এই প্রযুক্তি পুরনো হলেও ভাবার কোনো কারণ নেই যে, টিকার মান খারাপ হতে পারে। আসলে আপনি কাঠের বা গ্যাসের বা ইলেকট্রিকের উনুন যেটাই ব্যবহার করুন না কেন রান্না সুস্বাদু হলেই হলো। এক্ষেত্রে অ্যান্টিবডি তৈরি করতে পারলেই টিকা সফল।
চেন্নাইয়ের কিং ইনস্টিটিউট অব প্রিভেনটিভ মেডিসিন অ্যান্ড রির্সাচ ঊনবিংশ শতাব্দীতে তৈরি। ১৮৯৬-৯৭ সালে এখানেই ভারতে তৎকালীন মহামারী প্লেগ রোগের টিকা উদ্ভাবিত হয়। কিন্তু তা’সত্ত্বেও এই প্রতিষ্ঠানের সাথে সাথে বেঙ্গল কেমিক্যাল সহ আরও প্রায় এক ডজন সরকারি সংস্থা বন্ধ করার কাজ চলছে। এগুলিই দীর্ঘদিন ভ্যাকসিন ট্রায়ালে অংশগ্রহণ করত। কয়েক বছর আগেও ভারত বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ এবং নিশ্চিত টিকা তৈরির উৎস ছিল। টিভিতে এক সাক্ষাৎকারে ভারতের সর্ববৃহৎ টিকা তৈরির বেসরকারি সংস্থা (সিরাম ইনস্টিটিউট, পুনা)-র সিইও পুনাওয়ালা গত ২৭ এপ্রিল বলেছেন যে, করোনা টিকা বানানো শুরু হলে (তখন লন্ডনে গবেষণা বেশ এগিয়েছে) অন্য টিকা তৈরি বন্ধ হয়ে যাবে। একথার অর্থ হলো, অন্য টিকার জোগানে ঘাটতি দেখা দেবে এবং বাজারমূল্য হবে আকাশছোঁয়া। এদেশে টিকা তৈরির গবেষণার কাঠামো তৈরি না করে এবং তিলে তিলে টিকা উৎপাদনের পরিকাঠামো শেষ করে দিয়ে আত্মনির্ভর ভারত গড়ে তোলার স্বপ্ন যারা দেখায় তারা আর যাই হোক দেশপ্রেমী হতে পারেনা।